নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল ছেলে আমি,আমাই ভাল থাকতে দাও।

মুহাম্মদ রেজাউল হাসান

একটা নির্দিষ্ট ভালবাসা ছিল,তা হারিয়ে ফেলেছি।এখন আর কোন কিছুর প্রতি ভালবাসা মনে জাগে না।

মুহাম্মদ রেজাউল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের একটু কথা

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

এই কেমন মন-মানসিকতা......???
কিছু মানুষ এর মন এতই বিচল, যা কল্পনা করা মহা মুশকিল,কি নিয়ে তাদের চিন্তা ধারা।মানুষ এমন এক প্রানি যার একটি মন আছে,সে মনে একটু একটু আনন্দ থাকে অনেকের আবার কারো খুব বেশি।কিন্তু সবার এক রকম হয় না এটাই আল্লাহর একটি নিয়ামত।কিন্তু আনন্দ নিয়ে চলা-ফেরা অনেকের ভাল লাগে না,তবে নিজের আনন্দের ১৬ আনাই ফুরা।

বিশ্বাস হচ্ছে না এই কথা, তাই না???আসলেই সত্য কথা।
রকি,সে মা-বাবার আদরে বড় হল,সব কিছু বুঝতে তার এত কষ্ট হত না,সে সব কিছু ই বুঝত।আস্তে আস্তে বড় হল স্কুল শেষ করে কলেজে ভর্তি হল।এখন ওর মন অনেক কিছু নিয়ে গঠিত।অনেক কিছু করতে মন চাই,আড্ডা নিয়ে থাকে দিনের অর্ধেক সময় আবার সন্ধ্যার পর ও আড্ডাই থাকে।মনে দুষ্টামি নিয়ে বন্ধুদের সাথে কাটিয়ে পেলে।এলাকাই অনেক খারাপ কাজের সাথে মিশে গেছে।সিগারেট পান করা নিয়ে অনেক ধরনের খারাপ কিছু করে,মদ পান করা ও ছিল তার একটি কাজ।মেয়ে দের নিয়ে হোটেলে যাওয়া।মা-বাবার সাথে খারাপ আচরণ করা,ভাই-বোনদের সাথে খারাপ আচরণ।রাস্তাই হাঁটার সময় জোরে সাউন্ড দিয়ে গান সুনা।এমন অনেক ধরনের খারাপ কাজ তো আছে ই বোটে।তবে সে স্বাভাবিক মানুষ।কিন্তু মানুষের কাছে এমন কোন দোষ মনে হচ্ছে না আর বলে ছেলে এখন না করলে কখন করবে,এখন ই তো সময় ওদের।

পক্ষান্তরে...
রেজাউল,সে মাদ্রাসাই লিখা-পড়া করছে।হাফেয ও বোটে।নামাজ কালাম ও পরে,কুরআন তেলাওয়াত করে অন্য দের মত তার ও বন্ধু আছে,আড্ডা দিতে পছন্দ করে,মাঝে মাঝে রাত করে তবে বেশি না, বাড়িতে লিখা-পড়া করে না,শহরে থাকে ঢাকা তে।এর আগে ছিল চিটাগং এরপর ঢাকা তে এসে লিখা-পড়া চিন্তা করে,আগে ছিল মাদ্রাসাই এখন কলেজে ভর্তি হল।ডাক্তার হবার আশাই,কিন্তু তার লিখা-পড়ার প্রতি মন নাই এত,কারণ টা হল সে একটি মেয়ে কে ভালবেসে পেলেছে, এখন ওকে নিয়ে ই তার চিন্তা ধারা।তবে এখন সে বুঝতে পারছে এই ভুল না করলে অনেক উপকার পেত।এখন সে পারছে না মেয়ে টিকে রেখে কোথাও যেতে আবার পারছে নে ছেড়ে যেতে।সে সহজে বাড়ি তে যাই না কারণ তার এত মন বসে না বাড়িতে আর বাড়িতে গেলে ও খেলা ছাড়া কিছু বুঝতে চাই না।আর এই জন্য ওর আপন সকল মানুষ ওর প্রতি খুব বিরক্তি।যাই হক........................
অন্য ছেলে দের তুলুনায় সে কিন্তু অত খারাপ না,সিগারেট খাইনা, বেশি আড্ডাই থাকে না।আরো অনেক খারাপ কাজের মাঝে ও সে নেই, কিন্তু নিজে নিজে অনেক চিন্তাই অনেক কষ্ট থাকে শুধু মেয়ে টির জন্য।
সে মনে করে একটি মেয়ে কে ভালবাসে এটা অনেক খারাপ,আর এই নিয়ে সব সময় মন খারাপ করে থেকে তবে কেউ বুঝে না শুধু আল্লাহ বুঝে আর ও।মাঝে মাঝে ও নিজে ও বুঝে না।

সব সময় পাঞ্জাবি পরে থাকতে ভালবাসে আর এটা তার একটি দোষ মনে হয়।সে কোন অন্যায় কাজে প্রতিবাদ করতে পারবে না,নিজের কোন স্বাধীনতা নাই,রাস্তাই গান শুনতে পারবে না।আড্ডা দেওয়া যাবে না।সব সময় ঘরে বসে থাকতে হবে।
একদিন তার মায়ের সাথে এক মহিলা কথা কাটাকাটি করছে।এই সময় মায়ের সাথে ঝগড়া করা কোন ছেলে দেখতে পারে।ফাউল ছেলে ছাড়া কেউ না।তাই সে ওই মহিলার সাথে একটু গরম হয়ে কথা বলল। এই শুরু হয়ে গেল- মহিলা টি বলল, ছেলে কে মাদ্রাসাই পড়িয়ে খারাপ করে পেলছে, কোন আদব-কায়দা শিখেনি।
এভাবে আরো অনেক খারাপ কথা বার্তা বলতে বলতে ফুর এলাকাই করে ফেলল।ওতছ সব দোষ ছিল ওই মহিলার কিন্তু শেষে সব দোষ হল ওই মা ছেলের।

এটাই আমাদের দেশ, আমাদের মন। শুধু পাঞ্জাবি পরিধান করলে কোন কথাই তার কথা বলা যাবে না,সে অন্যায় হক আর ঠিক হক।
মানুষের মন ঠিক করতে হবে, স্বাধীন দেশ বলে কথা না একটি মানুষের স্বাধীনতা আছে বলে কথা।
আপনি যেমন বুঝবেন আপনার খারাপ ভাল ঠিক তেমন ই সে বুঝবে তার খারাপ ভাল।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

মুহাম্মদ রেজাউল হাসান বলেছেন: এটা আমার জীবনে ঘোটে যাওয়া কথা।
ভাল লাগলে বলবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.