![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।
আমার ছোটকালটা কাটছে এই ভুল ধারণা নিয়া। নজরুলই নোবেল পুরস্কার পাইতে পারত। রবীন্দ্রনাথ ষড়যন্ত্র কইরা সেই নোবেল চুরি কইরা নিছে।
আমার একজন গৃহশিক্ষক ছিলেন। এই কাহিনীর মূলে তিনি। তিনি আমাকে যা বলেছিলেন, তা অনেকটা এ রকম ----
রবীন্দ্রনাথ না, নোবেলটা পাইত নজরুল। কিন্তু নজরুল তো গরীব, তার উপরে মুসলমান। তাই রবীন্দ্রনাথ বৃটিশদের বুঝাইয়া নোবেলটা নিয়া নিছে। আর নজরুল যাতে নোবেল প্রাইজ না পাইতে পারে, তার জন্য নিজের নাতনীরে তার পাছে লাগাইয়া দিছিল। প্রমিলা নামের ওই নাতনী নজরুলের মাথা খাইছে। পাগল বানাইয়া ফালাইছে। তাই তো নজরুল পাগল হয়া গেল আর নোবেল পাইল রবীন্দ্রনাথ। সবই ষড়যন্ত্র, গভীর ষড়যন্ত্র। কোন মুসলমান নোবেল পাউক, এইডা কেউ চায় না।
কলেজে আসা পর্যন্ত এই গুজবটা কমপেক্ষ শ খানেক লোকের কাছে শুনছি।
সর্বশেষ এক বই বিক্রেতার সাথে তর্ক হয়া গেল। উনি নজরুলের বিরাট ভক্ত। উনার মতে নজরুলের কবিতা চুরি কইরা ছাপাইয়া রবীন্দ্রনাথ কবি হইছে। নজরুল যাতে এই কথা ফাঁস কইরা না দিতে পারে, তার জন্য তারে পাগল বানাইছে রবীন্দ্রনাথ।
অবশেষে আমি নিজেই বাইর করছি হিসাবটা।
রবীন্দ্রনাথের জন্ম ১৮৬১ সালে। নোবেল পান ১৯১৩ সালে। নোবেল পাওয়ার সময়ে তার বয়স ছিল ৫২ বছর। অন্য দিকে নজরুলের জন্ম ১৮৯৯ সালে। রবীন্দ্রনাথ যখন নোবেল পান তখন নজরুলের বয়স মাত্র ১৪ বছর। সে সময় তিনি কবিতা লেখাও শুরু করেননি। আর নজরুল অসুস্থ হন ১৯৪২ সালে রবীন্দ্রনাথ মারা যাওয়ার ১ বছর পর। অন্য দিকে নজরুলের স্ত্রী প্রমীলার সাথে রবীন্দ্রনাথের আত্মীয়তার কোন প্রমাণও নাই। প্রমীলা রবীন্দ্রনাথের মেয়েও না, নাতনীও না। সুতরাং নজরুলের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের ষড়যন্ত্রের যে সব গুজব শোনা যায়, তা পুরোপুরি ভুয়া।
তবে কেন এই সব লোকেরা এই ভুয়া জিনিস বিশ্বাস করে ? আমার কাছে মনে হয় বিষয়টা আসলে ধর্মীয় আবেগের কারণে। রবীন্দ্রনাথকে হিন্দু ধর্মের লোক মনে করে নজরুলকে মুসলমান ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে দাঁড় করানোর ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়। তারা না রবীন্দ্রনাথকে জানে, না নজরুলকে জানে। তারা কোন কিছু সম্পর্কে খোঁজ খবর না নিয়াই এক ধরণের ধারণা থেকে কথা বলে।
আসলে তো কোন লেখক বা শিল্পী কেউ কারো বিকল্প হতে পারে না, সবাই যার যার মহিমায় জ্বাজ্জ্বল্যমান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাজী নজরুল ইসলাম
২| ০৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:২০
লিপিকার বলেছেন: আমিও একবার এমন একটা গুজব শুনেছিলাম ছোটবেলায়...অবশ্য দুই কবির বয়সের ব্যবধান জানতাম তাই এমন গুজবে কানও দেইনাই মাথাও দেইনাই.....
০৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৩৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার মতো বুদ্ধিমান ও সচেতন মানুষ তো সবাই না। বেশির ভাগ মানুষই বিশেষত অল্প শিক্ষিত মানুষেরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে এই বিষয়টি নিয়া।
৩| ০৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:২৩
খলিল মাহমুদ বলেছেন: যাক, গুজবটা শুনে ভালো লাগলো। গুজবের কোনো ভিত্তি থাকে না।
০৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৩৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কিন্তু গুজব এত চটকদার হয় যে, যে কোন মানুষ হঠাৎ করে বিশ্বাস করে ফেলে।
৪| ০৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৩৯
ওমর হাসান আল জাহিদ বলেছেন: আমি ছোটবেলা থেকেই এই গুজব শুনছি। মাঝে মাঝে ভাবছিও। কিন্তু হদিস করে উঠতে পারিনি... ধন্যবাদ শামীম ভাই।
৫| ০৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৪৫
বায়লোজি বলে আমি নাকি ছেলে!! বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ নজরুল বিদ্বেষি না হলেও যতেষ্ট য়েবং কট্টর মুসলমান বিদ্বেষি ছিলেন।
যার জলন্ত প্রমাণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টার সময় রবীন্দ্রনাথের তীব্র বিরোধিতা।তিনি কখনোই চান নাই বাংগালী মুসলমানের ছেলে ঘরের উঠুনে বসে এম,এ পাশ করুক।
ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় প্রতিষ্টা না করতে রবীন্দ্রনাথ যে চিটি লিখেছিলেন তার প্রমান য়েখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে বলেই জানি।
কবির মুসলিম অবহেলার আরো প্রমান পাওয়া যায় উনার লেখায়।
উনি কবু মুসলমানের দিখ থেকে ফিল করে কোন রচনা উৎপাদন করেন নাই।
উনার বিশাল রচনাভান্ডারে যে কয়েকটা মুসলমান চরিত্র পাওয়া যায় তা হল চাকর,ধুর্ত নিম্নবর্গ....য়েই রখম।
অথচ মুসলমানরা সবথেকে বেশি অবহেলিত ছিল সেই সময়।
শরৎচন্দ্র মহেশ লিখে গেছেন মুসলমানের গুরু আর গফুরের হৃদয় আর হিন্দু সমাজের সেইসময়ের কর্মকান্ডকে সাবজেক্ট করে।
আর রবীবাবু অতবড় আসনে বসে মুসলমানদের প্রজা আর চাকরেই
কুন্ডুলিপাকাই দিয়ে গেছেন।
রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক য়েকজন লেখক কবি বেছে থাকা অবস্থায় লিখেছিলেন "রবীবাবুর লেখায় মুসলিম চরিত্র য়েতই কম একটা সময়ে তিনি ঠিকই ধরা পড়বেন।"
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সত্যি কথা যদি বলতে চান, রবীন্দ্রনাথের সময়ে বাঙ্গালি মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। বরং মুসলমানরা ইংরেজি শিক্ষা বয়কট কইরা মাদ্রাসা শিক্ষা চালু করছিল। তার ফলাফলই দেওবন্দ মাদ্রাসা। আধুনিক ইংরেজি শিক্ষাগ্রহণকে হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছিল দেওবন্দের লোকজন।
অন্য দিকে ইংরেজ শাসকগোষ্ঠীও চাইত না, মুসলমানরা শিক্ষিত হোক। কেননা, তারা মুসলমান হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। ফলে মুসলমানদের শিক্ষিত করে সরকারী চাকুরিতে নিতে তাদেরও অনীহা ছিল।
শুধু রবীন্দ্রনাথ না, কোলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী শ্রেণী কেউই চায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হোক। ধর্মীয় কারণ ছাড়াও ঢাকার গুরুত্ব বেড়ে যাওয়াটা তাদের কাছে পছন্দ হয় নি।
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: রবিবাবুর গল্পের চরিত্রগুলোর মধ্যে মুসলমান চরিত্র খুঁজে না পাওয়া বা নিচু অবস্থান দেখানোটাকে আমি অস্বাভাবিক মনে করি না। কোলকাতায় মুসলমানরা নিচু অবস্থানেই ছিল সেই সময়। অনেকটা অশিক্ষার কারণে। রবীন্দ্রনাথ যাদের কথা লিখেছেন তারা কোলকাতা কেন্দ্রিক মানুষ।
৬| ০৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৪৫
মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: ছোডোকালে না হয় আপনে শুনছেন। আমিও। কিন্তু বারো কেলাস পারাইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসাও পুলাপান নজরুলের 'পাগল' হওয়ার রবীন্দ্র কাহীনি বিশ্বাস করে। আমি এরম অনেকরে পাইছি।
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ভয়ংকর ব্যাপার।
৭| ০৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৫৪
বিবর্তনবাদী বলেছেন: হা হা হা........ এইসব কাহিনী আমিও অনেকদিন পর্যন্ত বিশ্বাস করতাম। হঠাৎ একদিন খেয়াল করলাম নজরুলের অসুস্থ হবার একবছর আগেই রবীন্দ্রনাথ মারা যান।
আর আমি যা বলতে চাচ্ছিলাম তা আরজু বলে দিল। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও এমন অনেককে পেয়েছি যারা মনে প্রাণে এই সব বিশ্বাস করে। তাদের অনেকেরই বিশ্বাস ভাঙ্গাবার চেষ্টার রুচি হয় নাই। অশিক্ষিত লোক হলে না হয় শেখাবার চেষ্টা করা যেত, কিন্তু শিক্ষিত (!) কে আর কে শিক্ষা দিবে।
ব্লগেও এমন অনেক আইটেম পাইবেন।
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যারা জাইগা ঘুমায়, তাগো কে জাগাইতে পারে
৮| ০৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৫৫
নির্ঝরিনী বলেছেন: এই গুজব ছোট বেলায় আমিও শুনছি।
আসল কথা হলো, " কোন লেখক বা শিল্পী কেউ কারো বিকল্প হতে পারে না, সবাই যার যার মহিমায় জ্বাজ্জ্বল্যমান"
৯| ০৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৫৬
বিবর্তনবাদী বলেছেন: কিছু লোকে এমন বলে যে, "নজরুল কবি ভালই ছিলেন, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মাইয়ারে বিয়া কইরাই সব ঝামেলা বাধাইলেন "
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: খাঁটি কতা !!!!!!!!!!!
১০| ০৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৫৮
নুশেরা বলেছেন:
@বিবো-- এইটা আমিও শুনছিলাম। হাহাপগে!
১১| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০২
নুশেরা বলেছেন: আরেকটা গল্প। বিশিষ্ট ইসলামী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ডঃ আবদুল মান্নান চৌধুরী কর্তৃক রচিত। এইটা মাসিক মদীনা পত্রিকায় ছাপা হইসিল। "আজি হতে শতবর্ষ পরে..." এইটা নাকি রবিঠাকুর নজরুলকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন। কারণ "মনীষীরা আল্লাহ্পাকের বিশেষ বান্দা। তাঁরা অনাগত মহামানবদের আগমনবার্তা আগে থেকেই অনুমান করতে পারেন।"
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কন কি !!! রবী বাবুও তাইলে আল্লাহপাকের বিশেষ বান্দা !!!!!!!!!!!!
১২| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৭
অদ্রোহ বলেছেন: আমি শুনসিলাম আরো ব্যাপক কাহিনী,নজরুল গরুর গোস্ত ভক্ষন করতেন বলেই নাকি নোবেল পাননি।গরুর গোস্ত খাইলে নাকি বায়ুচড়া রোগ হয়
,গাঁজাখুরি আর কা্কে বলে।
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: হা , হা, হা, হা। ঠিকই কইছেন, গরুর মাংস খাইয়েন না। বায়ু চড়া হইতে হইতে নিজেই বায়ুতে মিশ্যা যাইতে পারেন।
১৩| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১১
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: এইটা ছোটবেলায় কোন হালার মুখে জানি শুনছিলাম!
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ছোডকালে হালা পাইলেন কই ?
