![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপ্রিল ফুল!!!!!!
বাংলাদেশ ৯০% মুসলিমের দেশ হলেও আমরা মুসলিমরা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, চরিত্র, ধর্ম ও সংস্কৃতি সবকিছুই যেন ভূলে গেছি ! মুসলিম হিসেবে কি করণীয় তা খুঁজে দেখিনা। এক কথায় বিবেকের দায়বদ্ধতা নেই বললেই চলে। জ্ঞান চর্চা না করে চরিত্রহীনদের অনুকরণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। তার একটি দৃষ্টান্ত হলো- এপ্রিল ফুল দিবস উদযাপন করা। এপ্রিল ফুল শব্দের অর্থ, দিবসের সূচনাকাল, প্রেক্ষাপট, মুসলিমদের সাথে এ দিবসের সম্পর্ক ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক, দিবসে কী কী করা হয়, করণীয়-বর্জনীয় ও তথ্যের ভিত্তিসহ নানা দিক আমাদের জানা দরকার। এসব কিছু জানার পরে তা মেনে চলাই জ্ঞানীর কাজ। এ দিবসের প্রেক্ষাপট না জেনেই এর চর্চা করা হচ্ছে। নিজেরা যেমন এ অপসংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে পড়ছি তেমনি সন্তানরাও অজ্ঞতা বশত এ দিবসকে পালন করছে। এপ্রিল ফুল দিবসের ইতিহাস যারা জানে, তারা এ দিবসটি পালন করেনা, বরং এরকম একটি দিবস পালনকে বড় ধরণের অন্যায় বলে স্বীকার করে।
এমুসলিমপিডিয়া, জুইস এনসাইক্লোপিডিয়া ও অন্যান্য এনসাইক্লোপিডিয়া ও ইতিহাস গ্রন্থের বরাতে ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া সম্পাদিত ‘পহেলা এপ্রিল ’প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, ‘স্পেনের অত্যাচারিত মানুষদের আহবানে সাড়া দিয়ে মুসলিম বাহিনী ৯২ হিজরী মুতাবেক ৭১১ খৃ. স্পেনে প্রবেশ করে। মুসলিমগণই ইউরোপের মানুষদেরকে জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষা দেন। মুসলিম স্পেনের গ্রানাডা, কর্ডোভা ও অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসত। ৭১১-১৪৯২ খ্রি. পর্যন্ত প্রায় আটশত বছর স্পেন, ফ্রান্স ও পর্তুগাল মুসলমানরা শাসন করেছিল। এটি ছিল মুসলমানদের জন্য স্বর্ণযুগ। শেষ দিকে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দল ছড়িয়ে পড়ে। মুসলিমরা কুরআন সুন্নাহ ভুলে গিয়ে দুনিয়ার মায়ায় মত্ত হয়ে নেতার নেতার নির্দেশ অমান্য করায় পারস্পিরিক শত্রুতা বেড়ে গেল। তখনই তারা স্পেন ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। ফলে খ্রিস্টানরা ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন অঞ্চল মুসলিমদের থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়
১ এপ্রিল বিশ্বের মুসমানদের জন্য এক মর্মান্তিক দিবস , ১৪৯২ সালের ১ এপ্রিল স্পেনে ৭ লাখ মুসলিম শিশু ও নরনারীকে হত্যার মধ্যদিয়ে এই দিবসের সূচনা হয়। মুসলিমদের সঙ্গে প্রতারণার স্মৃতি হিসেবে পাশ্চাত্যে আনন্দ দিবস হিসেবে ”এপ্রিল ফুল” পালিত হয়ে আসছে।
গ্রানাডা ট্রাজেডি মুসলিমদের মধ্যে বিশ্বাসঘাতকতা, আত্মঘাতী ভ্রাতৃযুদ্ধ ও বিজাতীয়দের সঙ্গে বন্ধুত্বের করুণ পরিণতি ।, মুসলিম সভ্যতার জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রস্থল গ্রানাডার শেষ রাজা আবুল হাসানের পুত্র আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বুয়াবদিল ফার্ডিন্যান্ডের প্রতারণায় তারই সঙ্গে যোগ দিয়ে পিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং ১৪৯২সালের ৩ জানুয়ারি গ্রানাডা দখল করে তা ফার্ডিন্যান্ডের হাতে তুলে দেয়। এ কাজে তাকে সাহায্য করেছিল তার মা আয়েশা। স্ত্রী ও সন্তানের বিশ্বাসঘাতকতায় পরাজিত গ্রানাডারাজ আবুল হাসান ভ্রাতা আল-জাগালের পক্ষে সিংহাসন ও রাজ্য ত্যাগ করেও শেষ রক্ষা হয়নি। গ্রানাডা পতনের পর বিশ্বাসঘাতক বুয়াবদিলের মীরজাফরের ন্যায় রাজা হওয়ার ভাগ্য হয়নি। বৃত্তিভোগী হিসেবে সে বিতাড়িত হয়। কিন্তু খ্রীস্টানদের বিরুদ্ধে এলাকা ভিত্তিক বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত যুদ্ধ চলতে থাকে।
, ১৪৬৯ সালে এরাগন রাজ ফার্ডিন্যান্ড এবং ক্যাষ্টাইলের রাণী ইসাবিলার পরিণয়ের পর স্পেনে খ্রীষ্টানরা শক্তিশালী হতে থাকে। কর্ডোভা, সেভিল. ভেলেন্সিয়া ইত্যাদি পতনের পর সম্মিলিত খ্রীস্টান শক্তি বিজয়ী ফার্ডিন্যান্ড ঘোষণা করেন, দেশের মুসলিমরা অস্ত্র ত্যাগ করে ১ এপ্রিল (১৪৯২) মসজিদে আশ্রয় নিলে ক্ষমা পাবে। মসজিদে মসজিদে আশ্রয় গ্রহণকারী নিরস্ত্র মুসলিম নরনারীর ওপর পরিকল্পিত হামলা ও মসজিদগুলোতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আক্রমনে লাখ লাখ মুসলিম নরনারী ও শিশু হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ড যদিও গ্রানাডার বড় মসজিদে কামান দাগিয়ে, অগ্নিসংযোগে করা হয়েছিল। একই কায়দায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে স্পেনের অন্যান্য শহরে ও জনপদে সংঘটিত হয়। মুসলিমদের সঙ্গে এ প্রতারণার স্মৃতি হিসেবে পাশ্চাত্যে আনন্দ দিবস হিসেবে ”এপ্রিল ফুল” দিবস পলিত হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.