নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
কাব ইবনে জুহায়ীর মহানবী হযরত মোহাম্মদ ( স এর সময়কালীন একজন প্রখ্যাত আরবীয় কবি । তিনি প্রথমে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হননি, কিন্ত তার ভাই বুজায়ীর ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত ছিলেন । জুহায়ীর যে শুধু তখন বিধর্মীই ছিলেন তা নয় । তিনি মহানবীর নামে ব্যঙ্গাত্মক কবিতাও লিখতেন, যার গুটি কয়েক এখন পাশ্চাত্তের অনেক ওরিয়েন্টালিষ্ট লেখক ইসলামের বিপক্ষে প্রোপাগান্ডা হিসাবে ব্যাবহার করে । তবে জুহায়ীর তার ভাই বুজায়ির এর পরামর্শ এবং উৎসাহে এক পর্যায়ে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং মহানবীর প্রসংসা সুচক কাছিদা বা নাথে রসুল রচনা করেন। তিনি মহানবীর উফাৎ গ্রহণের ২ বছর পুর্বে ‘বনাত ছোয়াদ ‘নামে মহানবীর প্রসংসা সুচক একটি কাছিদা সামগ্রী রচনা করেন (Journal of Arabic Literature Vol. 21, No. 2 (Sep., 1990), pp. 140-154) এবং মহানবীকে তা পাঠ করে শোনান। আরবী ভাষায় এটাই প্রথম নাতে রসুল হিসাবে বিবেচিত (Tarikhul adab AL arabi by Ahmad Hasan zaiyaat, ISBN 9953850097) । তাঁর রচিত ‘বনাত ছোয়াদ’ বিশ্ব সাহিত্য ভান্ডারে তার নিখুত কাব্যগুণে এখনো বেশ সমাদৃত । বনাত ছোয়াদে তিনটি সুসমম্বিত অধ্যায় রয়েছে । প্রথম অধ্যায় এর নাম নসিব, প্রেম ও ভালবাসায় পুর্ণ কবিতা সম্ভার , দ্বিতীয় অধ্যায় 'গুল' তথা ভালবাসার রুপান্তর সংক্রান্ত রচনা এবং তৃতীয় অধ্যায় 'রাহিল অফ বনাত ছোয়াদ যা ক্লাসিক্যাল কাছিদায় পরিপুর্ণ অপুর্ব রচনা সম্ভার। নীচে এর থেকে একটি কাছিদার ভাষান্তর দেয়া হলো । তবে বিণীত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই বলে যে, কালোত্তীর্ণ একজন বিখ্যাত কবির অমর রচনার কাব্যিক ও ভাবার্থের যথাযথ সম্মিলন ঘটিয়ে বংগানুবাদ করার মত সামর্থ আমার মত একজন সাধারণ পাঠকের নেই । শুধু মহানবীর প্রসংসাসুচক কাছিদা প্রনয়ণকারী একজন আরবীয় ছাহাবী কবির কাছিদা যা তিনি মহানবীকে পাঠ করে শুনিয়েছিলেন তার সাথে আমাদের সন্মানীত পাঠকদেরকে পরিচিত করার লক্ষ্যে সামুর ভাই বোনদের সাথে শেয়ার করাই এ লেখাটির মুখ্য উদ্দেশ্য ।
নবীর প্রসংসা
মুল : কাব ইবনে জুহায়ীর
মোদের নেতা নবী (মোহাম্মদ) দৃঢ়
বিশুদ্ধ হৃদয় অপলক বিশ্বময়ী
সহজবোধ্য, প্রজ্ঞা, জ্ঞান, ও ক্ষমাশীলতায় পূর্ণ
যিনি অসার ,হালকা কিংবা নন কুসংস্কারছন্ন ।
মান্য করি নবীকে আমার
সে সাথে আনুগত্য মহা প্রভুর
যিনি আমাদের প্রতি করুণাময়
অসীম দয়ালু প্রগার ।
যদি কর গ্রহন তোমরা
নবীর দেয়া শান্তির বাণী
বরণ করব তোমায়
আর শান্তির কাফেলায়
করে নিব অংশীদার ।
করলে নবীকে অস্বীকার নির্ঘাৎ
তোমার সাথে হবে শান্তির লড়াই
হবেনা তা কোন মতেই তা
দুর্বল কোন পরিনতির ব্যাপার ।
যতদিন রব বেঁচে
ততোদিন করে যাব যুদ্ধ
যতদিন না ফিরে আস ইসলামে
আর বিনীতভাবে আশ্রয় চাও।
সংগ্রাম করেই যাব
করিনা পরোয়া সে যেই হোক
