নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমা পাগল। সিনেমায় খাই, সিনেমায় ঘুমাই, সিনেমায় পড়ি, সিনেমায় স্বপ্ন দেখি। জীবন সিনেমাময়।

লেখাজোকা শামীম

গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।

লেখাজোকা শামীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে বাধা দিয়ে কি ম্যাসেজ দিচ্ছে সরকার ?

১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৫৯

আজকের পত্রিকা খুলে দেখলাম, সরকার আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালনের অনুষ্ঠানে বাধা দিয়েছে। আগে থেকে দিবসটি পালনের ক্ষেত্রে সরকার নিরুৎসাহিত করেছিল। সরকারীভাবে দিবসটি পালন করা হবে না, সেটাও বলা হয়েছিল।

এই দিবসটি জাতিসংঘ ঘোষিত একটি দিবস। পৃথিবীর ৭০টি দেশে ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয়।

এবারের আদিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আদিবাসী অধিকার উজ্জীবিতকরণে আদিবাসী গণমাধ্যম’। জাতিসংঘ ১৯৯৩ সালকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী বর্ষ ঘোষণা করেছিল। সাধারণ পরিষদ ১৯৯৪ সালে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ৯ আগস্টকে আদিবাসী দিবস পালনের আহ্বান জানায়। এরপর ১৯৯৫ থেকে ২০০৪-০৫ থেকে ২০১৪ দুটো দশককেই আদিবাসী দশক হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ।

আগের বার জাতিসংঘ ঘোষিত এই দিবস পালন করেছিল সরকার। কিন্তু

বাংলাদেশে এবার দিবসটি পালন করতে গিয়ে সরকারি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে আদিবাসীরা। আদিবাসী দিবসের কোনো অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকা এবং কোনো সহযোগিতা না করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

শুধু আদিবাসীরা নয়, মহাজোট সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও সাংসদ প্রকাশ্যে সরকারের এই অবস্থানের বিরোধিতা করেন।

অন্য দিকে আদিবাসী দিবস পালনে সরকারি কোনো বাধা আছে বলে জানেন না স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক। তিনি মুঠোফোনে জানান, তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও দিবসটি পালনে কোনো বিধিনিষেধ নেই।

তাহলে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে বাধা দিয়ে সরকার কি ম্যাসেজ দেয়ার চেষ্টা করল ?

অনেকে তর্ক করে থাকেন, ওরা আদিবাসী নয়, উপজাতি। ওরা যে কী সেটা ওদেরই বলতে দিন। জোর করে কি পরিচয় চাপিয়ে দেয়া যায় ? পৃথিবীর সব দেশেই সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয়। বাংলাদেশের মতো উদার গণতন্ত্রের দেশে সেটা হওয়ার কথা ছিল না, কিন্তু গণতন্ত্রও তাদের রক্ষা করতে পারেনি। তাদের প্রতি আমাদের রাষ্ট্রের মনোভাব এই বাধাদানের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেছে।

একটা কথা, বাধা দিয়ে একটা জাতিকে সাময়িক থামিয়ে দেয়া যায় মাত্র, তার চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যায় না। তারচেয়ে বরং প্রত্যেকের অধিকার মেনে নেয়ার মধ্যেই শান্তি নিহিত ।



অফ টপিক : আদিবাসীদের বিষয় নিয়ে লেখালেখি দেখলেই অনেকের গালাগালি করতে ইচ্ছা করে। যারা গালাগালি করতে চান, মনের খুশিতে করেন, মন খুলে করেন। গালাগালি তারাই করে, যাদের কাছে কথা চালিয়ে নেয়ার মতো সুন্দর যুক্তি নাই। নিজের মধ্যে জাতি বিদ্বেষ পুষে রেখে কখনো অন্য কোন জাতির অধিকার বোঝার কথাও না।



আমার সিদ্ধান্ত : অনেক সম্মানিত ব্লগারদের মতামত ও বিভিন্ন অনলাইন সাইট ঘাটাঘাটি করে এটাই বুঝলাম যে, বাংলাদেশে বাঙ্গালি ছাড়া অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর যারা আছে, তারা সাংবিধানিকভাবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।

এখানে ব্লগার আশিক হাসানের মন্তব্যের কিছু অংশ যোগ করতে চাই । আশিক হাসান বলেছেন, একজন সাধারন নাগরিকের কাছে আদিবাসী এবং উপজাতি দুটি নামবাচক শব্দ ব্যাতীত অন্য কিছু মনে করার কারন নাই । আর সেকারনেই বাংলাদেশের প্রায় সকল নাগরিকের কাছে মনে হতে পারে সরকার অহেতুক এই নাম বিভ্রাটের ইস্যুতে সময় অপচয় করছে। আর চট্টগ্রামের মারমা,চাকমা,মগ এরা যদি নিজেদের আদিবাসী বলতে চায় তাহলে কি এমন ক্ষতি হয় দেশের অথবা সরকারের? এই প্রশ্নর উত্তর খোঁজার জন্য একটু কষ্ট করে চোখ বুলাতে হবে দুটি আইএলও কনভেনশনের দিকে যথাক্রমে ১০৭ এবং ১৬৯। ১০৭ ধারাটি ১৯৫৭ সালে জাতিসংঘ কতৃর্ক গৃহীত হয় । এই ১০৭ ধারাটি বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে গ্রহন করে। এই ধারার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো যে উপজাতি জনগোষ্ঠিকে মূলধারার জনগোষ্ঠীর সমকক্ষ হতে সহায়তা করা হবে । যে বিষয়টি বংগবন্ধু তার ভাষনে বাংগালীদের মত হতে হবে উল্লেখ্য করলে তৎকালীন কিছু উচ্চাভিলাষী পাহাড়ী নেতারা তার ভুল ব্যখ্যার মাধ্যমে সশস্ত্র সংগ্রামের সূত্রপাত করে। আবার ফিরে আসি ১০৭ এবং ১৬৯ ধারাতে । ১০৭ ধারাতে জাতিসংঘ উপজাতি বা আদিবাসীদের জন্য যে ধারাসমূহ দেয়া আছে তা বর্তমান সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয় । বরং পরবর্তীতে ১৬৯ ধারা যা ১০৭ ধারার নতুন সংস্করন এই ধারা সরকার মেনে নিলে সেক্ষেত্রে উপজাতি সমূহ নিজেদের কে আদিবাসী হিসেবে দাবী করতে পারবে এবং সেক্ষেত্রে দেশের সংবিধান এবং সার্বভৌমত্ব লংঘনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে ।

এ কারণেই সরকার আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান নিরুৎসাহিত করছে। সরকারের ম্যাসেজটি অত্যন্ত পরিষ্কার। সরকার এই দেশে কোন আদিবাসী আছে এটা স্বীকার করে না। বাঙ্গালি জাতির বাইরে যারা আছে তারা সবাই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্গত। তারা উপজাতি কিন্তু আদিবাসী নয়।



http://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_people



http://en.wikipedia.org/wiki/Chakma_people



http://en.wikipedia.org/wiki/Garo_people



http://en.wikipedia.org/wiki/Kaptai_Dam



Click This Link



http://www.mochta.gov.bd/



Click This Link

মন্তব্য ৭৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৩

shfikul বলেছেন: একমত।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:২২

ধীবর বলেছেন: যে দেশটিকে স্বাধীন করতে ৩০ লাখ প্রাণ ঝরে গিয়েছে, তাকে টুকরা করার ষড়যন্ত্রে অন্তত আপনাকে দেখতে পাবো আশা করিনি শামিম ভাই। আপনার এই অবস্থান নব্য রাজাকার সুলতানা কামাল-মীর জাফর-সিমিন হোসেন-মইত্যা মাহাফুইজ্যা এবং রাজনৈতিক টাউট ইনু মেননের সমন্তরালে। আপনি কি ওদের শুদ্ধ শুদ্ধ কথা শুনে বিভ্রান্ত হয়েছেন। নাকি আগে থেকেই বিভ্রান্ত ছিলেন।

জামাতের রাজাকারগুলিও তো দাবি করে ওরা রাজাকার ছিল না। দাবি করলেই কি মেনে নিতে হবে?

আর আদিবাসির সংজ্ঞা হিসাবে চাকমা রা কোন হিসাবে আদিবাসি? উপজাতি হিসাবে হাত পা খেলিয়ে বিশেষ কোটা ভোগ করে দিব্যি তো আছে। যারা দেশের অখন্ডতা মানে না, তাদের জন্য শুধু দেশদ্রোহিদের সমর্থন আছে, অন্য কারো না।

এই তো গতকালই সন্ত্রাসিদের অন্যতম, সন্তু লারমা আবারও লড়াইয়ে নামার ঘোষনা দিয়েছে। যদি সে রকমই কিছু ঘটে, তাহলে চাকমা বলে বাংলাদেশের কোনদিন কোন কিছুর অস্তিত্ব যে ছিল, তার সব চিহ্ন মুছে দেবার দাবি করবো আমি। বাংলাদেশের মানুষ অনেক বছর ধৈর্য্য ধরে আছে। আর না। সাথে এই বেঈমানদের পক্ষ্যের মানুষজনকে ইতিহাসে মাথায় ঠাই দেবার পক্ষ্যে আমার তীব্র সহমত।

আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় ঘটুক।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩৩

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি তো আগেই বলেছি, বুকের মধ্যে জাতি বিদ্বেষ পুষে রেখে অন্য কোন জাতির আবেগ বোঝার কথাও না।

যেই রাজাকারদের কথা বলেছেন, তারাও কিন্তু পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য রাজাকার হয়েছিল। অখণ্ডতা রক্ষা অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু সেই অখণ্ড রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী প্রত্যেকের স্বাধীন মতামত প্রকাশ ও সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

আচ্ছা, আদিবাসী দিবস পালন করতে দিলে আমাদের কী ক্ষতি ? কেবল পার্বত্য চট্টগ্রামে কিন্তু আদিবাসী থাকে না। রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট অঞ্চলেও আদিবাসী/উপজাতিরা থাকে।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪২

রবিনহুড বলেছেন: বাংলাদেশে যাদের আদিবাসী বলা হচ্ছে তারাকি প্রকৃত পক্ষে আদিবাসী?

