নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলীেহােস

ফাউল

আলীেহােস › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেনমোহর এক কোটি ২০ লাখ, অতিথি ১৫ হাজার

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩১















"বর্তমানে বাংলাদেশে শীতকাল চলছে। উত্তরাঞ্চলে প্রচন্ড শীত ও কুয়াশা। সেখানে মানুষ কত কস্ট করতেছে। আর তারা কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিবাহের আয়োজন করেছে। তাদের কি একটু কস্ট লাগেনা। গরীব দুখীদের সাহায্য করতে। আসুন আমরা বিলাসীতা না করে প্রয়োজনরে চেয়ে বেশী খরচ না করি। মিতব্যয়ী হওয়ার চেষ্টা করি"।



বিয়ের দেনমোহর এক কোটি ২০ লাখ ১ টাকা। কনে পেয়েছেন হীরার আংটি ও ১০০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার। বর আসেন হেলিকপ্টারে চড়ে। বিয়েতে মন্ত্রী ও সাংসদসহ আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ১৫ হাজারের ওপরে। পুরো অনুষ্ঠান স্থানীয়ভাবে স্যাটেলাইট কেব্ল টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এটি কোনো গল্প নয়। গতকাল রোববার এ রকমই একটি জাঁকজমকপূর্ণ ও ব্যয়বহুল বিয়ে হয়ে গেল হবিগঞ্জের স্টেডিয়ামে।

কনে আরিফা আক্তার হবিগঞ্জ সদর আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু জাহিরের মেয়ে। বর মহিবুর খন্দকার লন্ডন-প্রবাসী ব্যবসায়ী। বাড়ি জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বনগাঁও গ্রামে। সিলেটেও তাঁর বাড়ি আছে।

আরিফা আক্তারের বিয়ের আয়োজন নিয়ে গত এক সপ্তাহ হবিগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। বিয়ের অনুষ্ঠানস্থল জালাল স্টেডিয়ামকে সাজানো হয় নতুন আঙ্গিকে। রাজধানী ডেকোরেটরের দেড় শতাধিক শ্রমিক এক সপ্তাহেরও বেশি সময় নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল সাজান। অত্যাধুনিক এ সাজসজ্জা সবার নজর কাড়ে। ভিভিআইপি, ভিআইপি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ অতিথিদের বসা ও খাওয়ার জন্য পৃথক স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রে বলা হয়, ‘উপহার নয়, উপস্থিতি ও দোয়াই কাম্য।’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ, বেশ কয়েকজন সাংসদ ও সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিয়ে উপলক্ষে গতকাল জালাল স্টেডিয়ামে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জেলা সদরের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ বেশ কিছু পুলিশ সদস্যকে বেশ তৎপর দেখা যায়। হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, আয়োজন বড় হওয়ায় পুলিশের ব্যস্ততা বেড়েছে।

গতকাল দুপুরে জালাল স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, স্টেডিয়ামজুড়ে বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে জাঁকজমকপূর্ণভাবে। ভেতরে প্রবেশ করে মনে হয়নি, এটি কোনো স্টেডিয়াম বা মাঠ। মাঠের চার কোনায় রান্নায় ব্যস্ত চারজন বাবুর্চি। বাবুর্চি বাবুল মিয়া বলেন, সবার জন্য একই রকম খাবার রান্না হয়েছে। প্রায় ১০০ মণ খাসির মাংস, প্রায় চার হাজার দেশি মুরগি জবাই করা হয়। খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, টিকিয়া ও মাছসহ পাঁচ-সাত পদের খাবার পরিবেশন করা হয়।

রাজধানী ডেকোরেটরের শ্রমিক সাইফুল জানান, একসঙ্গে দেড় হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা করে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। এর ভেতরে বর-কনের জন্য অত্যাধুনিক সাজের মঞ্চ তৈরি করতেই এক সপ্তাহের বেশি লেগেছে।