দলিত মথিত করে যাব
অবিশ্বাসীদের যন্ত্র মন্ত্রের আস্তানা
যতই দাঁড় করুকনা কেন বাধার পাহাড়
হাতে নিয়ে সুতীক্ষ্ণ হাতিয়ার ।
আসে ধেয়ে ভেবে হবেনা বিনাশ
তবে মাত্র দুটি তৌহিদী কথা
আল্লাহু আকবর করে দেয়
তাদের অন্তরে ভিতীর সঞ্চার
ভয় পেয়ে হয় যদি তারা বিশ্বাসী
পরম প্রভু হতে পায় তারা শান্তির নির্যাস।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাল লেগেছে শুনে । কবিতা আমি লিখিনা । তাছাড়া কবিতা কেন বাংলা লিখাতেও আমি খুবই দুর্বল । কোন বাহবা পাওয়ার জন্য নয় অন্য একটি কারণে এটা লিখতে হল । Dr. Earnest Hahn এর লিখা Jihad in islam : Is Islam peaceful or militant and an initial Christian response শীর্ষক একটি journal article এর critical review করছিলাম । লিখাটি পড়তে গিয়ে দেখা যায় যে কোরান ও হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দেয়ার পাশাপাশি Dr. Hahn সে সময়কার আরবীয় কবিরাও কিভাবে জিহাদকে উস্কে দেয়ার জন্য় কবিতা/ কাছিদা লিখেছিলেন তারও উদ্ধৃতি দিচ্ছে। তার লিখা কোরানের আয়াতের ও হাদিসএর মনগড়া কথাবার্তা খন্ডন করা সহজ সাধ্য হলেও সে সময়কার কবিদের উদ্ধৃত রচনা উদ্ধার করে তার জবাব দেয়া বেশ দুরুহ কাজ । তার লিখায় কাব ইবনে জুহায়ীর কাছিদা বা নাতে রসুলের ভাষা দেখে মনে হলো হয়তবা কিছুটা ফেব্রিকেটেট হয়েছে । ইদানিং বিধর্মীদের লিখায় দেখা যায যে এটা একটা নতুন টেকনিক । তারা জানে আজকাল লিখালিখির জগতে কবিতা বেশ জায়গা করে নিয়েছে । একারণে এধরনের অনেক লিখাতেই তারা সে সময়কার কবিদের বিশেষ করে ইসলাম গ্রহণের আগে নবীকে নিয়ে ব্যাংগাত্বক কবিতা লিখছে সে গুলিকে মনগড়াভাবে উদ্ধৃত করছে । তাই অনেক খোজাখুজি করে কাব ইবনে জুহায়ীর লিখা কাছিদা গ্রন্থ পাঠে দেখা যায় যে, সে বেশ কয়েক জায়গায় জোড়াতালী দিয়েছে । এটা দেখে খানিকটা বিরক্ত হয়ে যাই, উপযুক্ত জবাব দেয়া দরকার বলে মনে করি। কিন্তু জার্নাল রিভিউ একাডেমিক লেবেল ছাড়া বাইরের আর কয়জনেই বা পড়বে । তাই মনে হল সঠিক কাসিদাটির ইংরেজী ও বাংলা ভাষান্তর কয়েকটি নামকরা ব্লগে দিয়ে দিলে ভাল হয় । এই ভাবনা থেকেই এ কাজটিতে হাত দেয়া । উদ্দেশ্য বিধর্মী প্রোপাগান্ডিষ্টদেরকে জানান দেয়া যে তোমরা মুক্ত চিন্তা কর , তবে তা সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কর । না হলে ঘরে বাইরে ক্রেডিবিলিটি হারাবে । যাহোক এ কথাগুলি এ জন্যই বলা যে সবাই যেন সচেতন থাকতে পারি সব ফ্রন্টেই ইসলামের বিপক্ষের প্রোপাগান্ডিস্টদেরকে প্রতিহত করতে পারি । ইসলাম শান্তির ধর্ম , শুধু জিহাদী মিলিট্যন্ট ধর্ম নয় , শুধু ইসলাম কেন সকল ধর্মই হোক শান্তির ধর্ম এটা শক্ত করে জানান দেয়া কর্তব্য বলে মনে করি ।
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৪৭
হাবীব কাইউম বলেছেন: অনুবাদ করার চেষ্টা করেছেন, এ জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ। আপনার অনুবাদ পড়তে গিয়ে দুটো কারণে হোঁচট খেয়েছি : মাঝে মাঝে সাধু ভাষা ঢুকে গেছে; বানান বিভ্রাট ব্যাপক।
