![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে আসন্নপ্রসবা মমতাজ বেগমের পেটে থাকা ৯ মাসের শিশু হয়েছে খুন। সম্ভ্রম হয়েছে লুট। আর ক্ষতবিক্ষত প্রজনন অঙ্গ ও পায়ুনালী হয়েছে চিরতরে বিকলাঙ্গ। অনাহার আর অর্ধাহারকে সঙ্গী করে পেটের মধ্যে লাগানো কৃত্রিম পায়ুনালীর অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে মমতাজ বেগম পার করেছেন ৪০টি বছর। আরও কত যে করবেন, তা তার জানা নেই!
তাই, প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসটি আসে মমতাজের জীবনের এক দুর্বিসহ স্মৃতির বোঝা নিয়ে। আজ থেকে ৪০ বছর আগে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঝড়ো হাওয়া তার জীবনটি ওলটপালট করে দিয়ে যায়। প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই ঝরে যায় তার জীবনের সব স্বপ্ন-সাধ-আহ্লাদ। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের নিরব সাক্ষী অমানুষিক নির্যাতনের শিকার ‘বীরাঙ্গনা’ মমতাজের কাহিনী জানতে হলে যেতে হবে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গার লতিফপুর তালতলা গ্রামে।
এখানে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ঘেঁষা লতিফপুর গ্রামের মেয়ে মমতাজ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মমতাজের বয়স ছিল ১৭ বছর। তখন তিনি ছিলেন ২ কন্যা সন্তানের জননী। মাত্র ১০ বছর বয়সে মমতাজের বিয়ে হয় একই গ্রামের দরিদ্র কৃষিশ্রমিক কাছম আলী মোড়লের ১১ বছরের ছেলে রমিজ উদ্দিন মোড়লের সঙ্গে। ‘ছোট বলে আড়াই বছর পর রমিজ আমাকে তার ঘরে তোলেন। রমিজ আর আমি আমাদের ২ কন্যাশিশুকে নিয়ে একরকম সুখেই ছিলাম। সংসারে অভাব ছিল। কিন্তু, নারকেল-সুপারি বাগানে ঘেরা ছোট্ট ঘরে আমাদের কোনো অশান্তি ছিল না’- বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মমতাজ।
তখন ১৯৭১ সাল। মুক্তিযুদ্ধ চলছে। আলাদা যুদ্ধ ক্ষেত্র বলতে কিছু ছিল না। সারা দেশই তখন রণাঙ্গন। শহর, গ্রামগঞ্জ, সর্বত্রই যুদ্ধ চলছে পাকিস্তানি খান সেনাদের সঙ্গে। স্বাধীনতার সৈনিক মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় দিশেহারা পাকিস্তানি সেনা আর তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তিকমিটির সদস্যরা নির্মম আক্রোশে এ দেশের নারী-পুরুষকে শুধুমাত্র নির্বিচারে হত্যাই করেনি, জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে তারা নারীদের শ্লীলতাহানিও শুরু করে। এমনি এক নির্মম ও হৃদয়বিদারক ঘটনার শিকার হন মমতাজ।
সেই ভয়ঙ্কর দিনটির কথা আজও স্পষ্ট মনে আছে মমতাজের। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৭ জুন। চাঁটাইয়ের বেড়া আর ছনের ছাউনির ঘর থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় পাকিস্তানি খান সেনারা।
বন্দুকের মুখে তাকে নিয়ে যায় পাশের এক সেতুর কাছে। তখন তিনি ছিলেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। দল বেঁধে নরপিশাচের দল তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। শত অনুনয়, বিনয় কোনো কিছুই তাদের সহানুভূতি কাড়তে পারেনি।
পালাক্রমে ধর্ষণ করার পর তার কী হয়েছে, তা আর কিছুই মনে নেই মমতাজের। শাশুড়ির আহাজারিতে যখন জ্ঞান ফেরে, তখন তিনি নিজেকে দেখতে পান বাড়ির উঠোনে চাটাইর ওপর শুয়ে আছেন। ছোপ ছোপ রক্তাক্ত শরীরকে তিনি আর নড়াতে পারছিলেন না। অসহ্য যন্ত্রণায় বুকের নিচ থেকে শরীরটি তখন অবশ হয়ে গেছে। চোখ মেলে দেখেন তার স্বামী রমিজ ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছেন। কারো কারো চোখে পানি। আর শাশুড়ি তখন বুক চাপড়িয়ে বিলাপ করছেন, ‘হতভাগী তুই মরলি না ক্যান, অহন তোরে লইয়া আমরা কি করমু? কই যামু ক?’ আবার জ্ঞান হারান মমতাজ। পরে প্রতিবেশী কয়েকজন নারী মমতাজের গর্ভ থেকে টেনে টেনে বের করে আনেন এক মৃত পুত্র সন্তান। কিন্তু, শিশুটির দেহের একটা অংশ থেকে যায় পেটের ভেতরেই। ক্ষত-বিক্ষত পায়ুনালী আর যৌনাঙ্গ দুটি তখন একাকার হয়ে গেছে!