অনুষ্ঠানস্থলে ছিলেন হাজারো স্বেচ্ছাসেবক। দুটি পিকআপে করে সার্বক্ষণিক বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়।

সিলেট থেকে হেলিকপ্টারযোগে বর আসেন বেলা একটা ২০ মিনিটে। বরবাহী হেলিকপ্টার অবতরণ করে শহরের ঈদগাহ ময়দানে। সেখান থেকে বর একটি কারযোগে বিয়ের মঞ্চে পৌঁছান। তবে তিনি সিলেটে ফেরেন সড়কপথে। বর আসার পর পরই অনুষ্ঠানস্থলে অতিথিদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। সাংসদ আবু জাহির ব্যস্ত ছিলেন অতিথিদের স্বাগত জানাতে।

নিকাহ রেজিস্ট্রার মাওলানা নজমুল হাসান এক কোটি ২০ লাখ ১ টাকা দেনমোহরে বিয়ের নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। নজমুল জানান, বর পক্ষ হীরার আংটি ও প্রায় ১০০ ভরি স্বর্ণ উপহার দেয় কনেকে।

বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘এ বিয়ে হবিগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একত্র করার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই আগ্রহ নিয়েই এ বিয়েতে এসেছি।’ অতিথি গৃহবধূ আয়শা খানম বলেন, ‘এত বড় বিয়ের আয়োজন হবিগঞ্জে এই প্রথম। তাই এতে আসার আগ্রহ ছিল একটু বেশি।’

সরকারি বিধি অনুযায়ী, ১০০-এর বেশি অতিথি আপ্যায়নের জন্য সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা দিতে হয় আয়োজককে। এ বিষয়ে হবিগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় যোগাযোগ করা হলে ব্যবস্থাপক দীপ্তিশ কুমার দাশ প্রথম আলোকে জানান, সাংসদ বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারি কোষাগারে কোনো অর্থ গতকাল পর্যন্ত জমা হয়নি।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তথ্য সূত্র



আপনাদের সুচিন্তিত মতামত জানাবেন। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪০

একাকী বালক বলেছেন: আহারে দাওয়াত পাইলাম না। বিয়া করতাম চাই। :(

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৮

সমসাময়িক ভাবনা বলেছেন: উনার আয়ের উৎস কি ??? একজন এমপি এর বৈধ ইনকাম কত ??? এখন দুদক কোথায় ???? ঝাতির জানবার মুন্চায়.........

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৮

দুষ্টছেলে বলেছেন: কি আর করবেন আপেল খান......

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৬

যুবাইরআজাদ বলেছেন: বর্তমানে বাংলাদেশে শীতকাল চলছে। উত্তরাঞ্চলে প্রচন্ড শীত ও কুয়াশা। সেখানে মানুষ কত কস্ট করতেছে। আর তারা কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিবাহের আয়োজন করেছে। তাদের কি একটু কস্ট লাগেনা। গরীব দুখীদের সাহায্য করতে। আসুন আমরা বিলাসীতা না করে প্রয়োজনরে চেয়ে বেশী খরচ না করি। মিতব্যয়ী হওয়ার চেষ্টা করি"।

>আপনার চিন্তা খারাপনা, তবে এই বিষয়ের সাথে মানায় না। তারা যে ধনবান তা বোঝা যচ্ছে, তাদের কে দান খয়রাত করার আহবান জানানো যেতে পারে।

বিয়ের দেনমোহর এক কোটি ২০ লাখ ১ টাকা। কনে পেয়েছেন হীরার আংটি ও ১০০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার।
> এটা অপচয় নয়, কনের অধিকার। কেউ যদি এই পরিমান বা তার ও বেশি সম্পদ দিয়ে বিয়ে করতে পারে তাতে কোন সমস্যা নেই। তবে এই টাকার একটা পার্সেন্ট সরকারী কোষাগারে যাওয়ার কথা তা দিয়েছেকিনা তা দেখতে পারেন।

