নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মজার সব তথ্য

মজার সব তথ্য

সাধারণ জ্ঞান নিয়ে আমার মাতামাতি একটু বেশী বেশ.

মজার সব তথ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্দোলনের একজন লিডার নির্বাচনের সময় এসে গিয়েছে

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

প্রথমেই বলে নেই আমি আপনাদের মত জ্ঞ্যানি ব্লগার নই, নেয়ায়েতি আম জনতা , এই কিছু দিন ধরে যুদ্ধপরাধিদের ফাসির দাবী জানিয়ে যে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর সাথে জড়িয়ে গিয়েছি, এবং নিজেকে নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ধরে নিয়েছি, লাকি আকতার এবং ইমরান ভাই এর স্লোগান শুনে তাদের ফ্যান হয়ে গিয়েছি। ধরে নিয়েছিলাম আন্দোলন এর হুইল যোগ্য হাতে আছে।



রাজাকার শিবির তাদের আসন্ন বিপদ এর কথা বুঝতে পেরে নানান রকম কুটচাল চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন, তাদের গুজববাজ ব্লগাররা এই আন্দোলনকে নাস্তিকদের সমাবেশ নামে হামেশাই মাইক ফাটিয়ে যাচ্ছে ।



আর আমরা কি করছিলাম ? তাদের কে ইগনর করছিলাম, কারণ আমরা ধরে নিয়েছিলাম কে নাস্তিক কে আস্তিক দেখার সময় নাই।

শিবিররা একটা মোক্ষম প্ল্যান বানালো, তারা একজন চিহ্নিত নাস্তিক যে কিনা বাজে বাজে কথা বলে বেড়ায় তাকে টার্গেট করল।

লক্ষ্য তাকে এলিমিনেট করা।



যাতে করে আন্দোলনকারিরা তারে শহীদ হিসেবে তার লাস নিয়া মিছিল করে, তাকে শহীদ এর মর্যাদা দিয়ে দাফন করে জানাজা দেয়। এবং তারে প্রয়াত আন্দোলন এর লিডার বলেও কেউ কেউ মেনে নেয়।



তাই হইল। অনেক কইলাম ভাই এই লোকের পাবলিকলি জানাজা দিয়েন না, উনার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত কিন্তু তবুও উনার ম্রিত্যুকে ইস্যু বানাইয়েন না। খাল কেটে কুমির আইনেন না।



কে শুনে কার কথা ? ব্লগার ভাইএরা ধরে নিলেন ১৯২০ তে বাস করা বাঙ্গালী ১০-১২ দিনেই ২০২০ তে চলে গেছে। তাই খুনিদের টোপ হা করে গিললেন।



এরপর খুনিদের প্ল্যান এর দ্বিতীয় স্টেজ , এই লোক এর পূর্বইতিহাস এবং বিতর্কিত সব পোস্ট ব্যাপক ভাবে প্রচার করা হইল যাতে যেইসব লোক এই লোকের জানাজা দিয়েছে বা তাকে আন্দোলনের শহীদ লিডার বলে মেনেছে তারা ধরে নেয় আন্দোলন এর লিডিং এ আছে সব নাস্তিক এরা। যা পুরাই মিথ্যা (আসলে কি মিথ্যা ? আপনারাই জানেন )



বাংলাদেশ এ হুমাউন আজাদের হত্যার বিচার হয় নাই, কারন সাধারন মানুষের মনে তার হত্যার বিচার প্রাপ্তির জন্য তেমন আগ্রহ নাই। ঠিক তেমনটাই ঘটবে রাজিব এর ক্ষেত্রে, শুধু তাই নয় আন্দোলন এই জানাজা আর শহীদ এর ডিক্লারেসন এর কারনে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে গেছে অলরেডি । জানাজায় শরিক লোক গুলো যখন জানবে যার জানাজা দিয়ে তারা ঘরে এসেছে সে কেমন কিছিম এর লোক তখন কি হবে ?



আমি রাজিব এর অবদান অস্বীকার করছি না, কিন্তু আন্দোলন এর স্বার্থে উনার ডেড বডিটা আন্দোলন মঞ্চ হইতে দূরে রাখা দরকার ছিল। আর জানাজা সহ অন্য যেসব কান্ড আপনারা করেছেন তা চরম আত্মঘাতি।



এর ফল অলরেডি আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাহলে কে নিল এই রকম একটা সিদ্ধান্ত ?



সেই ব্যাক্তিকে আন্দোলন মঞ্চ হইতে দূরে সরান। আন্দোলন মঞ্চে একটি শুদ্ধি অভিযান দরকার নইলে রাজাকাররা এই যুদ্ধে জয়ী হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় উলটা রিয়েকসন হবে, বাঙ্গালী হুজুগে জাতি ভুলবেন না।



এখন কি উপায় ?