১৪| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১২
আকাশ_পাগলা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের জন্ম ১৯৬১ সালে। নোবেল পান ১৯১৩ সাল।
কী লিখলেন এইটা ???
দেখেন এত মানুষ কমেন্ট দিল। এইটা কেউ বলল না কেন????
আজব পাবলিক।
রবীন্দ্রনাথের অসাধারণ লেখার হেব্বি ভক্ত আমি। আর ভক্ত নজরুলের গানের।
রনীন্দ্রনাথের পদচারণা নেই, বাংলা সাহিত্যের এমন কোন দিক নেই(সায়েন্স ফিকশান ছাড়া)।
কিন্তু, উনি যে ঢাবি প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে কেন ছিলেন আমি জানি না। হয়ত, কোন ইতিহাস ছিল, কোন কারণ ছিল।
আমি জানি না সেটা কী।
যাই হোক, নোবেল পাওয়া নিয়ে এমন কাহিনী অনেক শুনহি। কে যে এগুলি বাইর করে ???? হায় রে।
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: মারাত্মক ভুল। এক্ষুণি সংশোধন করে দিচ্ছি। ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সঠিক কইরা দিছি। আবারও ধন্যবাদ।
১৫| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১৮
নাজিম উদদীন বলেছেন: নজরুলরে মুসলমান বানানোর পরে এসব গুজব পাখা মেলছে।
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: নজরুল কি মুসলমান ছিলেন না ?
১৬| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আমাদের দেশে মজা পাওয়ার অনেক উপাদান ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
এটা তার মধ্যে একটা।
আমি বেশ মজাই পাই!
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনে মজা পান, তবে যারা বিশ্বাস করে তারা কিন্তু মজা করে না। তারা মনেপ্রাণেই বিশ্বাস করে এই গুজব।
১৭| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৪
মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১১
লেখক বলেছেন: ...।
রবীন্দ্রনাথ যাদের কথা লিখেছেন তারা কোলকাতা কেন্দ্রিক মানুষ।
আসলৈ। রবীন্দ্রনাথ আমরার কথা ল্যাখে নাই!
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সেই সময় বাঙ্গালির সকল কিছুই ছিল কোলকাতাকেন্দ্রিক। কেননা কোলকাতা ১০০ বছর ভারতবর্ষের রাজধানী ছিল।
আমাদের দেশে এখন যত লেখক, কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক সবাই ঢাকাকেন্দ্রিক। কেননা এখন ঢাকা একটি রাজধানী শহর। কোন এক ভবিষ্যতে যদি চট্টগ্রাম রাজধানী হয় এবং কেউ যদি কোন লেখককে বলেন উনি কেবল ঢাকার মানুষ সম্পর্কে লিখেছেন, সেটা কি লেখকের দোষ ?
পৃথিবীর সব দেশেই লেখকরা বড় মানুষদের লিখে লেখেন। যেমন শেক্সপিয়রের কোন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রই রাজবংশ ছাড়া নাই। কেননা সেই সময়ে রীতিটাই ছিল এমন। তাই বলে শেক্সপিয়র ছোট মাপের লেখক ?
পৃথিবীতের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর নিচুতলার মানুষের কথা সর্বপ্রথম বড় বড় লেখকরা লিখতে শুরু করেন। এর আগে তাঁরা রাজা মন্ত্রীর কাহিনীই লিখতেন। ওতে তো তারা ছোট লেখক হয়ে যান না।
রবীন্দ্রনাথের রচনাবলী পড়তে একজন স্বাভাবিক মানুষের প্রায় ১০ বছর লাগবে। কেবল সংখ্যার দিক থেকেও তার লেখা বাংলা সাহিত্যে যে কোন লেখকের চেয়ে বিশাল। আর গুণগত মানেও সেটা সেরা।
রবীন্দ্রনাথ কবিতার জন্য নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। বলা হয়, ছোটগল্পের জন্যও তাকে নোবেল প্রাইজ দেয়া দরকার ছিল। পৃথিবীর শ্রেস্ঠ ৪ জন ছোট গল্পকারের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ একজন।
১৮| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫
বায়লোজি বলে আমি নাকি ছেলে!! বলেছেন: হা মুসলমানরা কম শিক্ষিত ছিল য়েটা ঠিক। কোলকাতায় মুসলমানরা সেই সময়ে নিচু অবস্থানে থাকলেও বরীবাবু সেটাকে টিপিকেল কলকাতার বাবুর মতই উচু অবস্থান থেকে লিখে গেছেন।
য়েকটা নিচু(?) মুসলমানের হৃদয় কেমন হয় সেটা তিনি ফিল করতে চান নাই.....
য়েকগুয়ে মুসলমান নেতাদের মত তিনিও রাজনীতি করে গেছেন।
সেই কলকাতার বাবু হয়েই......।
রবীন্দ্রনাথ শুধু কোলকাতা কেন্দ্রিক মানুষের কথা বলেছেন য়েবং সেটা টিনি নিজে কলকাতা কেন্দ্রিক থেকে।
১৯| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৭
ম্যাভেরিক বলেছেন: কত গুজব যে রয়েছে দুনিয়ায়!
২০| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৯
মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: ধুর শামীম ভাই! এত বড় জবাব দেওন লাগে?
আমার কি মাথা খারাপ হইছে যে আমি রবীন্দ্রনাথরে 'ছুডো ল্যাখক' কমু? লেখকের আবার ছুডো বড়ো কি? লেখক তো লেখকই। সভিয়েত বিপ্লবের কথা কন? এর আগেও তো, লেখালেখির শুরু থেইকাই 'নিচুতলার মানুষের' কথা লেখা হইছে, অনেকে লিখছে, লন্ডন-প্যারিস-কোলকাতা'র সাহেব-মসিয়ে-বাবুরা যেইডারে পাত্তা দেয়নাই।
শেকসপীয়রের কথা কন? হেরে ইংরেজরা তামাম দুনিয়ায় ফেরি কইরা বেড়াইছে না বইলাই হেয় 'বরো ল্যাখক'। বিষয় হইলো কে ফেরি করে, কারে ফেরি করা হয়।
আমি কেবল কইছি যে, ১০ বছর লাইগা যাইবো পড়তে এমন বিশাল রচনাবলীতেও রবীন্দ্রনাথ আমরার কথা ল্যাখে নাই । কারন, সে আমরারে চিনতো না। জানতো না। তাই তারে আপন লাগে না। শেকসপীয়ারের মতোই লাগে। 'বরো ল্যাখক' কিন্তু দুরের, আপন না। যেমন আপন মানিক। এইতো!
