নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপরূপা জাফলং এর কান্না

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৫


হিজল তমাল শালবন ঘিরা
অপরূপ সাজে জাফলং চুড়া
আকাবাকা নদী পথ বেয়ে
পৌঁছলাম জাফলং নীলিমায়।

যেতে যেতে নির্জন পথে
হল দেখা খাশিয়া জীবনগাথা
যতটুকু আছে মনের গহীনে
সেকথাই উচ্চারিলাম এখানে।

শাল তলে শুনি নৃত্য ধ্বনি ধিতাং ধিতাং
বাহারী সাজে খাশিয়া বালার ডুবন্ত বেলা
ফুলাসনে বসা নিলক তিথিতে দেখলাম
টুপুর পরা বধুয়ার ললিতে পরা বাং ।

মারী নদীর কুলে হাটু জলে
বধুবালার কাপড় ভিজে গেলে
দেখি ডুবানো আচল কি করে
কুড়ানো রংগীন নুরীতে ভরে ।

বারে বারে সুজন তারে করে মানা
জাফলং জলে আর নুরি কুড়াছনা
ছোট ডিংগীতে বসা পাথর শিকাড়ীর
মরন আঘাতে ভাংগবে সোনার চাদি।

পাহার ঘেরা নদীর কুলে
স্বচ্ছ জলের পরে ভাসা
সুন্দর পাথর নৌকায় তুলে
নাশে জাফলং এর অপুর্বতা।

হাতুরী আর পাথর মারাই কলে
চুর্ণ হয় শিকাড়ীর লোভা নলে
সমাধিতে প্রথিত জাফলং কান্না
দেয়না নাড়া মুগ্ধ ভক্ত কুলে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন:

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভাল লাগল

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ । জাফলংকে পাথরখেকুর করাল গ্রাস থেকে বাচানোর জন্য অতি ক্ষুদ্র এ প্রচেষ্টা ।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৮

ভাবনা ২ বলেছেন: জাফলং এর সুন্দর সচিত্র কাব্যিক পরিচতি এবং এর কান্না দেখলাম । খুব ভাল লেগেছে ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর বলার জন্য ।

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর বলার জন্য ।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:২৬

কালনী নদী বলেছেন: অনেক সুন্দর ছবি ব্লগ হয়েছে ভাই! প্রিয়তে নিবার মতন।
এখানে পাথরখেকু সম্পর্কে আরেকটু বোঝাতেন যদি। আমার মনে হয় নগড়ায়নের কারনেই আপনি কথাটি বলেছেন, আসলে প্রকৃতিকে কংক্রিট এরাই বানাচ্ছে।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল । :)

সিলেটের ঐতিহাসিক স্থান সবার কাছে তুলে দড়ার জন্য আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । অাপনার কৃতজ্ঞতা সাদরে গৃহীত । জাফলং আমাদের সকল বাংলাদেশীর জন্যই গৌরাময় পর্যটন কেন্দ্র , এর শ্রীবৃদ্ধি প্রতিটি মানুষের কাম্য । এখানে লিখার সময় হরেক কিছিমের পাঠকের কথাটি মনে রাখতে হয় , অনেক সময় অনেক জায়গায় এমন কমেন্ট দেখা যায় যা শালীনতার মাত্রা ভেদ করে যায় , এমন কি অনেক জেষ্ঠদের কাছ থেকেও । হ্যা, আপনার অনুমানই ঠিক , এখানে নগরায়নের কথাকেই বুজানো হয়েছে আর সে জন্যেই কবরায়নেও পাথরের প্রয়োগ দেখানো হয়েছে । কবরের জন্য এত ব্যয় সাপেক্ষ বিশাল বিশাল স্মৃতিসৌধ, সেযে জাফলং এর অশ্রু বিন্দু দিয়ে গড়া তা বুজানোর জন্যই কবিতার এ চরনখানী সাথে সমাধীর বুকে উপোত করে দাঁড় করিয়ে রাখা জাফলং এর পাথর খন্ড । যাহোক পাথর খেকো নিয়ে লিখা কর্মটুকুতো আপনার জন্য নির্ধারিত করে রেখেছি । আমার একটি পোষ্টে মন্তব্যের ঘরে পাহারের পাথর কন্যার দিকে তাক করা অস্রের দৃশ্যটি দেখে আপনাকে পাহারখেকোদের নিয়ে লিখার জন্য একটি জোরালো প্রস্তাব রেখেছিলাম । তার সাথে পাথর খেকোদেরো জড়ানোর জন্য অনুরোধ থাকল । আপনার কলমে এটা অরো অনেক মুর্ত হয়ে উঠবে । পাহাড়ের ভাষা আমি কম বুজি । জাফলং জীবনে একবারেই গিয়েছিলাম । আপনার গল্পে পাহাড়ীদের কথা যত সুন্দরভাবে এসেছে তাতে একাজ অাপনাকেই মানায় । যাহোক ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:১৯

