নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহনশীলতাই ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক।

দেশ প্রেমিক বাঙালী

আমি একজন সাধারণ মানুষ। সর্বজন গ্রাহ্য মতামতকে প্রাধান্য দেই।

দেশ প্রেমিক বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৭


হার্ডিঞ্জ ব্রিজ উদ্বোধনের সময়ে প্রধান প্রকৌশলী স‍্যার রবার্ট উইলিয়াম বলেছিলেন- ‘যে সেতু নির্মাণ করে দিয়ে গেলাম, উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে এ সেতু চিরযৌবনা হয়ে থাকবে।’

আজ উইলিয়াম গেইলস নেই, নেই লর্ড হার্ডিঞ্জ। কিন্তু রয়ে গেছে তাদের অমর কীর্তি। চিরযৌবনা এ সেতু আজও সাক্ষ্য দেয়- গেইল সত্য বলেছিলেন।

২০১৫ সালে শত বছর পূর্ণ করলো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। কিন্তু আজও দেখে মনে হয় যেন সদ্য যৌবনপ্রাপ্ত এক সেতু। ১৯১৫ সালের ৪ মার্চ, ব্রিটিশ বাংলার ইতিহাসে এক অনন্য দিন। হিজ এক্সিলেন্সি দি ভাইসরয় অব ইন্ডিয়া ‘ব্যারন হার্ডিঞ্জ পেনসুরস্ট’ এলেন পাকশিতে। খুলে দিলেন বাংলার উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের যোগাযোগের এক বন্ধ দুয়ার। একদিকে যেমন সৌন্দর্য, অপরদিকে ইতিহাসের সাক্ষী- সবমিলিয়ে এই ব্রিজটি বাংলার ঐতিহ্য এবং তাৎপর্য বহন করছে এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘ রেলসেতু এ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে এই ব্রিজের অবস্থান। পাকশী স্টেশনের দক্ষিণে প্রমত্ত পদ্মা নদীর উপর লালরঙা এই ব্রিজটি দাঁড়িয়ে আছে। এর অপরপ্রান্তে রয়েছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা। ১৮৮৯ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার কলকাতার সাথে আসাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও উত্তরবঙ্গের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এজন্য সর্বপ্রথম ১৮৮৯ সালে ব্রিজটি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘ ১৯ বছর পর ব্রিজটি নির্মাণের জন্য মঞ্জুরী লাভ করে। ব্রিজটি নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্রিটিশ প্রকৌশলী স্যার রবার্ট উইলিয়াম গেইলসকে। ব্রিটিশ সরকার তাকে এই ব্রিজ নির্মাণের স্বীকৃতিস্বরুপ 'স্যার' উপাধিতে ভূষিত করে।