কখনই নয়।

আমি নিজেই টিভিতে টিংকু ট্রাভেলারের বাংলা লিন্ক পথে পথের এক অনুষ্ঠানে দেখেছি, চাকমা রাজার তার সাক্ষাতকারে নিজেই বলেছেন যে, তারদের পূর্ব পুরুষ আরাকানের রাজার ভাই ছিল... দুই ভাই যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং একজন পরাজয় বরন করে... এখন নিয়ম অনুসারে যে পরাজয় বরন করেছে তাকে তো জয়ীর অনুগত হয়ে তাকে কুর্নিশ করতে হবে....
একজন রাজার পক্ষে অন্যকাউ কে কুর্নিশ করা সম্ভব না...
তাই পরাজিত রাজা তার সন্য সামন্ত ও প্রজাদের নিয়ে আরাকান থেকে পার্বত্য চট্রগ্রামে চলে এসে আবাস গড়েন... ও বসবাস করতে থাকেন....

এভাবেই তারা এই দেশে মাইগ্রেট করেন বলে চাকমা রাজা নিজে্ই নিজদের মাইগ্রেট অধিবাসী বলে দাবি করেনছেন...


যার মানে যেখানে তারা নিজরাই নিজেদের আদিবাসী বলে দাবি করে না....


সেই ক্ষেত্রে কিছু এনজিওর প্ররচনায় তাদেরকে আদিবাসী বলে দাবি করা হয়। এনজিওদের কিছু নিজস্ব স্বার্থ আছে। জাতিসঙ্ঘের কিছু অনুদান আছে আদিবাসীদের জন্য। এই অনুদান বাংলাদেশের উপজাতিদের জন্য তারা আনতে পারছে না... এগুলো একটা বড় অংশের টাকা হাতছাড়া হবার কারনে তারা চায় আদিবাসি প্রমান করে সেই টাকাটা এই দেশে আনতে...

সবাই যার যার নিজের সার্থের জন্য কথা বলে...এনজিওরা তাদের নিজের সার্থের জন্য আদিবাসী বলে প্রচারনা চালাচ্ছে।


আদিবাসী কাদের বলে? সেটা আগে বুঝতে হবে....

উপজাতিদের যদি আদি বাসী বলা হয় তাহলে এই দেশে সবার আগে কারা এসেছিল... সেটা একটু তথ্য সূত্র দিয়ে দেখাবেন কি?

নৃতাত্বিক দিয়ে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এই দেশে সবার আগে আমরা বাঙ্গালীরাই অধিবাসী হিসাবে আবাস গড়েছিলাম...


এটা ভূল ও হাস্য কর যে, এই দেশে বাঙ্গালীদের আগে অণ্য কোন জাতি এসেছিল বলে দাবি করা হয়... এই রকম কোন তথ্য বা সূত্র ঐতিহাসিক ভাবে প্রমানিত হয় নি...

সেই ক্ষেত্রে বলতে হয়. এই দেশের আদিবাসী আমারা বাঙ্গালীরা নিজেরাই। পরবর্তীতে অন্যান্য নৃগোষ্টি এখানে বসবাস করতে আসে...

যারা আদিবাসী বলে দাবি করছেন তারা তথ্য সূত্র দিয়ে দেখাবেন কি এই সকল আদিবাসী কখন আমাদের আগে এই দেশে বসবাস করত?

অন্য নৃগোষ্ঠি হলেই তারা আদিবাসি হয়ে যায় না.....
আদিবাসি হবার প্রধান পয়েন্ট হলে তাদেরকে বর্তমান জনগোষ্ঠী থেকে আগে এসে এখানে বসবাসের প্রমান থাকতে হবে....
এই দেশের ভৌগোলিক সীমা রেখার মাঝে বাঙ্গালীরাই সবচে আগে এসেছে... তার পরে অন্যান্য নৃগোষ্ঠী এসেছে....

আর সেটা কিন্তু এই দেশের পাহাড়ী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির ক্ষেত্রে প্রমানিত নয়।

একটা ভৌগলিক রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে কারা সেখানে সবার আগে বসবাস করত সেটাই বড় বিবেচ্য বিষয়। পরবর্তীতে কিছু পতিত জায়গায় কেউ এসে বসবাস করলেই তারা সে স্থানের আদিবাসী হয়ে যায় না...


আষ্ট্রেলিয়াদে আদিবাসী আছে... সময়ের বিবর্তনে তাদের সংখ্যা কমে গিয়েছে আর সাদা চামড়া দের আধিক্য চলে এসেছে... এই সাদা চামড়া রা কিন্তু আষ্ট্রেলিয়াতে আগে বসবাস করত না...

তাই বলে এটা কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে হয় নি...


আচ্ছা বলেন তো, ওরা যদি আদিবাসী হয় তা হলে আমরা কবে কোথা থেকে এই দেশে এসেছি?

তথ্য সূত্র দিয়ে একটু দেখাবেন কি আমার ১. কবে ২. কোথা থেকে এই দেশে এসেছি?

১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪৫

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ওদের আদিবাসী বলাটা এই পোস্টের উদ্দেশ্য না। ওদের উপজাতি বলতে আমার কোন দ্বিধা নাই।
রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা আদিবাসী শব্দটা ব্যবহার করি না। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তিতে কোথাও আদিবাসী শব্দটা নাই - লেখা আছে উপজাতি।

প্রকৃতপক্ষে আমরাই এই অঞ্চলের আদিবাসী, ওরা নয়।

এই পোস্টটা দিয়েছি, একটা প্রশ্ন থেকে। ওরা যদি আদিবাসী না হয়, তবে আমরা কেন এত কাল আদিবাসী দিবস পালন করেছি ? আর এখন কেন বাধা দিচ্ছি ?

এই বিষয়টা নিয়ে সরকারের আরও কাজ করার আছে। ওরা যে আদিবাসী নয়, উপজাতি - এইটা প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব সরকারের।

তবে একটা কথা মনে রাখা দরকার। ওদের অধিকার কিন্তু আমরা মেনে নিয়ে শান্তি চুক্তি করার মাধ্যমে। সুতরাং সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোর দেখিয়ে ওদের অধিকার হরণ করার মতো বোকামী যেন না করি।

একটা জাতির মধ্যে খারাপ লোক থাকতে পারে। কিন্তু সবাই খারাপ হয় না।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪২

ধীবর বলেছেন: তাহলে এক কাজ করা যাক শামিম ভাই। জামাতকেও বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্থানি স্বাধীনতা দিবস করতে দেবার অনুমতি দেয়া হোক। কি বলেন?

চাকমাদের নাক বোচা, সাইজে বাটখারা, ল্যাংটা থাকে, শুচি নেই, দাত মাজে না, কাফের, এই সব বলে যদি ওদের বিরোধীতা করা হতো, তবে সেটাই হতো জাতি বিদ্বেষ।

ওদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরুপ সন্ত্রাসি কার্যকলাপের বিরোধীতাকে আপনি কোন হিসাবে জাতি বিদ্বেষ হিসাবে গণ্য করলেন, সত্যি মাথায় ধরলো না।

আদিবাসি দিবস নিয়ে রংপুর ময়মনসিং হ কুমিল্লা ইত্যাদি অঞ্চলের উপজাতিদের মাথা ব্যাথা নেই। অথচ বার্মা থেকে পালিয়ে আসা চাকমা সন্ত্রাসিদের আদিবাসি বলে নর্তন কুদনের কোন সীমা নেই।

আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে আমাদেরই।আপনার সম্বিত ফিরে আসুক, এই শুভ কামনায়।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পুরো ব্যাপারটা এত সহজ না।

আপনি বলেন তো, একটা জাতির ১ লক্ষ লোককে উচ্ছেদ করবেন, তাদের কোন ক্ষতিপূরণ দেবেন না। উল্টো তাদের জমি জায়গা দখল করাবে অন্য লোকজন বসিয়ে। তারপর বলবেন, তোমরা আমরা একই জাতি। এটা কি কেউ মেনে নেবে ?

আমার তো মনে হয় ,কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে ১ লক্ষ মানুষের উচ্ছেদ করাটাই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। সেই ভুল অবশ্য আমরা করি নি। করেছিল আইউব খান। আমরা সেই ভুল কেবল বাড়িয়ে গিয়েছি।

আমার মনে হয়, এত আবেগ দিয়ে না দেখে একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবা দরকার, আমরা কি কোন ভুল করছি কি না। শেখ মুজিব , জিয়া যা করে গেছেন , সেটা কিন্তু সমস্যার সমাধান করে নি।

আপনি বিষয়গুলো সবই জানেন বলে আমি মানি। তারপরও নিচের তথ্যসূত্র ভালোভাবে দেখার অনুরোধ জানাই। একটু সময় নিয়ে পুরোটা পড়েন প্লিজ। আমরা কি আরেক জনের কথা না শোনার মতো অসভ্য জাতিতে পরিণত হব ?

Click This Link

Click This Link

http://www.angelfire.com/ab/jumma/

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪২

ধীবর বলেছেন: তাহলে এক কাজ করা যাক শামিম ভাই। জামাতকেও বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্থানি স্বাধীনতা দিবস করতে দেবার অনুমতি দেয়া হোক। কি বলেন?

চাকমাদের নাক বোচা, সাইজে বাটখারা, ল্যাংটা থাকে, শুচি নেই, দাত মাজে না, কাফের, এই সব বলে যদি ওদের বিরোধীতা করা হতো, তবে সেটাই হতো জাতি বিদ্বেষ।

ওদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরুপ সন্ত্রাসি কার্যকলাপের বিরোধীতাকে আপনি কোন হিসাবে জাতি বিদ্বেষ হিসাবে গণ্য করলেন, সত্যি মাথায় ধরলো না।

আদিবাসি দিবস নিয়ে রংপুর ময়মনসিং হ কুমিল্লা ইত্যাদি অঞ্চলের উপজাতিদের মাথা ব্যাথা নেই। অথচ বার্মা থেকে পালিয়ে আসা চাকমা সন্ত্রাসিদের আদিবাসি বলে নর্তন কুদনের কোন সীমা নেই।

আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে আমাদেরই।আপনার সম্বিত ফিরে আসুক, এই শুভ কামনায়।

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪৯

সুপান্থ রহমান বলেছেন: এবার আদিবাসী দিবস পালনে কোথাও কোন বাধা দেয়া হয় নাই......ওই সরকারী চিঠিতে বাধা দেয়ার কথা লেখাও ছিলোনা...সরকারী কর্মকর্তাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করতে এবং সহযোগিতা না করতে বলা হয়েছিলো......সরকার তার কর্মচারীদের কোন অনুষ্ঠানে,যে সরকার সাংবিধানিকভাবে বা অফিসিয়াললি স্বীকার করেনি,সেই অনুষ্ঠানে অংশ না নিতে বলতেই পারে.........আর সহযোগিতা না করার যে কথা বলা হয়েছে...সেইক্ষেত্রে কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি অনুষ্ঠানেই পর্যাপ্ত পুলিশী নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছ............
..............আর ভাই,,,,,সমতলের আদিবাসীদের সাথে পাহাড়ের ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীগুলোকে মেলালে চলবেনা...সমতলের আদিবাসীরা অনেক পিছিয়ে...সব দিক থেকে...তাদের হাতে বাঙালীর রক্ত নেই...এমনকি তারা মুক্তিযুদ্ধেও প্রত্যক্ষ লড়াাইয়ে গৌরবদীপ্ত অংশগ্রহণ করেছে.....আর পাহাড়ের প্রায় সবাই (২/১ একটি ব্যতিক্রম বাদে) ছিলো রাজাকার....................আর পার্বত্য চট্টগ্রামের মাত্র দশ লক্ষ পাহাড়ীকে বাংলাদেশ সরকার যে সুযোগ সুবিধা প্রদান করে....শিক্ষা,চাকুরী সর্বত্র কোটা সংরক্ষণ করে.....তা পৃথিবীর ইিিতহাসে বিরল......এতো সুযোগ সুবিধা পেয়েই তাদের চোখ এখন আকাশে...............পাহাড়ের সমস্যা ঢাকায় থেকে বোঝা যাবেনা.....পাহাড়ে এসে কিছুদিন থাকলে.....অণÍতঃ ১ বছর......তাহলেই বুঝবেন...যাদের জন্য এতো মায়াকান্না তাদের আসল স্বরূপ কেমন....................