এই দুঃস্বপ্ন তিনি গত ৪০ বছর ধরে দেখছেন। তার মনে হয়, শরীর থেকে রক্ত ঝরছে। এক মুহূর্তের জন্যও পবিত্র রাখতে পারেননি তার শরীর। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করে এতগুলো বছর কেটে গেছে তার। মমতাজ জানালেন, ‘একটি রাতের জন্যও ঘুমাতে পারিনি। কানে শুনি না। ঝাঁপসা হয়ে গেছে চোখ। কোনো কাজ করতে পারি না।’ একাত্তুরের সেই দিনগুলির কথা মনে করে মমতাজ বেগম জানান, সারাদিন অন্যের বাড়িতে কৃষি কাজ করে এসে প্রতিদিন সন্ধ্যায় স্বামী রমিজ উদ্দিন শীতলক্ষ্যার জলে তার রক্তাক্ত জামা কাপড় ধুয়ে দেন। ইচ্ছে করলে তিনি তখনই মমতাজকে ছেড়ে দিতে পারতেন। কিন্তু, ভালোবাসার এই মানুষটিকে বুকে আগলে রাখেন রমিজ।
কৃষিশ্রমিক রমিজ উদ্দিন গরিব হলেও স্ত্রীকে তিনি প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। আজও সেই বন্ধন রয়েছে অটুট! মহৎপ্রাণের অধিকারী রমিজ উদ্দিনের নিজস্ব জমি বলতে তেমন কিছুই নেই। যা আছে, তা বিক্রি করে এবং হাড়ভাঙা পরিশ্রমের টাকা দিয়ে গত ৪০ বছর ধরে স্ত্রীর চিকিৎসাসেবা করে চলেছেন তিনি। নির্যাতনে মমতাজের পায়ুনালী ও যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত এবং ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে স্থায়ীভাবে। তাকে ৫ বার অপারেশন করেও সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। বিকল্পভাবে তলপেটে পায়ুনালী স্থাপন করে কৃত্রিম পাইপ দিয়ে মলত্যাগ করছেন ৪০ বছর।
কিন্তু, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের দলিলপত্রে মমতাজের ঠাঁই হয়নি কোথাও। কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদও ‘বীরাঙ্গনা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি তাকে। কারণ, অভিশপ্ত জীবনের গ্লানি আর বোঝা বয়ে বেড়ানো নিরক্ষর মমতাজের সাধ্যে কুলায়নি কোনো তদবির করার। বিজয় দিবস আসে আর যায়! স্বাধীনতা দিবস আসে আর যায়! কিন্তু মমমতাজের খবর নেয় না কেউ! ৪০ বছরে মাত্র ২ বার উপজেলার পক্ষ থেকে বিজয় দিবসের দাওয়াত পেয়েছেন বলে জানান মমতাজ।
২০০৬ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদা ফেরদৌস তাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন বলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন তিনি। রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওনা বলতে এটুকুই পেয়েছেন বলে জানান। বয়েসের ভারে নুয়ে পড়া মমতাজকে এখনও প্রতিদিন প্রায় ২শ টাকার ওষুধ খেতে হয়। বৃদ্ধ স্বামীকে অতিকষ্টে জোগাড় করতে হয় এই টাকা। ওষুধের খরচ জোগাড় করতে গিয়ে প্রায়ই উপোস থাকতে হয় মমতাজ দম্পতিকে। গ্লানিকর জীবনের এই যন্ত্রণাদগ্ধ বোঝা আর সইতে পারছেন না তিনি! বেঁচে থাকার আর ইচ্ছাও তার মধ্যে কাজ করে না বলে জানান মমতাজ।
(সুত্রঃ বাংলানিউজ ২৪)
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০১
আম্মানসুরা বলেছেন: মমতাজের স্বামী কে আমার কোন সাধারণ মানুষ মনে হয় না! মমতাজ তার জীবনে একজন চমৎকার জীবন সঙ্গী পেয়েছেন যা খুব খুব খুব কম নারীর ভাগ্যে জোটে। বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন আপু। অনেক খারাপ লাগার মধ্যে এটা অনেক বড় একটা ভাললাগা!!!