১ রাজিব এর চ্যাপ্টার ক্লোস করেন।

২ অন্য কোন শহীদ এর চ্যাপ্টার ওপেন করেন।

৩ একজন ক্লিন ইমেজের নেতা নির্বাচন করেন যে কথায় কথায় আল্লাহর নাম নেয়। নেতা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ নেতার চরিত্র পবিত্র থাকলে ডাইনে বায়ে ডাকাত দাঁড়াইলেও লোকে দেখে না, আর নেতাহীন আন্দোলন এর লাখো জনতার মাঝে এক জন নাস্তিক দাঁড়াইলেও উহারেই আঙ্গুল দেখাইয়া কেউ কেউ নাস্তিকের সমাবেশ বলার সুযোগ পায়।

এই সুযোগ হইতে ওদের বঞ্ছিত করতেই একজন লিডার দরকার।



দয়া করে বাম সাইড হইতে নেতা বানাবেন না।



আপনারাই এই আন্দোলনকে সব মানুষের আন্দোলন করার যে সুযোগ ছিল তা হারিয়েছেন আপনাদের স্বজনপ্রিতির কারনে। স্বজন প্রীতি কেন বলছি জানেন ? কারণ এই আন্দোলন এর প্রথম শহীদ রাজিব নয় বরং অন্য আরেকজন জিনি শিবির এর চাপাতির কোপে শহীদ হয়েছেন। কেউ তো তার জানাজা দিলেন না। তার জানাজা দিলেই আন্দোলন চাংগা হইত । রাজিব আপনাদের কাছের মানুষ হবার কারনে উনার মৃত্যুর পর উনি হয়ে গেছেন প্রথম শহিদ । নাস্তিক হয়েও অর্জন করলেন বিতর্কিত জানাজা।



আপনারা একটা বাস্তবতা বিবর্জিত ঘোরের মধ্যে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ এর মানুষ এতটা ফ্রি মাইন্ডের এখন হইতে পারে নাই ভুইলেন না।



ঘোর হইতে বেড়িয়ে আসুন, আন্দোলন এর যেই ক্ষতি আপনারা করে ফেলছেন তা মিটানোর জন্য এই আন্দোলন এর মধ্যে ধর্মীয় ব্যাপার স্যাপার আনতেই হবে। আর কোন দ্বিতীয় পথ নাই। যাদের ধর্ম কে ব্যাবহার করতে চুলকানি তাদের কে বলব একটা বিরাট ভুল তো আপনারা করেই ফেলছেন, এখন সেই ভুল শুধরানোর দায়িত্ব আপনাদেরি।



সাধারন মানুষের আন্দোলন সাধারন মানুষের হাতে ফিরিয়ে দিন। সাধারন মানুষ তাদের বাবা মা হত্যার বিচার চাইতে এসেছে, আমি প্রথম ভুল ভেবেছিলাম, আসলে আন্দোলন এর হুইল রয়েছে ভুল লোকেদের হাতে।





মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

মশামামা বলেছেন:


ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
ফিরে এসো বাছাধন - সুস্থ জীবনে
বাঙালী হয়ে প্রজন্ম চত্বরে এসে জড়ো হও -
রাজীব হত্যার ক্ষমা চেয়ে পবিত্র করো কণ্ঠ তোমার,
মুখে তোলো একটাই স্লোগান -
'জয় বাংলাদেশ; রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদ নিপাত হোক।'

ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
সবার সামনে এসে প্রকাশ্যে বলো -
আমি দ্বিধাহীন, বিবেকবোধে সমুজ্বল তোমাদের মতই,
আমি বাংলায় জন্মেছি, বাংলায় একাত্ম, বাংলায় গান গাই
আমি তোমাদেরই সন্তান ও ভাই।

ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
উচ্চস্বরে বলো - আমি লজ্জিত, আমি ভারাক্রান্ত,
আমি মুসলমান; তবে উন্মাদনা নয়, ত্যাগ ও শান্তিই আমার ধর্ম,
আমি জানি - শিবির মানেই উন্নাসিক, মানসিক রোগীদের আস্তানা
করজোড়ে প্রার্থণা করো - প্রজন্মের কাছে প্রজন্ম চত্বরে এসে -
'আমার ভুল হয়ে গেছে; আমায় ক্ষমা করো ।

ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
আজ জাগ্রত জনতার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলো -
'জয় বাংলাদেশ; যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদের মৃত্যু হোক।
জামাতীবাদ নিপাত যাক, সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক,
মানবতাবাদের জয় হোক, বাংলাদেশের জয় হোক।'

ওহে জনতা, জেগে ওঠো -
আর একটিবার মুক্তির স্লোগানে মাতো আর বলো -
সারাদেশ জাগ্রত হোক, গোটাজাতি এক হোক
এখনি সময়, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবার
পবিত্র মাটির রক্তের ঋণ পরিশোধ করবার।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১০

মোঃ তারিফ হাসান বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.