যাই হোক, আমার মনে হয় আরবিটাও দিতে পারতেন। অনেক সময় না বুঝতে পারলেও মূলটা শুনতে ভালো লাগে।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । আমার দুর্বলতা টা তো এখানেই । এজন্যই আমার সংগ্রাম বাংলা ভাষায় বর্ণের সংখ্যা কমানো নিয়ে । এ প্রসংগে সামুর পাতায় আমার একটি পোষ্ট আছে । একই সাথে সাধু ও চলতি প্রথাকে একটি প্রথায় নিয়ে আসা, এটাও একটি লক্ষ্য । বাংলা ভাষার উপরে এখানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে আসা দুই বংগের ( বাংলাদেশ ও পশ্চিম বংগ) কয়েকজন ভাষা বিজ্ঞানীর সাথে এ বিষয়ে অনেকবার কথাও হয়েছে । তারা বলেছেন বিষয়টা ভেবে দেখার মত । তারাও স্বিকার করেছেন এটা মনে হয় এখন সময়ের দাবী । একই সময়ে একই কালে লিখ্য ভাষায় দ্বিমাত্রিকতা কাম্য কিনা তা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন বলেও তারা জানান । যাহোক, এটা ভাষা বিজ্ঞানীদের কাজ । আমার মত সাধারন মানুষের কাজ এটা নয় ।
বলা হয় সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রন দোষনীয় , কিন্তু কোন অপরাধে । দেখতে দোষনীয় না শুনতে দুষনীয় । মনে তো হয় বরং ভালই লাগার কথা । এই দেখুন না এখনকার নাটক, উপন্যাস , কথায় বার্তায় ভবষার ও শব্দের কত বিচিত্র ধরনের কথ্য ও লেখ্য রূপ একই সাথে । আজকের সামুর পাতাতেই দেখলাম, একটি গল্পে একই কলেবরে সাধু, চলিত , পাড়াগেয়ে , শহুড়ে , বিভিন্ন জেলার যথা বরিশাল, রংপুর সিলেটি আর চাটিগায়ের ভাষার কি অপুর্ব সমাহার । দেখে ভালই লাগল এই ভেবে যে, বাংলা ভাষার ব্যাহারের বহুমাত্রিকতা আর অগ্রযাত্রা দেখে । ভাষার জম্ম , পরিবর্তন বিবর্তন হয় এর ব্যাবহার থেকেই । এটা মুলত: মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম । মানুষের কাছে বোধগম্য হলো কিনা সেটাই বড় কথা। অনেক ক্ষেত্রে একই বাক্যে সাধু ও চলিতের মিশ্রণ ভাব প্রকাশকে অনেক বেশী মুর্তমান করে তুলে বলে আমি মনে করি । যেমন আমার লাইনটিই দেখুন 'ধেয়ে আসে ভাবিয়া হবেনা বিনাস'' সঠিক হতো লিখলে 'ধেয়ে আসে ভেবে হবেনা বিনাশ' কিন্তু এখানে 'ভেবে' চলিত শব্দটির থেকে 'ভাবিয়া' সাধূ শব্দটি অনেক বেশী ভাব গম্ভীর বলে মনে হয়েছে । তার পরেও কথা হলো একই/একি শব্দের ( এখন এই 'একই' শব্দটিকে কি বলবেন সাধু না চলিত, তবে হ্যা ,একই শব্দটিকে 'একি' হিসাবে চলতি রূপ দেয়া যায় ) । তাহলে এখন দেখুন ' কথা হলো একই/একি শব্দের' একে যদি একান্তই চলতি ভাষায় বলি তাহলে বলতে হয় 'কথা হলো একি শব্দের ' আর সাধু চলিত মিশ্রন করে বললে বলতে হয় 'কথা হলো একই শব্দের" এখানে সাধু চলিত মিশ্রন হলেও বাক্যটির অর্থ অনেক সহজে বোধগম্য । দেখতে বেমানান হচ্ছেনা বা শুনতেও কটু লাগছেনা । তাই আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে বলা হতো সাধু চলিত মিশ্রন দোষনীয় । কিন্ত কালের প্রবাহে