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কিন্তু পত্রিকায় লিখেছে বাধা দেয়া হয়েছে ।


Click This Link

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫০

রবিনহুড বলেছেন: {আমি তো আগেই বলেছি, বুকের মধ্যে জাতি বিদ্বেষ পুষে রেখে অন্য কোন জাতির আবেগ বোঝার কথাও না।}

@

আপনার এই কথাটা অনেকটা সুশীল টাইপ হয়ে গেলো না? তাদের আইনত অধিকার আছে কি না আদিবাসী হিসাবে অধিকার পাবার, সেটা বিবেচনা না করে আগেই আপনি বলতে এসেছেন ৎতাদেরকে আদিবাসী হিসাবে না মেনে নেয়াতে জাতি বিদ্ধেস তৌরি হচ্ছে...'

এটা তো হাস্যকর... আইনগত ভাবে তাদের যেটা পাবার অধিকার নেই সেটা আমি কেন তাদের দিব?

আর সেটা না দিলেই আমি কি খারাপ হয়ে গেলাম?

আর আদিবাসী হিসাবে তারাই বা কেন এত উৎসাহী হয়েছে সেটা কি আপনি অনুমান করতে পারছেন?

আদিবাসী হিসাবে অবশ্যই তারা কিছু বাড়তি সুযোগ সুবিধার পাবে তাই তাদের এত নর্তান কুর্দন....

আচ্ছা বলুন তো আমাদের নিজের অধিকার ছেড়ে কেন তাদের আমরা অধিকার দিতে যাব?

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৭

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আইনগতভাবে তারা আদিবাসী নয়। শান্তি চুক্তিতে তাদেরকে উপজাতি বলা হয়েছে।

তবে তারা তো সংখ্যালঘু। সংখ্যালঘু হিসেবে কিছু সুযোগ সুবিধা তো তারা পেতেই পারে ।


যেমন তাদের জন্য রয়েছে আলাদা মন্ত্রণালয়।

http://www.mochta.gov.bd/index.php/home

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পাহাড়ের বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করছি। পোস্ট পর্যবেক্ষনে নিলাম। আয়োজন করে শান্তিচুক্তি করা আবার এখন এসে ইনডিজিনাসদের (আদিবাসী বা উপজাতী বললাম না) সাথে এরকম বিমাতাসুলভ আচরণ, সন্তু লারমার লড়াইয়ের ঘোষণা। ডাল মে কুচ কালা জরুর হ্যা।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমিও বিষয়টা ঠাণ্ডা মাথায় বোঝার চেষ্টা করছি। তার অংশ হিসেবেই এই পোস্ট।

মন্তব্যগুলো পড়ে বুঝতে পারছি , এই বিষয়ে মানুষ মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারছে না।

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫৮

shfikul বলেছেন: শান্তিচুক্তি ছিলো সবচেয়ে বড় ভুল।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি জানি না।

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫৯

মেনােশদাস বলেছেন: আমাদের গণমাধ্যমে আদিবাসী জীবনের যে চিত্র পাই , তা খন্ড চিত্র মাত্র। আদিবাসীরা তখনই সংবাদের বিষয় হন যখন তাঁদের উপর কোনো নিপীড়ন চলে। কিন্তু তাঁদের অফুরন্ত সক্ষমতা, সম্ভাবনা কিংবা গৌরবময় দিক মিডিয়ায় উপেক্ষিত থেকে যায়।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কথাটা সত্য।

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০০

রবিনহুড বলেছেন: এখানে আাদি বাসী কারা সেটা বোঝানোর জন্য কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া হয়ে থাকে।

অনেকেই ধারনা করে যে, সাবার আগে এসে বসবাস করলেই তারা আদিবাসী হয়ে যায়।

বিষয়টা পুরোটা সেই করম নয়। বসবাসের অবস্থানটা রাষ্ট্রীয় ভাবে পারোটা কাদের অধিনে সেটাও বিবেচনা করতে হবে।

এখন দেখা গেলো যে, রাষ্ট্রীয় সীমারেখার বাংলাদেশের ভেতরে বেশ কিছু জায়গা খালি পরে রয়েছে...
এমনি একটা জায়গা ধরা যায় পদ্মার ভেতরে একটা নুতন চড় তৌরি হল... সেটা বেশা কিছু দিন জনমানবহীন ... এমতা অবস্থায় আফ্রিকা থেকে কিজু জুলু গোত্রের লোক এসে এই পদ্মার চড়ে বসবাস করা শুরু করল....
এখন বুলুল তো এই জুলু গোত্রের লোকরা কি আমাদের দেশের আদিবাসী হয়ে গেলো?

এটা কখনই না.... কারন রাষ্ট্রীয় ভাবে এই পদ্মার চড় বাঙ্গালীদের ... সুতরার এই জায়গার মানিকানা রাষ্টীয় ভাবে বাঙ্গালীদের হবার কারনে এখানে জুলা সম্প্রদায় বসবাস করলেই তারা আদিবাসী নয়, তারা তখন উপজাতি হিসাবে গন্য হবে।



সাবার আগে আমাদের প্রয়োজন কাদের "আদিবাসী" হিসাবে গন্য করা হবে আর কারা "উপজাতি" হিসাবে গন্য হবে সেটার সংঙ্গা বোঝা....


চাকমারা কিন্তু আরাকানের আদিবাসী, বাংলাদেশের আদিবাসী নয়।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমার মনে হয়, আদিবাসী ও উপজাতি একই সঙ্গে হওয়া যায়।

আমরা বাঙ্গালিরাও এই অঞ্চলের আদিবাসী। কিন্তু আমরা উপজাতি না।

ওরা পাহাড়ি অঞ্চলের আদিবাসী কিন্তু উপজাতি।

উপজাতি হলেই যে আদিবাসী হবে না, সেটাই বা ঠিক কেন ?

নিচের লিংক দুইটা দেখেন।

http://en.wikipedia.org/wiki/History_of_Bengal

http://en.wikipedia.org/wiki/Chakma_people

১২| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৮

রবিনহুড বলেছেন: শামীম ভাই

কাপ্তায় বাধ দিয়ে ১ লক্ষ লোক "উচ্ছেদ" কথাটার সাথে আমার আপত্তি আছে।

এখানে "উচ্ছেদ" শব্দটা খাটে না.....


যখন কো কিছু করা হয়, দেশের স্বার্থে তখন কাউকে না কাউকে ত্যাগ স্বীকার করতেই হয়। সেই আমালে এত বড় লো কষ্ট পাওয়ার প্লান্ট তৌরি করার মত অন্য কোন বিকল্প পথ ছিল কি?
কখনই না...
আর এটা করার ফলে কাউকে যদি জায়গা ছেড়ে চলে যাওয়াটা "উচ্ছেদ' বলে অবহিত করেন... তা হলে বলতে হয় যে, ঢাকা-চিটাগাং হাইওয়ে ২লেন থেকে ৪ লেন, ও ভবিষ্যতে হয়তো ৬/৮ লেন হলে আশেপালের বহু জনবসতি সরিয়ে নিতে হবে...

তাদেরকেও কি আপনি "উচ্ছেদ" করা হয়েছে বলে দাবি করবেন?

তা হলে তো রেঙ্গস ভবন ভেঙ্গে সেখানে তেজগাও লিংন্ক রোড তৌরি হয়েছে তারা সবাই "উচ্ছেদের" স্বীকার....

রাস্তাঘাটন রেল লাইন তৌরিতে বাঙ্গালীরা "উচ্ছেদ" হলে আপনার মন কাদে না... শুধু মন কাদে পাহাড়ীদের জন্য.....

বড়ই বিচিত্র আপনার মন.... ;)

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ওরা উচ্ছেদ হলে আমার মন কাঁদে না। কাঁদার কোন কারণও নাই। কারণ আমি সংখ্যা গরিষ্ঠ, আমি বাঙ্গালি। আমি কেন সংখ্যালঘু উপজাতিদের জন্য কাঁদতে যাব ? আমাকে সেটা মানায়ও না।

আমি কেবল একটা সত্য ঘটনা তুলে ধরেছি।

মাথা গরম না করে নিচের লিংকটা একটা পড়বেন ?


