নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাবমেরিন যাকে বাংলায় আমরা ডুবো বলে থাকি আজ তার একটু ইতিহাস জেনে নিই

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৩


প্রিয় পাঠক ও লেখক ভাই বোনেরা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিবেন ।এ পোস্টে আপনাদের সামনে সাবমেরিন যাকে বাংলায়
আমরা ডুবো বলে থাকি তার ইতিহাস নিয়ে হাজির হয়েছি। আসুন তাহলে আমরা সাবমেরিন যাকে বাংলায় আমরা ডুবো বলে থাকি তার একটু ইতিহাস জেনে নিই। পানির নিচে চলাচলে সক্ষম এবং স্বাধীনভাবে বিচরণকারী নৌযানবিশেষ হল এই সাবমেরিন বা ডুবো জাহাজের প্রধান কাজ ও শক্তি।প্রায় সময় আমরা বিভিন্ন মিডিয়া টিভি নিউজে দেখি সচরাচর ডুবোজাহাজ অনেক ক্রু অবস্থান করে থাকেন। ডুবোজাহাজকে প্রায়শই তার বিভিন্ন আকার আকৃতি এবং জাহাজের সঙ্গে তুলনা করে একে নৌকা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অনেক পূর্বকাল থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে ডুবোজাহাজ নির্মাণ করা হয়েছে এবং ঊনবিংশ শতকে বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীতে এর ব্যবহারও অবশ্যক হয়ে পড়ে।