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৪৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ভালো বলেছেন। এবার কিন্তু অল্প কথায় জবাব দিলাম।
২১| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৪১
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: করছেন কি! ছাগুচীফ তো আপনার প্রথম প্যারা অথেনটিক রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার শুরু করবো। সে এমনই রবীন্দ্র বিদ্বেষী শিবির যে রবীন্দ্রনাথের দাড়ি আছে বইলা ছাগলা দাড়ি পর্যন্ত রাখে না
০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৪৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: হা হা হা । এইটা ভাবি নাই।
২২| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫২
অপরিচিত_আবির বলেছেন: আমার এসব গুজব শোনার অবকাশ হয় নি, কারণ আমার বাবা রবি ঠাকুরের বিশাল ফ্যান এবং পরবর্তীতে আমিও। নজরুলের সাহিত্য আমি অনেক পরে পড়া শুরু করেছি আর এ গুজবটাও শুনেছি কলেজে ওঠার পর। মনে আছে তখন এটা খুবই হাস্যকর লেগেছিল, তখনি আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে বাঙালীরা দুনিয়ার সবকিছু দুইভাগে নিতে চায় - রবীন্দ্র-নজরুল, ভারত-পাকিস্তান, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, আলীগ-বিএনপি ... কোন কারণ নাই, কোন জানাশোনা নাই তবুও কে শ্রেষ্ঠ তা নিয়ে আবোলতাবোল তর্ক করবে।
০৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৪:৫০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আসলেই হাস্যকর গুজব এটা। যারা এই গুজব বিশ্বাস করে এবং ছড়ায়, তারা নজরুলকে মুসলমানের প্রতিনিধি বানানোর চেষ্টা করে। তারা না জানে রবীন্দ্রনাথকে, না জানে নজরুলকে। তারা এও জানে না যেই নজরুলকে তারা মুসলমানের প্রতিনিধি বানানোর চেষ্টা করে, সেই নজরুলকেই কাঠমোল্লারা কাফের বলে ফতোয়া দিয়েছিল।
২৩| ০৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৪:২৩
সেলটিক সাগর বলেছেন:
কমেন্ট নং ৫ >>
বায়লোজি বলে আমি নাকি ছেলে!! বলেছেন:
............................
যার জলন্ত প্রমাণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টার সময় রবীন্দ্রনাথের তীব্র বিরোধিতা।তিনি কখনোই চান নাই বাংগালী মুসলমানের ছেলে ঘরের উঠুনে বসে এম,এ পাশ করুক................
====================================
বহুদিন আগে ব্লগের অতি পরিচিত ড়াজাকার গোস্ঠী ঠিক এই ধরনের কথা বলে পোস্ট দিত আর এখন এখন শুধু কমেন্ট দেয়ার সাহস রাখে.... যাই হোক এই প্রসংগে নাস্তিকের ধর্মকথা ও সুশান্তের দুটি তথ্যবহুল পোস্ট ছিল। প্রথম জনের পোস্ট নিচে দেয়া হল কিন্তু দ্বিতীয়জনের পোস্টটি আমি খুজে পেলাম না।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ও ত্রিভুজ গোত্রীয়দের বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেস্টা
-নাস্তিকের ধর্মকথা
গতকাল রাতে, আনব্যানের দাবি আদায়ে বিজয় অর্জনের কিছুক্ষণের মধ্যেই অবাক হয়ে ত্রিভুজের একটি পোস্ট দেখলাম। সেখানকার লিংক ধরে তার আরো দুটি ও আশরাফ রহমানের একটি পোস্ট পড়লাম।
কিছু কথা বলা আবশ্যক মনে হওয়াতে আজ ফুল রেস্টে থাকার কথা থাকলেও নেটের সামনে বসতে হলো।
তাদের মূল বক্তব্য কি?
আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে আমার সোনার বাংলা গানটি থাকার যৌক্তিকতা কতখানি? কারণ-
রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশ চেতনার বিরুধী ছিলেন, বা বাংলাদেশ তথা পূর্ববঙ্গের উন্নতির বিরুদ্ধপক্ষ মানুষ ছিলেন।
এর পক্ষের যুক্তি কি?
১। তিনি বঙ্গভঙ্গ রদের জন্য আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা নিয়েছিলেন।
২। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে কলকাতায় আয়োজিত সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৩। আমাদের স্বাধীনতা হরণকারী ব্রিটিশদের তাবেদার ছিলেন। কেননা, তিনি জনগণমন ভাগ্যবিধাতা গানটি রচনা করেছিলেন সাদা চামড়ার স্তুতির উদ্দেশ্যে।
উপরের তিনটি ঘটনাকে সত্য ধরেও কি তাকে বাংলাদেশ চেতনার বিরুধী বলা যায়?
