![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমাকে একটি নতুন সকাল এনে দিবো ...
তখন আমার বয়স ৪.৫ বা ৫ বছর। একদিন বিছানায় লাফালাফি খেলছিলাম। হঠাৎ বিছানার কোনার দিকে তোষকের নিচে কিছু একটা উঁচু জিনিস পায়ে অনুভব করলাম। তোষক উল্টে দেখি নিচে একটি ৫০০টাকার মোটা বান্ডেল (তখন টাকার নোট চিনতাম না) এতো গুলো টাকা দেখে তো আমি অবাক কি করি। একবার ভাবলাম এখান থেকে একটি টাকা সরিয়ে রাখি পরে লজেন্স কিনে খাবো। কিন্তু টাকা গুলো শক্ত করে বান্ডেল বাঁধা ছিলো। তাই কি যেনো মনে করে সবগুলো টাকা সেখান থেকে সরিয়ে চাউলের ঝালাতে রেখে দেই।
বাবা তখন ছোটো খাটো ব্যবসা করতেন। সেদিন তিনি তার পুরো মূলধনটাই সেখানে রেখেছিলেন, পরের দিন মাল কিনবেন বলে।(তখনকার মনুষ আলমারির চেয়ে তোষকের নিচে টাকা রেখে বেশি নিরাপদ অনুভব করতো) সকাল ১০টার দিকে বাবা বাজার থেকে একজন লোক পাঠান মা'র কাছে টাকা নেবার জন্য। মা নির্দিষ্ট স্থানে টাকা না পেয়ে আশে পাশের জায়গাতেও খুঁজে না পেয়ে লোকটিকে বলেন বাবাকে বাড়িতে আসার জন্য। বাবা এসে সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজে টাকা না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। আর আমিও বোকাই ছিলাম নাকি সবকিছু দেখতেছি, বুঝতেছি আর চুপ করে আছি।
অবশেষে সব সন্দেহ এসে পড়ে বড় আপার উপর। আপা তখন ফাইভ কিম্বা সিক্স এ পড়ে। (আপা ছোট থেকেই দুরন্ত ও দুষ্ট প্রকৃতির ছিলেন।) বাবা রেগে গিয়ে মা কে বললেন "এখনই তোর মেয়ের স্কুলে যা, আর জিজ্ঞাসা কর টাকা নিয়েছে কিনা, নিলে কোথায় রেখেছে" মা কোনো উপায় না দেখে তার একমাত্র নীল শাড়িটি পড়ে আপার স্কুলে যাবার জন্য তৈরী হন। মা'র এই দুরবস্থা দেখে আমার চোখে পানি চলে আসে তবুও আসল ঘটনা বলতে পারি না।
মা স্কুল থেকে কি খবর নিয়ে আসবেন আমি আগেই জানতাম। মা যে পথে স্কুল থেকে ফিরে আসবেন আমি সেই রাস্তার পাশে বসে কাঁদতে থাকি। একসময় এক রাশ হতাশা নিয়ে মা স্কুল থেকে ফিরেন। আমি মাকে দেখে আনন্দিত হই। মা'র সাথে ঘরে এসে আমি টাকাটা বের করে দেই। টাকা পাওয়া গেছে শুনে বাবা দৌড়ে ঘরে আসেন এবং আমি টাকাটা খুঁজে পেয়েছি দেখে আদর করে আমাকে কোলে নেন, কিন্তু আমার মুখে তখন অপরাধীর ছাপ।
পরের দিন মা'কে সব ঘটনা খুলে বলি। কি ভাবে টাকা খুঁজে পেয়ে সরিয়ে রেখেছিলাম। ততখনে বাবার রাগ কমে গেছে এবং বয়স কম ছিলো বলে সেই যাত্রায় মাইর এর হাত থেকে বেঁচে যাই।
জীবন কথার বাকি গল্পগুলো এই বিভাগে
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
আমিতো আমার বাপেরটা সরাইছিলাম!
তারেকতো আপনার আমারটা সরাইছে
২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
এন ইউ এমিল বলেছেন: পুরাই টাশকিত
প্রথম কমেন্টস টা পরে ব্যাপক হাসলাম
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
আরো কাহিনী তো বলিই নাই, আর একটু বড় হয়ে সুপারি গাছ থেকে সুপারি চুরি, ধানের গোলা থেকে ধান চুরি, দাদার আলমারি থেকে কাঠি দিয়ৈ টাকা চুরি......... সবই অবশ্য বাপ/দাদার সম্পত্তি থেকে
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
জেমস বন্ড বলেছেন: বিরাট বুদ্ধি দেখি আপনের । আমি অবশ্য এলাকার আতাফল চুরি করে চাউলের ভিত্রে রাখতাম
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
নারে ভাই! তখন বুদ্ধিগুলো অতো পাকে নাই
৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
আদম_ বলেছেন: যান মিয়া ফাউল, আপনার সাথে কথা নাই, এত দিন লেখেন নাই কেনো? মনে রাখবেন, আমি আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকি। লেখা বরাবরেই মুগ্ধকর (অন্তত আমার কাছে)। ভালো থাকবেন।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
রাগ করে না ভাই! কয়েকটা দিন খুব ব্যস্ত ছিলাম। এখনও পোরো পোরি ফ্রি হই নাই। আজ একটু কাজ কম ছিলো, তাই একটু লিখলাম। এই গল্পগুলো আমাকে তৈরী করতে হয় না, ওগুলো আমারই জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটন। তাই সময় পেলেই লেখা পাবেন ইনশাআল্লাহ!
৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: মজা গো শুধুই মজা
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
আমারতো মনে হলে কষ্ট লাগে....
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
আদম_ বলেছেন: আরো কাহিনী তো বলিই নাই, আর একটু বড় হয়ে সুপারি গাছ থেকে সুপারি চুরি, ধানের গোলা থেকে ধান চুরি, দাদার আলমারি থেকে কাঠি দিয়ৈ টাকা চুরি......... সবই অবশ্য বাপ/দাদার সম্পত্তি থেকে
এগুলার অপেক্ষা থাকলাম।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
আর একটি লিখা পোস্ট করেছি।
আর একটি লিখতেছি....
আপনাকে দাওয়াত দিলাম!
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
পথহারা নাবিক বলেছেন: বাপরে! আপনেতো পুরাই তারেক জিয়া!!