১৬২০ সালে কর্নেলিয়াস জ্যাকবসজুন ড্রেবেল নামীয় একজন ডাচ কর্তৃক প্রথম নৌযানবাহন হিসেবে ডুবোজাহাজ আবিষ্কার করেন বলে জানা যায়। তিনি ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমসের অধীনে রাজকীয় নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।তিনি ইংরেজ গণিতজ্ঞ উইলিয়াম বোর্ন কর্তৃক ১৫৭৮ সালে সূচিত ধারণা এবং কাঠামোকে পুজি করে ডুবোজাহাজ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন । তার আবিস্কৃত ডুবোজাহাজটি এখনও ড্রেবেলীয় ডুবোজাহাজ নামে পরিচিত হয়ে আছে। যন্ত্রটিকে দাঁড় টেনে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হতো। এইজাতীয় ডুবোজাহাজর আবিস্কার নিয়ে কিছুটা বিতর্কও রয়েছে। কেউ কেউ দাবী করে যে অন্য কোন নৌকা দ্বারা এটিকে টেনে নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৬২০সাল থেকে ১৬২৪ সালের মধ্যে টেমস নদীতে আরও দুইটি উন্নতমানের সংস্করণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছিল। প্রত্যেকটিই পূর্বের তুলনায় বড় ছিল।৩য় এবং সর্বশেষ সংস্করণের সাডুবোজাহাজতে ৬টি দাঁড় ছিল এবং ১৬জন যাত্রী বহনে সক্ষম ছিল। সেই মডেলটি রাজা ১ম জেমসের নির্দেশনায় তৈরী করা হয়েছিল এবং কয়েক হাজার লন্ডনবাসী সেটি পরিদর্শনও করেছিলেন। ডুবোজাহাজটি তিন ঘন্টাব্যাপী পানিতে নিমজ্জিত থাকতে সক্ষম হয়েছিল। ওয়েস্টমিনিস্টার থেকে গ্রীনিচ পর্যন্ত আসা-যাওয়ায় সক্ষমতাসহ ১২ থেকে ১৫ ফুট বা ৪ থেকে ৫ মিটার পানির নিচে অবস্থান করতে সক্ষম ছিল ডুবোজাহাজটি। ড্রেবেল, রাজা জেমসকে সে ডুবোজাহাজ পরীক্ষামূলকভাবে চলাচলের জন্য অনুরোধ জানান। রাজা তার অনুরোধে সম্মতি জানান। টেমসের পানির তলে ডুবোজাহাজ আরোহণের ফলে প্রথম ভ্রমণকারী রাজা হিসেবে ইতিহাসের পর্দায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেন তিনি। পরবর্তীতে ডুবোজাহাজকে টেমস নদীতে অনেকবার পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়। কিন্তু নৌবাহিনীর কোন ব্যক্তির পক্ষ থেকেই পর্যাপ্ত মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়নি সেটি। বলাবাহুল্য যুদ্ধক্ষেত্রেও কখনো এর প্রচলন ঘটানো হয়নি।২০০২ সালে উইলিয়াম বোর্নের সূচিত ধারনা ও নকশাকে উপজীব্য করে দুইজন আরোহীর উপযোগী ডুবোজাহাজ তৈরী করা হয়। বিবিসি টেলিভিশন প্রোগ্রাম বিল্ডিং দি ইম্পসিবল শিরোনামের প্রামাণ্যচিত্রের জন্য মার্ক এডওয়ার্ডস সেটি তৈরী করেছিলেন। পরবর্তীতে বার্কশায়ারের এটন এলাকায় অবস্থিত ডোর্নি হ্রদে সেটি সফলভাবে চালানো হয়েছিল।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও এই ডুবোজাহাজ ব্যবহারের ব্যাপকতা বিস্তৃতভাবে লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে অনেক বৃহৎ আকারের নৌবাহিনীতে এর অনেক সংগ্রহ রয়েছে। শত্রুবাহিনীর জাহাজ কিংবা ডুবোজাহাজ আক্রমণ মোকাবেলায় এর ভূমিকা ব্যাপক। তাছাড়াও বিমানবাহী জাহাজ বহরকে রক্ষা করা, অবরোধ দূরীকরণ, প্রচলিত স্থল আক্রমণ এব বিশেষ বাহিনীকে গুপ্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণে ডুবোজাহাজর কার্যকারিতা অপরিসীম। সাধারণভাবেও ডুবোজাহাজ ব্যবহার করা হয়। তারমধ্যে সমুদ্র বিজ্ঞান, উদ্ধার তৎপরতা, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসন্ধান কার্যক্রম, পরিদর্শন এবং রক্ষণাবেক্ষন সুবিধার জন্যও ডুবোজাহাজ ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও ডুবোজাহাজকে ব্যবহারের লক্ষ্যে বিশেষায়িত কার্যক্রম হিসেবে অনুসন্ধান এবং উদ্ধার তৎপরতাসহ সাগরতলে অবস্থিত ক্যাবল মেরামতেও সম্পৃক্ত করা হয়। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সাগরতলে নিমজ্জিত প্রত্নতত্ত্ব পরিদর্শনেও ডুবোজাহাজ ব্যবহৃত হয়।প্রথম আবিস্কৃত পানির অভ্যন্তরে চলাচলযোগ্য যানবাহন হিসেবে ডুবোজাহাজ আবিস্কৃত হবার অল্প কিছুদিন পরেই বিশেষজ্ঞরা এর সামরিক উপযোগিতা সমন্ধে অবগত হন। ডুবোজাহাজর কৌশলগত সুবিধাদি সম্পর্কে ইংল্যান্ডের চেস্টার এলাকার বিশপ জন উইলিকন্স ১৬৪৮ সালে ম্যাথমেটিক্যাল ম্যাজিক গ্রন্থে তুলে ধরেন ।
১। ব্যক্তিগতভাবে একজন ব্যক্তি বিশ্বের যেকোন এলাকার উপকূলে অদৃশ্যমান অবস্থায় গমন করতে সক্ষম। সেজন্য ডুবোজাহাজ ভ্রমণকালে তাকে নৌপথ আবিস্কার কিংবা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন পড়বে না।
২। নিরাপদ যানবাহন হিসেবে আকস্মিক এবং অনিশ্চিত স্রোত এবং প্রবল ঝড়ের মোকাবেলা করতে হবে না। কেননা সমুদ্র অভ্যন্তরের পাঁচ কিংবা ছয় পেস বা তের কিংবা পনের ফুট নীচ থেকে ডুবোজাহাজকে উপরে উঠানো অসম্ভব ব্যাপার। তাছাড়াও জলদস্যু ও ডাকাতদের কবল থেকে এবং বরফ ও জমাট হিমকণা থেকে আত্মরক্ষার্থে এর ভূমিকা অসাধারণ।
৩। পানির অভ্যন্তরে থাকায় এবং আকস্মিকভাবে আক্রমণ করার মাধ্যমে নৌশত্রুদের বিরুদ্ধে এটি ব্যাপক সুবিধাদি বহন করে।
৪। নৌঅবরোধের প্রেক্ষাপটে ত্রাণকার্য পরিচালনায় অদৃশ্যভাবে খাদ্য কিংবা রসদ সরবরাহের মাধ্যমরূপে এটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হতে পারে।
৫। সামবেরিনের পরীক্ষা ও নিরীক্ষান্তে এর সুবিধা অবর্ণনীয় এবং ব্যাপক।
পোস্টের সূত্র ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

হাফিজ হুসাইন বলেছেন: পুরান কাহীনি নতুন মোড়কে। নতুন কোন তথ্য নাই।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: পোস্টের শিরোনামের সাথে আপনার কমেন্টের কোন মিল নাই :)

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: হুম।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩

পবন সরকার বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

লেখা পাগলা বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.