Click This Link

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১১

জীবনকেসি বলেছেন: শামীম ভাই, আপনার সমালোচনা করার ধৃষ্টতা আমার নেই। তবুও যে কথাগুলো না বলে পারছিনা। শ্রদ্ধেয় আবদুল গাফ্ফার চৌ লন্ডনে বসে বাংলাদেশের সম্পর্কে শুধুমাত্র পত্রিকা পড়েই কলাম লিখতেন। আর আমাদের দেশের কয়েকজন দালাল শ্রেণী যারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া তারা ঢাকায় বসে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে বাঘা বাঘা মন্তব্য করেন যা শুধুমাত্র বিব্রতকর পরিস্থিতিরই সৃষ্টি করে।
বাস্তব অবস্থা বড়ই ভয়ন্কর। শুধুমাত্র যারা চাকুরি বা ব্যবসার সুবাদে এখানে থাকেন তারাই অনুমান করতে পারেন আদিবাসীরা কি চিজ। মানসিকভাবে এরা কখনোই বাংলাদেশী নয়, শুধুমাত্র নিজ নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য কতিপয় সুবিধাভোগীরা বিশাল জনগোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করে। রুট লেভেলের দুস্থরা জানেই না কোথায় কি হচ্ছে। শুধু কয়েকজন অর্ডার করে ওখানে যেতে হবে , না গেলে নির্দিষ্ট অংকের জরিমানা গুনতে হবে।
এসব এলাকায় বসবাসকারী প্রত্যেক উপজাতিকে নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিতে হয়। প্রত্যেক দোকান থেকে নির্দিষ্ট চাঁদা আদায় হয়। যা নিরীহ ব্যক্তিরা উপোস থেকেও পরিশোধ করে থাকে প্রাণের ভয়ে। অতীব নিরীহ কেউ কেউ আবার এলাকা ছাড়াও আছে।

এরা কোন উন্নয়ন চায় না। রাস্তাঘাট করার প্রচন্ড বিরোধী। রাস্তাঘাট হলে সাধারণ মানুষের চোখ কান খুলে যাবে, তারা নিষ্পেষিত হতে পারবে না। যার কারণে যে কোন উন্নয়ন কর্মকান্ডে এদেরকে বিশাল পরিমান ট্যাক্স দিতে হয়ে। যাতে কাজটি কোন রকম ভাবে শেষ হয়। উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।

জেলা পরিষদের নামে চলে হরিলুটের কারবার। ৮০% বরাদ্দের টাকা কয়েকজনের পকেটেই থাকে। ১০-২০% কাজ হয় না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের নামে অথর্ব, গন্ডমূর্খদের চাকুরী দেয়া হয় টাকার বিনিময়ে, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াতে না পারে।

এরা বিশ্ববিদ্যালয় করার বিরোধীতা করে রাংগামাটিতে বিশ্ববিদ্যালয় হতে দেয়নি।

এরা নিজেদের সন্তানদের ভারতে, কিংবা ঢাকায় ক্যামব্রিয়ানে পড়াচ্ছে। কিন্তু রুট লেবেলের বিশাল অংশকে বঞ্চিত করছে শুধুমাত্র রাজনীতি বাচানোর জন্যই।

আমি অনেক বছর অত্যন্ত কাছ থেকে এসব বিষয়গুলো দেখেছি। প্রথম প্রথম আমিও আপনার মতোই ধারণা করেছিলাম। প্রায় তিন বছর পর আমার নিজের ধারণা ভুল প্রমানিত হয়েছে।

এরা রাষ্ট্রের সকল সুবিধাই নিচ্ছে। শিক্ষা, চাকুরি সর্বত্র কোটা, আমাদের করের টাকায় রেশন, সব সব। কিন্তু নিজেদের বাংলাদেশী ভাবতে এদের ভয়ানক কষ্ট।
এরা উপজাতি ছিল। কিন্তু হঠাত করেই গত তিন চার বছর এরা আদিবাসী হয়ে গেল কেন জানিনা। উদ্দেশ্য ভাল নয়।

পার্বত্য শান্তি চুক্তি যদি আপনার পড়া থাকে তবে আরেকটু উল্টাবেন। কোন সুস্থ নাগরিক এটা মানতে পারেন না। কয়েকজন, মাত্র কয়েকজন সন্ত্রাসীর নিকট স্বাধীন, সাবভৌম রাষ্ট্রের পরাজয়। চরম পরাজয়।

ধীবর দাদার বক্তব্যের সাথে আমিও বলি, আপনার এই অবস্থান নব্য রাজাকার সুলতানা কামাল-মীর জাফর-সিমিন হোসেন-মইত্যা মাহাফুইজ্যা এবং রাজনৈতিক টাউট ইনু মেননের সমন্তরালে। আপনি কি ওদের শুদ্ধ শুদ্ধ কথা শুনে বিভ্রান্ত হয়েছেন।

ভাল থাকবেন, অগ্রিম ঈদ মোবারক।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১৩

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: দুর্নীতি সব জায়গায়ই আছে। দুর্নীতি দিয়ে একটা জাতির সবাইকে বিবেচনা করা ঠিক না।

পার্বত্য শান্তি চুক্তি আমি পড়েছি। এই মুহূর্তে আমার কম্পিউটারে সেটা খোলা আছে। কোথায় স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের পরাজয় হয়েছে বুঝলাম না। একটু উল্লেখ করবেন ? আমি আসলেই বিষয়টা বুঝতে চাই। আমি সব কিছু জানি সেটা তো নয়। অনেকেই ভেবে বসে আছেন, আমি বোধহয় সব জানি।

চুক্তিটা পাবেন এখানে।

http://www.mochta.gov.bd/index.php/home

১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১২

নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: উপরে ব্লগার ধীবর এবং রবিনহুড আপনাকে খুবই সুন্দরভাবে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু আপনার ভাব দেখে মনে হচ্ছে , বিচার মানি বাট তালগাছ আমার! উনাদের যুক্তিপূর্ন কথাগুলোর উত্তরে আপনার সস্ত ত্যানা প্যাঁচানো কমেন্ট দেখে আসলেই হতাশ হলাম। আপনাকে টিপিকাল সস্তা সুশীল মনে হয়নি সামুতে। বাট স্যরি টু সে, আজ আপনাকে নতুন করে চিনলাম। কিছু বার্মিজ ডাকাত যারা আবার প্রকাশ্য সন্ত্রাসী সহায়তা পায় ভারত-বার্মা থেকে , তাদেরকে যে বা যাহারা "আদিবাসী" বলার মত দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করে, তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হয় না।

আহমদ ছফা বলেছিলেন, এ দেশের বুদ্ধিজীবিরা যা বলেছিলেন তা শুনলে এদেশ স্বাধীন হতো না। এই দেশ স্বাধীন হয়েছে , আমার পুর্বপুরুষের রক্তের দামে কেনা হয়েছে দেশটা। অর্থাৎ অসব সুশীল বুদ্ধিজীবিরা উষ্টা খেয়েছেন। এই দেশের এক ইঞ্চি ভূমিও কোন বার্মিজ ডাকাতরে বিলানোর জন্য না। সস্তা , চালবাজ, হালুয়া -রুটি খাওয়া সুশীলের দল তথাকথিত "আদিবাসী" নিয়ে ভড়ং করতেই পারে, কিন্তু তারা যাতে আহমদ ছফার কথাটা ভুলে না যায়। সময়মত সাধারন মানুষের উষ্টানি কপালে ঠিকই জুটে যাবে। এই দেশ কারো দয়ায় পাওয়া না, এই দেশে রক্ত দিয়ে কেনা। সুতরাং এই দেশের মানুষদের রক্ত যখন জ্বলবে তখন সস্তা সুশীলামির জায়গা হবে ডাস্টবিনে।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সুশীলদের দিয়ে কোন দেশ স্বাধীন হয় না। স্বাধীনতার জন্য দরকার রক্ত, বুকের তাজা রক্ত।

আমার মনে হয় না, চাকমারা সামরিক শক্তিতে কোনভাবে আমাদের সমকক্ষ। পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক অভিযান চালালে তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে আবারো পালিয়ে যাবে। এই রকমভাবে তারা পালিয়েছিল আগে।

শক্তি থাকলেই শক্তি প্রয়োগ করতে হয় বলে যদি বিশ্বাস করেন, তবে আর ব্লগে সময় নষ্ট কেন ? সামরিক অভিযান চালালেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ।

কিন্তু বাস্তবতা সামরিক অভিযানের অনুকুল নয়। ওদের সাথে আমাদের আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আপনি ওদের বার্মিজ ডাকাত বলে গালি দিতে পারবেন, আরো খারাপ কথাও বলতে পারবেন। কিন্তু তাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে পারবেন না।

১৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১৫

নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: জীবনকেসি আপনাকেও ধন্যবাদ এরকম এটা চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১৭

হেডস্যার বলেছেন:
আমার এক কথাঃ আদিবাসি বলতে কিছু নাই এই দেশে, আছে উপজাতি।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আদিবাসী বলেন আর উপজাতি বলেন, ওর অস্তিত্ব তো অস্বীকার করতে পারবেন না। আর আদিবাসী বললেই বা ওদের কী এমন বেশি দেয়া হয়ে যাবে ?

১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২১

*-._তস্রো_.-* বলেছেন: ++++ the game begins!

১৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২১

*-._তস্রো_.-* বলেছেন: ++++ the game begins!

১৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২২

জীবনকেসি বলেছেন: লেখক বলেছেন: একটা জাতির ১ লক্ষ লোককে উচ্ছেদ করবেন, তাদের কোন ক্ষতিপূরণ দেবেন না। উল্টো তাদের জমি জায়গা দখল করাবে অন্য লোকজন বসিয়ে। তারপর বলবেন, তোমরা আমরা একই জাতি। এটা কি কেউ মেনে নেবে ?

আমার তো মনে হয় ,কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে ১ লক্ষ মানুষের উচ্ছেদ করাটাই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। সেই ভুল অবশ্য আমরা করি নি। করেছিল আইউব খান। আমরা সেই ভুল কেবল বাড়িয়ে গিয়েছি।

শামীম ভাই, কাপ্তাই বাধেঁর কারণে যারাই গৃহহারা হয়েছেন, তাদের প্রত্যেক পরিবারকে সরকার পূনর্বাসিত করেছে। জমি দিয়েছে। ঘর দিয়েছে। মাসে মাসে রেশন দিচ্ছে। এটা মনে হয় আপনার জানা নেই। আর লোকজন বসিয়ে দেয়ার বিষয়ে আপনার জানা উচিত যে, রাষ্ট্রের প্রতিটা ভূখন্ডের মালিক সরকার। তখন স্থানীয় হেডম্যান (অবশ্যই উপজাতি) এর চিহ্নিত করা খাস জায়গাগুলোতেই বাঙ্গালী পূর্নবাসন করা হয়েছে। কোন উপজাতির মালিকানা জায়গায় নয়। আর এখন সকল খাস জায়গাই উপজাতিরা নিজেদের বলে দাবী করলে কি তাদের হয়ে যাবে। আপনি দেশের যে কোন জায়গায় নয় , আপনার পাশের বাড়ির কারো জায়গা যদি দখল করে নিজের বলেন তবে তা কেমন হয়???

