নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বইএর পোকা। যা পাই তাই পড়ি।

আনমোনা

কিছুই না

আনমোনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুজোর টানে বাড়ির পানে

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:২৪



অনেকক্ষন ধরে ঘরবার করছি বাবার জন্য। সবকিছু গোছানো হয়ে গেছে। আমাদের খাওয়া দাওয়া হয়ে গেছে। এখন শুধু বাবার অপেক্ষা। বাবা এসে খেয়ে নিলেই রান্নাঘর গুছিয়ে বেরিয়ে পরা যায়। কেন যে এত দেরী করছে? আজকে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফেরার কথা। গাবতলী থেকে রাতের কোচ ধরতে হবে।

আগের রাতে মা ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছে। সারা সন্ধ্যা সে যখন ঘরের কাজ করছিলো, আমরা দুই ভাই বোন তার পিছে পিছে ঘুরেছি। কখন কাজ শেষ হবে, কখন ব্যাগ গোছাবো, কি কি নেব, এসব প্রশ্ন করে ব্যতিব্যাস্ত করেছি। মায়ের কাজের কি অন্ত আছে? তারপরে সে যখন মাদুর বিছিয়ে ব্যাগ নিয়ে বসলো, আমরা দুজন সেখানে যেয়ে বিড়ালের মত থাবা মেরে বসেছি। দেখছি কি কি নেওয়া হয়। আমাদের পুজোর জামা, আরেকটা ভালো জামা, ঘরে পরার দুইটি জামা নেওয়া হলো। বাবার জামাকাপড় কি নেওয়া হবে তার হিসাব হলো। মায়ের হয়তো এবার পুজায় নতুন কিছু কেনা হয়নি। পুরানো শাড়ি থেকেই দুটো ভালো শাড়ি, দুটা আটপৌড়ে শাড়ি উঠলো। খাবারের ব্যাগ সহ সব ব্যাগ গুনে ভাগ করে দেওয়া হলো রাস্তায় কার দ্বায়িত্বে কোন ব্যাগ থাকবে।

তারও তিনমাস আগে থেকে ক্যালেন্ডারে দিনগুলো দাগিয়ে চলেছি। এখন সেই দিন গোনা এসে ঠেকেছে ঘন্টা-মিনিট গোনায়। আর বাবা এত দেরী করছে? শেষে বাবা এলো, তাড়াতাড়ি না, অনেক দেরী করেই। আমরা সবাই তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে পরলাম।



গাবতলীর বাস কাউন্টারে যখন পৌঁছালাম, তখন বাস ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। বুকের মধ্যে ধুকপুক করছে, যদি বাস মিস করি। এ মা, বাসেরই দেখি কোনো খবর নেই! নির্দিষ্ট সময়ের বেশ অনেক পরেই বাস এলো। তারপরে ঢুকুর ঢুকুর করে রওনা হলো আরিচার উদ্দেশ্যে। গাবতলী না ছাড়ানো পর্যন্ত্য জ্যাম ছিলো। তারপরে বাস ভালো গতিতেই চলতে লাগলো। সাভার কি এসে গেলো? জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করি জাতীয় স্মৃতিসৌধ। অন্ধকারে কিছুই দেখা যায়না। বাইরের অন্ধকার দেখতে দেখতে আরিচা ঘাটে পৌঁছাই। সেখানে অন্ত্হীন অপেক্ষা। বসে বসে ঝালমুড়ি, ডিমসিদ্ধ, আর ডাবওয়ালাদের ডাকাডাকি শুনতে থাকি। ডাব কিনে খেয়ে ডাবওয়ালাকে বলি ডাবটা দুইভাগ করে দিতে, ভিতরের শাস খাব। এর মধ্যেই ফেরী এসে যায়, বাসসুদ্ধ আমরা ফেরীতে উঠি।