এমন জায়গায় আমরা চলে এসেছি যে, এখন সাধু এবং চলিতকে চমৎকারভাবে আমরা এক বাক্যে প্রয়োগ রীতি সহজ করে ফেলেছি । এতে করে ভাষার সৌন্দর্য , সাবলিলতা ও শব্দ প্রয়োগের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে । ভাষা এক জায়গায় স্থবির হয়ে থাকলে এর কি দশা হয় তা সংস্কৃত ভাষার দিকে তাকালেই দেখতে পাবেন । এটা একসময় এ উপমহাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ভাষা ছিল । কিন্তু সে গ্রহণও করেনি বর্জন ও করেনি । ফলে আজ এটা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে । তাই আসুন দ্বি ধারার বাংলা ভাষাকে সকলে মিলে একটি সমন্বিত কথ্য ও লেখ্য ভাষায় নিয়ে আসার চেষ্টা করি। ভাষার দিক ধেকে সাধু চলিত দুটোই সমান মর্যাদার দাবীদার, তাই কোনটাকে একেবারে বর্জন না করে এদের কে সমন্বিত করে একটিতে রূপান্তর করে ভাষাকে সমৃদ্ধ করি । আশা করি বিজ্ঞ ভাষাবিদেরা ভাষাকে দ্বিমাত্রিক বাবহার থেকে একটি সমন্বিত ভাষায় রূপান্তরের মহৎ কার্যটি সম্পন্ন করার কাজে এগিয়ে আসবেন । তবে হ্যা বানান ভুল একান্তই কাম্য নয় , এটা শব্দের অর্থকেই পাল্টে দেয় । এ লক্ষে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ । তবে এ ক্ষেত্রে বড় বিপত্তি হচ্ছে কম্পিউটারে বাংলা টাইপ করা নিয়ে । অনেক সময় সঠিক ফন্ট আসেনা , এক অক্ষেরর জন্য বোতাম টিপলে অন্য আর এক অক্ষর আসে । ।একটি শব্দ লিখার সময় ঘন ঘন ফন্ট বদলায় । অনেক সময় এক অক্ষর ৪/৫ বার টাইপ করতে হয় । তার পরেও দেখা যায় যে একটি লিখা পোষ্ট করার পর শব্দের বর্ণ পরিবর্তন হয়ে গেছে । এজন্য সামুর পাতায় সর্ব উপরে সবার ডানে লিখা আছে 'বাংলা লিখা ভুল দেখাচ্ছে ----- । তার মানে এরকমটা হতেই পারে ধরে নেয়া যায় । বিষয়টা হয়ত আপনি লক্ষ করেন নি , হয়ত বাংলা টাইপে আপনি খুবই সাবলিল ও দক্ষ , তাই এটা আপনার কাছে কোন সমস্যাই নয় । যাহোক এত সব সীমাবদ্ধতার ভিতর দু একটা ভুল হতেই পারে , এ অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে ক্ষমাপ্রর্থী। এব্যপারে সচেতন থেকও বিশেষ লাভ হচ্ছেনা বিবিধ টেকনিক্যাল কারণে । তবে এটুকু লাভ হচ্ছে যে ভুল হবে জেনেও বাংলা ভাষা চর্চা করতে পারছি । এজন্য সামুকে সাধুবাদ জানাই । কিন্তু নিয়ন্ত্রনের বাইরে বানান ভুলের জন্য পাঠক কুল বিরক্ত হলে তো মহা বিপর্যয় । তবে আবারো ধন্যবাদ জানাই ভুল ধরে দেয়ার সুমহান কাজের জন্য কারণ এটা আমাকে আরো সচেতন হতে সহায়তা করছে ।
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২০
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল আপনার অনুবাদ। ধন্যবাদ
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য ।
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
গোধুলী রঙ বলেছেন: আপনার প্রচেষ্টা আল্লাহ কবুল করুন।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দোয়া করার জন্য ।
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৪
