নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আস্থির ,নিস্তব্দতাকে ভেঙ্গে ফেলে করি চৌ্চির

অন্যসময় ঢাবি

আমি চিনি না নিজেকে আমার রাজত্বে রাজা অন্য আরেকজন, করার কিছু নাই, দর্শক বেশে কেবলই তার খেলা দেখে যাই ।

অন্যসময় ঢাবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখালেখি নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা ও বিতর্ক

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১২

বিষয়ঃ FACEBOOK বা BLOG এর এই যুগে অতীতের অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সম্ভাবনাময় লেখক তৈরি হওয়ার কথা- অথচ ??

আপনাদের মুল্যবান মতামত জানার অপেক্ষায়---

সমস্যার মূল কারন গুলো আমার মতে-

১) সম্ভাবনাময় খুদে লেখকদের বড় কাজে হাত দেওয়ার মত উৎসাহ দিতে কেও এগিয়ে আসে না।

২) জনপ্রিয় পত্রিকা ও সাময়িকী গুলোর এই ব্যাপারে আগ্রহের ঘাটতি ও প্রচারের অভাব।

৩) বিভিন্ন Talent Hunt প্রতিযোগিতার মত, Writer Hunt নামে কোন প্রতিযোগিতার কথা কেউ বলে না।

৪) লেখকদের আত্নবিস্বাসের অভাব।

আমার বিশ্বাস যথাযথ উদ্যোগ হাতে নিলে অদূর ভবিষ্যৎ এ বাংলা সাহিত্যে অনেক জনপ্রিয় ও কালজয়ী লেখকের আবির্ভাব হওয়া অসম্বভ কিছু নয়। কেননা ব্লগে বা ফেসবুকে আমি পরিচিত এমন অনেককে জানি যাদের হাতের লেখা অসাধারন। আমি চাই তাদের এই খুদে সম্বাবনা যাতে কালের আবর্তে হারিয়ে না যায়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ১
সম্ভাবনাময় বলতে আপনি কাদের বোঝাচ্ছেন বা কেমন হলে আমরা ধরে নেবো যে কেউ একজন সম্ভাবনাময়? কেবল আপনি বা আমিই নই আরো অনেকেই হয়তো সন্দিহান এ ব্যাপারে। আর সে কারণেই অনেক লিটল-ম্যাগের জন্ম। যেখানে লিটল-ম্যাগ সম্পাদকরা সচেষ্ট থাকেন ট্যালেন্ট হান্টের দৃষ্টি নিয়েই অথবা তাদের চেষ্টা থাকে তাদের প্রিয় কেউ উঠে আসুক সাহিত্যের উজ্বল প্রাঙ্গনে তার নিজস্ব মেধা আর সৃজনশীলতা নিয়ে।

রাইটার হান্টের নামে ফেয়ার এন্ড লাভলির একটা ব্যাপার আছে না, গল্প থেকে ঈদের নাটক তৈরি হচ্ছে। সেখানে কেন নিজের লেখা দিলেন না? দিলে তো অন্তত আক্ষেপ থাকতো না।

আবার প্রথম আলোর ছুটির দিনে ঈদের আগে ৬০০ শব্দের গল্পের প্রতিযোগীতার আয়োজন করে সেখানে দিতে পারতেন লেখা। আক্ষেপ কমাতে পারতেন।


জনপ্রিয় পত্রিকা আর সাময়িকীর সে সাধ্য বিনষ্ট হয়ে গেছে আরো অনেক আগেই। একটু দৃষ্টি বোলালেই দেখতে পাবেন সাহিত্য-সম্পাদকের টেবিলটাতে কার দুটোহাত ছড়ানো আছে। লেখক বা সাহিত্যিক হিসেবে আপনার হাতে কি বাংলা একাডেমির সনদ আছে? আপনি কি পাশ করা বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লেখক? তা না হলে আপনার দৌড় বরজোর ব্লগ বা বন্ধুর ম্যাগাজিন পর্যন্ত অথবা অনলাইন ভিত্তিক সাহিত্য ধারক পত্রিকাগুলো।

সেই ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি সাহিত্য সম্পাদকদের নিজস্ব একটি সাহিত্যিক বলয় থাকে, তার বাইরের লোক সেই সম্পাদকের বেষ্টনীতে প্রবেশাধিকার না পেলে তার লেখাও সেই পত্রিকায় যাবে না। আর কিছু না হলে অন্তত সেই সম্পাদকের সঙ্গে উষ্ণ হার্দিক সম্পর্ক আছে এমন কারো সুপারিশেও লেখা ছাপানোর সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন। তবে হ্যাঁ আপনি যদি একান্তই বদ্ধ পরিকর হয়ে থাকেন সেই সব পত্রিকায় আপনার লেখা না ছাপালে আপনি লেখক পদবাচ্য নন। তাহলে আপনি চেষ্টা চালিয়ে গেলে ব্যর্থ হবেন না আশা করি।


আপনি যতটাই আত্মবিশ্বাসী হন না কেন, সনদপ্রাপ্ত লেখকের চাইতে আপনার লেখার মন উন্নত নয় হয়তো আপনি নিজেই বিশ্বাস করবেন। ফলে আপনার আত্মবিশ্বাস কোনো কাজে আসছে না।

এবার আসি কাজের কথায়, আপনি যদি সত্যিই লেখালেখি ভালোবাসেন, লিখে যান। তা কোন মাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে তা ততটা জরুরি বিষয় নয়। আর দু-চারটা লেখা দিয়ে লেখার মান নির্ধারণ বা লেখকের আসনে নিজেকে ঠেলে তুলে দেবার চাইতেও আরো গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনার সৃজনশীলতাকে কতদিন ধরে রাখতে পারবেন? তা যতটা দীর্ঘ হবে আপনার সম্ভাবনা ততটাই প্রবল হবে। এমন অনেক লেখক আছেন অল্প কয়েকটা লেখা লিখে নিজেই শূন্য হয়ে গেছেন। তিনি আর লিখতেই পারবেন না কোনো সৃজনশীল লেখা। ঝলসে ওঠা অনেক লেখকই হারিয়ে যায়। আর এমন হারিয়ে যাওয়া লোকজনের লেখা যত জনপ্রিয় সাময়িকীতেই প্রকাশ বা প্রচার হয়ে থাকুক না কেন, আপাত সে সব মূল্যহীন। আপনি আপনার সৃজনশীলতাকে ধরে রাখতে চেষ্টা করুন, চর্চা করতে থাকুন যতটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পারেন। আপনার লেখা একদিন নিজেই জায়গা করে নেবে।

সবচেয়ে বড় কথা স্বজনপ্রীতি সব সময় ছিল আছে এবং থাকবেও। এর ভেতরই নিজের জায়গা করে নিতে হবে। না পারলে হারিয়ে যাবেন। আর এখন বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে দুর্দিন বলা যায়। চারদিকে নিম্নমানের লেখার ছড়াছড়ি। আহামরি লেখকও বাদ পড়ছেন না।

এখনকার লেখক-কবিরা কীভাবে নিজেদের মাঝে কাটাকুটি খেলছেন তা হয়তো আপনার চোখে পড়ে নাই। আরেকটা বড় দিক বাংলা একাডেমি এত এত লেখক তৈরি করে ফেলেছে, সেই লেখকদের ভীড়ে অন্যরা চ্যাপ্টা হয়ে যাবে, বেঁচে থাকলেই না লেখালেখির প্রশ্ন। সাহিত্য পত্রিকা বলেন সামিয়িকী বলেন, তাদের জন্য, সম্পাদকের প্রিয়ভাজন, প্রিয়ভাজনের সুপারিশকৃত বরাদ্দ থেকে জায়গা বেঁচে গেলেই না আপনার সম্ভাবনা। তার আগে কি সম্ভব?

কাজেই আপনার জন্য মঙ্গল কামনা ছাড়া আর কী বা করতে পারি? ভাল থাকুন আর চর্চা চালিয়ে যান।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

অন্যসময় ঢাবি বলেছেন: আপনি যদি সামনে এত প্রতিবন্ধকতা দেখান তাহলে নতুনরা কোন সাহসে লিখবে ?
লেখালিখির গুনটা আমার মাঝে খুব একটা নেই, আমি আমার কয়েকটা বন্ধুর হাতের লেখা পরার পর আফসোস হয়েছিল যে এরা হয়ত একসময় কালের আবর্তে হারিয়ে যাবে।
আপনার কথার একমাত্র উত্তর হল-
তরুণ লেখকরা মনে করবে " এত সাধনা করে যদি লেখক হতে হয় তাহলে হইলাম না লেখক "
ক্ষতি টা কিন্তু বংলা সাহিত্যেরই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.