ব্রিজটির নকশা প্রণয়ন করেন বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি আলেকজান্ডার মেয়াডোস রেন্ডেল। ব্রেথওয়েইট অ্যান্ড কার্ক নামক ব্রিটিশ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ব্রিজটির নির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করে। ১৯০৯ সালে ব্রিজ নির্মাণের জন্য সার্ভে শুরু হয়। তখন পদ্মা ছিল ভরা যৌবনা। রবার্ট উইলিয়াম গেইলস বুঝতে পারেন- ব্রিজের নির্মাণ তার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। এজন্য তিনি সিদ্ধান্ত নেন মূল ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করাই আগেই নদী-রক্ষা বাঁধ তৈরি করতে হবে। ১৯১০-১১ সালের পুরোটা সময় জুড়ে শুধু বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এক্ষেত্রে গেইলস এক অসাধারণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তিনি বৃহদাকৃতির পাথর আর মাটি একত্রে মিশিয়ে নদীর পাড়ে ফেলতে থাকেন। দুই পাড়ে প্রায় পনের কিলোমিটার জুড়ে এভাবে বাঁধ দেন। ধারণা করা হয়, নদী বাধতে যে পাথর ব্যবহার হয়েছে তা দিয়ে আরো কয়েকটি ব্রিজ নির্মাণ করা যেত। গেইলসের সেই পদ্ধতি সত্যিই কাজে লেগেছিল। একশ বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু সেই বাঁধ এখনও সম্পূর্ণ অক্ষত আছে। যেন একটা পাথরও এখনও খসে পড়েনি।
১৯১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যখন পুরোদমে কাজ চলছে, তখন এখানে কর্মী ছিলেন সর্বমোট ২৪ হাজার ৪শ’ জন। হয়। সেতুটি নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্রিটিশরা তৎকালীন সর্বোচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার করে। ১৯১৫ সালের নববর্ষের দিনই (১ জানুয়ারি ১৯১৫) প্রথম মালগাড়ি দিয়ে চালু করা হয় একটি লাইন। সেই সময় এর নির্মাণে ব্যয় হয় ৩ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার ১৬৪ রুপি বা ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ব্রিজ নির্মাণে নদীর নাব্যতার যাতে কোনো ক্ষতি না হয় তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ফলে এ ব্রিজের জন্য পদ্মার নাব্যতায় কোনো প্রভাব পড়েনি। যদিও ব্রিজের উত্তর দিকের বিরাট অংশ জুড়ে এখন চর। কিন্তু এটি হার্ডিঞ্জের জন্য নয়। ক্ষতি যদি কিছু হয়ে থাকে তবে তা ‘লালন শাহ সেতুর' জন্য।
সেসময় অনেক ব্রিটিশ নাগরিকের জন্য পাকশীতে গড়ে তোলা হয় বাংলো বাড়ি ও কটেজ। পাকশীতে তখন ব্রিটিশদের অবাধ চলাচল ছিল। রবার্ট উইলিয়াম গেইলসের একটি বড় বাংলো ছিল, যা এখনও টিকে আছে। বলা হয়ে থাকে, প্রায় এক কিলোমিটার দূরের এই বাংলো থেকে তিনি দূরবীন দিয়ে নির্মাণকাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতেন। নির্মাণকাজের সময় পাকশী ও এর আশপাশে ছোটখাট অনেক কলকারখানা, দোকানপাট ও বাজারঘাট গড়ে ওঠে। জনজীবনে প্রভাব পড়েছিল ব্রিটিশ অধিপত্যের। স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছিল।

দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে নির্মাণকাজ চলে। অবশেষে ১৯১৫ সালে নির্মাণকাজ শেষ হয়। ব্রিজটির নির্মাণকাজে তৎকালীন হিসেবে ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৫১ লক্ষ ৩২ হাজার ১ 'শ ৬৪ ভারতীয় রুপি। ১৯১৫ সালের ১ জানুয়ারি প্রথম পরীক্ষামুলকভাবে ট্রেন ঈশ্বরদী থেকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের উপর দিয়ে খুলনা অভিমুখে যাত্রা করে। এরপর একই বছর ৪ঠা মার্চ লর্ড ব্যারন হার্ডিঞ্জ নিজে ফিতা কেটে ব্রিজটি উদ্বোধন করেন।



সংগৃহীত পোস্ট।।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

জগতারন বলেছেন:
অসাধারন পোষ্ট।
তথ্যবহুল ও শিক্ষানীয়।
এ পোষ্টটি এখানে তুলে দেয়ার জন্য
বাঙালী সাহেব-এর প্রতি সুভেচ্ছা
ও অভিন্দন জ্ঞাপন করছি।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আমি শেয়ার করেছি শুধু জানার জন্য।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

শাহ আজিজ বলেছেন: হার্ডিঞ্জ , হাওড়া , উহান ব্রিজগুলো একই প্যাটার্নে তৈরি এবং আমি অসংখ্য দফা এই তিন ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করেছি ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এই ব্রিজ সম্পর্কে আপনার অনেক ভালো ধারণা আছে নিশ্চয়।

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট।তথ্যবহুল ও শিক্ষানীয়।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সত্যিই শেখার মত কিছু এখানে আছে।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখন কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্রিজ কয়েক বছরেই ফাটল ধরে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: একদম মনে কথা বলেছে। আজ কার্পেটিং করলে কাল উঠে যায়। আজ ব্রিজ বানালে ৫ বছর যেতে না যেতেই ভেঙ্গে যায়। এভাবে চললে কি করে দেশের উন্নয়ন হবে ভাবতেই অবাক লাগে।

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

জাহিদ হাসান বলেছেন:

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ভালোবাস ও শুভেচ্ছা।






ভালো থাকবেন নিরন্তর।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



তথ্যবহুল অসাধারন পোষ্ট। +

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: জানার জন্যই এই তথ্যটি শেয়ার করেছি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর সংগৃহীত পোস্ট।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ধন্যবাদ।