বর আসেন হেলিকপ্টারে চড়ে।
> এটা অবশ্যই বিলাসিতা, কারন এমন দুরের রাস্তা ও না, তাছাড়া যাবার বেলায় গাড়ীতেই গেছেন, সেক্ষেত্রে আসতে ও পারতেন গাড়ীতে।

বিয়েতে মন্ত্রী ও সাংসদসহ আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ১৫ হাজারের ওপরে।
> একজন সংসদ সদস্য তার মেয়ের বিয়েতে ১৫ হাজারের ওপরে মেহমান হবে এটাই সাভাবিক। তিনি নির্বাচনে জয় লাভের সময় নিশ্চয় ১৫ হাজারের ওপরে ভোট পেয়েছিলেন , আর সামনে আবার নির্বাচন আছে না? সর্বোপরি মানুষ তো খেয়েছে। তবে যাদের খাওয়ানোর দরকার ছিল তারা অভুক্ত আছে কিনা দেখা যেতে পারে।

অনেক দিন দাওয়াত খাইনা, কেউ বিয়ে করলে দওয়াত দিয়েন।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৭

ছোটমির্জা বলেছেন:
কি আর কমু!!

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:০৯

জিয়াউল হক বলেছেন: এই সেই আওয়ামি লীগ, যাদের শাসনামলে ১৯৭৪ সালে বাসন্তীরা যখন জাল পরে লজ্জা ঢাকার চেষ্টায় লিপ্ত, মানুষ আর কুকুর এক টুকরো হাড্ডি নিয়ে ডাস্টবিনে টানাটানি করেছে, সেসময় তারা সোনার মুকুট বানিয়ে মাথায় দিয়ে বিয়ের আসর বসিয়েছে, ৫৪ কেজি ওজনের কেক কেটে, সোনার নৌকা বানিয়ে উপহার দিয়ে জন্ম দিন পালন করেছে। এদের আমলে এসব খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। অযথাই আপনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা সৃষ্টি করছেন।

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৩

মাথা পাগলা ⎝⏠⏝⏠⎠ বলেছেন: দুদক কোথায়, দুদক কোথায় ?
ঝাতি ঝানতে চায়।

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৪

েছাট বালক বলেছেন: ইসলামিক মতে যদি ঐ টাকা পরিশোধ করতে হত তা হলে আর এই ফুটানি আসত না; বলত বাবা মেয়ের দেনমহরের টাকা পরিশোধ করমু ক্যামতে এইটাই বিষয়। এর পক্ষেও দেহি বিশাল হিস্টোরি সহ একজন মন্তব্য করেছেন-- উনি কি জানে অপচয় কাকে বলে???

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১২

বল্টু মিয়া বলেছেন: ঐ বেডাগুলার পিছে লাথি মারলাম...


কিন্তু দোয়া করি বর-কনে যেন সুখি হয় আর ভবিষৎতে এরকম ভুল না করে

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৪

রিমন০০৭ বলেছেন: হুমম

১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৪

যুবাইরআজাদ বলেছেন: েছাট বালক বলেছেন: ইসলামিক মতে যদি ঐ টাকা পরিশোধ করতে হত তা হলে আর এই ফুটানি আসত না; বলত বাবা মেয়ের দেনমহরের টাকা পরিশোধ করমু ক্যামতে এইটাই বিষয়। এর পক্ষেও দেহি বিশাল হিস্টোরি সহ একজন মন্তব্য করেছেন-- উনি কি জানে অপচয় কাকে বলে???
> ভাই আপনি শুধু শুধু আমাকে ভুল বুঝলেন কেন বুঝলাম না। আমি পক্ষে বা বিপক্ষে না গিয়ে ধর্মীয় ও মানবিক দিক থেকে মন্তব্য লিখেছি।
যাই হোক আপনার মন্তব্য দেখে আপনার ব্লগে ঢুকে যা বুঝলাম তাতে আপনাকে একজন মুসলিম মনে হয়েছে, তাই আপনার ভুল ধারণা ভেঙ্গে দেয়ার প্রয়াসে আবার ও মন্তব্য লিখলাম দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আমি এই বিষয়ের কোন পন্ডিত ব্যক্তি নই, তার পর ও আমার জানা থাকার কারণে লিখছি।

