![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি যেন হয়েছে আমার , কিছুতেই মন বসাতে পারি না । না সাংসারিক কাজে, না পড়াশুনায়, না বিনোদনে , কিছুতেই না । একটা সময় ছিল টানা মুভি দেখে রাত পার করেছি । আজ আর তা হয় না । আমি না কোনদিন বাইরের আনন্দময় জগৎ থেকে আনন্দ নিতে পারি না । আমার সবচাইতে বড় সমস্যা আমার মন, আমি অনেক বেশী ইমোশোনাল বাংলায় কি বলে আবেগপ্রবণ ! আমার চাকরি ক্ষেত্রে যেয়েও বসের কাছ থেকে শুনেছি "আবেগ কমাও" আমি পারি না , আমি অনেক ভীতু ।
বাবা মারা গেছেন আজ প্রায় ৯ বছর । বাবা মারা যাওয়ার পর মা চাকরিজীবী হেতু তাঁকে অবসর পেতে হয়নি যে তিনি মন খারাপের সুযোগ পাবেন । অনার্স পাশ করার পর আল্লাহ্র ইচ্ছায় একটা চাকরি পেয়ে গেছিলাম । মনে মনে একটি মানুষকে অনেক ভালবাসতাম । তার কাছে মনের কথা বলার সুযোগ যেদিন পেলাম সেদিন আমি শুধু তাকে হারাবো এই ভেবে তার শর্ত মেনে নিলাম আর জীবনের সবচাইতে বড় স্বার্থপরতা করলাম ।
বিয়ের পর মাকে ছেড়ে পরবাসী হয়ে আছি, মাঝে মাঝে মনে হয় সংসার ছেড়ে দিয়ে মায়ের কাছে উড়াল দেই । বাস্তবতা কি এতোই সোজা ? এদিকে যার সাথে ঘর বেঁধেছি তার জন্যও কম মায়া তৈরি হয়নি । তাকে ছেড়েই কি করে থাকি ??
কি দোটানা তাই না?
আমার নানীর ৯ সন্তান । শেষ বয়সে আমার মাই তাঁর ঠাঁই । তাঁর ছেলেরা অর্থ নিয়ে কার্পণ্য করেন না কিন্তু একটা মানুষের টাকার সাথে সাথে অনেক কিছুই লাগে এটা আমার নানীর সন্তানেরা বুঝেন কিনা জানি না ।
আমি বুঝি না মানুষ কেন কিসের পেছনে ছুটে ?? আমাদের বাবা মা আমাদের জন্য নাকি গ্রাম ছেড়েছেন , আমরাও ভবিষ্যৎ কে ভেবেই ছেড়েছি দেশ, আমাদের সন্তান কি বিশ্ব ছেড়ে যাবে ? মানে কি দেশ থেকে দেশান্তরে এই ছুটে চলা কেন ?
হুম দেশে নিরাপত্তা নেই, অনেক কিছুই নেই, তাই বলে এই মায়া , এই বাতাস, এই পরিবার , ছেড়ে আমি গত ২ টি বছর কেঁদে কেঁদে পার করেছি ! একটা মুহূর্ত আনন্দের মনে হয় নি । ২ টি বিবাহবার্ষিকী পালন করেছি !! সব মেয়েই হয়তো চায় কিছুটা স্পেস একাকি কিছুক্ষন , কিন্তু দিনের পর দিনের একাকীত্ব বিশেষ দিনে বিষের মত লাগে !!
নাকি শুধু আমারই লাগে?? আমি যখন লিখছি তখনও কাঁদছি ? আমার মায়ের জন্য , আমি তাঁকে কিভাবে অবজ্ঞা করে চলে এলাম ।
আমার জীবনের অনেক গুলি বছর গেছে বিছানায় অসুস্থ অবস্থায় । স্কুল কলেজ আমার বাবা মা আমাকে ডাক্তার , পীর , কবিরাজ কিছুই বাদ রাখেন নি সুস্থ করার জন্য । অথচ যখন আমার বাবা কান্সারে আক্রান্ত হল আমি আমার পড়াশুনায় ব্যস্ত অন্য শহরে ।মনে আছে আব্বু যেদিন শেষ ভালো ভাবে কথা হয় , হসপিটালে যাওয়ার আগে আমাকে ফোন দেয় , আমার বোন কে বলে আমি যাতে বুঝতে না পারি তার অনেক হেঁচকি উঠত সেটা আমার সাথে কথা বলার সময় অনেক কষ্টে দমিয়ে রেখে কথা বলে । বলে আব্বুতো চলে যাবো নিজের পড়াশুনা ঠিক ভাবে করো । হাহ কি স্বার্থপর আমরা না? সবাই তো চলে যাবো একদিন ?
এরপর ভেবেছিলাম আর ছেড়ে যাবো না পরিবার কে । অথচ আজ আমার আম্মু যখন অসুস্থ আমি প্রতিদিন ফোনে শুনি সে হাঁটতে পারে না, আমি বিরক্ত হয় , কাঁদি , রাগ করি !! কেমন সন্তান আমি?
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমি দেশে ফিরলেই মানসিক ডাক্তার দেখাবো । আমার মন সারাক্ষন কাঁদে এটা বন্ধ করতে হবে। অনেক কিছুই লিখতে মন চাইছে । মনের মানুষকে সব বলা যায় না , অথবা বলেছি ও অনেক জ্বালিয়েছি কেঁদে কেঁদে ,ওর জীবনটা আমি নষ্ট করছি । আমি ওর স্বপ্ন নষ্ট করতে চাইছি । আমি আসলে একটা ভূত না ভীতু হাহাহা ।
কেন লিখছি ? এমনি লেখা পড়ার বা লেখার ইচ্ছা কোনটাই এখন করে না । এখন ইচ্ছে করে শুধু কাঁদি । তাও আজ লিখলাম কেন জানি না মনে হচ্ছে মন হালকা হচ্ছে হাহাহাহা ।
কেউ বকা দিয়েন না এই ফালতু কান্দুন মার্কা পোস্টে সময় ব্যয় করে
শেষে আমার লেখা পুরনো কবিতা দিচ্ছি যা আমি আমার এই দশা হবার অনেক আগে লিখেছিলাম আজ আমি নিজেই তা হয়ে গেছি। কি অদ্ভুত না ?? এখনতো ভাদ্র মাস গুম হয়ে থাকার সময়
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০২
আমিভূত বলেছেন: আসসালামুয়ালাইকুম ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট ।
খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি জানতে পেরে , আসলে আমরা যত বড় হই ততই পরিবার থেক দূরে সরে যাই , দূরত্ব আমাদের ভালোবাসার জায়গা গুলোকে হতাশা দিয়ে ভরিয়ে দেয় হয়তো এজন্যই আমি এত আবেগে আচ্ছন্ন !!
দোয়া করবেন, আশা করি আপনি আপনার পরিবার কে সবসময় সঙ্গ দিবেন।
ভালো থাকবেন ।
দুঃখিত অনেক দিন পর জবাব দিচ্ছি বলে মনে কষ্ট নিবেন না
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৭
রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: Guilty feelings খুব খারাপ জিনিস আপু, এটা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন...আর ডাক্তার দেখানো লাগলে দেশে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা কেন, এখনই কন্সাল্ট করে ফেলেন...