ভালো থাকবেন নিরন্তর।

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: পোস্ট টি আগে পড়েছি, এরকম মনে হচ্ছে কেন?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সংগৃহীত তাই পড়া অবাস্তব কিছুনা।






ভালো থাকবেন নিরন্তর।

৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এ কাজগুলো ব্রিটিশরা যথেষ্ট দক্ষতার সাথে করেছেন বলেই আজ বাংলাদেশের রেল লাইন আছে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ওহ্ ! আপনি চমৎকার একটি কথা বলেছেন। ব্রিটিশ আমালের স্থাপনা এখন ভালো আছে অথচ এখনকার সব স্থাপনার অবস্থা খুবই খারাপ। খাইতে খাইতে মারতে মারতে সব শেষ কাজ হয় বড়জোড় ৫০% এর।

১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ১৯৭১ সালে হানাদার পাক সেনারা পিছু হটার সময় এই ব্রিজের একটি স্পান ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয় । স্বাধীনতার পরে বিদেশি সহায়তায় ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশ মেরামত করা হয় ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: হারামীরা আত্নসমর্পনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল। সুন্দর একটা তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো একটি পোষ্ট শেয়ার করলেন।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অনেকেই জানেনা, আমিও জানতামনা তাই শেয়ার করেছি। ধন্যবাদ।

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শোভন শামস বলেছেন: তথ্য বহুল, ইন্টারেস্টিং

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: তথ বহুল বটে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মানুষ হিসেবে আপনাকে আমি পছন্দ করি।

১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪১

কলাবাগান১ বলেছেন: শাহ আজিজ ভাই কে ধন্যবাদ "হানাদার পাক সেনারা" বলার জন্য....বংগবন্ধুকে হত্যার পর যেমন বাংলাদেশ বেতার হয়ে যায় রেডিও পাকিস্হান এর আদলে রেডিও বাংলাদেশ, তেমনি টিভি রেডিও তে পাকিস্হানী হানাদার বলা নিষিদ্ধ করা হয়। শুধু হানাদার বাহিনী বলা যেত....যাতে পাক দের উপর কোন দোষ না পড়ে

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: হারামীরা আত্নসমর্পনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল।

১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্রিজের উপর দিয়ে কয়েকবার গিয়েছি প্রায় ৩৩ বছর আগে। ১০৫ বছর আগে ব্রিটিশদের এটা বানাতে তেমন বেগ পেতে হয় নি। অথচ ১০৫ বছর পরেও আমরা এরকম ব্রিজ বানাতে পারবো সেরকম আত্মবিশ্বাস দেখি না ফলে বিদেশীদের ডাকি। অবশ্য অন্য কারণও থাকতে পারে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ১০০ টাকার একটা ব্রিজ বাংলাদেশীদের বানাতে দিলে উহার ভাগ দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত ৫০ টাকার কাজও হতোনা। তাহলে সেই কাজটা কিভাবে টেকসই হবে?

১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫১

অনল চৌধুরী বলেছেন: বৃটিশরা নিজেদের স্বার্থে এই সেতু করেছিলো, যাতে যেকোনো বিদ্রোহ দমনে দ্রুত সৈন্য পাঠানো যায়। এজন্য তাদের প্রশংশা করা যায় না।
তবে সেইসময় পদ্মা ভয়ংকর ছিলো। তখন সেতু নির্মাণ করা খুবই কঠিন ছিলো, যেটা তারা করেছে।কারণ ইংরেজ-ইউরোপীয়রা খুনী-ডাকাতের জাতি হলেও কঠোর পরিশ্রমী।
বাঙ্গালীদের মতো অলস আর পরনিন্দা-পরচির্চায় ব্যাস্ত থাকলে এদের মতো নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে মরতো।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ১০০% সত্যকথা। ওরা ওদের স্বার্থে ব্রিজ করেছিলো। মূল আলোচ্য বিষয় হলো কাজের মান। পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

মা.হাসান বলেছেন: ১৯৭১ সালে ব্রিজটি ক্ষতি গ্রস্থ হয়, তবে পাকিদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হবার ঘটনা সম্ভবত সত্য না।

এই ব্রিজটি পদ্মার দুই পারের মধ্যে সংযোগকারি হওয়ায় স্ট্রাটেজিকালি গুরুত্বপূর্ন ছিলো। এজন্য মুক্তি বাহিনীর ফ্রগম্যান ইউনিট আগস্ট ১৯৭১ সালে এটি উড়িয়ে দেয়ার প্ল্যান নেয় যা ব্যর্থ হয়।

