| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৈয়দ মাহবুব হাসান আমিরী
লেখাপড়া ও জানার প্রতি আগ্রহ আমার সেই মাধ্যমিক সময়ের মতোই রয়ে গেছে। নিজেকে আমি লেখাপড়া থেকে কখনো সরিয়ে নিতে চাই না।
ধূমপানবিরোধী আইনসহ এর কুফল সম্পর্কে এত প্রচার-প্রচারণা সত্ত্বেও এটা থেমে নেই। ধূমপান দুই ধরনের হয়ে থাকে—প্রত্যক্ষ বা নিজে ধূমপান এবং পরোক্ষ বা অন্যের ধূমপানের ফলে নির্গত ধোঁয়া থেকে ধূমপান। সমস্যা হলো, এর কোনোটিই স্বাস্থ্যসহায়ক নয়। একজন গর্ভবতীর জন্য বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভের প্রথম এবং শেষ তিন মাসে ধূমপান গর্ভস্থ শিশুর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে। তবে গর্ভকালীন পুরো সময় ধূমপানমুক্ত থাকা খুবই জরুরি।
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপানের ফলে নিচের সমস্যাগুলোর যেকোনোটা অথবা একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন—
গর্ভপাত
অপরিণত শিশুর জন্ম
স্বল্প ওজনের শিশু
গর্ভকালীন রক্তস্রাব (গর্ভফুল নিচে অথবা আগেই আলাদা হয়ে যাওয়ার কারণে)
ডেলিভারির সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ
মৃত শিশুর জন্মদান
গর্ভাবস্থায় মায়ের ধূমপানের মাত্রার সঙ্গে শিশুর বৃদ্ধির মাত্রার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। সিগারেটের মধ্যে এমন কিছু ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে, যাকে গর্ভের সন্তান বিকলাঙ্গ করার জন্য দায়ী করা হয়। কারণ, এসব উপাদান গর্ভস্থিত শিশুর বুকে এবং হাতে রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়। ধূমপায়ী নারীদের ঠোঁটকাটা এবং তালুকাটা সন্তান জন্মদানের হার অন্যদের তুলনায় বেশি।
জন্ম-পরবর্তী সময়ে ও মায়েদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপানের প্রতিক্রিয়ায় যা যা ঘটতে পারে তা হলো—
স্বল্প বুদ্ধিসম্পন্ন শিশু
অমনোযোগিতা
অতিচঞ্চলতা
আচরণগত সমস্যা
লেখাপড়ায় সমস্যা
হঠাৎ মৃত্যু
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় মায়ের ধূমপানের প্রতিক্রিয়া কিশোর বয়সকেও প্রভাবিত করে। ধূমপায়ী মায়ের কিশোর বা স্কুলগামী বাচ্চাদের মধ্যে অধূমপায়ী মায়ের একই বয়সের ছেলেমেয়েদের তুলনায় আচরণগত সমস্যা বেশি দেখা যায়।
মায়েদের কাছে তাই আবেদন থাকবে, সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করার সঙ্গে সঙ্গে ধূমপান ত্যাগ করবেন। যেহেতু পরোক্ষ ধূমপানও প্রায় সমান ক্ষতিকর, তাই গর্ভবতী মায়েরা অবশ্যই ধূমপায়ীদের থেকে দূরে থাকবেন। ধূমপায়ী বাবাদের কাছে আবেদন, দয়া করে জেনেশুনে নিজের সন্তানের ক্ষতি করবেন না। গর্ভকালীন, জন্মের সময় এবং পরবর্তী সময়ের ক্ষতিকর প্রভাব জানার পরও নিজ সন্তানের স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি কেন করবেন? নিজের এবং অনাগত সন্তানের ক্ষতি হওয়ার আগেই বাবা-মা যে-ই ধূমপায়ী হোন না কেন, ধূমপান ত্যাগ করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হোন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মে, ২০১২ রাত ২:১২
চায়নাবুড়া১৮ বলেছেন:
পরোক্ষ ধূমপানেও রেহাই নেই, আছে ক্যানসারের ঝুঁকি
০৮ ই মে, ২০১২ রাত ১:৫২
শেয়ারঃ000
তামাক জাতীও উপাদানের অবশেষ থেকে ঘরবাড়ীর মতো বন্ধ স্থানে এক ধরনের বিষাক্ত উপাদান তৈরি হয় । এ ধরনের উপাদান ক্যান্সারের জন্য দায়ি। সম্প্রতি একদল গবেষক এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন।
এ গবেষণায় তারা আরো জানতে পেরেছেন, ধূমপান শেষ হয়ে যাওয়ার অনেকক্ষণ পরও এর অবশেষ আশপাশের বস্তুর গায়ে লেগে থাকে। বন্ধ ঘরের বাতাস দূষিত হয়। দূষিত এ উপাদানে ক্ষতিকারক নাইট্রাস এসিড থাকে, যা শরীরে ক্যান্সারের অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। লরেন্স বারক্লে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির এক গবেষণায় নতুন এ স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জানা গেছে।
লরেন্স বারক্লে গবেষণাগারের রসায়নবিদ হুগো ডেসটাইলাস বলেন, জ্বলন্ত তামাক থেকে বাস্প আকারে নিকোটিন নির্গত হয়। এ ধরনের নিকোটিন বন্ধ ঘরের মেঝে, দেয়াল, কার্পেট, আসবাবপত্রের মতো আশপাশে থাকা কম-বেশি সবকিছু দিয়ে শোষিত হয়। আর এসব জিনিসের ভেতর দূষিত এ উপাদানটি পরবর্তী কয়েক দিন, সপ্তাহ, এমনকি মাসখানেক ধরেও অবস্থান করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে , ধূমপানের অবশেষ এ নিকোটিন পরিবেশের নাইট্রাস এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিশেষ ধরনের কারসিনো জেনিক টোব্যাকো নাইট্রোস এমিন বা TSNA গঠন করে। ধূমপানের কারনে পোড়া তামাক থেকে নির্গত উপাদানগুলোর মধ্যে TSNA সবচেয়ে ক্ষতিকর। এটি ক্যান্সার তৈরি করতে পারে।
আসুন নিজে বাঁচি, অন্যকে বাঁচাই।
(পূর্বে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকা থেকে নেয়া)