ওপারে নগরবাড়ি ঘাটে যেতে লাগে তিন ঘন্টা। অথচ ফেরার সময় নগরবাড়ি থেকে আরিচা ঘাট দেড়ঘন্টা। বাবা সুন্দর করে নদীর স্রোত, ফেরীর গতি, আর তার সাথে সময়ের হেরফেরের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে। হুম, যখন গন্তব্যে পৌঁছুতে মন ছটফট করছে, তখনই কিনা স্রোতের উল্টোদিকে যেতে হয়। কি বিচ্ছিরী ব্যাপার। কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে অন্ধকার নদীর শোভা দেখি। ফেরীতেই পেটচুক্তিতে রাতের খাওয়া সারা হয়।



নগরবাড়ি ঘাটে নেমে বাস চলতে শুরু করে। এর মাঝেই কখন যে ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুম ভাঙ্গে যখন বাস এসে থামে উত্তরবঙ্গের কোনো এক জেলা শহরে। তখন প্রায় ভোর। সেখান থেকে মুড়ির টিন বাসে উপজেলা সদর, তারপরে রিক্সা । সামনেই বাজার, সিনেমা হল, তার একটু পরে আমার প্রিয় মিষ্টির দোকান, সোনালী ব্যাংক, আমাদের বাড়ি। সেখানে আমার ঠাকুরমা থাকে বড়জেঠুর সাথে। অন্য কাকা জ্যাঠারাও পুজোয় বাড়ি আসেই আসে।



ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দে রিক্সা দুটো থামে বাড়ির সামনে। থামতে না থামতেই ভিতর থেকে হই হই করে ছুটে আসে হালিপোল্লির দল। সেজমা-সেজকারা এসে গেছে----। আমরা রিক্সা থেকে নামার আগেই ব্যাগগুলো হাতে হাতে চলে যায় বাড়ির মধ্যে। ভিতর থেকে উকি দেয় বড়দের দল। পাশের বাড়ির আপা চলে আসে আমাদের দেখতে।

একটু পরে আমিও মিশে যাই হালিপোল্লির দলে। হই চই করে খেলতে থাকি সবার সাথে। এর মধ্যেই শুনতে পাই বাড়ির সামনে রিক্সা থামার আওয়াজ। খেলা থামিয়ে ছুটে যাই দেখতে আর কে এলো।

আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।

সবাইকে জানাই শারদীয় দূর্গাপুজার শুভেচ্ছা।


মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ! চমৎকার অনুভূতি। শৈশবের অমন স্মৃতি মাখা দিনগুলির স্মৃতিচারণের মজাই আলাদা। যেখানেই থাকুন পূজা ভালো কাটুক।
মহাসপ্তমীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
বাহ! চমৎকার অনুভূতি। শৈশবের অমন স্মৃতি মাখা দিনগুলির স্মৃতিচারণের মজাই আলাদা। যেখানেই থাকুন পূজা ভালো কাটুক।
মহাসপ্তমীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।


০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

আনমোনা বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক ভাই। শৈশবে পুজার অনেক আগে থেকেই দিন গুনতাম, কবে বাড়ি যাব। আহ সেই দিন।
ভালো থাকুন।
শুভ মহাসপ্তমী।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:০১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শারদীয় শুভেচ্ছা

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

আনমোনা বলেছেন: ধন্যবাদ, সাদা মনের মানুষ। আপনি মনে হয় আমার ব্লগে প্রথম। স্বাগতম।
আপনাকেও জানাই শরৎকালের সাদা কাশফুলের শারদীয় শুভেচ্ছা।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখার মধ্যে ডুবে গিয়েছিলাম।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

আনমোনা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। বাস ভ্রমন করলেন, আরিচা হয়ে?
শারদীয় শুভেচ্ছা

