নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি দেশকে

দেশ প্রেম ঈমানের অংগ, দেশের জন্য জীবন দিতে পারি সাদরে।

আল মামুন ১৯৮৭

ভালোবাসি দেশকে, দেশের মানুষকে। শ্রদ্ধা করি স্বাধীনতার যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে যাদের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা এ দেশটাকে পেলাম। ঘৃনা করি ওই সব নোংরা রাজনীতিবিদদেরকে যারা ক্ষমতাকে পূজি করে নিজেদের আখের গুছাতে ব্যস্ত।

আল মামুন ১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২২





মানুষ তার অস্তিত্বের প্রকৃত স্বরূপ জানলে সে নিজেই জীবনের প্রকৃত অবস্থা জানতে চিন্তা গবেষণা করবে। কেননা তাকে এ স্বভাব প্রকৃতি দিয়েই সৃষ্টি করা হয়েছে। জীবনই মানুষের মৌলিক জিনিস, দুনিয়ার সমস্ত মজা, আনন্দ আয়েশ এর দ্বারাই হয়। জীবনের উপর নির্ভর করেই মানুষের অন্তর যা করতে আগ্রহী ও যেসব জিনিসের দিকে ঝোঁকে সে সব কাজ সংঘটিত হয়। তাহলে জীবনের উদ্দেশ্য কি?! জীবন মরণ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলো মানুষকে পরীক্ষা করা, কে তাদের মাঝে কর্মে শ্রেষ্ঠ তা জানা। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়” ।

ইহাই হলো মানুষের প্রকৃত অবস্থা। কিন্তু অধিকাংশ লোকই ইহা জানেনা। হ্যাঁ.. ইহাই দুনিয়ার জীবনের হিকমত। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “পার্থিব জীবনের উদাহরণ তেমনি, যেমনি আমি আসমান থেকে পানি বর্ষন করলাম, পরে তা মিলিত সংমিশ্রিত হয়ে তা থেকে যমীনের শ্যামল উদ্ভিদ বেরিয়ে এল যা মানুষ ও জীব-জন্তুরা খেয়ে থাকে। এমনকি যমীন যখন সৌন্দর্য সুষমায় ভরে উঠলো আর যমীনের অধিকর্তারা ভাবতে লাগল, এগুলো আমাদের হাতে আসবে, হঠাৎ করে তার উপর আমার নির্দেশ এল রাত্রে কিংবা দিনে, তখন সেগুলোকে কেটে স্তুপাকার করে দিল যেন কাল ও এখানে কোন আবাদ ছিল না। এমনিভাবে আমি খোলাখুলি বর্ণনা করে থাকি নিদর্শণসমূহ সে সমস্ত লোকদের জন্য যারা লক্ষ্য করে”।

আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “তাদের কাছে পার্থিব জীবনের উপমা বর্ণনা করুন। তা পানির ন্যায়, যা আমি আকাশ থেকে নাযিল করি। অতঃপর এর সংমিশ্রণে শ্যামল সবুজ ভূমিজ লতা-পাতা নির্গত হয়; অতঃপর তা এমন শুস্ক চুর্ণ-বিচুর্ণ হয় যে, বাতাসে উড়ে যায়। আল্লাহ এ সবকিছুর উপর শক্তিমান”।

আমরা যে জীবনে জীবিত আছি তা চলমান, স্থির নয়। ইহা আখেরাতের জীবনের সাঁকো। পার্থিব জীবনেই মানুষের জীবন শেষ হবেনা। পরকালে আসল জীবন রয়েছে। পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, সাজ-সজ্জা ও পারস্পরিক অহমিকা ব্যতীত আর কিছু নয়। যেমন আল্লাহ তায়া’লা বলেছেনঃ “তোমরা জেনে রাখ, পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, সাজ-সজ্জা, পারস্পরিক অহমিকা এবং ধন ও জনের প্রাচুর্য ব্যতীত আর কিছু নয়, যেমন এক বৃষ্টির অবস্থা, যার সবুজ ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, এরপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তাকে পীতবর্ণ দেখতে পাও, এরপর তা খড়কুটা হয়ে যায়। আর পরকালে আছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। পার্থিব জীবন প্রতারণার উপকরণ বৈ কিছু নয়”।

