নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বইএর পোকা। যা পাই তাই পড়ি।

আনমোনা

কিছুই না

আনমোনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারিব না এ কথাটি বলিও না আর-৩(শেষ পর্ব)

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:৩১

প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব

দিন কেটে যায় বিষন্ন ভাবে। সকালে স কাজে চলে যায়। ঘরে আমার অঢেল সময়। সে সময় কিভাবে কাটাব? বাজারঘাট, শপিং মল অনেক দূরে। দু-চারটি বাঙালী পরিবারের সাথে পরিচয় হয়েছে, কিন্তু তারাও থাকে দূরে দূরে। ইচ্ছে হলেই যে কোথাও যাব, সে উপায় নেই। ঘরেই থাকি। রান্নাবান্না করার চেষ্টা করি। রান্না যে পারি তাও না। কোনোমতে সেদ্ধ পোড়া হয়ে যায়। সাথে সিদ্দিকা কবীরের 'রান্না খাদ্য পুষ্টি' বইটা আছে। খুব একটা কাজে লাগেনা। রান্নার উপকরণ জোগাড় করতে করতেই আমি শেষ, রাঁধব কখন ? আজকে বুঝি, আসলে রেসিপি পড়ে রান্না করার মানুষ আমি না। সদ্য পরিচিত ভাবী-বউদিরা, যাদের ফোন করলে বিল উঠবেনা, তারা প্রায়ই আমার কল পায়, ভাবী, ঘরে এই এই আছে, কি রাঁধা যায়? কিংবা ইমার্জেন্সী কল, বউদি, বাঁধাকপিতে লবন বেশী পড়ে গেছে, কিভাবে সামলাবো? উপদেশ আসে, টম্যাটো আছে? টম্যাটো কেটে দিয়ে দাও, গরম মশল্লা দিওনা। এসব কি রান্নার বই পড়ে শেখা যায়? স-বাবু ওসব কম লবনের বা বেশি লবনের খাবার অম্লান বদনে খেয়ে যায়, সেও রান্না পারেনা কিনা! শুধু মাঝে মাঝে বলে, ডালটা কেমন যেন হয়েছে, কি যেন দাওনি। আমি তাড়াতাড়ি মুখে দিয়ে বুঝি, 'কি যেন' হচ্ছে লবন। আমি বেমালুম ভুলে গেছি লবন দিতে। সাধে কি আনমনা নিক চাইছিলাম? তাও তো আনমনে আনমোনা হয়ে গেলাম।

মাঝে মাঝে দেশে ফোন করি, আগে থেকে ঠিক করে রাখা সময়ে। তখন মুঠোফোন সবে বাংলাদেশের বাজারে এসেছে, মধ্যবিত্তের নাগালের অনেক বাইরে। টি-আ্যন্ড-টি র ফোন আছে কোনো প্রতিবেশীর, আগে থেকে ঠিক করে রাখা সময়ে মা বাবা তাদের বাড়ি আসে, আমি হয়তো ঘন্টা-খানেকের চেষ্টায় লাইন পাই। অল্প কথা বলেই রেখে দিতে হয় ঊর্ধ্বমুখী বিলের চিন্তা মাথায় রেখে। ফোনে শুধু আপনজনের গলার স্বর শোনার সান্ত্বনা পাই। মনের কথা হয় চিঠিতে। ছেলেমানুষী কথায় ভরা লম্বা চিঠি লিখি। ফিরতি চিঠি আসে সবার বিস্তারিত খবর নিয়ে। সাথে থাকে ছোট সহজ রান্নার রেসিপি, রান্নাঘরের টুকটাক টোটকা। সে চিঠি পড়ব কি, খাম খুলতে খুলতেই চোখের জলে সব ঝাপসা হয়ে আসে।

বাজার করতে ভারত বাজারে যাই। সপ্তাহের মাঝে গেলে পাওয়া যায় আধ শুকনো পচা তরকারী। তাই শনিবার করেই যাই। তখন ভারত বাজারে যেন মেলা বসে। উপমহাদেশীয় চেহারার লোকজনের ভিড় ঠেলে হাটা দায়। কোথায় পাব লাউ, উচ্ছে, মরিচ, এই সব দেশীয় সবজি? পাশেই কে-মার্ট। তরকারীর ডেলিভারী ট্রাক আসতে দেরী হলে কে-মার্টের ট্রাফিক বেড়ে যায়। যেই ট্রাক আসে অমনি ভিড় চলে যায় ভারত বাজারে। দেখা যায় লেবারদের সাথে হাত মিলিয়ে বাক্স নামিয়ে পছন্দের তরকারী খুঁজে নিচ্ছে ক্রেতারা। আমরা হাসি, ভারত বাজারের লেবার খরচ কমে যাচ্ছে বলে।