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার লেগেছে।
পলাতক সময়ের হাত ধরে
কন্ঠ : ফেরদৌস ওয়াহিদ
কথা : কাওসার আহমেদ চৌধুরী
সুর : লাকী আখন্দ
পলাতক সময়ের হাত ধরে
পালিয়ে গিয়েছে সেই দিনগুলো
হারিয়ে গিয়েছে সেই ক্ষণগুলো
হায় আসবে না জানি ফিরে
হাসি গানে ভরা সেই দিনগুলো।
হাসি গানে ভরা সেই দিনগুলো।
সঙ্গীরা ছিল যারা গেল কোথায়
আমি কোথায় আর তুমি কোথায়।
জীবন কী ঢেকে গেল নিজেরই ছায়ায়
হায় ফিরে আসবে কি না বলো সেই দিনগুলো
হাসি গানে ভরা সেই দিনগুলো।।
হাসি হাসি মুখগুলো যাই নি ভুলে
ছোট ছোট নামগুলো যাই নি ভুলে।
এখনও হৃদয়ে তারা ঢেউ যে তুলে
হায় ফিরে আসবে কি না বলো সেই দিনগুলো
হাসি গানে ভরা সেই দিনগুলো।।
শারদীয় শুভেচ্ছা
শুভকামনা রইলো

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯

আনমোনা বলেছেন: সেই দিন কি কখনো ফিরে আসে? কাজিনদের সাথে খেলা, মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে পুজো দেখে বেরানো, কত স্মৃতি!
শুভ শারদীয়া।

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: আপনার লেখা বরাবরই সুখপাঠ্য। পরিমিতিবোধ অসাধারণ। ব্লগে উত্তরবঙ্গের লেখক কম। আপনি উত্তরবঙ্গের লোক হয়ে থাকলে খুব ভালো । ফেরিতে পেট চুক্তি খাওয়া সে সময় অনেকের কাছেই খুব আগ্রহের ছিল। শ্যামলী পরিবহনের এই বিলাসবহুল বাস গুলো চালু হয়েছে যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর। চতুর্থ ছবিটা সম্ভবত ঢাকা শহরের, উত্তরবঙ্গের কোন জেলার না; কারণ বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার আগে উত্তরবঙ্গের কোন জেলায় এত গাড়ি ছিল বলে মনে হয় না।
সুযোগ পেলে করুনাধারা আপার এই লেখাটা পড়া না হয়ে থাকলে পড়ে দেখার অনুরোধ থাকলো, আপনার লেখার স্পিড বাড়াতে সাহায্য করবে বলে মনে করি। আমি অবশ্য ক্রিয়েটিভ অ্যাপস বিডি এর বাংলা ভয়েস টু টেক্সট অ্যাপটিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি, ওদের আইফোন অ্যাপ আছে বলেও জানি।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:১১

আনমোনা বলেছেন: আমাদের উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রথম সরাসরি বাস সার্ভিস ছিল শ্যামলী পরিবহনের, তবে নন-এসি। ওদের বাসের ছবিটা পেয়ে খুব একটা খেয়াল করিনি যে ঐটা একটা বিলাসবহুল এসি বাস। ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এবার গাবতলী টার্মিনালের ছবিই দিলাম, আমাদের বাস আপনি খুঁজে বার করুন।

চার নম্বর ছবিটা, ওরকম মুড়ির টিন বাস উত্তরবঙ্গেও চলতো, আকারে একটু ছোট। সেই রকম বাসের ছবি অনেক খুঁজেছি, পেলামনা। উত্তরবঙ্গ বরাবরই অবহেলিত, কে আর অত আগের বাসের ছবি তুলে সেভ করে রাখছে? চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব জেনেরিক ছবি দিতে, যেন কোনো জায়গার নাম না থাকে। আর কোনোভাবে কি বুঝা যায় এটি ঢাকার ছবি হতে পারে?

