শাহবাগ এর ব্লগার ভাই এরা একটু শুনুন

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

'' একদা একদল বাঙ্গালী গলাফাটাইয়া চিৎকার করে বলিতেছিল রাজাকারের ফাসি চাই, খুনি দের ফাসি চাই।



সেই সময় কইথেকে এক নাস্তিক হাজির হইয়া বলিল আমিও রাজাকারের ফাসি চাই, আমিও খুনিদের বিচার চাই।



ওই নাস্তিকরে পরদিন কে বা কারা খুন করিল।



তার পরের দিন বাঙ্গালী বলিয়া উঠিল যেহেতু এক নাস্তিক ও রাজাকারের বিচার চাই বলিয়াছে কাজেই আমরা আর রাজাকারের ফাসি চাই না, আমরা হক্কলে রাজাকার বাহিনিতে যোগদান করিয়া দেশ নাস্তিক মুক্ত করিব। আহা কি সুখ।



আন্দোলনের মাঠে ১ জন ২ জন নাস্তিক থাকতে পারে, কিন্তু লাখো জনতা তো নাস্তিক নয়, আমি তুমি তো নাস্তিক নই... তাইলে আন্দোলন এর গায়ে কালিমা রটাইয়া ষড়যন্ত্রকারিরা পার পেয়ে যাবে কেন ?



ওহে বাঙ্গালী, স্লোগান কে দিল তা বড় না, স্লোগানটা কি সেটাই আসল। অপরাধির বিচার করতে চাও নাকি রাজাকার দের হাতে বাংলাদেশকে ধর্ষণ হইতে দেখতে চাও ?



যদি বিচার চাও তাইলে শাহবাগ এ দেখা হবে ইনশাল্লাহ। ''



জী উপরের লেখাটি একটি ফেসবুক স্টাটাস, যা আমার লেখা এবং এই লেখাটার মাধ্যেমে আপনাদের একটা বোকামির মাধ্যেমে আন্দোলন ধ্বংস হইবার যে উপক্রম হইছে তা হইতে আমাদের পবিত্র শাহবাগ কে রক্ষা করতে চেস্টা করছি।



কোন সেই বোকামি ?

উত্তর- রাজিব ওরফে থাবা বাবার জানাজা ।



মনে রাখবেন বাংলাদেশীরা এখনো আপনার আমার মত এত দিলখোলা মন খোলা হইয়া যায় নাই যে একজন স্বঘোষিত নাস্তিক যে কিনা আবার ইসলাম এবং নবীজি কে অপমান করে লেখা লিখেছে তাকে মেনে নিবে। বাস্তবতা মেনে নিন। থাবা বাবাকে শহীদ বাইনাইয়া শাহবাগ এ জানাজা দিলে জামাত শিবির এর ধর্ম ব্যাবসায়িরা আন্দোলনকে ধর্ম বিরোধি চক্রান্ত হিসেবে প্রমান করার একটা উপলক্ষ পাবে।



তাহলে আমাদের এখন কি করার আছে ? ভাই ভুইলা যান রাজিব এর মৃত্যুর কথা। পুলিশ ও আইন তার মৃত্যুর বিচার করবে। আল্লাহ বিচার করবে।



এই আন্দোলন আপনাদের একার সম্পদ না যে আপনাদের কোন ফেন্দুর মৃত্যুর জন্য শাহবাগ এর জনমতের বিরুদ্ধে তার জানাজা দিবেন।



একজন আন্দোলনকারি হিসেবে তার জন্য যথাযথ সম্মান দেয়া যাইতে পারে , কিন্তু তাকে নিয়া মাইকে হাংগামা করলে পরের দিন আর শাহবাগ এ আপনারা ছাড়া কাউকেই পাইবেন না। কাজেই রাজনীতির এই দাবার খেলার চাল গুলো একটু সতর্ক হয়ে দিন। মনে রাখবেন জামাত শিবির হইল তেলাপোকার জাত, তারা দাবা খেলা শেখ হাসিনার মত কৃতি দাবারুর সাথে খেলে আসছে আর আপনারা তো দুই দিনের পোলাপান।



আপনাদের আন্দোলন এর সাথে আমি ১০০ ভাগ সমর্থন জানাইয়া আসতেছি সেই প্রথম দিন থেকে। মুলত এই আন্দোলন শুধু একটা গ্রুপের নয়, এই আন্দোলন সবার। আপনাদেরকে কয়েকটা উপদেশ দেই, সেই মতে দাবার চাল দেন, উপকার পাবেন



১- ভলান্টিয়ার ব্লগার গ্রুপ এর হলুদ ব্যান্ডেনা খুলে ফেলেন, সাদা ব্যান্ডেনা পড়েন এবং নতুন গ্রুপ এর নাম দেন বাংলাদেশী জনতা , কারন এই আন্দোলন অনলাইন ব্লগার গ্রুপ ও একটিভিস্ট এর সম্পদ নয় এইটা মানুসকে বুঝাইতে হবে।



২- রাজিব মহিউদ্দিন এবং অন্য সকল ধর্ম বিদ্বেষীদের হইতে আন্দোলন এর মঞ্চ দূরে রাখেন, তাদের অবদান অনস্বীকার্য কিন্তু বাস্তবতা মেনে নিয়ে আন্দোলন এর বৃহত্তর স্বার্থে এবং দাবা খেলায় জেতার জন্য এর বিকল্প নাই। কোন মতেই জামাতিদের আমাদের আন্দোলনলে নাস্তিকদের সমাবেশ এর ব্রান্ডিং করতে দেয়া যাবে না।



৩- রাজিব এর মৃত্যুর প্রতিশোধ এর দাবী নয়, দাবী উঠুক অগ্রণী ব্যাঙ্ক এর সেই কর্মচারী হত্যার প্রতিশোধ এর যে কিনা অফিসের সামনে ঝুলন্ত ফাসির দাবীর ব্যানার শিবির এর আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য শিবির এর সাথে ধস্তাধস্তিতে লিপ্ল হয়ে এবং শিবির এর চাপাতির কোপে শহীদ হয়। সেই আসল হিরো। তার প্রাপ্য সম্মান চাই। তার জানাজা হোক আন্দোলনের মাঠে।



৪-- দয়া করে নাস্তিকতা যুক্ত ফেসবুক স্টাটাস দিবেন না, বরং ইসলাম যে আমাদের সমর্থন করে সেই সব কথা লিখুন।

৫--আন্দোলন মঞ্চে আজকেই একজন ইসলামি চিন্তাবিদ এবং স্বাধীনতার পক্ষের ধর্মপ্রান মানুষকে কথা বলার সুযোগ দিন, তিনি জাতিকে বুঝিয়ে দিক আন্দোলন ধর্ম বিরোধি নয়।



এই জিনিস গুলো যদি মাথায় না রাখেন আন্দোলন অতিশীঘ্রই ঝিমায় পড়বে। শুধু তাই নয় রাজাকার দের কুটচাল এর কাছে সমগ্র বাঙ্গালী জাতি পরাজিত হবে। কাজেই সাধু সাবধান, সময় নিয়ে ভেবে ভেবে দাবার চাল গুলো দিন। মনে রাখবেন আমরা দেশপ্রেমিক এবং ধর্মপরায়ন জাতি।

৮ টি +২/-০