এসবের মধ্যেও আমাকে কুরে কুরে খেতে থাকে বাহন সমস্যা। ভিসা স্ট্যাটাসের দরুন এখন কাজ করতে পারবনা, কিন্তু পড়াশুনা করে নিজেকে তৈরী রাখতে পারব। তার আগে এ সমস্যার সমাধান করা দরকার। দৈনন্দিন সব কাজেই আমাকে স-এর মুখাপেক্ষী থাকতে হয়। মাঝে মাঝে আমার কোনো দরকারে স কে কাজের দিনে ছুটি নিতে হয়। বেশ বুঝতে পারি গিন্নীর বাহন হওয়াটা আমার বর মোটেও উপভোগ করছেনা। তার গোমড়া মুখ থেকে ঝগড়া বেধে যায়। যার রেশ চলে উইক-এন্ডেও। কি করব? আমি যে কিছুতেই আর স্টিয়ারিংএ বসার সাহস করতে পারছিনা। কিছুদিন তো বসিইনি। পরে বসলেও প্রচন্ড ভয় করতো। গাড়ি চালানো শেখা প্রায় বন্ধ। প্র্যাকটিসের সময় আগে যা শিখেছিলাম, তাও ভুল করি। আরেক দফা ঝগড়া বাধে। প্র‌াকটিস বন্ধ করে বাসায় চলে আসি।

দেখতে দেখতে শীত চলে আসে। স্থানীয় কম্যুনিটি কলেজের ইএসএল(English as Second Language) ক্লাশে ভর্তি হই। প্রতিদিন দুই ঘন্টা ক্লাস। যাতায়াত দুই দুগুনে চার ঘন্টা। বাড়ি থেকে আধাঘন্টা হেটে বাসস্টপ। সেখানে পনেরো মিনিট পরপর বাস আসে, ভালোই। সেখান থেকে মিনিট পঁচিশেক বাস রাইড শেষে আরেক বাস। সেটা সারা শহর ঘুরিয়ে পনেরো মিনিটের রাস্তা সোয়া ঘন্টা নিয়ে কলেজে পৌঁছাই। এই বাস আবার একঘন্টা পরপর। মানে প্রথম বাসে দেরী করলে আরো একঘন্টা দেরী।

নিজের পরে খুব বিরক্ত বোধ করি। ঠিক করি, অন্য পক্ষ যতই রাগারাগি করুক, আমি কানে দিয়েছি তুলো, পিঠে বেঁধেছি কুলো নীতি অবলম্বন করে চলবো। আমারই তো দায়। ততদিনে ভয়টা একটু ভেঙ্গেছে, ভুল করাটা কমেনি। এদিকে লার্নারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। পুরোদমে আবার প্র্যাকটিস শুরু হয়। কিছুটা হাত আসতে আসতেই দেখি আর একমাসও বাকি নেই লার্নার শেষ হবার। দুর ছাই করে রোড-টেষ্ট দিয়েই ফেললাম। এবং সগৌরবে ফেল করে লার্নারের মেয়াদও পার করে দিলাম।

এর পর সংসারে এলো নতুন মানুষ, আমার বড় ছেলে। ব্যস্ত হয়ে পড়লাম তাকে নিয়ে। ছেলের মাস দুই বয়স হলে আবার গেলাম লার্নিং পারমিট আনতে। এবার টায়ে টায়ে না, শ'য়ে শ পেয়েই পাশ করলাম। পরের প্রশ্ন, শেখাবে কে? ছেলেকে নিয়ে তো যেতে পারিনা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একজন প্রফেশনাল ইন্সট্রাকটর পেলাম যে উইকএন্ডে শেখাবে। বাপ-ছেলের বন্ড তৈরীর সুযোগ দিয়ে আমি শিখতে যেতাম।