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: In mid-1950s, the Pakistan Government initiated construction of the Kaptai Hydro-electric Project to meet the need for energy for industrialization and domestic consumption with financial assistance from Canada and the World Bank; the project was completed by early
1960s. This project, along with development of other industrial units in CHT (mostly the Chandroghona Paper Mill in Kaptai area) has provided the government an alibi in favour of allowing non-indigenous population’s influx under the coverage of economic development.
However, creation of the Kaptai Lake (reservoir) along with construction of the Kaptai Dam on the Karnaphuli River, as one of the largest dams in South Asia, has inundated 54% of total arable land of the CHT area by a water-body
and caused displacement of over 100,000
people (mainly indigenous) from their ancestral land and is regarded by many as one of the
major causes of the armed revolt that began in the 1970s and ended in the 90s. Only a few of the displaced families, who were able to produce land-deed to the authorities, were provided with some grossly inadequate monetary compensation. As a result, about 50,000 IPs (mostly
Chakmas) was forced to migrate to India and another 10,000 to Burma in search of livelihood.


উপরের একটি লাইনও আমার লেখা না। এটা SOCIO-ECONOMIC
BASELINE SURVEY OF CHITTAGONG HILL TRACTS থেকে নেয়া। এটার ৩৩ ও ৩৪ নং পাতায় এই কথা কয়টি লেখা আছে।

এটা কিন্তু একটা সরকারী দলিল। সরকারী ওয়েব সাইট থেকে ডাউনলোড করেছি। বিশ্বাস না হলে আপনিও ডাউনলোড করে দেখুন।

http://www.mochta.gov.bd/index.php/home
.

২০| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২৬

নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: চোখ খুলুন শামীম সাহেব, এবার চোখ খুলুন। লারমা- সুলতানাদের বানানো গল্প আর কত চোখ বুজে বিশ্বাস করবেন???


উপরে দেখুন, একজন কমেন্টে এসে আপনাকে প্লাস দিয়ে বলে গেলো যে, গেম বিগিনস। চিন্তা করুন এবার, এই আদিবাসী ইস্যু নিয়ে কি ভয়াবহ গেম শুরু করতে চায় সন্তুরা। প্রকাশ্যে এরা এখন ঘোষনা দিচ্ছে যে, তাদের গেম শুরু হয়েছে।


এখনই পাহাড়ে সেনাবাহিনী দিয়ে চিরুনী অভিযান চালিয়ে প্রত্যেকটা বার্মিজ সন্ত্রাসীকে ধরে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হোক। অনতিবিলম্বে পাহাড়ে ব্যাপক হারে সেনাক্যাম্প বাড়ানো এবং বাঙ্গালি পুনর্বাসন করা হোক।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫২

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সামরিক অভিযান চালানোর সামর্থ বাংলাদেশ রাখে। এর আগে সামরিক অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অনেক বার তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে। কিন্তু সামরিক অভিযানের ফলে কোন সমাধান হবে এটা নিশ্চিত বলা যায় না।

আপনি ওদের সরাসরি উচ্ছেদ চান। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আমার সঙ্গে মিলবে না। আপনি আপনার মতো, আমি আমার মতো।

২১| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৩০

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: যা ক্ষতি হওয়ার সেটা হয়ে গেছে। আদিবাসী ইস্যু একটা আন্তর্জাতিক বিষয়ে পরিনত হয়েছে। এখন চাইলেও কোন ভাবে তাদের উপরে কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করা যাবে না। আদিবাসীরা কতটুকু তাদের অধিকারের কথা বলতে পারতেসে সেটা নিয়েও যথেষ্ট চিন্তা ভাবনার দরকার আছে। আদিবাসীর বাঙ্গালিদের দ্বারা কতটুকু নির্যাতিত সেটারও রকমফের আছে। আর তারা হল মাইগ্রেটর। তাদেরকে অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। যেটা আমরা পাই না। পৃথিবীর কোন দেশ এই ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয় সেটাও বিবেচনযোগ্য। আজকে বাঙ্গালিরা ইষ্ট লন্ডনের জন্য শান্তি চুক্তি করতে পারে না। যদিও সেখানে ৯০ ভাগ মানুষ বাঙালি। আজকে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাঙ্কস টাউনের বাঙ্গালিরা শান্তি চুক্তির দাবি করতে পারে না। কিন্তু শন্তু লারমা সেই ধরনের কথাই বলতেসে। আর স্বাধিকারের ব্যপারে কয়েকটা জায়গায় আসলেই ঝামেলা আছে। তাদেরকে মূলধারায় আসতেই হবে। তা না হলে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। এই কারনে আমার মনে হয় শেখ হাসিনা ব্যাপারটা নিয়ে চুপ করে থাকার ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খালেদা জিয়া আসলে তারও উচিত হবে এই ব্যাপারটা নিয়ে কোন ধরনের হস্তক্ষেপ না করে চুপ করে থাকা। তবে সেনা বাহিনী দিয়ে পরিস্থিতি খারাপ করার কোন মানে হয় না। কারন আমেরিকার শ্যেন দৃষ্টি এখন চট্টগ্রাম বন্দরের উপর।

একটা মজা করার কথা বলি এখন যদি শন্তু লারমাকে বলা হয় যে সে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি আর কক্সবাজার নিয়ে আলাদা দেশ গঠন করতে সে কিন্তু গড়িমসি শুরু করে দিবে। বলবে তার চট্টগ্রাম আর কুমিল্লাও লাগবে। কারন বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ইস্ট লণ্ডন বা অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীদের সঙ্গে ওদের তুলনা করা কি ঠিক হল ? ওরা কি প্রবাসী ?

২২| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৩১

হেডস্যার বলেছেন:
*-._তস্রো_.-* আর লিনা জাম্বিল নামের দুইজনরে দেখতেছি খেলা শুরু করতে চায়।
হুম....খেলা শুরু হইলে এর একটাই ফলাফল হবে !!! B-)) B-))

২৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫৫

জীবনকেসি বলেছেন: মাননীয় হেডস্যার, আমি আজ পড়ালেখা শিখেই এসেছি। যে কোন প্রশ্ন করতে পারেন। মাইর খামুনা। ৯ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা।

২৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫৯

চলতি নিয়ম বলেছেন: এই ইসুতেও জাতি ২ ভাগে বিভক্ত!!

আমার অনেক কিছুই জানার বাকি আছে।

২৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০৪

এরিস আফ্রোদিতি বলেছেন: আপনাদের মত নব্য রাজাকাররা দেশের যথেষ্ট ক্ষতি করে ফেলেছেন আদিবাসী নামক হাস্যকর দাবিকে আন্তর্জাতিকীরনের মাধ্যমে।
এখন দাবি একটাই, চাকমাদের তাদের আবাসভুমি মায়ানমারে ফেরত যেতে হবে।
আর সন্তু লারমাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।

২৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০৭

রানা পাটোয়ারী বলেছেন: বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নাই, একি ভূ-খণ্ডে একাধিক গুষ্ঠি থাকতে পারে না,
.আর পাহাড়ীদের আগে বাঙ্গাল/মুসলমানরাই এইদেশে বসবাস শুরু করেছে,
আর যাদের নাগরিকত্ত বাংলাদেশি তারা সবাই বাঙ্গাল, হয়তবা তারা পাহাড়ী হিসাবে উপজাতি হইতে পারে, আর বাংলাদেশের বেসির্ভাগ পাহাড়ী কিন্তু ভারতের ত্রিপুরা/ আসাম হতে একসময় এইদেশে এসেছে,যাদের অনেকের ধর্ম হিন্দু।
আর বাংলাদেশে থেকে বাঙ্গালি বলে নিজেকে পরিচয় দিতে তাঁদের এত চুলকানি কেন,আর যদি এতই বাঙ্গালিকে তারা opocondo করে তবে তারা eidesh ছেঁড়ে চলে যায়না কেন

২৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০৯

রবিনহুড বলেছেন: সবচে মজার বিষয় হলো যে, যারা আদিবাসী নিয়ে কথা বলতে আসে তাদের দুটি প্রশ্ন করুন..

১ আদিবাসীর সঙ্গা কি? কাদের আদিবাসী বলা হয়?
২. উপজাতির সঙ্গা কি?
৩. আদিবাসীদের ভূমির মালিকানা কাদের হয়, বলে ধরা হয়ে থাকে?

৪. ওরা আদিবাসী হলে তা হলে আমরা বাঙ্গালীরা কি? আমাদের আদিবাস কোথায়?

আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি? X((



আদিবাসীর সঙ্গার একটা পয়েন্ট হলো যে, আদিবাসীদের আগে এই স্থানের মালিকানা অন্য কারো ছিল না... আদিবাসীরাই সর্ব প্রথম সেটা মালিকানা ছিল....

অথচ দেখুন পার্বত্য চট্রগ্রামের মালিকানা কিন্তু বাঙ্গালিদেরই ছিল...
পরবর্তীতে এখানে আরাকান থেকে চাকমারা এসে বসতি তৌরি করে.....
তা হলে কি করে তারা সেই স্থানের আদিবাসী হয়?


আদিবাসীর সঙ্গাতে তারা গলা বড় করে বলে যে, তারা নাকি সবার আগে পাবত্য চট্রগ্রামে আসে বসতি স্থাপন করেছিল....

কিস্তু প্রশ্ন হলো কার জায়গাতে আগে বসতি স্থাপন করেছিল? আপনার বিশাল একটা জায়গা অব্যবহৃত পতিত পরে রয়েছে দেখে কেউ এসে এখানে বসবাস করলেই সেই জায়গাটা তার হয়ে যায় না.... এই পয়েন্টে কথা বলতে গেলে আর তারা সেটা নিয়ে উচাচ বাচ্য করে না...

এগুলো পয়েন্টের কোন উত্তর তাদের কাছে নেই...তখন গা পিছলানো কথা বার্তা শুরু করে....


আর পার্বত্য চট্রগ্রাম কেন ময়মনসিংহ, সিলেট, রাংপুরের তথাকথিত "আদিবাসী" নিয়ে কাউকে বেশি কথা বলতে দেখি না....

মনে হয় শুধু চাকমাদের নিয়েই তাদের যত মাথা ব্যাথা...



পৃথিবীর অন্যান্য আদিবাসীদের ইতিহাস দেখুন, তার কি ভাবে আদিবাসী বলে গন্য হয়েছে।

এর আগের একটা মন্তব্যে আমি অষ্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের উদাহরন দিয়েছি...

উক্ত উদাহরন দেখলে আমাদের দেশের উপজাতীরা কখনই আদিবাসী বলে গন্য হতে পারে কি?

২৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১২

নাফীস কাজী বলেছেন: আপনাকে বহুদিন ধরে চিনি। আমার মনেহয় না আপনার কাছে তথ্যের কোন কমতি আছে। তবে কেন এমন পোস্ট ?
যদি তথ্যের ঘাটতি থাকে তবে উপরের কমেন্টগুলো থেকে আশাকরি সে ঘাটতি পূরন হয়েগেছে। আর এরপরও আপনি উপজাতিদের আদিবাসী বলার বা স্বিকৃতির পক্ষে থাকেন, তবে বুঝব "গেম বিগিনস" !! আর আপনিও দেশ বিভক্তকারীদের পক্ষে। /:)
আশাকরি আপনি সেরকম নন।



২৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১৯

রবিনহুড বলেছেন: পাহাড়ীরা কয়েটি অদ্ভুত দাবি করে,

যেমন
১. বাঙ্গালীরা নাকি পার্বত্য চট্রগামের জায়গা কিনতে পারবে না?
২.সেখান থেকে সেনাবাহিনী সরাতে হবে।

বড়ই আজ দাবি তাদের...

তার চাইলে দেশের যে কোন স্থানের জমি কিনে বসতি করতে পারবে.. কিন্তু তাদের পাহাড়ে গিয়ে আমারা বাঙ্গালীরা জমি কিনতে পারব না.....
এটা কেমন আবাদার? তুমি মানুষের জায়গা কিনতে পারবা আর তোমার জায়গা অন্য কেউ কিনতে পারবে না?

এটা কি কোন ন্যায় নীতির মাঝে পরে?

আর সেনাবাহিনী থাকলে তাদের সমস্যা কোথায়?
সেনা বাহিনী কি ৭১ এ যুদ্ধের মত অবস্থাযে, এরা ভীন দেশ থেকে এসেছে...
আর আমাদের উপজাতিদের ঘরে ঘরে ঢুকে মা বোনদের ধর্ষন করছে?

বরং সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্রগ্রামের রাস্তা ঘাট তৌরিতে ব্যাপক অবদান রাখছে, সেখানে স্কুল প্রতিষ্ঠা করছে বাজার প্রতিষ্ঠা করছে...
সর্বপরি তাদের সাহায্য করার জন্যই রাখা হয়েছে...

তারা কি এটা প্রমান করতে পেরেছে যে, সেনাবাহিনী যে সকল কর্মকান্ড চালাচ্ছে তার দাতের জন্য ক্ষতি কর?
সেই রকম কোন প্রমান তারা দিতে পারে নি...

অথচ মামা বাড়ির আবদারের মত বলে সেনাবাহিনী সরাতে হবে....

কিছু পেমেন্ট পাওয়া বুদ্ধিজীবি আছে তারাও তাদেরসাথে পা চাটতে থাকে...

৩০| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২২

আমি কেউ না বলেছেন: @শামীম স্যার:
১. হেডলাইন দিলেন আদিবাসী, সবখানে লেখলেন আদিবাসী - কিন্তু পরে কমেণ্টে দেখলাম তাদের উপজাতি কইতেও আপনের প্রোব্লেম নাই! তাইলে সবখানে 'আদিবাসী' ইউজ করলেন কী উদ্দেশ্যে?
২. কাপ্তাই বাধ চাকমাদের খেদাইয়া বানায় নাই, তেনাদের রাজা মহান 'ত্রিদেব চৌ' পুরো ব্যাপারেই আইউবের সাথে ছিলেন।
৩. পার্বত্য এলাকা (বিশেষ করে বান্দরবন) এর ব্যপারে আমার ব্যাপক দুর্বলতা। আমি যদি টাকা দিয়া ঐখানে জমি কিনতে চাই, কিনতে পারুম?
৪. 'আদিবাসী' শব্দটা নিয়া গারো/সাওতাল/মণিপুরীদের মাথা ব্যাথা নাই কেন?
৫. একটু চোখ খুইলা দেখেন, ভার্সিটিতে কোটা নিয়া পাহাড়ী যারা ভর্তি হয় তাদের কাপড়-চোপড় আর হাতের মোবাইলটা খেয়াল কইরেন, লগে তাদের বাপের পেশাটা যাইনা নিয়েন। অনেক কিছু পরিষ্কার হইয়া যাবে

৩১| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২৪

এরিস আফ্রোদিতি বলেছেন: আমাদের দক্ষিন-পূর্বঞ্চলের সীমন্ত এখনই সীল করে রেড এলার্ট জারি করতে হবে যেন কোন অনুপ্রবেশ না ঘটে।

৩২| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৩৩

জিললুর রহমান বলেছেন: আমি কেউ না বলেছেন: একটু চোখ খুইলা দেখেন, ভার্সিটিতে কোটা নিয়া পাহাড়ী যারা ভর্তি হয় তাদের কাপড়-চোপড় আর হাতের মোবাইলটা খেয়াল কইরেন, লগে তাদের বাপের পেশাটা যাইনা নিয়েন। অনেক কিছু পরিষ্কার হইয়া যাবে;
সহমত

সেনাবাহিনী থাকলে সমস্যা কোথায় ? আপনি যদি চোর, ডাকাত না হন , তাহলে আপনার পাশে ১০০০ পুলিশ, র‍্যাব, সেনাসদস্য থাকুক; আপনার সমস্যা কি ?
সেনাবাহিনীর করা রাস্তা, ব্রীজ ব্যবহার করতে পারবেন ইচ্ছামত, আবার বলবেন তারা থাকতে পারবেনা !

পাহাড়ে যাওয়া আসার সুবাধে একটা জিনিস দেখেছি, সেখানে চাকমারা সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী।

৩৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৩৮

মেটাল বলেছেন: চলতি নিয়ম বলেছেন: এই ইসুতেও জাতি ২ ভাগে বিভক্ত!! ;)

ভাই আপনি কি জানেন না , আমরা বাঙ্গালিরা হলাম এক ধরনের পাছা , সর্বদা ২ ভাগে বিভক্ত B-) B-) B-)

৩৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৬

প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: যে অবস্থা শুরু হইছে, জাতিসঙ্ঘ, ইউএসএ কে ম্যানেজ করতে পারলে কয়েকদিন পর রোহিংগারাও নিজেদের আদিবাসি ঘোষনা দেওয়ার শুরু করবে।

৩৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১২

গ্রামের মানুষ বলেছেন:
সুশীলতা একটা ব্যবসা। এটা সবাইরে দিয়া হয়ও না আর সবাইরে মানায়ও না। এইটা নব্য সাম্রাজ্যবাদীরা দেশ, জাতী ও সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য পেলে পুষে গৃহপালিত গবাদী পশু হিসেবে লালন করে।

অন্যের জন্য সুশীলতার আবহ বাতাস আর নিজেদের জন্য যথেচ্ছ ইরাক, আফগান আক্রমণ, ফিলিস্তিনে শিশু হামলা কিংবা কিউবা ভেনিজ্যুয়েলা কে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা।

কিন্তু আমরা যারা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাস্তবতার কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে কোন ভাবে টিকে টুকে থাকি তারা সোজা বাঙগাল ভাষায় ওদের '' চোদানীর পোলা'' বলে ডাকি। রাস্তার মেয়েরা যাদেরকে খানকি বলা হয় তারা টাকার বিনিময়ে দেহ বেচে আর যারা টাকার বিনিময়ে দেশ বেচে তাদের বলা হয় সুশীল। তাহলে উন্নততর কে?

শামীম ভাই - এইটা আপনার জন্য না। আপনি সুশীল নন। আপনি একজন প্রকৃতই সৃষ্টিশীল মানুষ - আমরা আপনাকে চিনি জানি। প্রকৃত সৃষ্টিশীল মানুষ কখনো মগজ বেচে গর্ধভ বনে যাওয়া সুশীল হতে পারে না।

কলুর বলদের মত ঠুলি পরে নয় কিংবা পাশ্চাত্য থেকে ইম্পোর্ট করা সানগ্লাস পরে নয় - - খালি চোখে বাংলার খোলা নীল আকাশের দিকে তাকালে কিংবা বংশী নদীর জেলো গন্ধ বুকভরে নিলে সহজ সত্যটা একদম সহজে দেখা যায়।

উপরে সহজ ভাষায় অনেকে আদিবাসী ইস্যুর অসারতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর চেয়ে খুব বেশী আর আলোচনার অবকাশ নেই। শুধু ২টা গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করি:

১. পাহাড়ী বন্ধু ছিল কয়েক জন - ঘনিষ্ঠভাবে মিশলে বুঝবেন ওরা কি জিনিস। অনেক রাতের চোখের জল ফেলেছি ওদের এই হঠাৎ স্বাথর্পরতার ছ্যাকা খেয়ে।

২. ওরা বাংলাদেশকে ভালবাসে না। ভালবাসে শুধু পাহাড়কে। বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত সুবিধাগুলোকে ওরা নগদ যা পাও হাত পেতে নাও এবং এভাবে যতদিন যেতে পারে যাক না এপ্রোচে বিশ্বাসী।

যদি চাকমাদের প্রতি কোন অন্যায় ঘটেও থাকে তার বদলা নিশ্চয়ই কোন ভাবে জননী-জন্মভূমির অঙ্গ কর্তন করে তাদের উপঢৌকন দেয়া হতে পারে না?

কতিপয় ষড়যন্ত্রী চাকমারা তো ধীরে ধীরে ঐ পথেই এগুচ্ছে।

যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানানোর মত রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য রাখার কারণে অবিলম্বে বদমাইশ সন্তু লারমার গ্রেফতার চাই।

সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপই পারে এইসব ডাকাইত সন্ত্রাসীদের নোংরা হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে।

সুশীলতা করতে গিয়ে আমরা যেন ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে না ফেলি!

৩৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২৮

আহসান হাবিব হীমূ বলেছেন: পর্যবেক্ষণে নিলাম পোস্ট।

৩৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: সরকার দেশের প্রথম শ্রেণীর জনগনকেই অনেক কিছু করতে বলতে বাধা দিচ্ছে, পদে পদে হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে তারা। আমরা যেখানে নিজেদেরই অধিকার আদায় করতে পারি নাই সেখানে আদিবাসী/উপজাতীদের নিয়া মাথা ঘামানোর সময় কৈ?

৩৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০৫

গ্রীনমাইল বলেছেন: চাকমা, গাড়োরা আদিবাসি হইলো কবে?

