নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনুষত্বেই যদি প্রশ্ন, থাকে তবে মানুষ হলাম কবে ?

আমি নশ্বর

যতক্ষন খোলা আছে দুচোখ, বিদঘুটে চিন্তা গুলোও উন্মুক্ত হোক!! নশ্বর পৃথিবী, নশ্বর আমি, তবুও এতেই নিজেকে খুজে ফিরি...

আমি নশ্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী রসিকও বটেঃ

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২১


"ভোটের বাক্সে লাথি মার ,বাংলাদেশ স্বাধীন কর !"
"নির্বাচনের কথা কয় যারা ,মার্শাল ল"র দালাল তারা "
"নির্বাচনের ভাওতাবাজি ব্যর্থ কর ব্যার্থ কর"
"আপোষ না সংগ্রাম , সংগ্রাম সংগ্রাম !!

"জেলের তালা ভাংবো, শেখ মুজিবকে আনবো"


" অত্যাচারিত এবং অত্যাচারী একই টেবিলে বসলে, অত্যাচারের ই জয় হয় "
"আসাম আমার ,পশ্চিমবঙ্গ আমার,ত্রিপুরাও আমার । এগুলো ভারতের কবল থেকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মানচিত্র পূর্ণতা পাবে না"
কিনবা New York Times পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী "prophet of violence" !



এই অব্যর্থ কথা গুলি যার মুখ থে কে এসেছে তিনি ,
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী !



আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী! ১৯৭৬ খৃস্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই দেশ বরেণ্য নেতা মৃত্যুবরণ করেন। সারাজীবন ন্যায়ের সংগে রাজনীতি করেছেন। লড়েছেন শক্তহাতে। কিন্তু এই সংগ্রামী জিবনটাতেই ঘটে গেছে কিছু মজার কাহীনী।
তার কয়েকটা তুলে ধরা হলঃ

বেয়াকুব পুলিশ ও প্রসাশনঃ
===========================



পাকিস্তান আমলে এক মসজিদের প্রাঙ্গনে একবার তাঁর বক্তৃতা দেয়ার কথা।বহুদূর থেকে মানুষ এসেছে জননেতা ভাসানীর কথা শুনতে। চারদিক লোকে লোকারণ্য। এমনসময় পাকিস্তানী সেনারা ঘিরে ফেলল মসজিদ। পুলিশ এসে মাওলানা সাহেবকে একটা কাগজ ধরিয়ে দিল ! শেখ মুজিব ছিলেন তার পাশে ! তিনি সহ আরো যারা ছিলেন , তারা চিতকার করে উঠলেন যে,"মানিনা ১৪৪ ধারা ,আমি বক্তৃতা করবো "। "মাওলানা সাহেব দারিয়ে বললেন ,"১৪৪ ধারা জারি হয়েছে , আমাদের সভা করতে দেয়া হবে না । আমি বক্তৃতা করতে চাইনা ,তবে আসুন আপনারা মোনাজাত করুন,আল্লাহুম্মা আমিন।মাওলানা সাহেব মোনাজাত শুরু করলেন।মাইক্রোফোন সামনেই আছে । আধা ঘন্টা পর্যন্ত চিৎকার করে মোনাজাত করলেন,কিছুই বাকি রাখলেন না,যা বলার সবই বলে ফেললেন !পুলিশ অফিসার , সেপাইরাও হাত তুলে মোনাজাত করতে লাগলো ! আধা ঘন্টা পুরো বক্তৃতা করে মাওলানা সাহেব সভা শেষ করলেন।পুলিশ ও মুসলীম লীগ ওয়ালারা বেয়াকুফ হয়ে গেল !

হিন্দু বাড়িতেও আল্লাহ থাকেনঃ
===========================

এই ঘটনাটি ঘটেছে দেশবিভাগের সময়। ১৯৪৭ সালের। এতদিনে হিন্দু মুসলমান আলাদা রাষ্ট্র অর্থাৎ ভারত পাকিস্তানে আলাদা হয়ে গেছে। মওলানা ভাসানী গেছেন টাঙ্গাইলের কৈজুরীর জমিদার গোপেশ্বর সাহা রায় চৌধুরীর বাড়িতে। জমিদার গোপেশ্বর রায় প্রজাদের খুব ই ভালবাসতেন । গরীব-দুঃখীর সাহয্য ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তিনি একসময় আলাপ জুরে দিলেন মাওলানা ভাসানীর সাথে। মাগরিবের সময় হলে তিনি গোপেশ্বর রায় চৌধুরীর কাছে নামাযের জায়গা চাইলেন। কিন্তু গোপেশ্বর বাবু ত হিন্দু মানুষ ! তাই তিনি হেসে বলে উঠলেন, “হিন্দু বাড়িতে নামায পড়লে নামায হবে কী মওলানা সাহেব”?
গোপেশ্বর বাবুর কথা শুনে মওলানা সাহেবও হেসে জবাব দিলেন, “আল্লাহ সব জায়গায় বিরাজমান, তবে কি হিন্দু বাড়িতে থাকে না?”
মওলানার জবাব শুনে গোপেশ্বর বাবু থ’ হয়ে গেলেন, উচ্চারণ করে বললেন, “হুজুর, আপনার মত উদার মনের মানুষ যদি সবাই হতো তাহলে কেউ সম্প্রদায়িকতার আগুনে জ্বলতো না।”

মানুষের ভালবাসা আর বিশ্বাস এমনও হয়!!!?
===========================

এমনিতে যারা মাদ্রাসা শিক্ষায় হাতেখড়ি হয় তাদেরকে সেই নুরানী(মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাবস্থায় প্রাইমারি স্টেজ) আমলেই পানি পড়া শিখিয়ে দেয়া হয়। সাত বার সুরা ফাতিহা পড়ে একগ্লাস পানিতে ফু দিলে আল্লাহর রহমতে সেই পানি পড়া থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগমুক্ত হোয়া যায়! তো সেই হিসে ভাসানী এমনিতেই মওলানা ! তার উপর তার পানি পড়ার খুব সুনাম ছিল। অনেকেই বিশ্বাস তাঁর পানি পড়া, তেল পড়া, কালিজিরা পড়া, ঝাড় ফুকের বেশুমার বরকত। এবং তার এই পানি পড়া থেকে অনেকেই আরোগ্য লাভ করেছে বলে দেখা গেছে ! এই জন্য অনেকেই তার পানি পড়া নেয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তো।

একবার মওলানা সাহেব এক বাড়িতে রাতে ছিলেন এবং সেও এলাকার মানুষ এই খবর পায় ! আর ভাসানী সাহেব এই বাড়িতে আছেন সে কথাও বাতাসের বেগে ছড়িয়ে যায় ! কিন্তু মাওলানা সাহেব ভোরে উঠেই সেখান থেকে চলে যান।তাই সকাল বেলা পানি পড়ার জন্য মানুষজন এসে বাড়ীর সামনে জমতে লাগল। কিন্তু মওলানা তো আর নেই। ""ঐ বাড়ির একজন রসিকতা করে বলল, এই ইন্দারায় মওলানা সাহেব এক গ্লাস পানি পড়ে ঢেলে দিয়ে গেছে। এখান থেকে পানি নিয়ে খেলেই কাজ হবে। যেই না বলা অমনি সবাই ইন্দারার পানি তুলে নেয়া শুরু করল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ইন্দারার পানি শুকিয়ে তলায় কাদা বের হলো। লোকজন কাদাও তুলে নিতে লাগল। বাড়িওয়ালা অবস্থা বেগতিক দেখে হাত জোড় করে কাকুতি মিনতি করতে লাগল, দোহাই আল্লাহর, আপনাদের হাত পা ধরে অনুরোধ করি, আমার ইন্দারা রক্ষা করেন। এভাবে কাদা উঠালে আমার ইন্দারা ভেঙে যাবে।""

মাওলানা সাহেবের জ্বীনের কেরামতিঃ
==========================

একবার যমুনা নদীর পাড়ের অদূরে মওলানা ভাসানীর আগমনে ইসলামী অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। সেই অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়ার আয়োজনও ছিল।কিন্তু সমস্যাটা হল রান্নার চাল, ডাল, লবন, মসলা যোগাড় হলেও মরিচের অভাবে বাবুর্চিরা রান্না শুরু করতে পারছিল না। এই খবরটি মওলানার কাছে দেয়া হলে তিনি উপস্থিত কয়েকজনকে লক্ষ্য করে বললেন, দেখ তো-- নদীর ঘাটে মরিচের নৌকা দেখা যায় কিনা। অবাক করা ব্যাপার হল ,
""লোকজন দৌড়ে নদীর ঘাটে গিয়ে দেখে সত্যিই নৌকা বোঝাই মরিচ নিয়ে কয়েকজন ঘাটে ভিড়তেছে।
এই ঘটনায় মুহুর্তেই পুরো এলাকায় খবর রটে যায় যে, হুজুরের সাথে জ্বীন আছে। জ্বীনেরা হুজুরের কথামত অনেক কিছু যোগাড় করে দেয়।"'"

একরসগোল্লায় বাঙ্গালীর অবস্থাঃ
==========================

""একবার মওলানা সাহেব আসামের কাগমারীতে ঘোড়ায় চড়ে বাজারে যাচ্ছিলেন। বাজারের কাছাকাছি এলে একজন খবর দিলেন, হুজুর আপনার অমুক মুরীদ খুব অসুস্থ্য, মরে মরে অবস্থা। মওলানা তৎক্ষনাৎ ঘোড়া নিয়ে সেই মুরীদের বাড়ি গেলেন। রোগী মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছে। তিনি এক গ্লাস পানি নিয়ে ফু’ দিয়ে রোগীর মুখের সামনে ধরে বললেন, তুমি কি খাবা?
রোগী কাতর কণ্ঠে জবাব দিল, রসগোল্লা হুজুর।
মওলানা সাহেব বাজার থেকে দু’টি রসগোল্লা আনালেন। একটি রসগোল্লার অর্ধেক খাওয়ার পরেই রোগী মারা যায়।
""কোন এক জনসভায় ভাসানী দরিদ্র কৃষকদের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে এই ঘটনার উল্লেখ করে বলেছিলেন, দেশে এমন অনেক কৃষক আছে যারা পথে ঘাটে রসগোল্লা দেখেছে কিন্তু জীবনে পুরো একটি রসগোল্লা খেয়ে মরার সৌভাগ্য হয় নাই।""

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.