করুনাধারা আপুর লেখাটা খুব ইন্টারেস্টিং। সময় করে প্র্যাকটিস করতে হবে।
ধন্যবাদ। শারদীয় শুভেচ্ছা জানবেন।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শারদীয় শুভেচ্ছা।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:১১

আনমোনা বলেছেন: শারদীয় শুভেচ্ছা জানবেন সাজ্জাদ ভাই। ভালো থাকুন।

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি উত্তরবঙ্গের? উত্তরবঙ্গের লোকেরা একটু বোকাসোকা, সহজসরল হয়। আপনাকে অবশ্য সেরকমটা মনে হয় না। :P

একটু মজা নিলাম, কিছু মনে কইরেন না আবার। তবে, 'মফিজ' শব্দটা কিন্তু উত্তরবঙ্গের লোকদের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়।

একসময় চাকুরীর কারনে ঢাকা থেকে অরিচা হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্যুরে যেতে হতো। আপনার বর্ণনা পড়তে পড়তে সে'দিনগুলো চোখের সামনে চলে এলো।

শারদীয় শুভেচ্ছা। মনে করে আনন্দ করতে ভুলবেন না যেন! :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:২৪

আনমোনা বলেছেন: আমাকে মফিজ বলছেন X( । আপনার মফিজগিরি তো আপনি ভুয়া যোগ করেও ঢাকতে পারছেননা। :P

যাকগে, আমিও একটু মজা করলাম। কিছু মনে করবেননা।

তখন অধিকাংশ সময় আরিচা ঘাট হয়েই উত্তরবঙ্গে যাওয়া হতো। বঙ্গবন্ধু সেতু হওয়ার পরে আর আরিচা দিয়ে যাওয়া হয়না। প্রায় চার-পাঁচ ঘন্টা সময় বেঁচে যায়।

ভালো থাকুন। শারদীয়া শুভেচ্ছা জানবেন।

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২৮

বলেছেন: শারদীয় শুভেচ্ছা।।।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:২৫

আনমোনা বলেছেন: আপনিও শারদীয় শুভেচ্ছা জানবেন, ল ভাই।

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শিউলী ফুলের গন্ধমাখা শারদীয় শুভেচ্ছা :)

তোমার বর্ননাশৈলী চমৎকার ! লেখায় ডুবে যাওয়া যায়।

সময়ের সাথে দ্বায়িত্বগুলোও বড় হতে থাকে। তবুও শৈশবের রঙিন দিনগুলো থাকে অম্লান।

বিদেশে আছো, কেমন লাগছে ?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:২৭

আনমোনা বলেছেন: শুভ শারদীয়া।
সময়ের সাথে সাথে শুধু দ্বায়িত্ব না, আরো অনেক কিছু বদলায়। তবু কেন যেন মনে হয়, শৈশবই ভালো ছিলো।
আগে যেমন অনেক আগে থেকে পুজার দিন গুনতাম, বিদেশে সেটা হয়না। হঠাৎ করে পুজার আগের সপ্তাহে মনে পরে সামনে পুজা।
ভালো থেকো প্রাচীন পৃথিবীর প্রানী।

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: শারদীয় শুভেচ্ছা রইল।
ভালো থাকবেন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:২৮

আনমোনা বলেছেন: শারদীয় শুভেচ্ছা জানবেন মাহের ভাই। ভালো থাকুন।

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩৭

কাতিআশা বলেছেন: আমার বাড়ীও উত্তরবঙ্গে! আপনার বর্ণনার সাথে ডুবে গিয়েছিলাম অতীতে!..এখন দেশে গেলে বাড়ী যাওয়া হয় যমুনা ব্রীজ দিয়ে, খুব মিস করি আরিচা-নগরবাড়ী ফেরী পারপারের মুহুর্তগুলোকে!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০২

আনমোনা বলেছেন: যখন যমুনা ব্রীজ উদ্বোধন হয়, কি উত্তেজনা। আমাদের ঢাকা আসার কথা ছিলো বাড়ি থেকে, বাসের টিকিটই পেলাম না। দুইদিন পরে এসেছিলাম শুধু যমুনা ব্রীজের উপর দিয়ে আসব বলে। এখন ফেরী পারাপার মিস করেন, তখন হয়তো দীর্ঘ্য অপেক্ষা বিরক্তিকর ছিল।
গুগল ম্যাপে নগরবাড়ী ঘাট খুঁজে পেলাম না। আর আছে কিনা কে জানে।
ধন্যবাদ। এবং শারদীয়া শুভাচ্ছা জানবেন।