কয়েকটি লেসনের পরে ইন্সট্রাকটর জানালো রোড-টেষ্ট দিতে পারি। ততদিনে আমি খুঁজে চলেছি রবার্ট ব্রুসদের। অনেকেই একবারে পাশ করেছে। দুইদাগী বা তিনদাগীর সংখ্যাই বেশী। তবু আমি হতাশ হই। না, এরা আমার সমব্যথী হতে পারবেনা। নিদেনপক্ষে রবার্ট ব্রুস না হলে কি চলে? সুকুমারের গঙ্গারাম হলে আরো ভালো, ঊনিশ বার চেষ্টা করতে পারব। তাই চললাম ঊনিশবারের দ্বিতীয়বার দাগাতে। এবার সগৌরবে না হলেও টেনেটুনে অকৃতকার্য হলাম। আমার যা মন খারাপ তার চেয়ে বেশী মন খারাপ ইন্সট্রাকটরের। সে বিশ্বাসই করতে পারছেনা তার ছাত্রী ফেল করেছে। আর কি করা। দুসপ্তাহ পরে আরেকটা ডেট নিয়ে ফের প্র্যাকটিসে মন দিলাম।

তৃতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সময় সেই আগের বারের ফেল করানো এক্সামিনার এলো। আমার কাগজ দেখে সে বললো যে আমি চাইলে তাকে রিফিউজ করে অন্য এক্সামিনার চাইতে পারি। আমি তাকেই টেষ্ট নিতে বললাম। সে তো আমাকে ফেল করায়নি, আমিই ভুল করে ফেল করেছি। এবার আর ভুল হলোনা। পাশ করার পর DMV থেকে কাগজ নিয়ে ইন্সট্রাকটর আমাকে বাসায় নামিয়ে চলে গেলো।

ছেলের বাপ তখন অনেক নাকানি-চুবানি খেয়ে ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে উঠেছে। একটু নেচে থাম্বস-আপ করে তাকে খবর দিলাম। একই বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কাঁচকলা দেখালাম। হু, এখন আর আমার সাথে ঝগড়া করতে পারবেনা। তারপর বললাম, আজকে আর আমার রান্না ওসব আলুনি বা নুনে ভরে খাবার খাবনা। বাইরে খেয়ে আসব। সে একটু কিন্তু কিন্তু করে বললো, 'ছেলে এখন সবে ঘুমিয়েছে, তুমি যাও, খাবার কিনে আনো'।

এ্যা! আমি যাবো খাবার কিনতে, একা একা গাড়ি চালিয়ে? পাশে কেউ থাকবেনা, ভয়েই মরে যাব। মুখ ঝামটা দিয়ে বলতে গেলাম, 'পারবোনা'। সাথে সাথেই নিজেকে সামলে নিলাম।

পারিব এ কথাটি বলি বার বার।

--সমাপ্ত



***************************
কিছু বানানের সমস্যা আছে। আপনাদের চোখে পড়লে জানাবেন।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু,

নারী শক্তির প্রতীক; এক্কেবারে দশভুজার ন্যায় বিদেশ-বিভুঁইয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কি করে খাপ খাওয়াতে হয় তারই আদ্যোপান্ত বৃত্তান্ত পড়লাম। জীবনের অভিজ্ঞতায় ভালো লাগা।
পোস্টে প্রথম লাইক।
শুভকামনা জানবেন।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আনমোনা বলেছেন: মোটেও দশভুজা না, আমার দুটো হাত।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর ও অসাধারণ একটি পোস্ট।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

আনমোনা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫

জুন বলেছেন: আনমোনা আপনার লেখাটি পড়ে মনে হলো সামনাসামনি বসে আপনার বিদেশ জীবনের গল্প শুনছি ।
তবুও তো আপনি পারলেন আমার মনে হয় আমাকে পরমুখাপেক্ষী হয়েই জীবন কাটাতে হবে :(
সহজ সরল লেখাটিতে ভালোলাগা রইলো
+

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আনমোনা বলেছেন: জুনাপু, আপনি পরমুখাপেক্ষী ? আপনার লেখা পড়ে আমি কত অনুপ্রেরনা পাই জানেন?

