নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আক্রান্ত হলে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি থাকবে: শেখ হাসিনা\n\nস্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে শক্তিশালী একটি সশস্ত্র বাহিনী গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আক্রান্ত হলে বাংলাদেশ তার সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।\

আমি ৭১

পরিবর্তন চাই

আমি ৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র রামাদান মাসের ফযিলত:

০৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৫:২৩

পবিত্র রামাদান মাসের ফযিলত:
রামাদান মাসের অনেক ফযিলত ও মর্যাদার কথা পবিত্র কুরআনুল কারীম ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সহিহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নিম্নে এ প্রসঙ্গে কিছু কথা আমরা তুলে ধরলাম:

১. এ মাসে আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করেছেন:
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
يقول الله عز وجل: "شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدىً لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ
রামাদান মাস; যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য, এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী ও হেদায়াতের সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ। সুতরাং তোমাদের মাঝে যে এ মাসে উপনীত হবে সে যেন এ মাসের রোযা রাখে।

২. এ মাসে যে ব্যক্তি রোযা রাখবে তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে, অপর বর্ণনায় এসেছে: এমনকি পরবর্তী সকল গুনাহও।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
من صام رمضان إيمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه وفي رواية: وما تأخر.
যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতেসাবের সাথে রামাদান মাসের রোযা রাখল তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। অপর বর্ণনায় এসেছে এবং পরবর্তী সকল গুনাহও।

৩. এ মাসের রোযা রাখা একাধারে বছরের দশ মাস রোযা রাখার সমান:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
صيام شهر رمضان بعشرة أشهر وصيام ستة أيام بشهرين فذلك صيام السنة
রামাদানের রোযা দশ মাসের রোযার সমতূল্য, ছয় রোযা দু'মাসের রোযার সমান, এ যেন সারা বছরের রোযা।

৪. এ মাস বরকতময় মাস:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
أتاكم شهر رمضان شهر مبارك فرض الله عليكم صيامه...
তোমাদের কাছে এসেছে রামাদান মাস, বরকতময় মাস। আল্লাহ তোমাদের উপর এর সিয়াম ফরয করেছেন।

৫. এ মাসের প্রত্যেক রাতেই আল্লাহর পক্ষ হতে আহ্বানকারী কল্যাণের দিকে আহবান করে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
وينادي مناد كل ليلة يا باغي الخير هلم ويا باغي الشر أقصر....
এ মাসের প্রত্যেক রাতেই আল্লাহর পক্ষ হতে আহ্বানকারী ডেকে ডেকে বলে, 'হে কল্যাণ কামনাকারী, কল্যাণের দিকে এগিয়ে আস। হে অনিষ্টের অগ্রযাত্রী, থেমে যাও।'

৬. এ মাস সবর বা সহিষ্ণুতার মাস:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
وعن ابن عباس رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: صوم شهر الصبر وثلاثة أيام من كل شهر يذهبن وحر الصدر. رواه البزار ورجاله رجال الصحيح، قال الشيخ الألباني: حسن صحيح .
ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণিত এ হাদীসে রামাদান মাসকে সবরের মাস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ "সবরের মাসে রোযা রাখা ও প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোযা রাখা অন্তরের অস্থিরতা দূর করে থাকে।" [বায্যার, আলবানী বলেন হাসান-সহীহ]

৭. এ মাসের প্রথম রাত হতে জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং জান্নাতের গেটসমূহ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
وغلقت أبواب النار فلم يفتح منها باب وفتحت أبواب الجنة فلم يغلق منها باب
এ মাসের সম্মানার্থে এবং রোযাদারদের সম্মানে আল্লাহ্‌ তা'আলা জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেন এবং জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেন।

৮. এ মাসে দুষ্ট জিন এবং শয়তানকে শিকলাবদ্ধ করা হয়:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
قال صلى الله عليه و سلم: إذا كانت أول ليلة من رمضان صفدت الشياطين ومردة الجن

৯. এ মাসের প্রত্যেক রাতেই একদল লোককে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেয়া হয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সহিহ হাদীসে ইরশাদ করেন:
ولله عتقاء من النار وذلك كل ليلة " .
অর্থাৎ এ মাসের প্রত্যেক রাতেই আল্লাহ্‌ তা'আলা জাহান্নাম হতে একদল লোককে মুক্তি দিয়ে থাকেন।

১০. এ মাসে উমরা করা হাজ্জের সমপরিমাণ বা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে হাজ্জ করার সমান।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
عن ابن عباس قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " إن عمرة في رمضان تعدل حجة " الحديث متفق عليه
"রামাদানে উমরা করা হাজ্জের সমপরিমাণ।" ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত।

১১. এ মাসে রয়েছে লাইলাতুল কাদর যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম:
আল্লাহ তা'আলা সুরাতুল কাদরে বলেন:
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ
"কাদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।"
এর অর্থ হচ্ছে- এতে ইবাদত করা এবং নেক আমল করা হাজার মাস ইবাদত ও নেক আমল করার চেয়ে উত্তম। এর অর্থ এই নয় যে, কেবল এ রাত জেগে থাকাটাই হাজার মাসের ইবাদত বা আমলের চেয়ে উত্তম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.