উপরোক্ত আয়াতে কারীমা দুনিয়ার যাবতীয় জীবনকে দুর্বল, তুচ্ছ ও মূল্যহীন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। মানবাত্মা এর অনেক উর্ধ্বে ও মহান। দুনিয়াকে আখেরাতের সাথে সম্পৃক্ত করেছে। দুনিয়াকে যদি আলাদাভাবে তার বৈশিষ্ট্যাবলী ও নিজস্ব পরিমাপে পরিমাপ করা হয় তবে একে অনেক বড় ব্যাপার মনে হবে। আর একে যদি আখেরাতের পরিমাপে মাপা হয় তবে একে খুবই সামান্য, নগণ্য, ক্রীড়া-কৌতুক,সাজ-সজ্জা,পারস্পরিক অহমিকা এবং ধন ও জনের প্রাচুর্য ব্যতীত আর কিছুই মনে হবেনা। ইহাই সমস্ত বাহ্যিক বড় বড় জিনিসের অন্তর্নিহীত বাস্তবতা। হ্যাঁ... ইহাই দুনিয়ার জীবনের বাস্তবতা.....। ইহাই প্রকৃত অবস্থা যখন মানুষের অন্তর গভীরভাবে বাস্তবতা জানতে চিন্তাভাবনা করবে। তবে দুনিয়ার জীবনের এ বাস্তবতাকে পবিত্র কোরআন আলাদা বা ছিন্ন করতে বলেনি, পৃথিবী আবাদ ও দুনিয়ার পরিচালনাকে গুরুত্বহীন বা অবমূল্যায়ন করতে বলেনি। কোরআন শুধু মানুষের অনুভুতি, মানসিক মূল্যায়নকে সঠিক করার উদ্দেশ্য নিয়েছে, দুনিয়ার ক্ষনস্থায়ী ভোগলিবাস ও আকর্ষণের চাকচক্যের উপরে উঠতে বলেছে। কেননা দুনিয়া শুধুমাত্র একটি সেতু যার উপর দিয়ে সমস্ত সৃষ্টিকূল আখেরাতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ দুনিয়া খুবই ক্ষুদ্র ও ক্ষণস্থায়ী যা চিরস্থায়ী আখেরাতের তুলনায় কিছুই না। যেখানে মানুষ তার প্রতিদান পাবে। এছাড়া চিরস্থায়ী আখেরাতের ফলাফল মানুষের দুনিয়ার জীবনের উপরই নির্ভর করে। অতএব দুনিয়া সর্বদাই পরীক্ষার জায়গা। এখানে ভোগ বিলাস, আনন্দ-মজা বা দুঃখ কষ্ট, ব্যথা বেদনা ও দুর্দশা সব কিছুই সামান্য কয়েক দিনের জন্য, যা অতি দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে। তার চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারনে সমস্ত আমলনামাই কিয়ামতের দিনে দাড়িপাল্লায় ওজন করা হবে। তাহলে তুমি কবরে কি নিয়ে যাচ্ছ? আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “তোমরা আমার কাছে নিঃসঙ্গ হয়ে এসেছ,আমি প্রথমবার তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছিলাম। আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছিলাম,তা পশ্চাতেই রেখে এসেছ। আমি তো তোমাদের সাথে তোমাদের সুপারিশকারীদের কে দেখছি না। যাদের সম্পর্কে তোমাদের দাবী ছিল যে,তারা তোমাদের ব্যাপারে অংশীদার। বাস্তুবিকই তোমাদের পরস্পরের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তোমাদের দাবী উধাও হয়ে গেছে”।







অধিকাংশ মানুষের কি হলো তারা এ প্রকৃত অবস্থা থেকে গাফিল। ইহাই আল্লাহ তায়া’লা পরবর্তী আয়াতে বলেছেনঃ “তারা পার্থিব জীবনের বাহ্যিক দিক জানে এবং তারা পরকালের খবর রাখে না”।

এটা কিভাবে সম্ভব! যারা পার্থিব জীবনেই সন্তুষ্ট থাকে আর তার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করেনা?! আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “ অবশ্যই যেসব লোক আমার সাক্ষাৎ লাভের আশা রাখে না এবং পার্থিব জীবন নিয়েই উৎফুল্ল রয়েছে, তাতেই প্রশান্তি অনুভব করেছে এবং যারা আমার নির্দশনসমূহ সম্পর্কে বেখবর। এমন লোকদের ঠিকানা হল আগুন সেসবের বদলা হিসাবে যা তারা অর্জন করছিল”।

কিভাবে সম্ভব যারা পরকালের উপর দুনিয়ার জীবনকে অগ্রাধিকার দেয়?!! আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে, এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত”।

হ্যাঁ, কেননা তারা স্বীয় ধর্মকে তামাশা ও খেলা বানিয়ে নিয়েছে এবং পার্থিব জীবন তাদের কে ধোকায় ফেলে রেখেছে। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “তারা স্বীয় ধর্মকে তামাশা ও খেলা বানিয়ে নিয়েছিল এবং পার্থিব জীবন তাদের কে ধোকায় ফেলে রেখেছিল। অতএব, আমি আজকে তাদেরকে ভুলে যাব; যেমন তারা এ দিনের সাক্ষাৎকে ভুলে গিয়েছিল এবং যেমন তারা আয়াতসমূহকে অবিশ্বাস করত”।

হ্যাঁ, তারা এর বিনিময়ে বক্রতা অন্বেষণ করে। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “যারা পরকালের চাইতে পার্থিব জীবনকে পছন্দ করে; আল্লাহর পথে বাধা দান করে এবং তাতে বক্রতা অন্বেষণ করে, তারা পথ ভুলে দূরে পড়ে আছে”।

এর অর্থ এটা নয় যে, দুনিয়ার জীবনকে অবজ্ঞা করে জ্ঞান বিজ্ঞান ও কাজ কর্মের দ্বারা পৃথিবীর পরিচালনা ও আবাদ ছেড়ে দিয়ে বৈরাগ্য ও অনাড়ম্বর জীবন যাপন করবে আর মউতের অপেক্ষা করবে। এটা কখনও নয়... বরং উত্তম পথ হলো দুনিয়াকে সাথে নিয়েই চলা ও কাজ কর্ম করা যেভাবে আল্লাহ তায়া’লা বলেছেনঃ “আল্লাহ তোমাকে যা দান করেছেন, তদ্বারা পরকালের গৃহ অনুসন্ধান কর, এবং ইহকাল থেকে তোমার অংশ ভূলে যেয়ো না। তুমি অনুগ্রহ কর, যেমন আল্লাহ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করতে প্রয়াসী হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ অনর্থ সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না”।

আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “তোমাদেরকে যা কিছু দেয়া হয়েছে, তা পার্থিব জীবনের ভোগ ও শোভা বৈ নয়। আর আল্লাহর কাছে যা আছে, তা উত্তম ও স্থায়ী। তোমরা কি বোঝ না?”

আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী, সন্তান-সন্ততি, রাশিকৃত স্বর্ণ-রৌপ্য, চিহ্নিত অশ্ব, গবাদি পশুরাজি এবং ক্ষেত-খামারের মত আকর্ষণীয় বস্তুসামগ্রী। এসবই হচ্ছে পার্থিব জীবনের ভোগ্য বস্তু। আল্লাহর নিকটই হলো উত্তম আশ্রয়”।

আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্যে উত্তম”।

আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “আপনি বলুনঃ আল্লাহর সাজ-সজ্জাকে, যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে কে হারাম করেছে? আপনি বলুনঃ এসব নেয়ামত আসলে পার্থিব জীবনে মুমিনদের জন্যে এবং কিয়ামতের দিন খাঁটিভাবে তাদেরই জন্যে। এমনিভাবে আমি আয়াতসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করি তাদের জন্যে যারা বুঝে”।

আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ “পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর কোন বিপদ আসে না; কিন্তু তা জগত সৃষ্টির পূর্বেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। এটা এজন্যে বলা হয়, যাতে তোমরা যা হারাও তজ্জন্যে দুঃখিত না হও এবং তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তজ্জন্যে উল্লসিত না হও। আল্লাহ কোন উদ্ধত অহংকারীকে পছন্দ করেন না”।

তাই আসুন, দুনিয়ার জীবনকে ক্ষণস্থায়ী ভেবে পরকালীন জীবনের জন্য কাজ করি। মহান আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতা, কিয়ামতের দিনের কথা স্মরণে রেখে সৎকাজ করি, অসৎকাজ বর্জন করি। দুর্নীতিকে না বলি, দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবাসি। নিজ নিজ ধর্ম পালনে এগিয়ে আসি। অন্যের অধিকার সংরক্ষণ করি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

বাঘ মামা বলেছেন: তাই আসুন, দুনিয়ার জীবনকে ক্ষণস্থায়ী ভেবে পরকালীন জীবনের জন্য কাজ করি। মহান আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতা, কিয়ামতের দিনের কথা স্মরণে রেখে সৎকাজ করি, অসৎকাজ বর্জন করি। দুর্নীতিকে না বলি, দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবাসি। নিজ নিজ ধর্ম পালনে এগিয়ে আসি। অন্যের অধিকার সংরক্ষণ করি।