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপু ঝরঝরে, পরিচ্ছন্ন লেখা। একটানে পড়ে গেলাম।

বানান: সকালে *সবাই
যোগার - *জোগাড়,
ঊর্ধমুখী - ঊর্ধ্বমুখী
সব্জী - *সবজি

আমি ফোনেটিকে লিখি। প্র্যা - প্র লিখে y - caps lock - delete য় - y = প্র্য, a = প্র্যা।

ধন্যবাদ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আনমোনা বলেছেন: পাগলী তুমি মোটেও পাগল নও। আমি লিখতে বসলেই বানান ভুলে যাই।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২২

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লেগেছে । ভালো থাকবেন ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আনমোনা বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাবে বলে গেছেন।
পোষ্ট টি পড়ে ভালো লাগলো।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: খুব মন দিয়ে লিখেছেন। লেখায় আকর্ষন আছে। আন্তরিকতা আছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আনমোনা বলেছেন: কি জানি। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় প্যাঁচাল পারছি।
ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিবি হাওয়া বেহেশত থেকে দুনিয়াতে আসার পর, নিশ্চয় আদম (আ: )'এর জন্য রান্না বান্না করেছেন; উনি হয়তো আপনার মতো এত অসহায় ছিলেন না; মনে হয়, উনি উনার মা'কে ফোন করে জানেননি কাবাব কি করে করতে হয়।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৪

আনমোনা বলেছেন: আপনি তো দারুন কুটনী শাশুরী হতে পারতেন।
না বিবি হাওয়া কাউকে ফোন করে রান্না শিখেননি। উনি ঠেকে ঠেকে নিজেই শিখেছিলেন।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পরিবার নিয়ে যারা প্রবাস জীবন শুরু করেন তাদের এক জীবন চলে যায় স্থিতি হতে, তারপরও তা পারা যায় না। শত সম্ভবনা থাকার পরও আমি প্রবাসে থেকে যাওয়ার বিপক্ষে ছিলাম আজো আছি।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৭

আনমোনা বলেছেন: জীবনে কোনোদিন স্থিতি আসে বলে মনে হয়না। যখনি ভাবি এবার সব কাজ সারা, তখনি কিছু ঘটে, আবার সব নতুন করে শুরু করতে হয়।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১১

ইসিয়াক বলেছেন: আনমোনা বলেছেন: আপনি তো দারুন কুটনী শাশুরী হতে পারতেন।
না বিবি হাওয়া কাউকে ফোন করে রান্না শিখেননি। উনি ঠেকে ঠেকে নিজেই শিখেছিলেন
হি হি হি

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২২

আনমোনা বলেছেন: হি হি:D । চাঁদগাজী খুব একটা ভুল বলেননি। আমি বেশীই অসহায় বোধ করতাম। লেখার সাবজেক্ট খুঁজে পাইনি বলেই এসব হাবি জাবি লিখেছি।

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৬

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার লেখার ধরণটা সুন্দর ।
শুভসন্ধ্যা

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার ভাষার দখল ভালো।
সাবলীল রচনা।
ভালো লাগলো।

ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা রইল।

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৪৭

আনমোনা বলেছেন: ধন্যবাদ মাহের ইসলাম ভাই।

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:১১

বলেছেন: জীবন সুন্দর ও গতিময় হোক --

মোটরওয়েতে লেনে থাকবেন তেমনি জীবনের মোটরওয়েতে লাইনে থাকবেন।

ভালো থাকুন.....

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৯

আনমোনা বলেছেন: ধন্যবাদ
জীবনের মোটরওয়েতে লাইনে থাকা কঠিন কাজ। কখনো বেলাইন হতে হতেও লাইনে ফিরে আসি।

১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:০৩

মিরোরডডল বলেছেন: পুরো সিরিজটা পড়লাম । সুন্দর সাবলীল লেখা ।
I believe now you are enjoying driving.
Long drive with your fav song, your loving person next to you, isn’t it amazing!!
what else we can ask more :-)

২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:২২

আনমোনা বলেছেন: আমি বিশ বছর আগের কথা বলেছি। এখানে জীবনের প্রয়োজনে ড্রাইভিং করতেই হয়।