আপনি বলেছেন : "ইসলামিক মতে যদি ঐ টাকা পরিশোধ করতে হত তা হলে আর এই ফুটানি আসত না; বলত বাবা মেয়ের দেনমহরের টাকা পরিশোধ করমু ক্যামতে এইটাই বিষয়।"
>ইসলামি শরীয়া মতে দেন মহরের টাকা নগদ পরিশোধ করা উত্তম। যদি নগদ শোধ না করতে পারে তবে পরে ও শোধ করা যাবে এমন কি কিস্তিতে ও পরিশোধ করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে স্ত্রীকে বলতে হবে আপনি তার দেন মহর বাবদ দিয়েছেন, এমন কি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাপড় চোপড় দিলেও তা দেন মহর এর টাকা থেকে কেটে দেয়া যায়। আবার অনেকে বউ এর কাছে মাপ চেয়ে নেয় (টাকার দাবী ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করে) এ ক্ষেত্রে একটা বিষয় খুব ভাল ভাবে জানা দরকার যে, এ ভাবে মাপ চেয়ে নিলে ও মাপ হবে না, তা পরিশোধ করাই লাগবে। এমন কি দেন মহরের টাকা পরিশোধ না করে যদি স্বামী মারা যায় তাহলে তার (স্বামীর) সম্পত্তি থেকে পরিশোধ করতে হয়, তবে কোন স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় তার স্বামীকে দেনমহরের দেনা মাপ করে দেয় তাহলে তা পরিশোধ করা লাগেনা।
আমার বিয়ের সময় আমি প্রায় নগদ পরিশোধ করেছিলাম, মাত্র ৭৫০০ টাকা বাকি ছিল, যা আমি পরবর্তীতে আল্লাহর ইচ্ছায় শোধ করেছি।

লেখক তার লেখায় লিখেছেন, "বর পক্ষ হীরার আংটি ও প্রায় ১০০ ভরি স্বর্ণ উপহার দেয় কনেকে।"
> বর যদি উপরোক্ত গহনা উসুল হিসাবে উল্লেখ করে থাকে তাহলে তো দেনমহরের টাকা প্রায় শোধ হয়েই গিয়েছে। আল্পকিছু (বরের হিসাবে) বাকি থাকবে। আর বিয়ের পর হানিমুন আছেনা? তখন বিদেশে গিয়ে বাকিটা শোধ করতে পারবে।

উনি কি জানে অপচয় কাকে বলে???

> সরি ভাই, অপচয় সম্পর্কে আপনার মত গভীর ধারণা না থাকলেও আল্লাহর ইচ্ছায় কিছুটা অর্জনের চেষ্টা করেছি মাত্র, কিন্তু পারিনি।
ধন্যবাদ আপনাকে, বর বধুর জন্য শুভ কামনা করে শেষ করছি।
(বানান ভুল থাকলে নিজগুনে শুধরে পড়বেন প্লিজ।)