১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৭

পুলক ঢালী বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। আমি ট্রনে ফুলছরী ঘাট দিয়ে গিয়েছি আবার আরিচা নগরবাড়ী হয়ে অসংখ্যবার গিয়েছি। ঘটনার বর্ননা এমন সুন্দর হয়েছে যে আমার স্মৃতিগুলো যেন জ্বলজ্বল করে চোখের সামনে দিয়ে ভেসে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে উজানে যেতে হতো বে অনেক সময় লাগতো ফেরার সময় স্রোতের অনুকূলে আসতে সময় কম লাগতো।
নদীর দু পাড়েই কত খাবারের দোকান আর কি ডাকাডাকি সব স্মৃতিতে অম্লান হয়ে আছে।
তবে বাহিরে না খেয়ে ফেরীতেই পেট চুক্তিতে খেতাম তবে যারা প্রচুর ভাত খেতে পারে আসলে তারাই লাভবান হতো কারন পেটচুক্তির ফাঁকিবাজিটা ছিলো মাছ অথবা মাংসে ওগুলোর একটা নিতেই হবে না নিলে খাবার সার্ভ করবে না। তারা আসল দামটা মাছ মাংসের মাধ্যমে নিয়ে নিত। আমি একবার পরীক্ষা করার জন্য বলেছিলাম, 'আমি মাছ মাংস খাইনা নিরামিষ ভোজী' ওরা বলেছিল। 'দুঃখীত আপনি পাড়ে পৌছে খেয়ে নিয়েন এখানে খাওয়ানো সম্ভব নয়।'
একবার নিরামিষ ভোজী বলার পর আর মাছ বা মংসের অর্ডার করা সম্ভব ছিলনা তাই বিস্কুট আর ডাব খেয়ে ক্ষুধা নিবৃত্ত করতে হয়েছিল। :D

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

আনমোনা বলেছেন: ট্রেনেও কয়েকবার গিয়েছি। মনে আছে মাঝনদীতে চরে লন্চ আটকে অনেকক্ষন আটকা পরে থাকার কথা। আটকা পরা লন্চে বসে কিনেছিলাম বামুনের মেয়ে, বিরাজ বৌ, আরো কয়েকটা বই।
নদীর পাড়ের দোকানে কখনো খাইনি। ভয় হত এই বুঝি ফেরী এলো আর বাস আমাদের রেখেই চলে গেলো। একবার ফেরীতে উঠলে আর সেই ভয় নেই, কমসে কম দেড় ঘন্টা হাতে আছে। তবে পেটচুক্তিতে আমি খুব একটা লাভবান হতামনা।
ঈশ, আপনার মত মানুষ ডাব আর বিস্কুট খেয়ে ছিলো :(

১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

পুলক ঢালী বলেছেন: আরে আপনাকে তো শারদীয় শুভেচ্ছা জানানোই হলোনা।
শারদীয় এবং দীপাবলীর শুভেচ্ছা রইলো।
এবার পূজার সময় আমি দিনাজপুর গিয়েছিলাম, অনেক মন্ডপ দেখেছি।
নিন আপনাকে শুভেচ্ছা স্বরূপ এক ডজন মন্ডপের ছবি দিলাম চাইলে দেবীকে প্রনাম করতে পারেন।

























ভাল থাকুন।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

আনমোনা বলেছেন: আপনিও শারদীয় এবং দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানবেন। আপনার শারদীয় শুভেচ্ছা অবশ্য আড্ডাঘরেই পেয়েছি।