জীবনের প্রয়োজনে অনেক সময়ই অনেক কিছু করতে হয়,আপনিও হয়ত নিজের প্রয়োজনে দেশ ছেড়েছেন, অপরাধবোধে তো পরিস্থিতি বদলে যাবেনা, শুধু আপনি কষ্ট পাবেন। বাসায় মা'কে দেখার মতন কেউ কি নেই?পোস্ট পড়ে মনে হল বোন আছে আপনার। আর তাছাড়া অনেক মেয়ে দেশে থেকেও কিন্তু পরিবারের পাশে থাকতে পারেনা অনেক প্রতিকূলতার কারনে,নিজেকে নাহয় সেই সান্তনা-ই দেন..।একটু ব্যস্ত তাই চলে যাচ্ছি, পরে আবার আসব, আর আপনার মতে "ফালতু কান্দনমার্কা পোস্ট" একটা মানুষ কখন দেয় হয়ত বুঝি...তাই যারা বুঝে তারা কেউই বিরক্ত /বকা দিবেনা।
শুভ কামনা
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৫
আমিভূত বলেছেন: আসসালামুয়ালাইকুম তুলি আপু, আপনি এখনো নিয়মিত আছেন জেনে ভালো লাগলো , সময়ের স্রোতে কখন আমরা কোথায় ভেসে যাই , নিজেকে স্তির রাখতে পারা টা অনেক বড় একটা কাজ
আপনার পরামর্শ খুব ভালো লাগলো আমি আসলে আবেগীতো তাই মাথা খারাপ হয়ে যায় মাঝে মাঝে
দোয়া করবেন, আশা করি আপনি আপনার পরিবার কে সবসময় সঙ্গ দিবেন।
ভালো থাকবেন ।
দুঃখিত অনেক দিন পর জবাব দিচ্ছি বলে মনে কষ্ট নিবেন না
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
বিজন রয় বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৬
আমিভূত বলেছেন: আসসালামুয়ালাইকুম বিজন ভাই, আশা করি ভালোই আছেন ।
ধন্যবাদ সাথে থেকে শুভকামনা দেয়ার জন্য । আশা করি আপনি আপনার পরিবার কে সবসময় সঙ্গ দিবেন।
ভালো থাকবেন ।
দুঃখিত অনেক দিন পর জবাব দিচ্ছি বলে মনে কষ্ট নিবেন না
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সময় সহায় হোক। শুভকামনা।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৮
আমিভূত বলেছেন: আসসালামুয়ালাইকুম হাসান ভাই।
সময় আসলে সহায় হয় কিনা জানি না , সময় কে মনে হয় জোর করে কাজে লাগাতে হয় আমি বোধহয় সেটা পারছি না !!
শুভ কামনা থাকলো ।
দুঃখিত অনেক দিন পর জবাব দিচ্ছি বলে মনে কষ্ট নিবেন না
৫| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২১
মুদ্দাকির বলেছেন: অনেক রকমের ভালোবাসার অনেক রকমের চাপ !!
২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:১১
আমিভূত বলেছেন: আসসালামুআলাইকুম ভাই, কেমন আছেন? দোয়া করবেন আমার জন্য , যাতে মন কে শক্ত করতে পারি । আর এজন্য কোন পরামর্শ থাকলে দিবেন
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪২
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আপনার লেখার একটা জায়গায় আমার সাথে মিলে গেলো, মায়ের অসুস্থ্যতা, আমি আমার মায়ের অসুখের সময় বাসায় কম থাকতাম, বাসায় ফিরে কাজের মেয়ে বাবা আপুর কাছে জানতে চাইতাম মা এখন কেমন, ভালো বললে ওনার রুমে যাওয়া হতো,নাহয় নিজের রুমে গিয়ে চুপ করে বসে থাকতাম, আর যদিও ভুলে যাওয়া হতো ওনার রুমে তখন শুরু করতাম ঝারি, তোমার কেন অসুখ হয় এত , আমার ভালো লাগেনা এসব, তাড়াতাড়ি ভালো হও, হেন তেন কত কি। আপুকে দেখতাম দিন রাত আম্মুর পাশে বসে থাকতো, কষ্ট পেতোনা কিংবা ক্লান্ত হতোনা, আম্মুর সেবা করতো আর বই পড়তো, একদিন আপুকে প্রশ্ন করলাম- আপু তোর খারাপ লাগেনা আম্মুর অসুস্থ্যতা,? তুই কিভাবে সহ্য করিস ওনার এই অবস্থা? আমারতো সহ্য হয়না। মা আমার ঝারিতে মন খারাপ করতেনা, উনি ওনার ছেলেকে বুঝতে পারেন।
এখন দেশের বাইরে থাকি, আম্মু সিক হলে আমি আর কল দেইনা, আব্বুকে কল দিয়ে আম্মুর খবর নেই, মা দুরে বসে শুনে আর হাসে,আমিও আপনার মত ভিতু, আপন জনের কষ্টে লুকিয়ে যাই।
আপনার লেখা গুলোর মধ্যে এত সরলতা যেন সব গুলো শব্দ আলাদা স্বত্বা হয়ে কথা বলছে।
সব কিছু কাটিয়ে সোজা হয়ে উঠে দাড়াবেন সেই দোয়া করি
ভালো থাকবেন