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
ছিরা কবি বলেছেন: সেল্যুট টু রমিজ উদদিন ....
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩
আম্মানসুরা বলেছেন: আসলেই রমিজ উদ্দিন অসাধারণ ব্যক্তি!
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
খইকাঁটা বলেছেন: লেখক বলেছেন: মমতাজের স্বামী কে আমার কোন সাধারণ মানুষ মনে হয় না!
------------------------------------
না ভাই রমিজ মানুষ, আমরাই অমানুষ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
আম্মানসুরা বলেছেন: আসলেই তাই!!! আমরাই অমানুষ। মানুষ রমিজ কে সালাম।
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়ে গেছে দলীয় পণ্য!!!!!
এখানে কর্পোরেট ভেল্যুতেই বিচার হয়! প্রকৃত দরকার নেই- ভন্ড সনদ ধারীদের দাপটে, কলকাতা পালিয়ে থাকাদের সনদের ভীরে, মুরগী সাপ্লাইয়ারদের চেতনার চিৎকারে, সুবিধাবাদীদের স্বার্থের তলে তলিয়ে গেছে এমন শত সহস্র মমতাজ!!!!
বীরশ্রেষ্ঠ উপাধী পাবার পরও এই দেশে যাদের সন্তানদের খেয়ে না খেয়ে জীবন ধারন করতে হয়- সেখানে মমতাজরাতো হিসাবেরই বাইরে!!
আমাদের আছে মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রনালয়!!!
আছে এই বিষয়ক ফুল মন্ত্রী হাফ মন্ত্রী! প্রতি, উপ... কত শত উপাধী!!!
আছে কত শত সচিব, কর্মকর্তা কর্মচারী!!!
বাৎসরিক কত শত কোটি টাকা ব্যায় ঞয় তাদের পিছে!!!!!!
এই ছোট্র দেশটার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সংগ্রহ কি খূবই জটিল কাজ?
তবে আর এত সব শ্বেতহস্তীদের পোষা কেন? এত এত মন্ত্রী পুষে জনতার টাকার শ্রাদ্ধ কোন দুঃখে????????
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
আম্মানসুরা বলেছেন: এই সব মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীদের ডাস্টবিনে ফেলে আসা উচিত।
কষ্ট লাগে মমতাজদের জন্য, লজ্জাও লাগে। কোটা প্রথা মমতাজদের কি করতে পারে?
নির্মম খবর ভালো লাগেনা তাই টিভি দেখা আগেই ছেড়ে দিয়েছি কিন্তু নেটের কল্যাণে কিছু খবর চোখে পড়ে যায় আর আমাকে কাঁদায়, ভাবায় ও লজ্জা দেয়। ভাবছি নেট ব্যবহার করাও বন্ধ করে দেব।
৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
খেয়া ঘাট বলেছেন: Shodo kadte ichcha korse
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
আম্মানসুরা বলেছেন:
কাঁদুন
কান্না ছাড়া আর কি বা করার আছে!
৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
বোকামন বলেছেন:
পাঠ প্রতিক্রিয়া কি লিখবো ! ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না ....
এভাবেই বুঝি আমরা প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পড়ছি ....
চোখ নয় হৃদয় কেঁদে উঠে
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১২
আম্মানসুরা বলেছেন: অধিক শোঁকে পাথর বলে একটা বিষয় আছে। আমরা পাথর জাতি হয়ে যাচ্ছি!
৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
আমিনুর রহমান বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা শেয়ারের জন্য। এর আগেও একবার নীলমেঘ আমি এই নিউজটি শেয়ার করেছিলো। আমার প্রিয়তে রেখেছিলাম তার খোঁজ নিবো বলে কিন্তু সময় ও সুযোগ হয়ে উঠেনি।
গাজীপুরের এলাকার ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মমতাজ বেগমের জন্য ব্লগাররা সবাই মিলে কিছু করতে পারি।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
আম্মানসুরা বলেছেন: ইস তার জন্য কিছু করা গেলে খুব ভালো লাগত! যদিও তার অপূরণীয় ক্ষতি কিছুতেই লাঘব হবার নয় তবুও যদি কষ্ট কমান যায়!
