নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আক্রান্ত হলে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি থাকবে: শেখ হাসিনা\n\nস্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে শক্তিশালী একটি সশস্ত্র বাহিনী গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আক্রান্ত হলে বাংলাদেশ তার সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।\

আমি ৭১

পরিবর্তন চাই

আমি ৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা ভাইরাস!!! সতর্কতামূলক পোষ্টার

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৫

আসসালাম’আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

করোনা ভাইরাস!!! সতর্কতামূলক পোষ্টার

ভয় পাবেন না, অবহেলাও করবেন না, সচেতন হোন, বাস্তবে অনুসরন করুন।

কোভিড-১৯ যা ‘করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।

কিভাবে ছড়ায়ঃ মানুষ থেকে মানুষ বা প্রানী থেকে মানুষে

প্রত্যক্ষ বা সরাসরি- আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর স্পর্শ অথবা হাঁচি কাশির সরাসরি সংস্পর্শে আসলে।

পরোক্ষভাবে- ভাইরাসে আক্রান্ত জায়গা স্পর্শ করে সেই হাতে নিজের চোখ, নাক, মুখে স্পর্শ করলে।

কাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছেঃ

বয়স্কঃ যাদের বয়স ৬০ বছর এর উপর বিশেষভাবে ৮০ বছরের উপর

হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ও কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগী

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম আছে যাদের যেমন শিশু, দূর্বল, বা দীর্ঘদিন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি।

লক্ষন কি কিঃ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে দেখা যায়।

জ্বর, কাঁশি, শ্বাস নিতে কষ্ট, ক্লান্ত অনুভব হওয়া, মাংসপেশী ব্যথা লাগা

করোনা ভাইরাস (COVID-19) এর লক্ষণ এবং জরুরী সতর্কবাণীঃ (বড়দের জন্য)
১) শ্বাস নিতে কস্ট হওয়া বা ঘন ঘন শ্বাস নেয়া (Difficulty breathing or shortness of breath)
২)অনবরত বুকে ব্যাথা বা বুকে চাপ লাগা (Persistent pain or pressure in the chest)
৩) নতুন করে স্মৃতি শক্তিলোপ বা সক্রিয় হতে না পারা (New confusion or inability to arouse)
৪) নীলাভ ঠোঁটবা মুখ (Bluish lips or face)
এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই মেডিকেল-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে
(তথ্যসুত্রঃ সিডিসি)
করনীয় কি কিঃ

নিজেকে হেফাজত করার প্রচেষ্টা ও জীবানু ছড়ানো বন্ধ করে অন্যের হেফাজত করা

সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত বার বার ধুয়ে ফেলা।
(একবার বিসমিল্লাহ/আলহামদুলিল্লাহ/সুবহান’আল্লাহ বলতে ১সেকেণ্ড লাগে-২০বার বলুন)