১।
বঙ্গভঙ্গের ঘটনার সাথে বাংলাদেশ চেতনার কোন সম্পর্কই নেই। এটা ঠিক যে, পূর্ববঙ্গের মুসলিম উঠতি বুর্জোয়া শ্রেণীর তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বুর্জোয়া শ্রেণী বিভিন্ন দিক থেকে এগিয়ে ছিল, কেননা- তারা মুসলিমদের আগে থেকেই ইংরেজী শিক্ষার দিকে ঝুকেছিল এবং বণিকী পেশাতেও তারা অগ্রজ ছিল। ফলে, ইংরেজরা যখন ডিভাইড এণ্ড রুল এর নীতিতে বঙ্গভঙ্গ করলো- ঐ হিন্দু বুর্জোয়া অংশ স্বভাবতই তার বিরুধীতা করে। এবং মুসলিম অংশটিকে গোষ্ঠী স্বার্থেই ইংরেজরা পক্ষে পায়। তবে, এই অংশদুটির বাইরে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে দুই বঙ্গের অনেক মুক্তমনা এই বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা করেছিল এই জায়গা থেকে যে, প্রথমত ইংরেজরা প্রথমবারের মত সাফল্যের সাথে হিন্দু-মুসলিমে বিভেদ টানতে সক্ষম হয়, যা স্পষ্ট হয় পরবর্তি দাঙ্গায়, নজরুল সহ অনেকের লেখনীতে এই দাঙ্গা-বিরোধী বক্তব্য পাবেন (আমার কাজী নজরুল ইসলাম শীর্ষক পোস্ট দ্রষ্টব্য)- [যার চুড়ান্ত ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ধর্মকেন্দ্রিক পাকিস্তান নামক হাস্যকর রাষ্ট্রটির উদ্ভব]; এবং দ্বিতীয়ত- অবিভক্ত বাংলার স্বপ্নচারী ও অভ্যস্ত মানসিকতায় ইংরেজ কর্তৃক নির্মম আঘাতের কষ্ট।
এটা পরিস্কার যে, এই বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনাকারী ইংরেজরা, মুসলীম লীগের উত্পত্তির পেছনেও তাদের ভূমিকা ছিল এবং এটাও ঠিক যে, তাদের এ উপমহাদেশে কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বী একটি রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন ছিল- এবং হিন্দু ও মুসলিমকে বিভক্ত করাও প্রয়োজন ছিল; বেশীদিন এখানে তাদের শাসন-নির্যাতনের রাজত্ব টিকিয়ে রাখার তাগিদেই।
২।
ঢাকা কিন্তু তখন বাংলাদেশের রাজধানী নয়, ফলে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধীতার সাথে বাংলাদেশ চেতনার কোন সম্পর্কই থাকতে পারে না। একটি উদাহরণ দেই- ধরেন এই মুহুর্তে পদ্মাসেতুর একটি সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে। এখন কোথায় এই সেতু নির্মিত হবে সেটা নিয়ে দুদল লোক এলাকাগত সুবিধার ভিত্তিতে একদল মাওয়া আরেকদল পাটুরিয়ায় সেতু নির্মাণের দাবি করলো। সে দাবিতে- পাটুরিয়ায় সেতু নির্মিত হলে যারা লাভবান হবেন তারা সমাবেশ করলো- মাওয়ায় সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে। সেক্ষেত্রে কি বলা যেতে পারে? আমরা এটুকুই বলতে পারি পাটুরিয়ার লোকজন দেশের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভাবতে ব্যর্থ হয়েছে, কেননা মাওয়া সেতু হলেই সবদিক থেকে মঙ্গল। কিন্তু বাংলাদেশ যদি দুটুকরা হয়ে দুটি দেশ হয় যার একদিকে মাওয়া আর দিকে পাটুরিয়া তবে মাওয়ার দিকের লোকজন কি দাবি করবে- অমুক ঐ সমাবেশে মাওয়া সেতুর বিরোধিতা করেছিল- সেজন্য সে আমাদের এই দেশের চেতনা পরিপন্থী??
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা ছিল- সেটা তাঁর বিশেষ স্বপ্ন ছিল। আর, বিভিন্ন সময়ে কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ উভয়বঙ্গের শিক্ষাবিস্তার নিয়ে তাঁর অনেক নিরন্তর ইতিবাচক ভূমিকার কথা সকলেই জানে।
৩।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের আপোষকামী অংশের প্রতিনিধি। উঠতি বুর্জোয়া, জমিদার শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক দল কংগ্রেসও তাই। সূর্যসেন-ক্ষুধিরাম-ভগত সিং- প্রীতিলতা- পরবর্তিতে সুভাষ বোস - এনাদের বিপ্লবী ধারার বিপরীতে কংগ্রেসের ভূমিকা ছিল ব্রিটিশদের সাথে আপোষ-লড়াই-সুবিধা আদায়-আপোষ- নীতিতে চলা এক রাজনৈতিক সংগ্রাম। যার ফলস্বরূপ আমরা পেয়েছি ব্রিটিশদের দান করা পাকিস্তান ও ভারত নামের দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র- এ আমাদের লজ্জা যে, আমরা ব্রিটিশদের বিতাড়িত করতে পারিনি- এ লজ্জা আমাদের দান করেছে কংগ্রেস তথা মহাত্মা গান্ধী ও নেহরু- জিন্নাহরা; যদিও অগ্নিপুরুষ ঐ বিপ্লবীদের কারণেই ব্রিটিশরা এ উপমহাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল- তাই এ লজ্জা আমাদের লাঘবও হয়।
যাহোক, যা বলছিলাম- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আপোষকামী অংশের প্রতিনিধি- ফলে ওনার চিন্তা-ভাবনার মধ্যে এই সংগ্রাম ও আপোষ উভয়েরই সংমিশ্রন পাওয়া যায়। তবে তাঁর সাহিত্য-কর্ম, তাঁর জীবন, তাঁর কর্মপদ্ধতি সবকিছু দেখে তাঁকে একজন অত্যন্ত সংবেদনশীল মনের অধিকারী- সত ব্যক্তি বলেই মনে হয়। ফলে, তার যাবতীয় কর্মকাণ্ডের পেছনে সুবিধা গ্রহণের কোন বিষয় থাকাটা সম্ভব নয়, বরং চিন্তাগত সারল্য জনিত কিছু ভুলের প্রভাবই মনে হয় আপোষের অংশটুকুকে। মনে রাখবেন জালিয়ানওয়ালাবাদের ঘটনায় কংগ্রেস তথা গান্ধীও এত তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
বাংলা ভাষা, বাঙ্গালি সংষ্কৃতি ও রবীন্দ্রনাথঃ
