নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল ছেলে আমি,আমাই ভাল থাকতে দাও।

মুহাম্মদ রেজাউল হাসান

একটা নির্দিষ্ট ভালবাসা ছিল,তা হারিয়ে ফেলেছি।এখন আর কোন কিছুর প্রতি ভালবাসা মনে জাগে না।

মুহাম্মদ রেজাউল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রিকেট চিঠি

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

প্রিয় বিলকিস,
কেমন আছ? মোবাইল ফোন, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে তোমাকে না পেয়ে চিঠি লিখতে বাধ্য হলাম। তুমি হঠাৎ করে কেন আমার কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছ, জানি না! বিষয়টা একবার রিভিউ করলে ভালো করতে। এতে ভুল শোধরানোর সুযোগ পেতাম।
মডেল: তওসিফ ছবি: প্রথম আলোএখনো তোমাকে দেখার জন্য তোমাদের বাসার সামনে গিয়ে ফিল্ডিং মারি। কিন্তু তোমার দেখা পাই না! আগে ছাদে আসতে, আমি নিচে দাঁড়িয়ে থাকতাম। কী সুন্দর দিনই না গেছে আমাদের! বিলকিস, তোমার মনে আছে সেদিনের কথা? আমি তোমাদের বাসার নিচে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং দিচ্ছিলাম, তুমি বাসার ছাদে। এমন সময় পেছন থেকে কড়া উইকেটকিপারের মতো তোমার বড় ভাই এসে হাজির। আমি সরাসরি কট বিহাইন্ড! এরপর আমার কান ধরে টানতে টানতে তোমার কাছে নিয়ে গেলেন। তোমাকে ডিস্টার্ব করি কি না—এ প্রশ্নের উত্তরে তুমি যখন ‘না’ বললে, তখন তোমার ভাই জানিয়ে দিলেন, তাঁর ধারণা ডেড, অর্থাৎ আমি নির্দোষ! সেবার যেন আরেকটা লাইফ পেলাম আমি! ভাগ্যিস, তুমি সেদিন থার্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলে!
জানো বিলকিস, গতকালও আমি তোমাকে দেখার আশায় তোমাদের বাসার ঠিক সামনে পয়েন্ট অঞ্চলে দাঁড়িয়ে ছিলাম। থার্ড আম্পায়ারের ডিসিশন দেখার জন্য ব্যাটসম্যান যেভাবে লাল-সবুজ বাতির দিকে তাকিয়ে থাকে, ঠিক সেভাবে তাকিয়ে ছিলাম তোমার ঘরের জানালার দিকে। কপাল খারাপ হলে যা হয়, আমাকে এবার রানআউট করার উদ্যোগ নিলেন তোমার বড় ভাই। তাঁর ইনসুইঙ্গারের কবল থেকে বাঁচতে শুরু করলাম ঝাড়া দৌড়! লাভ হলো না, স্লিপ অঞ্চলে ওত পেতে দাঁড়িয়ে ছিল তোমার ভাইয়ের দলের এক দুর্ধর্ষ ফিল্ডার। তারপর দুজন মিলে ফ্রি হিট দিয়ে আমাকে তোমাদের বাউন্ডারি–ছাড়া করে ছাড়লেন! উহ্, এখনো কোমর আর দুই হাঁটুর প্রতিটি লিগামেন্টে ব্যথা! এলাকার এক ফিজিও এক গাদা ওষুধ ধরিয়ে দিয়েছে, মুখে তুলতে পারছি না। একবার এক ওভারে নো বলসহ সাতটা ছক্কা খাওয়ার পরও এতটা কষ্ট পাইনি!
বিভিন্নজনের ধারাভাষ্য থেকে জানতে পেরেছি, পাশের এলাকার পিঞ্চহিটার বাতেন নাকি ইদানীং তোমাকে ফুলটস দিচ্ছে! প্লিজ বিলকিস, ভুলেও এ রকম ফুলটস বা ফ্লাইট ডেলিভারি খেলতে যেয়ো না! বাতেন ছেলেটা ভালো নয়, পাওয়ার প্লে ছাড়াই অনেকের জীবনের লালবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে সে। তা ছাড়া ম্যাচ ও পেট্রলবোমা ফিক্সিংয়ের সন্দেহে পুলিশের হিট লিস্টেও তার নাম আছে।
বিলকিস, তোমার কথা ভাবতে ভাবতে আমি দিন দিন ভেঙে পড়ছি। বলের আঘাতে স্টাম্প যেভাবে ভাঙে, ঠিক সেভাবে তুমিও আমাকে ভেঙে দিচ্ছ! স্বপ্ন ছিল, তোমাকে বিয়ে করে খুব সুন্দর একটা ইনিংস সাজাব| আমার এই স্বপ্নটা তুমি স্টাম্পের বেলের মতো উড়িয়ে দিয়ো না। জীবনের ইনিংস থেকে আমাকে বোল্ড করে দিয়ো না। তার চেয়ে বরং চলো, দুজনে মিলে একটা ভালো পার্টনারশিপ গড়ি! সেঞ্চুরি হাঁকাই ভালোবাসার স্টেডিয়ামে!
ইতি
তোমার ম্যান অব দ্য লাইফ
ম্যাচ রাজনাফ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: হা হা হা হা । দারুন লিখছেন ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

মুহাম্মদ রেজাউল হাসান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

জুনেদ বলেছেন: মডেল: তওসিফ ছবি: প্রথম আলো =p~ ;)

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

মুহাম্মদ রেজাউল হাসান বলেছেন: সাফা, তওসিফ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.