ছবিগুলো পেয়ে খুব ভালো লাগলো। এখানে এই মন্ডপে মন্ডপে ঘুরাঘুরি খুব মিস করি।

১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০১

আখেনাটেন বলেছেন: স্মৃতির ঝাঁপি খুলে চমৎকার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আমি যখন ঢাকা আসি তখন অবশ্য আর সেই ফেরি পারাপারের ঝামেলা নেই। নওগাঁতে বাসে উঠে ধাই করে চকচকে যমুনা সেতু পার হয়ে ঢাকা। সময় মোটেই চার থেকে পাঁচঘন্টা। অথচ এখন লাগে দশ থেকে বারো ঘন্টা। যুগের সাথে অন্যরা আগায়, আর আমরা....... :(

এখন বাড়ির স্মৃতিগুলোও তুলে ধরুন এক এক করে। পড়তে খারাপ লাগছে না। :)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২০

আনমোনা বলেছেন: এখন দশ বারো ঘন্টা লাগে?? যমুনা সেতু দিয়ে? শুনেছিলাম অবশ্য রাস্তা অনেক জায়গায় ভাঙ্গা।
বাড়ির স্মৃতিগুলো খুবই অগোছালো। চেষ্টা করবো গুছিয়ে লিখতে। বি-লেটেড শারদীয় শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ।

১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এখন দশ বারো ঘন্টা লাগে? -- উৎসবে এটা কখনও কখনও আরো দীর্ঘায়িত হয়। তবে টাঙ্গাইলের রাস্তাটা চারলেন হলে কিছুটা সময় কম লাগবে।

এবার পুজোতে বগুড়ার এক বন্ধুর বাসায় যাওয়ার কথা ছিল। দুর্ভাগ্য--বের হতে পারি নি। ছোটকালে নানাবাড়িতে গিয়ে বেশ মজা করতাম পুজোর মেলাতে। নানাদের বাড়ি লাগোয়া ছিল মন্দির। প্রতিবছর পুজোতে মেলা লাগত। গ্রামীণ ছেলেবেলা সত্যিই অতুলনীয় ছিল। অথচ সেই নানাবাড়ি যাওয়া হয় নি কত বছর। কংক্রিট আষ্ট্রেপৃষ্ট্রে বেঁধে ফেলেছে। :(

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৮

আনমোনা বলেছেন: এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। রাস্তাতেই আমাদের উৎসবের একটা বড় অংশ কেটে যায়।

গ্রামের বাড়িতে পুজার স্মৃতি ভোলা যায়না।

১৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:১৮

মিরোরডডল বলেছেন: loved your post
খুব সুন্দর লেখা

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৪

আনমোনা বলেছেন: ধন্যবাদ, মিরোরডডল।

১৭| ১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৮:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইশ এত ভালো পোস্টটা কত পরে চোখে পড়ল!
ঈদের সময়ে বাড়ি ফেরার স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠল, এমনভাবে লিখেছ যে মনে হচ্ছিল একটা ভিডিও দেখছি।

ইশ! প্রবাস দোষে কতদিন আপনজনদের সাথে উৎসব করা হয়না! :(

২১ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:৩৪

আনমোনা বলেছেন: আপনজনদের সাথে উৎসব করার কথা ভুলেই গেছি!

এখন দেশে যাওয়া হয় বাচ্চাদের স্কুল বন্ধের হিসাবে। দেশে যাব, এই ভাবনাটাই একটা উৎসবের আমেজ আনে। বাড়ি যাওয়ার স্মৃতিটা কি মধুর, তাইনা?

১৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। শিরোনামটা এবং শিরোনামের ছবিটাও খুব সুন্দর।
আপনি উত্তরবঙ্গের জেনে বেশ একটা আপন আপন ভাব মনে এসেছিল, কিন্তু উপজেলা তো দূরের কথা, জেলার নামটাও দিলেন না বলে দূরেই রয়ে গেলেন।
পোস্টে একাদশতম ভাললাগা। + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.