হুমায়ুন আজাদের ভাষায় বলি, "আকাশে সূর্য ওঠে প্রতিদিন, আমরা সূর্যের স্নেহ পাই সারাক্ষণ। সূর্য ছাড়া আমাদের চলে না। তেমনি আমাদের আছেন একজন, যিনি আমাদের প্রতিদিনের সূর্য। তাঁর নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [১৮৬১-১৯৪১]। তিনি আমাদের জীবনে সারাক্ষণ আলো দিচ্ছেন। তিনি বাঙলা ভাষার সবার বড় কবি। তাই নয় শুধু, তিনি আমাদের সব। তিনি কবিতা লিখেছেন, গল্প লিখেছেন, উপন্যাস লিখেছেন, নাটক রচনা করেছেন, গান লিখেছেন, প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি কি লেখেন নি? তিনি একাই বাঙলা সাহিত্যকে এগিয়ে দিয়ে গেছেন কয়েকশো বছর। আজ যে বাঙলা সাহিত্য বেশ ধনী- তার বড় কারণ তিনি"। কিন্তু তিনি শুধু বাঙলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি নন, বাঙলা ভাষার শ্রেষ্ঠ বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানীও। তিনি তাঁর সৃষ্টির মাঝে বাংলাকে যেন নবপ্রাণ দান করেন। ভাষাকেই করে তুলেন সমৃদ্ধ।
সংক্ষেপে ইতিহাসটা একটু বলি(বিস্তারিত অন্য সময়ে বলা যাবে)। চর্যাপদ এর কালে বাঙলা ভাষা ছিল খুবই অবিকশিত। ১৮০১ সালে শুরু হয় আধুনিক বাঙ্গালীর বাংলা গদ্যের ধারা। কেরি, রামরাম বসু, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, রামমোহন রায়, অক্ষয়কুমার দত্ত এবং আরো অনেকের শ্রমে ক্রম বিকশিত হয় সাধুভাষা। ১৮৬০ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাষায় সাধুরীতি স্থির মানরূপ লাভ করে। এরপরে বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ও আরো অনেকে সাধুরীতির বাংলায় নিয়ে আসেন আরো অনেক বৈচিত্র। তবে রবীন্দ্রনাথের কৃতিত্ব অন্যখানে। তা হলো চলতি বাংলা। প্যারীচাঁদ মিত্র ও প্রমথ চৌধুরীর পথ ধরে যখন রবীন্দ্রনাথ গদ্যরীতি হিসাবে চলতি রীতিতে লেখা আরম্ভ করেন- তখন থেকেই কিন্তু চলতি রীতিই মান ভাষা, বাংলা ভাষা। এ কাজ করতে গিয়ে তাঁর ভাষাকে সৃষ্টি করতে হয়েছে। তাই তিনি বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ সন্তান।
শুধু সাহিত্য ও ভাষার ক্ষেত্রেই নয়- রবীন্দ্রনাথ তাঁর অসংখ্য কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ প্রভৃতির মাধ্যমে বাঙ্গালীর মনন, রুচি, সংস্কৃতিও তৈরি করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।
ফলে, আমাদের ভাষা কেন্দ্রিক যে জাতীয়তা বোধ- সেই বাঙ্গালী জাতিয়তাবোধই অসম্পূর্ণ থেকে যায় রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিলে।
কেন ও কিভাবে সোনার বাংলা আমাদের জাতীয় সঙ্গীতঃ
পাকিস্তান সৃষ্টির শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর হাতে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা থেকে যায়- মুসলীম লীগের প্রতিষ্ঠাতা নেতা জিন্নাহর হাত ধরে। যে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের উদ্ভব- সেখানে পূর্ব ও পশ্চিম দুটি অংশের মধ্যে একমাত্র মিল ধর্ম- ইসলাম।
পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী প্রথমেই আঘাত হানে আমাদের বাংলা ভাষার উপর। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেয়ার চেস্টা করা হলো। মূল কারণ ঐ ধর্মকেন্দ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি। ভারতের এক বড় অংশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর ভাষা বাংলা, এই ভাষার উতপত্তি-বিকাশে বড় ভূমিকা বিভিন্ন হিন্দু কবি-সাহিত্যিকদের, তদুপরি পূর্ববঙ্গের মানুষদের সাথে সমস্ত দিক দিয়েই পশ্চিম পাকিস্তানীদের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের সাথে আত্মিক যোগাযোগ যুগযুগ ধরেই অনেক ভালো ছিল। ফলে, পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী প্রথম থেকে এখানকার লোকদের ভাষা, কৃষ্টি-কালচারকে ভালো নজরে দেখতে পারেনি- যা তাদের চোখে হয়ে দাঁড়ায় হিন্দুয়ানি। বাংলাকে তারা দেখেছিল হিন্দুর ভাষা হিসাবে। ফলে খড়গ নেমে আসে ভাষার উপরে- তৈরি হয় বায়ান্নো।
এই ভাষার লড়াই করতে গিয়ে অনন্য এক অভিজ্ঞতা হয় বাংলার। আগের স্ট্রীমের বাংলা থেকে তার একটি পার্থকয় তৈরি হয়ে যায়। এবারে বাংলা পায় একটি লড়াই এর চেতনা। ভাষার জন্য লড়াই- পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাদের বাংলা হয়ে ওঠে তেজোদ্দীপ্ত বাংলা। আর, এর মধ্য দিয়ে আরেকটি ঘটনা ঘটে, সেটা হলো বাঙ্গালী জাতিসত্তার উন্মেষ। এই ভাষা আন্দোলনের তাতপর্য এখানেই অনন্য যে, এর মধ্য দিয়ে আমরা পাকিস্তানী ধর্মভিত্তিক জাতিসত্তার অন্তসারশূণ্যতা উপলব্ধি করি এবং একই সাথে- আবহমান অবিভক্ত বাংলার যে বাঙ্গালী জাতিসত্তা তার সাথেও একটা সীমারেখা তৈরি হয়ে যায় আমাদের এই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাঙ্গালী জাতিসত্তার। ফলে, স্বভাবতই এই বাঙ্গালী জাতীয়তাবোধের সাথে আছে লড়াইয়ের তেজ, আছে অসাম্প্রদায়িকতার চেতনা এবং ভাষার সাথে গাটছাড়া এক সম্পর্ক।
