নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।

আমি সত্যে অবিচল।

আনোয়ার আলী

যত অপ্রিয়ই হোক, সত্য বলতে আমি দ্বিধা করি না। আমি সদাই সত্যে অবিচল। অন্যের কাছে থেকে কিছু জানা আমার শখ।

আনোয়ার আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অধিকাংশ স্কুল শিক্ষকেরই শিশু মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই-

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩৯



একটা বেসরকারী জরিপে দেখা গেছে, আমাদের দেশের ৭০% -এরও বেশী প্রাইমারী স্কুল শিক্ষকের শিশু মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। তারা শিশুদের শারীরিক শাস্তি দেয়াকেও কোন অপরাধজনক কাজ মনে করেন না। যদিও আইনের কড়াকড়ির কারনে তারা এখন আর বেত বা লাঠি ব্যবহার করছেন না, তবে মৌখিক নির্যাতন থেমে নেই। অতীতে এইসব শিক্ষকদের নির্যাতনে অর্ধেকেরও বেশী ছাত্রছাত্রী ঝরে পড়তো। শিক্ষা ভীতি ছাত্রছাত্রীদের কাবু করে ফেলতো। সামান্য একটা সহজ বইয়ের পড়াও তাদের কাছে বোঝা হয়ে ধরা দিতো। কিন্তু যুগের পরিবর্তনে নানা ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে শিশু মনোবিজ্ঞানে কিছু ধারনা দেয়ায় সেই সব স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বেশ ভালই করছে। তারা এখন দশ বিশটা বই পড়লেও সেগুলোকে আর বোঝা মনে হচ্ছে না। এর কারন হলো, ভীতি দুর হওয়া। আমরা যে যুগে মাত্র একটা বই পড়ে পাশ করতে হিমশিম খেয়েছি, স্যারের মারের ভয়ে তোতাপাখির মত পড়া শিখেছি, এখন আমাদের সময়ের চেয়েও কম বয়সের ছাত্রছাত্রীরা অনেকগুলো কঠিন বই অনায়াসেই পড়ছে। এর কারন আর কিছুই নয়, শিশু মনোবিজ্ঞান বুঝে শিশুকে শিক্ষা দেয়া। এটা যারা বা যে শিক্ষকেরা পারছে না, তারাই ফেল মারছে।

মাদ্রাসাগুলোর অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। সেখানে ১% শিক্ষকও শিশু মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে কোন ধারনা রাখেন না। তারা নানাভাবে শিশুদের শারীরিক শাস্তি দিয়ে থাকেন। আরো একটা ব্যাপার লক্ষণীয়, তাহলো, মাদ্রাসাগুলোতে এখনো অনাবশ্যকভাবে উর্দু ভাষা শেখানো হয়। এই উর্দু ভাষা কেন প্রয়োজন তা বোধগম্য নয়। ইসলামের বইগুলো কি সব উর্দুতে লেখা? কেন এই অনাবশ্যক বিদেশী ভাষা শেখানো ?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৫২

মুনিম চৌধুরী বলেছেন: জি ভাইয়া ... হাসা কইসেন !!!
এখনও আমগো বেশিরভাগ শিক্ষক স্যার আফারা অনেক সময় অনেক দুর্বল জায়গায় খোচা মাইরা কথা কয় ... যেইগুলার জন্য অনেকেই মনে ব্যাফুক কইষ্ট ফায় !!!
এই সকল মানিসিক কইষ্টের জন্য ফ্রায় সময় ফড়তে মন চায় না ... !!!
যাউক ... এদানিং এইডি অনেক কমসে :-B

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: আনোয়ার আলী-
আপনি একটি অত্যন্ত কার্য্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়ের অবতারনা করেছেন । ধন্যবাদ ।
শিক্ষা এখন দুমুখী । শিক্ষক -ছাত্র এবং ছাত্র -শিক্ষক । দুজনে দুজনাকে জানতে না পারলে শিক্ষাটি শিক্ষা হয়ে উঠবেন না হবে অত্যাচার । তৈরী হবে অনিচ্ছা, বিবমিষা ।
প্রাইমারী স্তরে এই দূর্যোগ বেশী । উপরের স্তরেও কি নেই ? আর মাদ্রাসাগুলোর ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে কারন দেশের শিশুদের বিরাট একটি অংশ এখানেই তাদের শিক্ষা জীবন শুরু করে । এ কৃতিত্ব মাদ্রাসাগুলোর প্রাপ্য । যদিও আমি নিজে এধরনের মাদ্রাসা শিক্ষার পক্ষে নই । কেবল সরকার নয় আমাদের কেও এগিয়ে আসতে হবে এর সংস্কারে ।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৫

ভুলো মন বলেছেন: ট্রেনিং নেবার সময় (PTI অথবা B.Ed./M.Ed.) শিক্ষকদের নির্দিষ্ট বয়সের/শ্রেণীর শিশুদের মানসিক আচরণের ব্যাপারে মোটামুটি ভালভাবে ট্রেইন করা হয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এসে শিক্ষকরা সেইসব কথা সম্পূর্ণভাবে ভুলে যান।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৪

~মাইনাচ~ বলেছেন: সহমত



শিশুজ্ঞানহী শিক্ষকরা শিশুদের কতোটুক আদরনীয়ভাবে জ্ঞান দানে সক্ষম তা ভাবতেই কষ্টকর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.