পরে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ১১ , ১২ অথবা ১৩ তারিখে ভারতীয় এয়ারফোর্সের স্কোয়াড্রন ২২১ এর Sukhoi Su-7 এর আক্রমনে পাকশির দিক থেকে চার নম্বর স্প্যান ক্ষতিগ্রস্থ হয় যা পরে দেশ স্বাধীন হবার পর জাপানি সহায়তায় মেরামত করা হয়, তবে এটি আর কখনোই আগের অবস্থায় আসেনি, সর্বোচ্চ গতির কিছু রেস্ট্রিকশন আরোপ করা হয়।

উইকিপিডিয়া, Bharat Rakshak এর ওয়েব সাইটে ভারতীয় বাহিনির আক্রমনে ব্রিজের ক্ষতিগ্রস্থ হবার কথা আছে। ভারতীয় নৌবাহিনির ভাইস এডমিরাল মিহির রায় এর লেখায় ফ্রগম্যানদের অ্যাটেম্পট এর কথা আছে। বাংলাপিডিয়ায় মর্টার শেলের কথা আছে, তবে কার আক্রমন সে কথা নেই।

উইকিপিডিয়া লিংকঃhttps://en.wikipedia.org/wiki/Hardinge_Bridge

''-Hardinge Bridge was severely damaged during the Liberation War of Bangladesh of 1971.[5] It happened on 13 December 1971, when the Indian Air Force plane bombed on the 4th guarder from the Paksey side. As the Pakistani army was on retreat towards Jessore (their last stronghold) Hardinge Bridge was strategically very important. The allied force damaged the bridge. The Japanese Government helped to reconstruct the bridge. ''

বাংলাপিডিয়া লিংকঃ http://en.banglapedia.org/index.php?title=Hardinge_Bridge
কোটঃ During the war of liberation the twelfth span of the Hardinge Bridge broke down into the river by mortar shelling. One end of the span was hanging dangerously with the base and a 12.2m part from the other end collapsed. A cruise guarder and two striggers of the fifteenth span and the steel tassel upon the second base were also damaged by mortar shells. After the liberation the bridge was reopened on 12 October 1972, repaired by the joint venture of Bangladesh Railway and the Eastern India Railway of India. But some part of the bridge had to be changed and updated.

ভারত রক্ষক এর লিংকঃ http://www.bharat-rakshak.com/IAF/aircraft/past/1306-sukhoi-7.html#gsc.tab=0

কোটঃ On the Eastern front. Nos.108 and 221 squadrons supported the Army's blitzkrieg advance towards Dacca. No.221 Squadron was allocated the tasks of counter-air, offensive air support and photo recce, launching attacks against Kurmitola and Tezgaon air bases on December 4th and destroying three Sabres on the ground. 9 TAC directed the squadron against riverine traffic, railways and artillery positions. The Su-7s were operated in pairs and were called up by advancing army units to soften defence strong points by carrying out very accurate rocket attacks against bunkers.

In the war for bridges and ferry crossings, the Su-7s were particularly active and a large number of barges, steamers and gun boats were hit. Before No.221 Sqn was transferred to the Western Sector on 12 December, it was to play an important part in the capture of Kushtia. To quote the Squadron Diary: "On December 11th, one span of Hardinge Bridge was destroyed and constant bombardment of bunkers, troop positions and railway sidings near Kushtia was carried out.

This resulted in the fall of Kushtia the same evening, mostly because of the creditable performance of No.221 Sqn. On December 12th, to give this operation a final touch, bombs and rockets were delivered on withdrawing troops, ammunition depots, the main power house near Hardinge Bridge and on the ferry-craft carrying troops."

ভাইস এডমিরাল মিহির রয় এর লেখার লিংকঃ http://www.indiandefencereview.com/spotlights/untold-heroism-of-mukti-bahini-frogmen-prelude-to-liberation-ii/4/

বিশাল লেখা, কোট করলাম না।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার তথ্য ও লিঙ্ক শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: মানুষ হিসেবে আপনাকে আমি পছন্দ করি।

কী সৌভাগ্য আমার!!!! স্যলুট আপনাকে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যাহা সত্য তাহাই বলেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.