আপনিও ভালো থাকুন। ধন্যবাদ

১৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৭

মা.হাসান বলেছেন: ব্যাংকক থেকে ট্রাট যাবার দিন সকালে পড়েছিলাম, কিন্তু মোবাইলে আমি কম অভ্যস্থ বলে মন্তব্য করা হয় নি।
আফসোস, তিন বারেই পেরে গেলেন, ডি এম ভি আপনার কাছে এর বেশি কিছু কামাতে পারলো না। অভিনন্দন।
আমার এক পরিচিত ভদ্রলোক বলেন, তিনি পিএইচডি করার পর (বিলাতে) যত লোক তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলো, তার চেয়ে বেশি লোক অভিনন্দন জানিয়েছিলো ড্রাইভিঙ লাইসেন্স পাবার পর; এবং উনি মনে করেন ড্রাইভিঙ লাইসেন্স পিএিচডির চেয়ে বড় সম্পদ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫২

আনমোনা বলেছেন: সেকি! বিলাতে তো শুনেছিলাম পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ভালো। সেখানেও এই অবস্থা?
পিএইচডি করতে অনেক কষ্ট করতে হয়, এটা অনেক দিনের সাধনা। তাছাড়া সবাই পিএইচডি করেও না। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে এসব দেশে চলা মুশকিল, এমনকি পিএইচডি র জন্য ভার্সিটিতে সহজে যাতায়াত করতেও লাইসেন্স লাগে। নইলে কখন আরেকজন দয়া করে রাইড দিবে, সেই আশায় বসে থাকতে হয়।

রিপ্লাই দিতে দেরী হয়ে গেলো। স্যরি।

১৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৫

মা.হাসান বলেছেন: বানান নিয়ে বেশি চেচামেচি আমার পছন্দের না, আমার নিজের লেখায় অজস্র ভুল হয়।
ভাষা বিষয়ক পন্ডিতরা ই এবং ঈ এর পার্থক্য তুলে দিলেই ভালো হয় মনে করি, একই মত উ এবং ঊ এর ব্যাপারে। দেখতে একটু অস্বস্তি হয়, কিন্তু পড়তে বাজে না। তবে 'র' এবং 'ড়' এর মিক্সআপ হলে কানে বাজে বলে মনে হয়। আপনার লেখায় সম্ভবত 'র' এবং 'ড়' এর কিছু মিক্সআপ আছে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০২

আনমোনা বলেছেন: আমি এক জায়গায় পেলাম, ঘুড়িয়ে

১৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

মা.হাসান বলেছেন: লবন বেশি পরে গেছে
ব্যস্ত হয়ে পলাম তাকে নিয়ে
চোখে পলে জানাবেন

অনেক খুঁজেও এর বেশি পেলাম না।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১৩

আনমোনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমি গল্প পড়ি গোগ্রাসে, কিন্তু বানান খেয়াল করিনা। লেখার সময় ঠেকে গেলে তখন বানান খুঁজতে থাকি।

১৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০০

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: বেশ লাগলো। বিজয়ের গল্প কম শোনা যায়। হা হুতাশের ফুস ফাসই বেশি। সদর্পে বাহন দাবড়িয়ে চলুন। শুভ কামনা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১২

আনমোনা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। সত্যই, এক সময়ে হতাশ হয়ে পরেছিলাম, মনে হয়েছিলো পারবনা।

১৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। অকৃতকার্যতায়ও যে গর্বিত বোধ করা যায় এবং সে গর্বকে মূলধন করে পরবর্তী প্রচেষ্টায় পুঁজি বিনিয়োগ করা যায়, তা আপনার এ পোস্ট পড়ে নতুন করে শিখলাম। যাহোক, চূড়ান্ত সাফল্যে এতদিন পরেও বিলম্বিত অভিনন্দন জানাচ্ছি! :)

পোস্টের একেবারে শেষে এসে, পোস্টে কোন বানান সমস্যা চোখে পড়লে জানাতে বলেছেন, সে জন্যেই বলছি। নিকটা আপনার 'আনমোনা', কিন্তু নামের যথার্থতা প্রমাণ করতেই যেন প্রথম অনুচ্ছেদের শেষের দিকে নিজের নিকটাকে "আনমনা" লিখেছেন!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১২

আনমোনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। নিক নেওয়ার সময় কিভাবে যে 'আনমোনা' হয়ে গেলাম, বুঝতে পারিনি। পরে নিক বদলের হালকা পাতলা চেষ্টা করেছিলাম, হয়নি। ও নিয়ে আর ভাবিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.