নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বন্দি কারাগারে

আমি বন্দি কারাগারে

আমি বন্দি

আমি বন্দি কারাগারে

আমি বন্দি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ছেলে বেলার কিছু কথা

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪


প্রতিটি মানব জীবনে নানান সময়ের বহু সৃত্বি জরীত থাকে ।
কারো ছোট বেলার প্রেম আবার কারো ছোট বেলায় ঘুমের ঘরে বিছানায় মুতার ঘটনা এত ঘটনা এত সৃত্বি যা শুরু করলে প্রতিটি মানুষের লাইভ হিস্টরী দিয়ে কম হলেও পাঁচ দশটি করে সিনেমা তৈরি করা যাবে । এই যা সিনেমার কথা বলতেই আমার একদিন একা সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যাওয়ার কথা মনে পরে গেল । আমাদের সকলের সে সময়ের সিনেমার নায়িকা হিসেবে প্রিয় বলতে গেলে কিন্ত একজনই আর সে হল সব সময়ের প্রিয় অভিনেত্রী শাবানা ।
আর নায়োক হিসেবে অভিনেতা আলমগীর । এবং আরো সফল জুঠি রাজ্জাক,কবরি,এদের ছবি আমরা একটু বেশিই সবাই দেখছি ।
যাইহোক তখন শান্তনা নামের একটি সামাজিক ছবি চলছিল সিনেমা হলে । আর ওটা দেখার জন্য আমার বাবা পকেট থেকে আমাকে বিশ টাকা চুরি করে নিতে হয় । সাথে আরো যোগ হয় একদিন স্কুল চুরি । সিনেমা দেখে এসে ভয়ে বাবার সামনে প্রায় এক মাস যাইনি ।
এরকম বহু ঘটনাই আমরা করেছি ছেলে বেলায় । এসব ভেবে অনেক সময় চোখের কোনে আচমকা পানি এসে যায় । আহ সে দিন গুলো যদি আরেকবার জীবনে ফিরেপেতাম ।
আমি তখন ক্লাস ছয় এ পড়ি । ঐ দিন ছিল আমার হাই স্কুলের প্রথম দিন । আমাদের ক্লাসে তখন ছেলে মেয়েদের এক সাথে এক রুমে ক্লাস করা লাগতো । সময়তে আমরা ছেলে মেয়েরা এক ব্রেনচিতেও বসতাম । তবে তখন এখনকার মতো কেও মাইন্ট করতো না । তবে এখন যারা মাইন্ট করে আমি তাদের দোষ দেই না দোষ আমাদেরি কেননা আমরা অনেকেই মাইন্ট করার মতই কাজ করি । যাক সে কথা মূল কথায় ফিরি তো হাই স্কুলের প্রথম ক্লাস শুরু মনে চিন্তা ভাবনাও অন্যরকম । হাই স্কুলে ওঠার আগে প্রাইমারি স্কুলে পড়া না পারলে স্যারেরা মারলে মাঝে মাঝে ভাবতাম হয়ত ওপরের ক্লাসে যখন ওঠবো তখন হয়ত আর স্যারের হাতে মার খেতে হবে না । তাই তখন বুঝতে পারি নাই হাই স্কুলের স্যারেরাও ভুল হলে মারতে পারে । প্রথম ক্লাস আমাদের প্রথম ঘন্টা শুরু হত ইংরেজী ক্লাস দিয়ে । ঐদিন আমি সামনের টেবিলে বসায় স্যার রোল ডাকা শেষ করে আমার কাছ থেকে একটি ইংরেজী বই চেয়ে নিলেন । বইটি খুলে এক নজর দেখে স্যার আমার সামনে আসলেন । আর এসেই কোন কথা না বলেই আমার গালে দু চর বসিয়ে দিলেন । আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্যার আমাকে টেবিলে ওঠে কান ধরে দাঁড়িয়ে যেতে বললেন । আমিও স্যারের কথা মত কান ধরে টেবিলে দাঁড়িয়ে গেলাম । এমন অবস্থায় মেয়েরা আমাকে দেখে কি হাসিটাই না দিয়েছিল । আর আমিও যেন কি একটা ফাঁটা বাঁশের চিপায় না পরেছিলাম । এর পর স্যার সকলকে আমার দিকে তাকাতে বলে স্যার বলতে শুরু করল এই বেটায় আগের বছর পরীক্ষায় বই কেঁটে নকল পরীক্ষা দিয়েছিল । এর বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা কাঁটা । সে কি লজ্জার ব্যাপার । আসলে ব্যাপারটি হল আমি আমার বই গুলো আমার পাশের বাসার সিরাজের কাছ থেকে কিনেছিলাম এ নকল করার কাজটি সেই করেছল । আর মার আমাকে খেতে হয়েছিল ।
আজ এ পযন্তই আর ভালো লাগছে না । আরেকদিন আরো কিছু ছেলে বেলার কথা লেখমুনি ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

জারাহ বলেছেন: আহারে!!!!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

আমি বন্দি বলেছেন: আপনার বুঝি আমার দুংখ দেখে অনেক কষ্ট লেগেছে আহারে ধন্যবাদ ।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

কালের সময় বলেছেন: আহারে সে দিন যদি ফিরে পাওয়া যেত =p~

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

আমি বন্দি বলেছেন: আহারে সেদিন কি আর ফিরে আসবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.