পুরো পোস্ট খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন,শেষের কথা গুলো একদম সত্যি এবং সুন্দর তবে এর সাথে একটু যোগ করে বলবো,এই দুনিয়াটা ক্ষণস্থায়ী হলেও মুল্যবান মানব জীবনের জন্য।যেহেতু বিধাতা এই দুনিয়ার কর্ম ফল হিসেবে অন্তকাল ধরে শাস্তি সুখে সিদ্ধান্ত নিবেন সেহেতু আমি বলবো আখেরাতের চেয়ে এই দুনিয়া কম মুল্যবান নয়।এখান থেকেই আপনাকে শিখে বা করে যেতে হবে মানবতা কি এবং আল্লাহ সৃষ্টি পৃথিবী এবং তার সৃষ্টি প্রতিটা জীবকে ভালোবাসলেই আল্লাহকে ভালোবাসা হবে।

এই পৃথিবীটা যার কাছে দামি নয়,যে এই দুনিয়াটাকে সন্মান না করবে সে আখেরাতের প্রাপ্ত ফলের যথাযত মুল্যায়ন করবেনা।সে যেমন জানবেনা বেহেস্তের মর্যদা তেমনি তার মধ্যে থাকবেনা দোযখের আযাবের ভয়।

প্রতিটা মানুষকে এই পৃথিবীকে আল্লাহ প্রশিক্ষণ তাবু হিসেবেই দিয়েছেন যেন সে এখানে প্রতিটা কাজ করে সুন্দর ভাবে,তাবু হলেও যেন এটাকে ভালোবেসে সাজিয়ে গুছিয়ে বসবাসের উপযোগী করে তোলে।এই ছোট্ট তাবুটাকে যে সন্মান করবেনা তার তার নিকট এত সুন্দর মুল্যবান বেহেস্তের মর্যাদাও থাকবেনা।
তাই আসুন পৃথিবীকে ভালোবাসি,ভালোবাসি মানুষকে দেশকে,এটাকে সুন্দর করে তুলি একে অন্যের জন্য বসবাস করার উপযোগী হিসেবে।

সুন্দর পোস্টের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ

শুভ কামনা সব সময়

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৭

আল মামুন ১৯৮৭ বলেছেন: বাঘ মামার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার সাথে আমিও পুরোপুরি একমত। দুনিয়াই আখেরাতের শস্য ক্ষেত্র। এখানে যে যা করবে তার প্রতিদান সে আখেরাতে পাবে।

আমি আমার পোষ্টে কোথাও দুনিয়ার মর্যাদাকে খাটো করে দেখিনি, বরং বলেছিঃ

তবে দুনিয়ার জীবনের এ বাস্তবতাকে পবিত্র কোরআন আলাদা বা ছিন্ন করতে বলেনি, পৃথিবী আবাদ ও দুনিয়ার পরিচালনাকে গুরুত্বহীন বা অবমূল্যায়ন করতে বলেনি। কোরআন শুধু মানুষের অনুভুতি, মানসিক মূল্যায়নকে সঠিক করার উদ্দেশ্য নিয়েছে, দুনিয়ার ক্ষনস্থায়ী ভোগলিবাস ও আকর্ষণের চাকচক্যের উপরে উঠতে বলেছে। কেননা দুনিয়া শুধুমাত্র একটি সেতু যার উপর দিয়ে সমস্ত সৃষ্টিকূল আখেরাতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ দুনিয়া খুবই ক্ষুদ্র ও ক্ষণস্থায়ী যা চিরস্থায়ী আখেরাতের তুলনায় কিছুই না। যেখানে মানুষ তার প্রতিদান পাবে। এছাড়া চিরস্থায়ী আখেরাতের ফলাফল মানুষের দুনিয়ার জীবনের উপরই নির্ভর করে।

আপনার মন্তব্য আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। আবারো ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৪

বোকামন বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম।

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৮

আল মামুন ১৯৮৭ বলেছেন: ওয়ালাইকুম সালাম......................
কেমন আছেন?

৩| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

ছণ্ণ্ ছাড়া বলেছেন: পার্থিব জীবন আখেরাতের জীবনের সাঁকো।[/sb

জানাযার নামাযের আজান কেন দেওয়া হয়না ???

কারন প্রত্যেক মুসলমানের জন্মের সময়
যে আজান দেওয়া হয় সেটাই জানাযার
নামাজের আজান
জীবন টা নামাজ আর আজানের
মধ্যবর্তী সময়ের মতই ক্ষনস্থায়ী । সময়
খুবই কম ।

১৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:২৮

আল মামুন ১৯৮৭ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন........................।
আমাদের জীবনটা আসলেই অনেক ছোট। এ জীবনের জন্য আমাদের যতটা ভালবাসা, সেটা যদি পরকালের জন্য হতো!!!!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.