নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাদামাটা মানুষ। ভালবাসার কাঙ্গাল। অল্পতেই তুষ্ট। সবাই আমাকে ঠকায়, তবুও শুরুতে সবাইকে সৎ ভাবি। ভেবেই নেই, এই মানুষটা হয়ত ঠকাবেনা। তারপরেও দিনশেষে আমি আমার মত...

অপলক

তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।

অপলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ১৮ নম্বর বাসা পর্ব: ৭ (ভূতুরে ঘটনা)

২৯ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:৩৭

২০১৪ সালের ২৪ তারিখ আমার মেয়ে জন্ম নেয়। ওর জন্মে সময় আমার মা বাবা ছিল। তারা চলে যাবার দিনে শাশুড়ি, শালা আর এক শালি আমার বাসায় আসে। সবকিছু ঠিক ঠাক চলছিল। আমি পিতৃত্বকালীন ৭ দিনের ছুটি কাটিয়ে নিয়মিত অফিস করি। মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে জেগে রাজকন্যাকে দেখি। আর অব্যক্ত শান্তি পাই।



দিন দশেক পরে বাসায় একটা অঘটন ঘটলো। আমি সেদিন রাত ১০টার দিকে ফিরি। ঘটনা ঘটে মাগরিবের পরপর। এখানে বলে রাখি, আমার শালার রাশি খারাপ। সে কোন জায়গায় গেলে, প্যারানরমাল এক্টিভিটির দ্বারা প্রভাবিত হয়। আউট অব কন্ট্রোল হয়ে পড়ে। ঝাড় ফুকে ভাল হয়।

যারা আমার আগের "আমার ১৮ নম্বর বাসা পর্ব .." সবগুলো ব্লগ পড়েছেন, তারা জানেন এই বাসাটা কতটা হন্টেড। যাই হোক, একতো আতুরে ঘর, তার উপর শালার অতিপ্রাকৃত সমস্যা। সে গলায় মোটা দড়ি লাগিয়ে ফাস দিয়ে দিল আমার বেড রুমের পাশের ঘরে। কাজের মহিলা গিয়ে দেখে চিৎকার করে ওঠে। সবাই মিলে তাকে সে যাত্রায় দড়ি থেকে নামিয়ে আনে এবং সৌভাগ্য বসতো বেঁচে যায়।

শালাবাবুকে যখন জিজ্ঞেস করলাম পরের দিন যখন সে স্বাভাবিক হয়: কি হয়েছিল?
ওর উত্তর ছিলো এরকম: একটা সাদা জুব্বা পড়া লোক বিকেল থেকে ওর চোখের সামনে মাঝে মাঝে দেখা দিচ্ছিল আর বলছিল, "চলে যা"। মাগরিবের পরপর সে নামায পরে বাম পাশে ঘাড় ঘোড়ালে দক্ষিণের জানালায় কালো পোশাক পড়া কাউকে দেখতে পায়। এরপর সেটা ঘরের ভেতরে নাকি উড়তে থাকে। মাঝে মাঝে ভ্যানিস হয়ে যায় আবার দেখা দেয়। শেষে সেই কালো আলখেল্লা পরা জিনিসটা নাকি বলে আমার সাথে চল। এরপর ঐটা তার গলা টিপে ধরে। আর কিছু নাকি ওর মনে নেই...