কালনী নদী বলেছেন: আন্তরিকভাবে দুঃখিত ভাইয়া, পাহারের পাথর কন্যার দিকে তাক করা অস্রের দৃশ্যটি দেখে আপনাকে পাহারখেকোদের নিয়ে লিখার জন্য একটি জোরালো প্রস্তাব রেখেছিলাম । এই ব্যাপারটি আমার দৃষ্টিগোচর হয় নি। সামুতে কয়েকদিন নোটিফিকেসনে ঝামেলা ছিল সেই কারনে হয়ত মিস করেছি। যাইহোক নগরায়ন বানানটাও আপনার কাছ থেকে শূদ্ধ হওয়া গেল।
আসলে নগড়ায়নের ক্ষেত্রে মাটি, পাথর, রড-সিমেন্টের জন্য খনিজ সম্পদ আহরণ এসবকিছুই পরিবেশ বিরোধি। প্রকৃতি বিধাতার সৃস্টি এটাকে মানুস হিসেবে সুন্দর করাটা সৃষ্টিশীলতা। এই ব্যাপারটা মাত্র কয়েকজনেরই বোঝে আসে। সেজন্য আপনি আমার প্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব। সাহিত্য সেটাও প্রকৃতির সৃষ্টি। মানব সভ্যতার শুরুতে পাহাড়ের গায়ে খুদাই করে লেখা লেখি হত। এসবই আমাদের জানা। আরেক ব্লগার সচেতনহ্যাপির প্রশ্ন ছিল প্রশ্ন হলো আমাদের পরবর্তি প্রজন্মের জন্য কি রেখে যাচ্ছি?? যার উত্তরটা আমারও অজানা।
আমাদের সবাইকে এরজন্য ভাবতে হবে। নার্সারী প্রকল্প, গাছ লাগাতে উৎসাহিত করা, বইপড়া, সবাইকে সমান চোখে দেখা সর্বোপরী এসবকিছুর বিজ আমাদের নিজ সন্তানদের মধ্যে রুপন করে যাওয়া।
এতবড় লেখার দায়িত্ব দিলেন আমাকে! আসলে এসব ব্যাারগুলা আমাদের সবার লেখার মধ্যেই সাংকেতিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে তারপরেও গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্ঠা করবো। আমাদের প্রধানমন্ত্রি কিন্তু এই বিষয়ে বিশ্বে খ্যাতনামা এমনকি জাতীসংঘ থেকে পুরুষ্কৃতও হয়েছেন কিন্তু বাস্তবে নিজের দেশেই তিনি শিল্পায়নে জোর দিচ্ছেন বেশি।
মানি টকস হিয়ার বাট মেজরিটি স্টিল লিভস ইন দা রোরাল এরিয়া এস ভিলেজার!