এদিকে ভাষার লড়াইয়ে হেরে গিয়ে শাসক গোষ্ঠী শুরু করে দেয় সাংস্কৃতিক দমন, পীড়ন, নির্যাতন। অন্যান্য অর্থনৈতিক শোষণের সাথে সমান তালে এসবও চলতে থাকে। ফলে, একে কেন্দ্র করে লড়াইও চলতে থাকে সমান তালে। সবচেয়ে বেশী আক্রমণ আসে, রবীন্দ্র চর্চার উপর। কেননা, আগেই বলেছি- রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিলে বাঙ্গালিত্বের আর কিছু থাকে। খুঁজে-ফিরে আমদানি করা হয় মুসলমান কবি-সাহিত্যিককে। এককালের কাফের উপাধী পাওয়া নজরুলকে মুখোমুখি করাতে চাইলো রবীন্দ্রনাথের। আমরা দুজনকেই আকড়ে ধরলাম, কাউকে কারো প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে নয়, দুজনকেই পরম বন্ধু হিসাবে। ফলে, আমরা প্রতিবাদী জলসায় কারার ঐ লৌহ কপাট এর সাথে সাথে আমার সোনার বাংলাও গাইলাম।
তারপর তো, সবই ইতিহাস। রবীন্দ্র জন্ম শতবার্ষিকী। রবীন্দ্র চর্চার উপর নিষেধাজ্ঞা- জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনে বাঁধা, আর অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে লড়াই- এবং রবীন্দ্রনাথের আমার সোনার বাংলাকে আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদায় অভিষিক্ত করা।
এভাবে শাসক গোষ্ঠী রবীন্দ্রনাথকে যতই আমাদের কাছ থেকে দূরে সরাতে চেয়েছে- ততই রবীন্দ্রনাথ হয়ে গেছেন বাঙ্গালী চেতনারই অংশ-বিশেষ।
বাংলা ভাষা, রবীন্দ্রনাথ, জাতীয় সঙ্গীতের বিরোধীতা একই সূত্রে গ্রোথিতঃ
বাংলা ভাষা, রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সঙ্গীতের বিরোধীতার মূলে আছে- সাম্প্রদায়িকতা, উপরের আলোচনায় তা নিশ্চয় এতক্ষণে পরিস্কার হয়েছে। ত্রিভুজ সেনাপতি আশরাফও তার এক পোস্টে এরকম একটি কথা লিখেছিলেন যে, রবীন্দ্রনাথ নিজে ব্রাহ্ম হলেও তিনি হিন্দুত্ববাদের প্রচার করে গেছেন!!!
ত্রিভুজ গোত্রীয়রা আজ যেসব যুক্তি(!!) করছে- একই কথা পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী আমাদের এখানে প্রচারের চেস্টা চালাতো। তাদের হয়ে এ প্রচারকার্যের মূল দায়িত্ব পালন করতো এখানকার রাজাকার ও মুসলিম লীগের দালালরা। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই যে, সে সময়ে চেতনার জায়গা বা লেভেলটা এমন জায়গায় ছিল যে, যখনই কেউ রবীন্দ্রনাথ বা হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলতে আসত- সাথে সাথেই তাকে দালাল হিসাবে প্রতিরোধ করতো। ফলে, রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কোন চক্রান্তই হালে পানি পায়নি।
আজও, দালালরা, মানে রাজাকার-রাজাকারপুত্র-নব্যরাজাকাররা একই ধরণের যুক্তি করতে চায়- জাতীয় সঙ্গীত পাল্টানোর কথা বলে - এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যার অপরনাম বাঙ্গালিত্বের চেতনার মূল যে চেতনা সেই অসাম্প্রদায়িক সেক্যুলার চেতনাকে আঘাত করা।
আরেকটি চমতকার(!) যুক্তি আজকাল প্রায়ই শোনা যায়ঃ এই জাতীয় সঙ্গীত আমাদের বাংলাদেশকে ধারণ করে না; বা আরো ভালো কোন সঙ্গীত যদি বাংলাদেশকে ধারণ করতে পারে তবে- সেটিকে জাতীয় সঙ্গীত করা উচিত। আজ জাতীয় সঙ্গীতকে কেন্দ্র যিনিই কথা বলছেন- বুঝতে হবে চিন্তায়-মানসিকতায় সকলেই 'একই গোয়ালের গরু' প্রকৃতির। সেদিনের মত আজও তাদের দালাল-রাজাকার হিসাবে প্রতিরোধই কাম্য।
আর, বাংলাদেশকে ধারন করা প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য হলো- এই গানের মত বাংলাদেশকে ধারণ করে, আমাদের ইমোশনকে ধারণ করতে পারে আর একটি গানও আমি কোনদিন শুনিনি। এমনকি অন্য যেকটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতের ইংরেজী অনুবাদ পড়েছি- সেগুলোকেও আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের তুলনায় কিছুই মনে হয়নি- কেননা আমাদেরটি একই সাথে দেশকে ও দেশের প্রতি আবেগকে তুলে ধরে। আর, যদি এই গানটির কথায়-সুরে তা এমন মাটিছোয়া-হৃদয়গ্রাহী না-ও হতো, তারপরেও এই গানটিকেই জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে রাখতে হবে এ কারণে যে, এর সাথে একটি ইতিহাস আছে, তাকে ছাপিয়ে আছে একটি চেতনা- যে চেতনাটি হলো অসাম্প্রদায়িক-সেক্যুলার বাংলার চেতনা।সকলকে ধন্যবাদ
০৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যোগ্য একটা জবাব দিয়েছেন। সেলুট আপনাকে।
২৪| ০৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৫:০৯
সেলটিক সাগর বলেছেন:
লেখক বলেছেন: যোগ্য একটা জবাব দিয়েছেন। সেলুট আপনাকে।
========================================
সব প্রশংসা জনাব নাস্তিকের ধর্মকথা আর ওনার পোস্টে কমেন্ট দাতাদের।
আগে এরা (ড়াজাকার রা) নিজের নিকে উল্টাপাল্টা লেখা দিত... এখন তাদের সাহসের অভাব দেখা যাচ্ছে- তাই শ্যডো নিক নিয়ে কমেন্ট করে যায় আজকাল।
আর আপনার পোস্টের বিষয়বস্তুটি দু:খজনক হলেও আমাদের সমাজে প্রচলিত - অনেকে সত্যিই এটা বিশ্বাস করে.... যে রবীন্দ্রনাথ ষড়যন্ত্র করেছিলেন নজরুলের বিরুদ্ধে....
০৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: একবার তো এক লোকের সাথে আমার ভীষণ ঝগড়া হয়ে গেল এই বিষয় নিয়ে।
২৫| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:১০
ওমর হাসান আল জাহিদ বলেছেন: আমি যতদূর জানি, রবীন্দ্রনাথ যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছেন, তা সত্য নয়। এ সম্পর্কে এ. জেড. এম. আবদুল আলী-র একটি কলাম ছিল। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন যে, রবীন্দ্রনাথের ঢাবি প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করার খবরটাও একটা অপপ্রচার মাত্র। যাই হোক, দু:খ জনক ব্যাপার হল আমি কলামটির লিংকটি খুঁজে পাচ্ছিনা।
২৬| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:২৬
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আপনার লেখার সাথে তাল মিলিয়ে একটি লেখা।
Click This Link
২৭| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৩৭
আকাশনীল বলেছেন: আরে আমরা সবাই দেখি এ গুজব শুনছি
০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:৫৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: তাই তো দেখছি।
২৮| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:৪৪
বায়লোজি বলে আমি নাকি ছেলে!! বলেছেন: @সেলটিক সাগর :
রবীন্দ্রনাথের কোন দিক নিয়া কোন সমালোচনা বা দ্বীমত পোষন করলেই রাজাকার হইয়া যাবে য়েটা কোন ধরনের সুস্থ্য মানুষের কথা??
রবীন্দ্রনাথের নিকট আত্বীয় আরেক ঠাকুর লেখক রবীন্দ্রনাথের নানান দিক নিয়া সমালোচনা করে গেছেন??
মুক্তিযুদ্ধের আগে কি তবে ওরাও রাজাকার ছিল??
নরমাল ডায়লগে আসেন......ওপেন ডিসকাশন......
আমি বলেছি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা,উনার কলকাতা কেন্দ্রিক লেখা,লেখায় মুসলমান কেরেক্টার কম......য়েসব বিষয় উনার মুসলমান বিদ্বেষের কথাই বলে......।
আর নাস্তিকের ধর্মকথার লেখা গুলু দিয়ে আপনি যে উপমা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তা হল রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশী বাংগালী বিদ্বেষি ছিলেন না।
আমি কিনতু য়েকবারো বলি নাই যে রবীন্দ্রনাথ বাংগালী বিদ্বেষি ছিল।
আমি উনার বাংগালী মুসলমান বিদ্বেষের কথা বলেছি......
আর রাজধানীর বাইরে যদি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা থাকে.....
যতেষ্ট সুবিধা বন্চিত ছাত্র থাকে যাদের কলকাতায় গিয়ে পড়ার সামর্থ না থাকে তবে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে য়েত য়েলার্জি থাকার কোন কারন আমি দেখি না।
আপাত চক্ষে য়েটাই দেখা যায় যে রবীন্দ্রনাথ চান নাই কলকাতায় না য়েসে কেউ উচ্চ শিক্ষা লাভ করুক......কলকাতার বাইরে কলকাতার সমপৃক্ততা ছাড়া শিক্ষা বিস্তার করুক......।
আরেকটা কথা শুনেন যেখানে সেখানে পাগলের প্রলাপ দিয়েন না।
আমি রবীন্দ্রনাথকে ছোড লেখক কই নাই.....।
য়েখানে রবীন্দ্রনাথের মুসলিম মুল্যায়ন নিয়ে কথা হচ্ছে.....।
অহেতুক হুদা কাজে কেন রাজাকার টপিক টানছেন।
আমিও রবীন্দ্রনাথের বিশাল ভক্ত কিন্তু তাই বলে উনার কোন আলাদা দিকে উনার কর্মকান্ড নিয়ে কথা বলবনা তা তো না...।
২৯| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:৫৬
দিগন্ত বলেছেন: আমি বলেছি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা
- আমি এটা নিয়ে সমস্যার কিছু দেখিনা। রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতা করেছিলেন হিন্দু-মুসলিম ইস্যুতে এটা কষ্টকল্পনা মাত্র। প্রথম কয়েক দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত হিন্দু উচ্চবর্ণের বাঙালীরাই। সুতরাং হিন্দু-মুসলিম লাভক্ষতির হিসাবে এটা আসে না।
৩০| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:০৩
রোবোট বলেছেন: আমিও এরকম গুজব শুনসি। তবে রবীন্দ্রনাথ হিসেবে না, হিন্দুরা দেয় নাই।
তবে গুজবের সেরা হৈলো, শেখ মুজিব নাকি টেলিফোনে ইনদিরার কাছে দেশ বেচে দিচ্ছিলেন এমন সময় মেজর ডালিম এসে গুলি করে মুজিবকে। এই গুজবের রচয়িতাকে আমি নোবেল দিতে চাই।
৩১| ১০ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৩০
প্রক্সিনিক বলেছেন: আসলে তো কোন লেখক বা শিল্পী কেউ কারো বিকল্প হতে পারে না, সবাই যার যার মহিমায় জ্বাজ্জ্বল্যমান।
---সাবাশ।
আমি তো দেখি নজরুল আমাগো আবেগরে বেগে আগাইয়া দেয়, ( আবেগ ছাড়া কিছুই হয় না ) আর রবীন্দ্রনাথ সেই বেগ রে ইট বানাইয়া দেন।
রবীন্দ্রনাথ ব্যক্তিগত ভাবে হিন্দু কৈ ? ব্রাহ্ম। আর নজরুল মুসলমান কৈ? হেই বেটাতো মানুষের চূড়ান্ত স্বরূপ। আমার কৈফিয়ত , সাম্যবাদী কবিতা গুলি কী লোকে পড়ে না ? আর সেই গুলিরে সাইডলাইন কইরা দেয়াতো তারে অপমান করা। নিজে যেটা মানতেন, আমরা সাইডা কইরা, তার থেইক্যা তারে জোড় কইরা সরাইয়া দেয়া।
অবশ্য তাতে রবীন্দ্র-নজরুল এর কিছুই যায় আসে না । আর আসে যায় না, যারা তাদের অনুভব করেন।
বাকীগুলারে স্রেফ পাত্তা না দিলেই হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:১৯
ফারুক৫৫ বলেছেন: এই গুজবটা আমরাও ছোটবেলায় শুনেছি।