সে যাত্রায় শালাবাবু বেঁচে গেলেও, জন্মের ৩৯ তম রাতে কোন কারণ ছাড়াই রাত ১২ টা ৪৫ এ আমার কোলের মেয়ে মারা যায়। যেদিন মারা যায়, সে দিন সন্ধ্যা রাত থেকে নন স্টপ কাঁদছিল। দোয়া পড়া পানি ছিটিয়ে, আয়তুল কুরসি পড়ার পর সে থামে। রাত ৮টা থেকে খাচ্ছিল আর সুন্দর ঘুমাচ্ছিল। রাত সাড়ে বারটার দিকে হঠাৎ ঘুমের ভেতরে কেঁদে ওঠে। বুকের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। কিছুতেই মুখে নেয় না। ছোট বাচ্চা, অথচ গলার কাছে হাত নিয়ে যাচ্ছিল। তারপর আল্লাহ আল্লাহ বলে কয়েকবার চিৎকার দেয়। আমি স্ত্রীর কোল থেকে আমার মেয়েকে নেই এবং মুখে আঙ্গূল দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি গলায় কিছু আটকেছে কি না। এর ফাঁকে সে কাদতে কাদেতে আমার আঙ্গুলে একটা কামড় দেয়। মড়ন কামড়-- শেষ কামড়। আমার কলিজার টুকরা আমার মামনি নিস্তেজ হয়ে যায়। সব যেন ৫-৭ মিনিটের মধ্যে ঘটে। ১২ মিনিটে হসপিটাল নিয়ে পৌঁছাই। ততক্ষণে সব শেষ।



পরবর্তীতে শুনলাম, যে জানালায় আমার শালা কালো কিছু দেখেছিল, সে জানালার পাশের অন্য বাসার লাগোয়া ফ্লাটে পরপর দুটো বাচ্চা মারা যায় আমি আমার এই ১৮ নং ভাড়া বাসায় ওঠার আগে। কিন্তু সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। আরও জানলাম, এই বাড়ির ভিত খোড়ার সময় নাকি মানুষের কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে। বাড়ির মালিক নিজেও রাতের বেলা থাকে না। তার ফ্লাটের ইলেকট্রনিক্স নাকি যখন তখন নষ্ট হয়।


আল্লাহ সবার সন্তানদের জান মালের হেফাজত করুন। আমিন।

আমার ১৮ নম্বর বাসা পর্ব: ১
আমার ১৮ নম্বর বাসা পর্ব: ২
আমার ১৮ নম্বর বাসা পর্ব: ৩
আমার ১৮ নম্বর বাসা পর্ব: ৪
আমার ১৮ নম্বর বাসা পর্ব: ৫
আমার ১৮ নম্বর বাসা পর্ব: ৬

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ১:৪১

ফেনিক্স বলেছেন:



পুরোটা গার্বেজ

৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:১১

অপলক বলেছেন: হুমম ! সামুতে এখন অনেক গার্বেজ।

২| ৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ১:৫১

রবিন_২০২০ বলেছেন: I'm so sorry for your loss. my condolences to you and your Wife.

৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:১৩

অপলক বলেছেন: It's ok.




By the way, Thanks.

৩| ৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ৩:৩১

ফেনিক্স বলেছেন:




৩৯ দিনের বাচ্চা যদি অনেকক্ষণ কাঁদে, তাকে ডাক্তারের কাছে নিতে হয়; কোন সুরাহ কালাম বাচ্চাকে সুস্হ করার কথা নয়; আপনি দায়িত্বহীন কাজ করে শিশুটিকে হারায়েছেন।

৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:২২

অপলক বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ৪০-৬০মিনিট ধরে কাঁদা স্বাভাবিক কিছু নয়। অফিস শেষে যখন বাসায় ফিরি, তখন খাচ্ছিল এবং সুন্দর ঘুমাচ্ছিল।

ডাক্তারের কাছে নিয়েছি। আপনি হয়ত লেখাটা মন দিয়ে পড়েননি। তবে আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে, আমার চেয়ে ভাল কিছু করতে পারতো না।

প্যারানরমাল ঘটনায় যেসব বাচ্চা মারা যায়, অনেক টা এভাবেই মারা যায়।

৪| ৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ৩:৩২

ফেনিক্স বলেছেন:



আপনার শালা মাদক খেয়ে অঘটন ঘটাতে গিয়েছিলো।

৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:২৩

অপলক বলেছেন: হতে পারে... আপনি তো আমার বাসায় ছিলেন সেদিন। আপনিই সাপলায় দিয়ে গেছেন। :D

৫| ৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৮:০২

ফেনিক্স বলেছেন:



আপনি বাবা হওয়ার মতো যোগ্য ছিলেন না; সেই কারণে বাচ্চাটা অকালে হারিয়ে গেচে।

৬| ৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভুল বিশ্বাস মানুষের ক্ষতি করে।
ভুল বিশ্বাসের ডালপালা গজায়। দিনের পর দিন ভুল বিশ্বাস একসময় বাস্তব বলে মনে হয়।

৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪

অপলক বলেছেন: তোমার উপলব্ধি ফেলে দেবার মত নয়।

ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪৪

রাসেল বলেছেন: ভয়, অবিশ্বাস এবং কৌতুহল জাগল, কোথায় এই ঘটনা ঘটেছিল।

৩০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:২০

অপলক বলেছেন: সিলেট সদর

৮| ৩০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যাদের জীনের আছর বেশি হয় এদেরকে সুযোগ পেলেই জীনেরা আক্রমন করে। তাই ভালো কোন হুজুরের সাহায্য নেয়া উচিত। এগুলির সমাধান আছে।

আপনার বর্ণিত ঘটনাটা দুঃখজনক।

৩০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:৪০

অপলক বলেছেন: ভাল আমলকারী হুজুরের চিকিৎসায় আমার শালা এখন সুস্থ্য। সে ওমরা পালনের পর থেকে আর কোন সমস্যায় পড়ছে না।


৯| ৩০ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯

ফেনিক্স বলেছেন:




লেখক বলেছেন: ভাল আমলকারী হুজুরের চিকিৎসায় আমার শালা এখন সুস্থ্য। সে ওমরা পালনের পর থেকে আর কোন সমস্যায় পড়ছে না।

-আপনার শালা আরবে উট চরাবার চাকুরী পেলে, জ্বীন পালিয়ে যাবে। আপনার মতো মিথ্যাবাদীরা আমাদের সমাজটাকে কলুসিত করে চলেছে।

১০| ৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:৪৩

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আপনার শালার এক্সপেরিয়েন্স পড়ে হাহাপগে =p~ । সাচু ভাই , এইডা কেমন ধারার জ্বীন একটু যদি আলোকপাত করতেন :P

১১| ৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ১০:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মেঠোপথ ভাই - এই জীনকে বলে চালান জীন। অন্য মানুষের ক্ষতি করার জন্য জাদুকর বা ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ানদের সাহায্য নিয়ে জীনকে ব্যবহার করা হয়। এরা মানুষের মস্তিষ্কের নিওন্ত্রন নিয়ে ফেলে। আরও অনেক ধরণের ক্ষতি করতে পারে।

৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:২৪

অপলক বলেছেন: শুধু জানানোর জন্যে ইন্টারফেয়ার করছি। সাচু ভাইয়ের ধারনা সত্য। আমার শালার উপর ব্ল্যাক ম্যাজিক করা হয়েছিল। শালার তদবির চলছিল। তাবিজ কবজ ছিল গায়ে। পরবর্তীতে যাদু কাটানো হয়। অন্যদিকে আমার মেয়ের গায়ে কোন তাবিজ ছিল না এবং আতুর আবস্থায় ছিল। তাই সুযোগ বুঝে অবুঝ শিশুকে হত্যা করেছে। কেননা একটা সম্পূর্ন সুস্থ্য বাচ্চা ৫-৭ মিনিটে মারা যায় না।

হসপিটালে নেবার পর ডক্তার গলা নাক ওয়াস করেছিল এটা নিশ্চিত হতে যে, গলায় বা লাঙে দুধ/পানি আছে কিনা, সর্দি/কফ আছে কিনা! সব কিছু ক্লিন ছিল, কিছুই বের হয়নি। যেদিন মারা যায়, সেদিন সকালেও রেগুলার ভিজিট ডেট থাকায় ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। কোন ইস্যু ছিল না। আধুনিক যুগের শিক্ষিত মানুষ হয়ে প্যারানরমাল ব্যাপার নিয়ে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, কিন্তু এখন বিশ্বাস না করে উপায় নেই। যার যায় সে বোঝে...

১২| ৩১ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:২০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.