ফরিদ আহমাদ বলেছেন: আরবিটা দিলে ভালো হইতো।
প্রচেষ্টার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাই ফরিদ আহমাদ আপনার জন্যও রইল অশেষ ধন্যবাদ । আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে অন্য একটি ইসলামী বিষয় নিয়ে কাজ করতে গিয়ে জুহায়ীর ইবনে কাবের কবিতার সন্ধান পাই । তাও সেটা বিধর্মী একজন বিশিষ্ট স্কলারের লেখায় । তার লিখায় কাবের কবিতার কিছু খন্ডিতাংশ উদ্ধৃত করা হয়েছে । তার লিখায় তাকেই প্রথম নাথে রসুল রচয়ীতা হিসাবে আখ্যায়ীত করা হয়েছে। পরে অবশ্য আরো কয়েকজন কবির সন্ধান পাই যারা রসুলের প্রসংসা সুচক কবিতা লিখেছেন যার মধ্যে আল আসাই আকবর, আলী তালিব, হাসান বিন তাবিদ আনসারী, আবদুল্লাহ বিন রেবা , অন্যতম । রাসুল ( সা এর প্রসংসাসুচক কবিতার বিষয়ে নীচে একটি লিংক দেয়া হলো যেখান থেকে বিস্তারিত দেখে নিতে পারেন ।
First Poems of Praise for Prophet Muhammad Mücteba Uğur, PhD
http://www.lastprophet.info/first-poems-of-praise-for-prophet-muhammad
খেয়াল করলে দেখবেন কবিতাটি বিষয়ে আমার পোষ্টে কবিতাটির ব্যাকগ্রাউন্ড হিসাবে একটি ছোট্ট বক্তব্য ও সেই সাথে একটি লিংক দেয়া আছে ।
জুহায়ীর ইবনে কাবের মূল আরবী কবিতাটি দেয়ার বিষয়ে আমি বিনয়ের সহিত জানাচ্ছি যে মূল আরবী কবিতাটি আমার সংগ্রহে নেই । এটা ড: ফাদাক তালহার কাছ থেকে সংগৃহীত ( ড: ফাদাক তালহা একজন সৌদি ইসলামিক স্কলার যিনি এককালীন আমার সহ রিসার্চ ফেলো ছিলেন, সে হিসাবেই তার সাথে পরিচিতি )।
যাহোক, জুহায়ীর ইবনে কাবের প্রতি আপনার আগ্রহ দেখে খুবই ভাল লাগল ।
ভাল থাকুন এ শুভকামনা থাকল ।
৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন আজ থেকে আড়াই বছর আগে। আরবী থেকে ইংরেজী, ইংরেজী অনুবাদ থেকে বাংলায় ভাষান্তর- এটা মোটেই সহজ কাজ নয়। সেই কঠিন কাজটাই হাতে নিয়েছিলেন বলে আপনাকে বিলম্বিত সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
১ ও ২ নং প্রতিমন্তব্য এবং ৬ নং মন্তব্য ভাল লেগেছে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পুরাতন একটি পোষ্ট এসে মুল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দু;খিত ।
আমি খুবই অসুস্থ, তাই ব্লগে নিয়মিত বিচরণ করতে পারছিনা ।
আমার জন্য দোয়া করবেন ।
শুভেচ্ছা রইল
৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২
সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পুরাতন একটি পোষ্ট এসে দেখার জন্য ধন্যবাদ ।
বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দু;খিত ।
আমি খুবই অসুস্থ, তাই ব্লগে নিয়মিত বিচরণ করতে পারছিনা ।
আমার জন্য দোয়া করবেন ।
আল্লাহ আপনাকেও মঙ্গল করুন।
৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একবার দাদা কি মনে করলেন বাসার সামনের খোলা মাঠে ওয়াজের আয়োজন করলেন। খুব সম্ভবত দাদীর মৃত্যবার্ষিকী। সালটা ৮৫ এর দিকে। আমারও বয়স কত হবে... ৪ সাড়ে৪। মনে পড়ে তাল গাছের নীচে বিশাল সামিয়ানা, অনেক বড় ডেকচিতে খিচুড়ী গোস্ত দিয়ে নিহারী। আমি সবে তখন মাদ্রাসায়। সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে পড়লাম যাতে রাতে ওয়াজ শুনতে পারি। ঘুম থেকে ওঠে এশার নামাজে দাড়ালাম।আমি প্রথম নামাজ শুরু করি বয়স যখন ৪। তিনটি সুরা মুখস্থ ছিলো... ইয়ো ম্যান।
সে রাতে দেখি একজন সামনে আর পেছনে লাইন ধরে কিছু লোক। প্রথমে ভেবেছিলাম এরা সব ফেরেস্তা। পরে জানি ওটা কাশিদা ছিলো। অসাম রাত ছিলো। মিহি বাতাস, সবার পরিচিত মুখ... অন্ধকারের ভয়... এখনো সেই দৃশ্যগুলো স্পস্ট চোখে ভাসে।
আপনার পোস্টটা নস্টালজিক করে ফেলল
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একেতো অসুস্থ তার পরে নোটিশ পাইনি বলে আপনার এত সুন্দর মন্তব্যটি এতদিন খতে পাইনি বলে খুব আফছুছ লাগছে ।
ছোটকালে তাল গাছ তলেও সে অনেক দুরের গ্রাম ও রাত বিরাত হলেও হুজুরদের ওয়াজ আর মৌলানা রুমীর ( হুজুরদের কাছে শুনা নাম ) রচিত ফারসি কাব্যিক বয়ান শুনতাম , ওয়াজ শুরুর আগে পরে ও মাঝখানে কযেকজনে মিলে বিবিধ প্রকারের সুর করে গাওয়া আরবী , উর্দু , ফারসী ও বাংলা মিশ্রনের কাছিদা বা গজল শুনতাম । ওয়াজ শেষে অন্ধকার রাতে ( যদিউ বেশীর ভাগ সময়েই পুর্ণিমা রাতে ওয়াজ হতো ) ফিরার পথে কালো বিড়ালের চোখ থেকে ঠিকরানো আলোর রেখা দেখে ভাবতাম হুজুরদের ওয়্জ শুনে ঘরে ফেরা এই বান্দাদেরে বুজী শযতানে ধরেছে ভয় দেখানোর জন্য , তখন ওয়াজে শুনা মৌলানা রুমীদের রচিত কাছিদার কতক লাইন জোরে জোরে সুর করে গেয়ে বিড়াল রুপী শয়তান তারাতাম । পরে অবশ্য জানতে পেরেছি রাতে চলাচলের সময় দুর থেকে বিড়ালদের চোখ নাকি টর্চ লাইটের মত জ্বলতে দেখা যায় , আসলে তারা শয়তান টয়তান কিছুনা । তারা দৌড় দিয়ে আধো অন্ধকার রাস্তা পার হয়ে কিছুদুর গেলে তাদের চোখের আলো আর দেখা যায়না । যাহোক আপনার মন্তব্য পাঠে কাছিদার বিষয়টি আমাকেও কিছুটা নষ্টালজিক করে দিল ।
শুভেচ্ছা রইল
১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
দারুন এই পোস্টটি অনেক পরে দেখলুম। অনুবাদ প্রচেষ্টার প্রেক্ষাপট ব্যক্ত করায় অাপনার মহত উদ্দ্যেশ্য অবহিত হলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ অাপনাকে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ , অনেক পুরাতন একটি লেখা দেখে যাওয়ার জন্য ।
বনাত ছোয়াতের সবগুলি কাছিদার ভাষান্তর করার ইচ্ছা ছিল
কিন্তু আমার সক্ষমতায় কুলাচ্ছেনা বলে তা করা হয়ে উঠছেনা ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৪০
গোধুলী রঙ বলেছেন: চমতকার, সাহাবী কবির প্রতি অনেক ভালোবাসা। আপনার অনুবাদটাও ভালো লেগেছে, যদি আরবী পড়ে বুঝতাম তবে এটার মুল টা খোজার চেষ্টা করতাম। তা তো আর হচ্ছে না, তবে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একজন কবি সাহাবী আর তার কর্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য।