আমি গাজীপুর থাকি না, আমার চেনা জানা কেউ থাকে না।
৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন: শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ । এই আত্মত্যাগের কোন শিরোনাম হয় না ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
আম্মানসুরা বলেছেন: সঠিক বলেছেন, আসলেই এই আত্মত্যাগের কোন শিরোনাম হয় না ।
৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম, এই সব ত্যাগ, অত্যাচারের কথা শুনলে নিজে থেকেই আমার মুখটা কঠিন হয়ে যায়। আমি যেমন কিছুতেই ক্ষমা করতে পারি না ঐ সময়কার পাক বাহিনী এবং তাদের দোসরদের তেমনি আমি ক্ষমা করতে পারি না সেই সব মানুষদের, যারা স্বাধীনতার এত বছর পরেও একটি সঠিক তালিকা বানাতে পারে নি, পূর্নবাসন করতে পারে নি প্রকৃত অত্যাচার নির্যাতনের শিকার মানুষ গুলোকে।
গাজীপুরের ব্লগার বা যারা সচেতন যারা এই পোষ্ট পড়ছেন, তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। দেখুন তো এই শিরোনাম বিহীন অত্যাচারিত মা এর জন্য কিছু করা যায় কিনা।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৬
আম্মানসুরা বলেছেন: আমাদের ক্ষমা করা বা নাকরায় কি আসে যায়? আম জনতার মতামতের কি মূল্য আছে?????
তবে কিছু করার উদ্যোগ নিতে পারলে হয়ত দায় মুক্তি ঘটে।
১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কিছু বলার জন্য কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না, শুধু চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে, আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, যেখানে আমাদের পবিত্র বীরাঙ্গনারা এভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরবে!
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৫
আম্মানসুরা বলেছেন: না আমরা এই বাংলাদেশ চাইনি কিন্তু যে বাংলাদেশ চেয়েছিলাম তার জন্য চেষ্টা করেছি কি???
১১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
ঢাকাবাসী বলেছেন: এদের খবর কেউ নেয়না। দুর্ভাগা জাতি।
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৫
আম্মানসুরা বলেছেন: দুর্ভাগা নাকি অকৃতজ্ঞ জাতি?
১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: কষ্ট পেলাম লেখাটা পড়ে! এত ত্যাগে আর মৃত্যুর বিনিময়ে কি এই দেশ চেয়েছিলাম! যেখানে রাজাকার গাড়িতে পতাকা লাগিয়ে চলে যায়, সেলুট নেয় অপরদিকে বিরঙ্গনারা ধুকে ধুকে মরে!
রমিজ উদ্দিনকে সেলুট।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
আম্মানসুরা বলেছেন: রমিজ উদ্দিনকে সেলুট।
১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৪
শ্যামল জাহির বলেছেন: রমিজ উদ্দিন একজন অতি সাধারণ মানুষের নাম। কিন্তু যার ভিতরে বসবাস এক দেব আত্মার! স্যালুট দেব!
হে মমতাময়ী বীরাঙ্গনা মমতাজ, তুমি বাংলা মানচিত্রের তাজ!
তুমি আমার মা।
তোমার রক্ত-সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা।
আমরা মুক্ত। অথচ; তুমি চিরতরে বন্দী; পঙ্গু!
প্রিয়'র মধু কথা শুনতে মোবাইলে টাকা উড়াই,
কোক-বিড়ি'র নেশায় কত অর্থ ঢালছি জলে!
আর; তুমি মরছো উপোসে, অর্থাভাবে চিকিৎসায়!
থুতু ছিটাও আমার অট্টালিকা-অর্থে!
যদি থুতু না দাও, অন্তত ক্ষমা করো মা।
*****************************
আমিনুর রহমান ভাইয়ের সঙ্গে একমত।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২১
আম্মানসুরা বলেছেন: হে মমতাময়ী বীরাঙ্গনা মমতাজ, তুমি বাংলা মানচিত্রের তাজ!
তুমি আমার মা।
তোমার রক্ত-সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা।
১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন: এই পোষ্টে কি কমেন্ট করব কাল রাত থেকে ভাবছি
কিন্তু ভাষা খুঁজে পেলাম না।.............
বিরাঙ্গনা মমতা , মা আমায় ক্ষমা করো
আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারিনি
দোয়া রইল, অবশ্যই আল্লাহ তোমায় প্রতিদান দেবেন।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
আম্মানসুরা বলেছেন: আসলেই মমতাজ বেগমের জন্য কিছু বলার ভাষা নেই, এত কষ্ট !!
আপনার প্রার্থনা আমারও প্রার্থনা, আল্লাহ অবশ্যই পূর্ণ করবেন।
১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১২
ভাইটামিন বদি বলেছেন: চেতনা'রা ভেসে যাক শীলক্ষ্যার জলে....
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
আম্মানসুরা বলেছেন: নারে ভাই, এখনো মানুষের মাঝে চেতনা কাজ করে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫২
আরজু পনি বলেছেন:
