নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আস্থির ,নিস্তব্দতাকে ভেঙ্গে ফেলে করি চৌ্চির

অন্যসময় ঢাবি

আমি চিনি না নিজেকে আমার রাজত্বে রাজা অন্য আরেকজন, করার কিছু নাই, দর্শক বেশে কেবলই তার খেলা দেখে যাই ।

অন্যসময় ঢাবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিপদের একদিনঃ যেদিন টা আমার ছিল না

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২

কিঞ্চিৎ সুরসুরিমুলক; বাচ্চাদের জন্য শিক্ষণীয়
: তুমি কই?
: এইত আমি রিকশায়, শাহবাগে; এই মামা জলদি টান। তুমি কই?
: আমি তো বেইলি রোডে, সেই কখন থেকে একা দাড়িয়ে আছি।
: চিন্তা করো না, তুমি কষ্ট করে আর পাচটা মিনিট দাড়াও আমি দশ মিনিটের মধ্যে আসচেছি।
: মানে? টুট! টুট! টুট!!
লে হালুয়া শার্ট তো একটাও ধোয়া নাই। চট জলদি পাশের রুমের বন্ধুরে শুধাইলাম- “ বিপদে মোরে রক্ষা কর এই মোর প্রার্থনা, দাও চট জলদি দিয়া দাও তোমার চকচকে শার্টখানা”। যাক শার্ট ম্যানেজ করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে না ফেলতেই রোহিনীর মুঠোবার্তা- একা একা ভাল লাগতেছে না, জলদি আস। পড়লাম তো মহাপাপরে, কোথায় প্যান্ট, কোথায় জুতা, কোথায় মোজা, কোথায় কি- কে আছ কোথায় ??
তাড়াহুড়ায় সাধারণত আমার মেমোরি স্লো কাজ করে, চোখের সামনে জিনিস রেখে খুজে বেড়ায় চারপাশ তার উপরে আমার স্বভাবগত উদাসীনতা তো আছেই। এরই মধ্যে আবার রোহিণীর ফোন। আমি ধরেই- এই মামা কি হইছে আরো জলদি চালান। হ্যা কুটকুটি আমি প্রায় চলে এসেছি; মানিব্যাগটা খুজে পেলেই উঠে পড়ব। জিভে কামড়, হায় কি বলে ফেললাম হঠাৎ।
: মানিব্যাগ খুজবা মানে? আর কোথায় উঠে পড়বা? এই সত্যি করে বল তুমি কোথায়?
: বিশ্বাস কর রোহিণী, শাহবাগ আসার পরে বুঝলাম আমি মানিব্যাগ আনতে ভুলে গেছি, তারপর......
: হয়েছে বাকিটা প তে পূর্বের মত সেটা আমি জানি। আমি আসছি তোমার হলের সামনে, তুমি জলদি রেডি হও।
যাক কিছুটা সময় পাওয়া গেল। অতঃপর, শার্ট, প্যান্ট, জুতা, মোজা সব এক করে খাটের উপর রেখে একটা গোসল দিতে গেলাম। ফিরে আসতে না আসতেই আবার ফোন-
: আমি তোমার হলের সামনে। তুমি এখনই নাম নইলে আজকে সারাদিন তোমাকে দ তে দোড়ের উপর রাখব।
: মে আ রাহা হু মেরে জানে জিগার, তুম কিও করতা হো ইতনা ফিগার। টুট! টুট! টুট!!
বাট! বিপদ যেদিন আসে বিরোধি দেলের লাগাতার হরতাল-আবরোধ নামক কর্মসূচীর এজেন্ডা নিয়েই আসে, থামতেই চাই না, ছোট-খাট জিনিস গুলোও অনেক বড় বড় কারন নিয়ে হাজির হয়। এখন যে ছোট্ট জিনিসটা খুজে পাচ্চি না তা নিয়ে অচিরেই মহাবিপদে পড়ে যাব মনে হচ্ছে। দুটো ছিল, একটা কেবল ধুয়ে দিলাম। আরেকটা অতি সযতনে, সঙ্গোপনে কোথাই যে রেখেছি তা বেমালুম ভুলে গেছি।
: কি হল?
: এই তো, একটা ছোট্ট জিনিস খুজে পাচ্চি না, পেলেই নেমে পড়ব।
: জলদি কর- আচ্ছা বাদ দাও, ওটা ছাড়াই চলে আস; আমি একা একা আর কত দাড়ায়ে থাকব?
: নাউজুবিল্লাহ! কি বল তুমি এটা! তুমি তো আমার বংশের মান-ইজ্জত নিয়া তানা-হিছড়া শুরু করে দিছ। তাছাড়া তোমার সাথে দেখা করতে যাচ্চি একটু সেজে-গুজে, ধেকে-ঠুকে আসা উচিত না; তুমিই তো সবসময় বল আমি নাকি রিকশাওয়ালাদের বেশে তোমার সাথে দেখা করি। রোহিণী বিশাল ক্ষেপে গিয়ে-
: কি যা তা বলছ? আচ্ছা বাবা খুজে না পেলে আপাদত কোন বন্ধুর কাছ থেকে ধার নাও।
: কি বল! তোমার কি মাথা খারাপ, কস্মিনকালেও কেউ এমন কথা শুনে নাই; তাও আবার অন্যেরটা পড়তে হবে। ইয়াক!
: আসছে কোথাকার হনু যেন, প্রতিদিনই তো কারও না করওটা পড়ে আস; আজকে আসছে ভদ্র সাজতে।
: তাই বলে এটা??
: আচ্ছা বারবার এটা এটা করছ কেন? কি এটা?
: এটা ওটা যেটা তোমাকে বলা যাবে না।
: মানে কি? সেই কখন থেকে হেয়ালি করে যাচ্চ। বারবার বলি কোন জিনিস কোথাও রাখার আগে আমাকে বলে রাখবে কোথায় রেখছ- ভুলকুমার কোথাকার!
যাই হোক অগত্যা ভেজাটা পরেই বের হয়ে পড়লাম; আহা কি অশান্তি আকাশে আর বাতাসে। রোহিনীর অগ্নিমূর্তির দিকে না তাকিয়ে রিকশা দেখা শুরু করলাম। বাট, ময়না তো কথা কয় না। টি এস সি তে বসলাম দুজন। ভাবিতেছিলাম কি করিলে পাইব কন্যার মন কিন্তু আমার আকাশ কুসুম ভাবনার ছেদ ঘটাইল সে নিজেই-
: এই যে ভুলকুমার, কি করে যে প্যান্ট পরতে হয় তাও মনে হয় ভুলে গেছেন? ভুলকুমার নামটাও ভুল প্রমান করলেন; আজ হতে তোমার নতুন নাম- “হাঁকুমার”
: আমি তাকালাম সমস্যা তা দেখার জন্য; হাই হাই যে ইজ্জত সম্মান নিয়া এত টানা-হিছড়া করলাম এখন দেখি তা নিয়েই টানা-পোড়েন চলতেছে। এত দুঃখের মাঝেও ও কবি গুরুর কবিতা মনে পড়ল-
“ আমি দেখে হাসি, আর আঁখি জলে ভাসি
এই ছিল মোর ঘটে।”...... (চলবে) ...... বিপদের তো কেবল শুরু

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৪

আব্দুর রহ্‌মান বলেছেন: হাহাহা

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৮

অন্যসময় ঢাবি বলেছেন: কারও বিপদে এমনে হাসতে হয় না :D B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.