নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সফটওয়্যার ইঙ্গিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করছি।আর শখের বশে মাঝে মাঝে লিখি।

আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ(সুমন)

আমি সফটওয়্যার ইঙ্গিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করছি।আর শখের বশে মাঝে মাঝে লিখি।

আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ(সুমন) › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃষ্টি আর একটি মেয়ের আত্মহননের অভিনয়

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

হঠাৎ কেন যেন রাতে বের হতে মন চাইল।বাইরে দমকা হাওয়া বইছিল।গায়ে লাগতেই এক অন্যরকম ভাললাগা অনুভব করছিলাম।ঠিক বৃষ্টির পূর্বাভাস মনে হচ্ছে এমন সময়ে আমার মোবাইলে হঠাৎ একটি ফোন।

ফোনের অপর প্রান্ত থেকে আমার পরিচিত এক মেয়ে সে আমাকে বলছে অনেক ভেবে আজ ঠিক করলাম যে আমি আত্মহত্যা করব।কথা বলার শান্ত ভাব আর দৃঢ়টা দুটোটেই বুঝলাম যে এই বিষয়ে সে খুব পাকাপাকি ডিসিশন নিয়েছে।

বিষয়টি শুনার পর আমার কোনও উৎকণ্ঠা বোধ হলনা।খুব শান্ত ভাবে বললাম এটা কি আজকে করা খুবই জরুরি। সে বলল হ্যাঁ।আমি হাসলাম আর তাকে বললাম দেখ অনেকদিন ধরে আমার ইচ্ছা ঘি দিয়ে পাতা খিচুড়ি খাওয়ার তুমি কি এর উপকরন জান।

আমি নিজেই তাকে উপকরন আর রান্নার পদ্ধতি বললাম।সে বলল তুমি অনেক বুদ্ধিমান।তুমি আমার মাইন্ড ডাইভাট করতে চাচ্ছো যেন আমি আত্মহত্যার কথা ভুলে যাই।আমি বললাম না আমি রিয়েলি ক্ষুধার্ত।সে বলল আমার আর তোমার কথা শুনতে ভাল লাগছেনা।

আমি বললাম তুমি চাইলে আমাকে খিচুড়ির দাওয়াত করতে পার।সে বলল আমি রাখি।আমি জানি সে এখনি এটা ট্রাই করবে।
মেয়েটি বিভ্রান্ত আর সামান্য বিকার গ্রস্থ একাকি থাকতে থাকতে কোনো কিছুই তার ভাল লাগেনা।

আমি শুধু চেষ্টা করেছি তার মনোযোগ টাকে ঘুরিয়ে দিতে,সে চেষ্টাই আমি সফল।মেয়েটিকে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি।সে সবার মাঝে তার দুঃখ ছরিয়ে দিতে পচ্ছন্দ করে।আমার ছোটো বোন আমি এবং আমার ছোটো মামা,মামী হচ্ছে তার দুঃখ ছড়ানোর অন্যতম জায়গা।

আমার ধারনা অনেকের মাঝে সে তার দুঃখ ছরিয়ে দিয়েছে।যদিও এটা আমার অনুমান তবুও আমি বুঝতে পারি কিছু মানুষ আছে যারা তাদের নিজেদের দুঃখ অন্যের মাঝে ছরিয়ে দিতে পারলে খুশি হয় এই মেয়েটা সেই রকম টাইপের।

কারন ওর কাছে সময় কাটানোর অন্য কোন পন্থা নাই।আমাকে ফোন করলেই আমি ওর মাঝে আগ্রহ তৈরি করার কাজটা করি।
এদের বেশ কিছু উপসর্গ আছে যেমন এরা বেশ কিছু ফিলসফি দিয়ে থাকে যেগুলা শুনে যে কেউ বিভ্রান্ত হবে।

কোথাও গেলে কাউকে না বলে চলে আসবে মানুষ জন যেন তাদের নিয়ে আহা বেচারা/বেচারি বলে এই জন্য। কারও পর রাগ করলে সে ২-৩ মাস পর বুঝতে পারে।হঠাৎ সামান্য কথায় এরা রাগান্নিত হয়ে পরে।মাঝে মাঝে আত্মহত্যার কথা বলে কিন্তু সেটা করার সাহস এদের নাই।শুধু মানুষের মাঝে সিম্পেথি গ্রো করাই এদের কাজ।

এদের সঙ্গে কিছুখন থাকলে নিজেও এই দুঃখ বিলাস রোগে আক্রান্ত্র হওয়ার সম্বভাবনা থাকে।

ফোন টা পকেটে রেখে রাস্তায় নামলাম।হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি গায়ে এসে পড়ল।ভেতর থেকে এক অন্যরকম অনুভুতি উঠে আসতে লাগল।এই অন্যরকম অনুভুতির কোন নাম নাই কিন্তু যতুদুর জানি পানির প্রতি মানুষের এক অনন্য টান আছে।

বিশেষ করে বৃষ্টির প্রতি,ভিজতে ও দেখতে দুটোই ভাল লাগে।ভিজতে ভিজতে কখন অনেক পুরনো স্মৃতি মনের পর্দায় উঠে আসে।
বিজ্ঞানিরা বলে পানি থেকে নাকি আমাদের প্রান তত্তের শুরু এটার কারনেই বৃষ্টির প্রতি আমাদের এত টান কিনা বলতে পারবনা।

কিন্তু ছেলে বুড়ো সবাই বৃষ্টিতে ভিজতে ভালবাসে।হয়তবা সেই আদিম প্রা্নতত্তের জন্য।বৃষ্টিতে কাদাপানিতে ফুটবল খেলে দলবেঁধে পুকরে ঝাপ দেওয়া আর গামছা দিয়ে মাছ মারার সময় ব্যাঙ এর পোনা উঠে আসা সব কিছুই যেন মনের পর্দায় ভেসে আসে।

স্মৃতি আর বৃষ্টির স্পর্শ নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলাম ।ভালই লাগছে বৃষ্টিতে ভিজতে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.