নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শৈশব কেটেছে ডাকাতিয়া পাড়ের নিজগ্রামের মাটি আর ধূলাতে। কৈশরেই (১৯৯৩ খ্রীস্টাব্দে) চ’লে আসেন বাবার কর্মস্থল কুমিল্লা শহরে। মফস্বলের আলো হাওয়ায় অতিক্রান্ত হয় প্রথম যৌবন। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন।\n\nছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন ১৯৯৯ খ্রীস্টাব্দে।

আলতাফ শেহাব

শৈশব কেটেছে ডাকাতিয়া পাড়ের নিজগ্রামের মাটি আর ধূলাতে। কৈশরেই (১৯৯৩ খ্রীস্টাব্দে) চ’লে আসেন বাবার কর্মস্থল কুমিল্লা শহরে। মফস্বলের আলো হাওয়ায় অতিক্রান্ত হয় প্রথম যৌবন। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন। ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন ১৯৯৯ খ্রীস্টাব্দে। বিপ্লবী ধারার প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন ২০০৭ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত। সম্পাদনা করেছেন ছাত্র আন্দোলনের কাগজ ‘প্রেক্ষণ’। লেখালেখির শুরু তারও আগে, প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় সাহিত্যপত্রিকা ‘প্রভাত’-এ ১৯৯৭ খ্রীস্টাব্দে। কবিতা ও কথাকাগজ ‘কবিতাপত্র’ সম্পাদনা করেছেন ২০০০ খ্রীস্টাব্দ হতে ২০০৭ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত মোট সাত সংখ্যা। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কবিতার বই ’নুন আগুনের সংসার’।

আলতাফ শেহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতায় লিখব খুনের বয়ান

০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:১২

জলপাই সবুজে জড়োসড়ো প্রতিটি রাজপথ
নগরে এমন শ্রাবণ আমরা চাইনি।
সাজোয়া ট্যাংকের পিঠে উদ্ধত রাইফেল হাতে
পথরোধ করে দাঁড়িয়ে থাকবে প্রহরি
এতো বিমর্ষ নিরাপত্তা আমরা চাইনি

বাবার কোলে গুলিবিদ্ধ শিশু রিয়া গোপ
সন্তানহারা চোখে আজন্ম শোক চাইনি।
ঝাঁজাল কাঁদানেগ্যাস রুখতে গিয়ে
জনালার শার্শিতে গুলিবিদ্ধ হলো
কিশোর সামির, চোখের মনি ভেদ করে
মাথার খুলি ভেঙ্গে দিল ঘাতক বুলেট,
তাঁর মায়ের আজন্ম শূন্যদৃষ্টি চাইনি।
প্রকাশ্যে রাস্তায় খুন হলো আবু সাইদ
সরাসরি বুকে গুলি করে দিলো বাহিনী।
চোখেমুখে হাঁসতো ছেলেটা মীর মুগ্ধ
আমাদেরই অর্থে কেনা বুলেটে স্তব্ধ।
আছে এমন আরো শতশত খুনের বিবরণ
কটা মুছবে রাষ্ট্রীয় শোকের কালো প্রহসন?

নিরাপত্তা ভিক্ষা চাইছে নিরাপত্তা বাহিনী
লাশের মিছিলে শামিল হচ্ছে ইউনিফর্ম
বিনা প্রতিরোধে ভেঙ্গে যাচ্ছে কারাগার
আমার বুকে তাক করে রাখা দেহরক্ষীর বন্দুক
রক্তস্রোতে উপচে পড়ছে নালা-নর্দমার বুক
জনতার মুখোমুখি লোভী রাজনৈতিকের মুখ
লাশ কাটা ঘরে অগণিত লাশ পরিচয়হীন
ছাই হয়ে গেছে অন্তর্জাল যদিও তারহীন
দিনের পর দিন বিভৎস সান্ধ্য আইন
দিনের আলোয় সব দাবি মেনে নিবে ঠিক
অন্ধকার ঘনীভূত হলে দরোজায় ঠক ঠক
রাষ্ট্রের সকল সান্ত্রী নির্ঘুম রুখে দিতে জনতা
এ কোন প্রেতছায়া, কারা জনপদের ক্ষমতা।

আলমত নষ্ট করবে, ফাঁসিয়ে দেবে সহযোদ্ধাদের
প্রয়োগ করবে- মুছে দেয়ার আছে যতো কৌশল
এজহারে বিবরণ লিখবে তোমাদের মতো ছলে!
প্রতিটি সুরভিত নগর উদ্যানে জড়ো হবো আমরা
ঢেকে দিব যতো কোলাহল সব মিছিলে মিছিলে
কবিতায় লিখব খুনের বয়ান দেয়ালে দেয়ালে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.