৩৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১০

আশিক হাসান বলেছেন: শামীম ভাই আপনার পোস্টের সাথে একমত হতে পারলামনা প্রথমত সেজন্য আন্তরিকভাবর দুঃখিত। আজ অনেকদিন পর সামু ব্লগে লেখতে বসলাম। একে একে আমার মন্তব্য এবং তথ্যগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব কি কারনে সরকার এবং সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি আদিবাসী শব্দটির ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করছি।
একজন সাধারন নাগরিকের কাছে আদিবাসী এবং উপজাতি দুটি নামবাচক শব্দ ব্যাতীত অন্য কিছু মনে করার কারন নাই । আর সেকারনেই বাংলাদেশের প্রায় সকল নাগরিকের কাছে মনে হতে পারে সরকার অহেতুক এই নাম বিভ্রাটের ইস্যুতে সময় অপচয় করছে। আর চট্টগ্রামের মারমা,চাকমা,মগ এরা যদি নিজেদের আদিবাসী বলতে চায় তাহলে কি এমন ক্ষতি হয় দেশের অথবা সরকারের? এই প্রশ্নর উত্তর খোঁজার জন্য একটু কষ্ট করে চোখ বুলাতে হবে দুটি আইএলও কনভেনশনের দিকে যথাক্রমে ১০৭ এবং ১৬৯। ১০৭ ধারাটি ১৯৫৭ সালে জাতিসংঘ কতৃর্ক গৃহীত হয় । এই ১০৭ ধারাটি বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে গ্রহন করে। এই ধারার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো যে উপজাতি জনগোষ্ঠিকে মূলধারার জনগোষ্ঠীর সমকক্ষ হতে সহায়তা করা হবে । যে বিষয়টি বংগবন্ধু তার ভাষনে বাংগালীদের মত হতে হবে উল্লেখ্য করলে তৎকালীন কিছু উচ্চাভিলাষী পাহাড়ী নেতারা তার ভুল ব্যখ্যার মাধ্যমে সশস্ত্র সংগ্রামের সূত্রপাত করে। আবার ফিরে আসি ১০৭ এবং ১৬৯ ধারাতে । ১০৭ ধারাতে জাতিসংঘ উপজাতি বা আদিবাসীদের জন্য যে ধারাসমূহ দেয়া আছে তা বর্তমান সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয় । বরং পরবর্তীতে ১৬৯ ধারা যা ১০৭ ধারার নতুন সংস্করন এই ধারা সরকার মেনে নিলে সেক্ষেত্রে উপজাতি সমূহ নিজেদের কে আদিবাসী হিসেবে দাবী করতে পারবে এবং সেক্ষেত্রে দেশের সংবিধান এবং সার্বভৌমত্ব লংঘনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে । বিস্তারিত না যেয়ে আমি এখানে শুধু দুটি ধারার একটি তুলনার ছক তুলে ধরবো এতে হয়ত বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে সকলের কাছে।

[link|http://www.ilo.org/wcmsp5/groups/public/---ed_norm/---normes/documents/publication/wcms_100894.pdf|ধারা ১০৭]

১৯৫৭ সালে এই ধারাটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৭২ সালে অনুমোদিত হয়।

মূল বিষয়সমুহ


১। উপজাতি সমূহকে মূল ধারার সমকক্ষ করা হবে।
২। তাদের সামাজিক ,সাংষ্কৃতিক এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নকে রাষ্ট্র কর্তৃক সহায়তা করা।
৩। এক্ষেত্রে কোন বাধ্যবাধকতা আরোপ করা যাবেনা।

ভূমি


১। ভূমির উপর তাদের ঐতিহ্যগত ও সমষ্টিগত মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে। যা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে।

২। রাষ্ট্র নিরাপত্তা বা আর্থসামাজিক উন্নয়নে জমি ব্যবহার করতে পারবে , তবে এক্ষেত্রে তাদের স্বাধীন মতামত গ্রহন এবং যথাযথ পূনর্বাসনের ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে নিতে হবে।

আইনি দিক

উপজাতি জনগোষ্ঠী দেশের প্রচলিত ধারায় বিচার যোগ্য হবে।

[link|http://www.ilo.org/wcmsp5/groups/public/---ed_norm/---normes/documents/publication/wcms_123505.pdf|ধারা ১৬৯]

১৯৮৯ সালের এই ধারাটি অদ্যাবধি সরকার অনুমোদন করেনি

মূল বিষয়সমূহ

১। উপজাতি জনগোষ্ঠী চিরস্থায়ী জনগোষ্ঠী এই ধারনার উপর প্রতিষ্ঠিত।
২। সর্বক্ষেত্রেই তারা আলাদা জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হবে এবং রাষ্ট্র তা নিশ্চিত করবে।
৩। তাদের আত্মপরিচয় নিরুপনের ক্ষেত্রে তারা মূল জনগোষ্ঠী থেকে ভিন্নতর,নিজস্ব সামাজিক,সাংষ্কৃতিক এবং আর্থ-সামাজিক মানদন্ডে বিবেচিত হবে।

ভূমি

১। ঐতিহ্যগতভাবে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মালিকানার পাশাপাশি তাদের জীবন ধারন এবং বিবিধ কর্মকান্ডের জন্য ব্যবহৃত জমির উপর অধিকার এবং দখল রাষ্ট্র কর্তৃক সংরক্ষন করা হবে।
২। এক্ষেত্রে কোন খাস জমি থাকবেনা। এমনকি প্রাকৃতিক সম্পদ আহরনের ক্ষেত্রে তাদের মতামত প্রাধান্য পাবে।
৩। এই জনগোষ্ঠীর বাইরের কেউ এখানকার জমির মালিক হতে পারবেনা, যা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা হবে।

আইনী দিক

কারা অন্তরীণ ব্যাতীত তাদের নিজস্ব প্রচলিত ধারা মোতাবেক শাস্তি দিতে হবে।
১৬৯ কনভেনশনের সাথে যেহেতু সরকার একমত নন সেকারনেই আদিবাসীদের অধিকার সংরক্ষনের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক প্রনীত "জাতিসংঘের ঘোষনা ২০০৭" সরকার সম্মতি দেয়নি । কারন এই ঘোষনা আমাদের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। আর সেজন্যই সরকারের এত মাথা ব্যাথা উপজাতিদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে।

[link|http://www.un.org/esa/socdev/unpfii/documents/DRIPS_en.pdf|জাতিসংঘের ঘোষনা ২০০৭]

১। আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার (আর্টিকেল ৩)
২। আভ্যন্তরীন এবং স্থানীয় বিষয়াদির ক্ষেত্রে স্বায়ত্বশাসনের বা আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার (আর্টিকেল ৪)
৩। তাদের নিজস্ব ভূমি এবং অন্চলের উপর অধিকার (আর্টিকেল ১০)
৪।তাদের নিজস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং তার উপর নিয়ন্ত্রন করার অধিকার। (আর্টিকেল ১৪)
৫। তাদের অনুরোধ ব্যাতীত এবং যতক্ষন পর্যন্ত যৌক্তিক না হবে কোন ধরনের সামরিক কার্যক্রম সরকার বা রাষ্ট্র কতৃর্ক ঐ সকল অন্চলে গ্রহন করা যাবেনা। (আর্টিকেল ৩০)
৬। জাতিসংঘ বা অন্যান্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থা সমূহ এই কনভেনশনের অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ প্রয়োগের নিমিত্তে জনমত গঠন এবং অর্থনৈতিক বা কারিগরী সহযোগিতা ফোরাম গঠন করতে পারে ।(আর্টিকেল ৪১)


উপজাতিদের পক্ষে অনেকে সাফাই গাইছে এবং বলছে তারা তো স্বায়ত্বশাসনের দাবী জানাচ্ছেনা শুধু একটাই তাদের অনুরোধ তাদের যেন সংবিধানিকভাবে আদিবাসী হিসেবে ঘোষনা করা হয়। কারন এখানে একটাই ,খাল কেটে বাড়ী পর্যন্ত আসলে কুমির আজ না আসুক কিন্ত যেকোন একদিন আসার একটা সম্ভবনা থেকেই যায়। আর ১০৭ ধারা যদি সরকার সঠিকভাবে অনুসরক করে সেক্ষেত্রে কিন্ত উপজাতি দের কোন ক্ষতি নেই বরং মূল জনগোষ্ঠীর সমপর্যায়ে আনার জন্য সরকার এক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

সহায়িকা
ADDRESSING THE ETHNIC PEOPLE OF CHITTAGONG HILL TRACTS- AN INSIGHT
BY
FORUM FOR NATIONAL RESEARCH AND DEVELOPMENT

১০ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এই রকম একটা ব্যাখ্যাই জানতে চেয়েছিলাম। যদি ইতিমধ্যে গুগলিং করে অনেকটাই জেনে গেছি।
আপনার ব্যাখ্যা খুবই চমৎকার।

আদিবাসী হিসেবে বাংলাদেশ সরকার পাহাড়ীদের স্বীকৃতি দেয় নি। ১৯৯৭ সালের চুক্তিতে ওদের উপজাতি হিসেবে বলা হয়েছে। পৃথিবীর কোন সরকারই এমন কোন বিধিকে স্বীকৃতি দিতে পারে না, যেটা স্বার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ হবে।

সুতরাং সরকারের ম্যাসেজটি খুব পরিষ্কার। তারা আদিবাসী নয়, তারা উপজাতি।

এই বিষয়টার অনেকটা আলোচনা আছে এই পোস্টে :

Click This Link

৪০| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:২৭

আধারের কবি বলেছেন: আদিবাসী যেখানে নেই সেখানে আদিবাসী দিবস পালনের কারণ কি?

৪১| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৩০

আধারের কবি বলেছেন: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী দের আদিবাসী প্রমাণ করে কি সুদানের মত একটা গৃহ যুদ্ধের দিকে আমাদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে? চট্টগ্রাম নানান কারণে একটা লোভনীয় স্থান। আমাদের সকল ষড়যন্ত্রের প্রতি সজাগ থাকতে হবে। আপনি অনেক গুলো বিষয় এড়িয়ে গেছেন। আপনি কি বলবেন পার্বত্য চট্টগ্রামে (!) যারা নিজেদের আদিবাসী বলে দাবি করছে তারা কতদিন ধরে ওখানে আছে?