ভাল থাকেন ভাইয়া।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এক গল্পে পড়েছিলাম কোন এক গায়ে একজন খুব বড় মাপের দুষ্টলোক ছিল । সে সারা জীবন মানুষকে ভীষন জ্বালাতন করেছে । মরার সময় সে গ্রামের লোকদের বলেছিল আমি সারা জীবন তোদেরে অনেক জ্বালাইছি , কষ্ট দিছি তাই আমি মরলে তোরা আমায় কঠীন সাজা দিস , আমাকে বাঁশের মাথায় পুতে তিন রাস্তার মোরে রেখে আসিছ । তার মরার পড়ে লোকেরা তাই করল । পরে পুলিশ এসে গ্রামের সকল লোককে ধরে থানা হাজতে চালান করে দিল । সবাই বলাবলি করল শালা মরেও জ্বালাইছে । তদ্রুপ ডিনামাইট নোবেল মিয়া একখান নোবেল পুরস্কার রা্‌ইখ্যা গেছে , এটার প্রাপকেরা তার থেকেও যেন বড় ডিনামাইট বানাইয়া দুনিয়াটা উড়াইয়া দিতে পারে । সকল আন্তর্জাতিক পুরস্কারগুলা একই মাঝেজার । পুরস্কার দেয়া নেয়ার লোক একই তরিকার, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য একি সুত্রে বাধা । বাহিরটুকু শুধুই আইওয়াশ ।
একটি বিষয় যেমনটি অআপনি ব লেছেন "আমাদের সবাইকে এর জন্য ভাবতে হবে। নার্সারী প্রকল্প, গাছ লাগাতে উৎসাহিত করা, বইপড়া, সবাইকে সমান চোখে দেখা সর্বোপরী এসবকিছুর বিজ আমাদের নিজ সন্তানদের মধ্যে রুপন করে যাওয়া।" বিষযটি গল্পে সাহিত্যে কবিতায় নিয়ে এসে নতুন প্রজম্মের কোমল হৃদয়ে গ্রথিত করে দিতে হবে , তাহলেই এর আবেদন হবে বেশি ফলপ্রসু ও স্থায়ী । রাজনৈতিক নেতা ও আমলাদের চেয়ে এক্ষেত্রে লেখক ও কবি সাহিত্যিকেরাই বেশী ফলপ্রসু ভুমিকা রাখতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস ।
আমি বুঝতে পারছি আপনার কমপিউটার প্রবলেম ও ফিঙগার প্রবলেমের জন্য কয়দিন সামুতে মনযোগ দিতে পারেন নাই, তাই এ জন্যে দু:খিত হওয়ার কোন কারণ নেই । এখন মনযোগ দিতে পারছেন এতেই খুশী । ভালা থাকুন সূখী থাকুন এ কামনা করি ।

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

মো: ইমরান আল হাদী বলেছেন: সুন্দর

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর বলার জন্য ।

৮| ১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর একটি কবিতা এবং কিছু ছবির মাধ্যমে জ্বলন্ত একটি সমস্যার প্রতি আলোকপাত করেছেন, এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি আন্তরিক সাধুবাদ। কিন্তু কে শুনবে কার কথা!

জাফলং সর্বপ্রথম গিয়েছিলাম ১৯৭৩ বা ৭৪ সালে, শিক্ষাসফরে। প্রথম দর্শনেই এলাকাটির নৈসর্গিক শোভা দেখে অভিভূত হয়েছিলাম। তাড়াতাড়ি করে পরনের পোশাকসহই জলে ঝাঁপ দিয়েছিলাম। ২০০০ সালে তো সিলেটে গোটা বছরটা কাটিয়েছিলাম। তখন বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে তাদের অনুরোধে আরো বেশ কয়েকবার যেতে হয়েছিল। আর সবশেষে গিয়েছি, তাও প্রায় দশ বার বছর হয়ে গেছে। প্রতিবারই আগের চেয়ে অবস্থার অবনতি দেখে ব্যথিত হয়েছি।

কবিতায় ভাল লাগা + +।

২০ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আনেক পুরাতন একটি লেখা পাঠ করে
সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার মন্তব্যের কথায় জাফলং এর
ক্রমাবনতির কথা শুনে খারাপ লাগছে
আরো বেশী করে ।

নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.