১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১২

যুবাইরআজাদ বলেছেন: েছাট বালক বলেছেন: ইসলামিক মতে যদি ঐ টাকা পরিশোধ করতে হত তা হলে আর এই ফুটানি আসত না; বলত বাবা মেয়ের দেনমহরের টাকা পরিশোধ করমু ক্যামতে এইটাই বিষয়। এর পক্ষেও দেহি বিশাল হিস্টোরি সহ একজন মন্তব্য করেছেন-- উনি কি জানে অপচয় কাকে বলে???
> ভাই আপনি শুধু শুধু আমাকে ভুল বুঝলেন কেন বুঝলাম না। আমি পক্ষে বা বিপক্ষে না গিয়ে ধর্মীয় ও মানবিক দিক থেকে মন্তব্য লিখেছি।
যাই হোক আপনার মন্তব্য দেখে আপনার ব্লগে ঢুকে যা বুঝলাম তাতে আপনাকে একজন মুসলিম মনে হয়েছে, তাই আপনার ভুল ধারণা ভেঙ্গে দেয়ার প্রয়াসে আবার ও মন্তব্য লিখলাম দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আমি এই বিষয়ের কোন পন্ডিত ব্যক্তি নই, তার পর ও আমার জানা থাকার কারণে লিখছি।

আপনি বলেছেন : "ইসলামিক মতে যদি ঐ টাকা পরিশোধ করতে হত তা হলে আর এই ফুটানি আসত না; বলত বাবা মেয়ের দেনমহরের টাকা পরিশোধ করমু ক্যামতে এইটাই বিষয়।"
>ইসলামি শরীয়া মতে দেন মহরের টাকা নগদ পরিশোধ করা উত্তম। যদি নগদ শোধ না করতে পারে তবে পরে ও শোধ করা যাবে এমন কি কিস্তিতে ও পরিশোধ করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে স্ত্রীকে বলতে হবে আপনি তার দেন মহর বাবদ দিয়েছেন, এমন কি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাপড় চোপড় দিলেও তা দেন মহর এর টাকা থেকে কেটে দেয়া যায়। আবার অনেকে বউ এর কাছে মাপ চেয়ে নেয় (টাকার দাবী ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করে) এ ক্ষেত্রে একটা বিষয় খুব ভাল ভাবে জানা দরকার যে, এ ভাবে মাপ চেয়ে নিলে ও মাপ হবে না, তা পরিশোধ করাই লাগবে। এমন কি দেন মহরের টাকা পরিশোধ না করে যদি স্বামী মারা যায় তাহলে তার (স্বামীর) সম্পত্তি থেকে পরিশোধ করতে হয়, তবে কোন স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় তার স্বামীকে দেনমহরের দেনা মাপ করে দেয় তাহলে তা পরিশোধ করা লাগেনা।
আমার বিয়ের সময় আমি প্রায় নগদ পরিশোধ করেছিলাম, মাত্র ৭৫০০ টাকা বাকি ছিল, যা আমি পরবর্তীতে আল্লাহর ইচ্ছায় শোধ করেছি।

লেখক তার লেখায় লিখেছেন, "বর পক্ষ হীরার আংটি ও প্রায় ১০০ ভরি স্বর্ণ উপহার দেয় কনেকে।"
> বর যদি উপরোক্ত গহনা উসুল হিসাবে উল্লেখ করে থাকে তাহলে তো দেনমহরের টাকা প্রায় শোধ হয়েই গিয়েছে। আল্পকিছু (বরের হিসাবে) বাকি থাকবে। আর বিয়ের পর হানিমুন আছেনা? তখন বিদেশে গিয়ে বাকিটা শোধ করতে পারবে।

উনি কি জানে অপচয় কাকে বলে???

> সরি ভাই, অপচয় সম্পর্কে আপনার মত গভীর ধারণা না থাকলেও আল্লাহর ইচ্ছায় কিছুটা অর্জনের চেষ্টা করেছি মাত্র, কিন্তু পারিনি।
ধন্যবাদ আপনাকে, বর বধুর জন্য শুভ কামনা করে শেষ করছি।
(বানান ভুল থাকলে নিজগুনে শুধরে পড়বেন প্লিজ।)

১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৭

যুবাইরআজাদ বলেছেন: নেটওয়ার্কের সমস্যার জন্য দুইবার হয়েছে, এইটা সহ ১২ নংটা ও মুছে দিবেন প্লিজ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.