ধন্যবাদ

৪২| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৩৯

জ্বীন কফিল বলেছেন: প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: যে অবস্থা শুরু হইছে, জাতিসঙ্ঘ, ইউএসএ কে ম্যানেজ করতে পারলে কয়েকদিন পর রোহিংগারাও নিজেদের আদিবাসি ঘোষনা দেওয়ার শুরু করবে।
**********************************
জাতিসংঘর নিয়ম অনুযায়ি কোন দেশে আদিবাসী আছে এই ঘোষনা দেয়ার অর্থ হচ্ছে
জাতিসঙ্ঘ তার চার্টার অনুযায়ি আদিবাসী রক্ষায় যেকোন সময় কারন দর্শানো ব্যাতিরেকে
ঐ সংশ্লিস্ট দেশে হামলা করার অধিকার রাখে। পাহাড়িদের নিজের ভাই বলতে আমাদের কোন আপত্তি নাই। বাট সরি ফর দ্যা ওয়ার্ড " ইন্ডেজেনাস পিপল" । বাঙ্গালীরা পদ্মায় ভেসে আসেনি।

৪৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৪১

আধারের কবি বলেছেন: ৮ নং কমেন্টে বলেছেন,

১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৭
লেখক বলেছেন: আইনগতভাবে তারা আদিবাসী নয়। শান্তি চুক্তিতে তাদেরকে উপজাতি বলা হয়েছে।

তবে তারা তো সংখ্যালঘু। সংখ্যালঘু হিসেবে কিছু সুযোগ সুবিধা তো তারা পেতেই পারে ।


যেমন তাদের জন্য রয়েছে আলাদা মন্ত্রণালয়।

http://www.mochta.gov.bd/index.php/home




তারা যদি আদিবাসী না হয়ে থাকে তবে কেন আদিবাসী দিবস পালন করবে? এগুলো কি পানি ঘোলা করা না? আদিবাসী বা উপজাতি খুবই নাজুক শব্দ, তাই বলে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে তাল গাছ আমার বলা কি ঠিক হবে?

৪৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৮

আশিক হাসান বলেছেন: শামীম ভাই এই বিষয়গুলো আমার আপনার মত সাধারন আমজনতা সবাই বুঝে । দূঃখ হয় তখনই যখন সব বুঝেও না বোঝার ভান করে জাফর ইকবাল আর সুলতানা কামাল গং সেই সাথে প্রথম আলোর মত কিছু পত্রিকা।
এই উপজাতি আর আদিবাসী নিয়ে আরো গভীর চক্রান্ত চলছে যারা প্রধান হোতা লর্ড এরিখ এভবোরি । এই ব্রিটিশ পার্লামেন্টিরিয়ান এর ভূমিকা ছিল বেশ জোরালো ইস্ট তিমুর এবং উত্তর সুদান সৃষ্টিতে। এখন এদের চোখ পড়েছে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম কে নিয়ে , ধারনা করা হচ্ছে এই অন্চলে তাদের একটি খ্রিষ্টান অধ্যুষিত বাফার স্টেট তৈরীতে। এই বিষয়টি এখন সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের কাছে বেশ পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। এছাড়া যারা পাহাড়ের যাওয়া আসা করেন তারা এই বিষয়টি অনেকেই জানেন যে সেখানে ইউএনডিপি পরিচালিত বা অর্থায়নে অনেক প্রজেক্টের আড়ালে খ্রীষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার শর্তে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এভাবে একদিকে আদিবাসী ধুয়া তুলে সাধারন পাহাড়ী জনগনকে বোকা বানিয়ে সরকাররের উপর চাপ সৃষ্টি করে কৌশলে ১৬৯ কনভেনশনে সরকারকে অনুমোদন দিতে বাধ্য করা । অন্যদিকে যখন এই অন্চলের অধিকাংশ পাহাড়ী জনগন যখন খ্রিষটান হবে তখন সাধারন গণভোটের আয়োজন করে এই অন্চলকে আলাদা করে ফেলার ষড়যন্ত্রের নীল নকশার প্রনয়ন চলছে। আর এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার একমাত্র পথ হচ্ছে এই বিষয়টি আপনার চারপাশের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। সেইসাথে আমাদের আর একটি কথা মনে রাখতে হবে আমাদের পাহাড়ী জনগন আমাদেরই ভাইবোনের মত তাদেরকে সুযোগসুবিধা প্রদান করে মূলধারার জনগনের সাথে চলবার জন্য সকল সহায়তা আমাদেরকে প্রদান করতে হবে । তারা আমাদেরই অংশ আমাদের থেকে তারা আলাদা নয়।আর এই দেশ অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে । তাই সকল তথাকথিত বুদ্ধিজিবীদের মুখোশ খুলে দিতে হবে এবং দেশকে, দেশের মাটিকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে । এই দায়িত্ব আমাদের সকলের। ধন্যবাদ।

১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫৭

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অসাধারণ আপনার ব্যাখ্যা।

আমাদের মধ্যে এই ধরনের মানুষই দরকার। যে কোন বিষয়ে একটা পোস্ট দিলেই গালাগালি শুরু হয়ে । তুই রাজাকার, তুই দেশদ্রোহী, তুই একটা .............. ইত্যাদি ইত্যাদি গালাগালি না করে মূল বিষয়টা ধরে আলোচনা করলে প্রত্যেকের সুবিধা হয়।

আপনার এই মন্তব্যের পর এই পোস্টে আর কিছু বলার থাকে না। আদিবাসী ইসু্য নিয়ে কেন এক শ্রেণীর মানুষ লাফালাফি করছে সেটা এখন খুবই পরিষ্কার।

আপনার এই দুটো মন্তব্যকে নিয়ে একটি আলাদা পোস্ট দেবেন আশা করি। অনুরোধ করছি, অবশ্যই একটা পোস্ট দেন এই বিষয়ে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩১

বাঁধ ভেঙে যাই....... বলেছেন: যারা জন্ম-জন্মান্তরে একটি দেশের আদি জাতি তারাই আদিবাসী, যেমন অষ্ট্রেলিয়ার অদিবাসী। কিন্তু যারা পাশের দেশ সমূহ থেকে মাইগ্রেট করা তারা কি ভাবে আদিবাসী হয়?

৪৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:৪৭

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: আপনার যুক্তি মেনে নিলাম। অস্ট্রেলিয়াতে ইংরেজরা এসেছে ১০০ বছর আগে। আর বাংলাই এসেছে ৫০ বছর আগে। ঠিক আছে তাই সই। ৫০ বছর পরে আদিবাসী আন্দোলন করলে চাকমা,মারমাদের মত আপনি পাশে থাকবেন আশা করি। আজ থেকে ৩০০-৪০০ বছর আগে যদি তারা মাইগ্রেট করে থাকে আরাকান থেকে , তাহলে সেই সময়ে যদি এই নিয়ম থাকত তাহলে তারা অবশ্যই প্রবাসী। আমরা তো পাস্পোর্ট রাখি অস্ট্রেলিয়ার। আমরা কেন প্রবাসী? আমরা হলাম বাঙালি আদিবাসি যাদের জাতিয়তাবাদ ওজি। ওকে মাইট, কুল।

৪৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭

রবিনহুড বলেছেন: আপনার সিদ্ধান্ত অংশের জন্য ধন্যবাদ।

এটা আপনার পোষ্টের পূর্বের লেখার ধারনাকে সংশেধন করে লেখাটি পরিপূর্ন করেছে।

আরো ধন্যবাদ এই জন্য যে, সাধারনত আমাদের দেশের লেখকরা একটি কথা মুখ দিয়ে বের হয়ে গেলে সেটা কোন দিনই ভূল হয়েছে সেটা মেনে নেন না।

নানান কু যুক্তি উপস্থাপন করে নিজের কথাই প্রতিষ্ঠিত করতে চান। বা অন্য উদ্দেশ্য নিলে লেখাটা লিখে থাকে।

আপনি সেটা হতে ব্যতিক্রম প্রমান দিলেন।

আবারও ধন্যবাদ।

তবে শিরোনামে "আদিবাসী" শব্দটার সংশোধন করে বা ব্যাকেটে "উপজিতি" শব্দটা যোগ করা উচিত বলে মনে করি, যেখানে আপনি সিন্ধান্তে এসেছেন যে, আদিবাসী নয় তারা উপজাতি।

১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:২৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: শিরোনামও সামান্য সংশোধন করেছি। আদিবাসী দিবস আমাদের নয়, জাতিসংঘের। তাতে আমাদের কী আসে যায়।

ওরা আদিবাসী নয়, উপজাতি ।

৪৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:০৬

জীবনকেসি বলেছেন: ধন্যবাদ শামীম ভাই। এখানে ত্রিপুরাদের বিশাল একটা অংশ অর্থের লোভে খ্রীষ্টান হয়ে গেছে। ইউএনডিপি সাহায্যের আড়ালে ধর্মান্তরই করে চলেছে। অথচ এর বিরুদ্ধে এরা একটা টু শব্দও করছেনা। বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও কিছু বলছেন না।

অনেক কথা আছে , অনেক বিষয় আছে যা বলতেও পারছিনা। মুখ বুঝে থাকি।

আবারও ধন্যবাদ।

১২ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এই ব্যাপারটা জানি।

সারা পৃথিবী জুড়ে আদিবাসী বা অনগ্রসর জাতি গোষ্ঠীকে টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে খ্রিস্টান বানাচ্ছে মিশনারীরা। আফ্রিকায় এটা ভয়াবহভাবে চলছে।

যে যেই ধর্মের সে সেই ধর্মে প্রসার চাইবে এটাই স্বাভাবিক।আর ধর্মের সঙ্গে অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ব্যাপারও আছে। এটা একটা রাজনৈতিক কুটচাল।

৪৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:০২

মাস্টার বলেছেন: মিস করে ফেললাম :( এখন আর পর্যবেক্ষনে নিয়ে তেমন লাভ নেই। শামীম ভাইকে মনে হলো ক্লান্ত

আদিবাসী-উপজাতি ইস্যু নাস্তিকতা-আস্তিকতার চেয়েও ভয়ঙ্কর ;)

১২ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এই পোস্টটা যুদ্ধ করার জন্য দেয়া নয়। বিষয়টা নিয়ে একটা নড়াচড়া দেয়ার চেষ্টা। বিষয়গুলো কতটুকু স্পর্শকাতর সেটা সম্পর্কে আগে থেকে ভাসা ভাসা ধারণা ছিল। এই পোস্টের সূত্র ধরে এক দিন ব্যাপী ব্যাপক পড়াশোনা হয়ে গেছে।

ব্লগার আশিক হাসানের মন্তব্য পাওয়ার পর বুঝলাম, আমি ভুল করছি। সুতরাং নিজেকে শুধরে নিলাম।

তবে আপনি কিন্তু সত্যি মিস করে ফেলেছেন।

৫০| ১২ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৫

ঠেলা বলেছেন: মেলা ঝামেলা তো দেখি এই খানে, লও ঠেলা, আমি জাইগা B:-) B:-)

১২ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ঠিকই কইছ।

৫১| ১২ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

চিরসবুজ মানব বলেছেন: সত্য উচ্চারণের সাহস এবং উৎসাহ সবার থাকে না।
ধন্যবাদ।

৫২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫১

*-._তস্রো_.-* বলেছেন:
ঠিক না।

৫৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৭

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শামীম ভাই। সাব লিঙ্ক গুলা ঘুরে এসে মন্তব্য করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.