সাবান পানি না থাকলে সেনিটাইজার বা হ্যান্ড রাব(হেক্সিসল) ব্যবহার করা।
নাক, চোখ ও মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকা।
খুব ঘন ঘন স্পর্শ করা হয় সেই স্থান বা জিনিষপত্র (সাবান পানি বা ডেটল/হেক্সিসল/ ৬০% বা এর বেশী এলকোহলযুক্ত তরল) পরিস্কার ও ইনফেকশন মুক্ত করা।
কাঁশি হাঁচিতে টিস্যু, কনুই ব্যবহার করা এবং টিস্যু বদ্ধ বা ঢাকনাযুক্ত পাত্রে পলিথিনে ফেলা যা দ্রুত সরিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হয়। রুমাল ব্যবহার করলে সাথে সাথে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা, রুমাল না ধুয়ে ব্যবহার না করা।
অসুস্থ হলে বাসায় অবস্থান করা, বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকা ( প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে যাওয়া ছাড়া)
যারা সর্দি কাশিতে আক্রান্ত তাদের কাছে না যাওয়া বা কম পক্ষে ৬ ফুট দূরে থাকা।
টাকা বা বাইরের আনা প্যাকেট অথবা খাদ্য দ্রব্য ধরার পর, হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা।
লিফট ব্যবহার করে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা।
গন পরিবহন, গন সমাবেশে যাওয়া থেকে বিরত থাকা।
বাইরে বা অসুস্থ ব্যক্তির সাথে করমর্দন ও সংস্পর্শে যাওয়া থেকে বিরত থাকা।
বাইরে থেকে আগত পরিবারের সদস্য বা অতিথিকে প্রথমেই হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে দিন।
বিশেষ সতর্কতাঃ বয়স্ক ও শিশুদের বাড়ীতেই অবস্থান করান ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেয়া।
একান্ত অপারগ না হলে বাইরে বসে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
ছোট শিশুদের পার্কে বা মাঠে যাওয়া থেকে সাময়িক বিরত রাখা।
খুব বেশী অসুস্থ হলে নির্দিষ্ট হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।
আপনার ড্রাইভার ও গৃহকর্মীকে সচেতন করা ও হাত পা সাবান দিয়ে ধুয়ে কাজে লাগতে বলা।
সকল সাবধানতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি যা করা অত্যাবশ্যকঃ

১। সকল প্রকার গুনাহ, হারাম কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে এনে,আল্লাহর কাছে তাওবা ইস্তিগফার করুন।

২। কুর’আন ও হাদিসের আলোকে প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় অভ্যস্থ হওয়া, পরিবারকে অভ্যস্থ করায় সহযোগীতা করা।

৩। অন্যদেরকেও ধর্মীয় শিক্ষার ও পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিন।

৪। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কালোজিরা ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।

৫। সম্ভব হলে প্রতিদিন অল্প মধু পান করুন (ডায়াবেটিক্স রোগী ছাড়া।

৬। সম্ভব হলে আজওয়া খেজুর ও যমযমের পানি পান করুন।

৭। প্রতিদিন কুর’আন পড়ুন ও সেই অনুযায়ী নিজ জীবনকে পরিশুদ্ধ করা।

৮। ৫ ওয়াক্ত সালাতসহ সকাল বিকালের যিকিরে অভ্যস্থ হউন।

৯। বিশেষ করে নিচের দু’আ সমূহ পাঠ করুন ও পূর্ণ ভরসা রাখুন মহান আল্লাহর উপর।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ، وَالْجُنُونِ، وَالْجُذَامِ، وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনুনি, ওয়াল জুযামি,ওয়া মিন সাইয়ি ইল আসক্কাম’।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকট ধবল, কুষ্ঠ এবং উন্মাদনা সহ সব ধরনের কঠিন দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে পানাহ চাই। সুনান আবু দাউদ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ وَ الْاَدْوَاءِ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহওয়ায়ি, ওয়াল আদওয়ায়ি।

অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার কাছে খারাপ চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা এবং অসুস্থতা ও নতুন সৃষ্ট রোগ বালাই থেকে আশ্রয় চাই। তিরমিযী


أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

আ’উযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্তা-ম্মা-তি, মিং-শাররি মা-খলাক্ব।

আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।” আত তিরমিযী

لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনায যলিমিন’।
অর্থ – ‘হে আল্লাহ, আপনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। আপনি পবিত্র। কোনো সন্দেহ নেই, আমি অপরাধীদের একজন’।সূরা আল আম্বিয়া: ৮৭

হযরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজরত ইউনুস (আ.)-এর ভাষায় দোয়া করবে, সে যে সমস্যায়ই থাকুক আল্লাহতায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন। -তিরমিযি: ৩৫০৫

মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে এই ভয়াবহ ভাইরাস থেকে হেফাজত করুন।

মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দুনিয়া ও আখেরাতের জীবন সুন্দর, সফল, নিরাপদ, শান্তিময় করে দিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.