নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যত অপ্রিয়ই হোক, সত্য বলতে আমি দ্বিধা করি না। আমি সদাই সত্যে অবিচল। অন্যের কাছে থেকে কিছু জানা আমার শখ।
(ব্লগার মাজহার ভাইয়ের পরামর্শে শিরোনামটা পাল্টে দিলাম। এখন থেকে ‘আরজ আলী মাতুব্বরের প্রশ্ন ও আমাদের জবাব’ শিরোনামের পরিবর্তে উল্লেখিত শিরোনামেই চলবে)
আরজ আলী মাতুব্বর প্রশ্ন করেছেন- ইহকাল ও পরকালে সাদৃশ্য কেন? পরকালের অন্তর্গত কবর হাশর, বেহেস্ত, দোজখ ইত্যাদির যে সকল বর্ণনা পাওয়া যায়, তার প্রত্যেকটি বর্ণনার বিষয়বস্তুই যেন এই পৃথিবীর বিষয়বস্তুর অনুকরণ বা সংস্করণ। যথা ¬ (কবরে) ছওয়াল বা প্রশ্ন, গুর্জ বা গদা, স্নিগ্ধ সমীরণ, উত্তপ্ত বায়ু প্রভৃতি; (হাশর ময়দানে) তামার পাত, সূর্যের তাপ, সাক্ষ্য জবানবন্দী, দাড়ি-পাল্লা, বিচার ইত্যাদি, (বেহেস্তে) সুমিষ্ট ও সুস্বাদু ফল, সুপেয় জল, দুধ, মধু, সুন্দরী রমণী ইত্যাদি এবং (দোজখে) অগ্নি, পুঁজ, রক্ত, গরম জল, পোল, সাঁড়াশী ইত্যাদি যাবতীয় পারলৌকিক বর্ণনা সমূহের আদ্যন্ত পর্যালোচনা করিলে মনে হয় যে, পরলোকের সবকিছুই যেন এই পৃথিবী হইতে গৃহীত, কিছুটা পরিবর্ধিত ও কিছুটা পরিবর্তিত। পরলোকে কি কিছুই অভিনব থাকিবে না?
উত্তর: অভিনব কিছু থাকিবে না এ কথা কি ইসলামের কোথাও বলা হয়েছে? পরলোক তো কেবল মানুষের জন্যেই। তাই মানুষের উপযোগী সবকিছুই তাতে থাকবে-অন্য কিছু থাকা কি যৌক্তিক? দুনিয়াতে আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন, আর দুনিয়াকেও সাজিয়েছেন মানুষের উপযোগী করে। আখেরাতকেও তিনি ঠিক সেভাবেই মানুষের উপযোগী করেই সাজিয়েছেন। অভিনবত্ব অবশ্যই আছে। দুনিয়াতে পাপীকে একবার মাত্র মৃত্যু যন্ত্রনা দেয়া যায়। তার প্রাণবায়ু বেরিয়ে গেলেই সব শেষ। তার আয়ুও পৃথিবীতে সীমাবদ্ধ। আখেরাতে তা নয়। আখেরাতে জীবনের আর কোন অবসান নেই। আল্লাহকে যারা না দেখেই বিশ্বাস করেছে, তার জীবন বিধান মেনে নিয়েছে, তারা চিরস্থায়ী সুখ ভোগ করতে থাকবে। সেখানে কেবলই অনাবিল শান্তি। বৃদ্ধ হবার কোন প্রয়োজন সেখানে নেই। আল্লাহ মানুষকে চুড়ান্ত সুখই স্থায়ীভাবে আখেরাতে দেবেন। আর তার উল্টো হলে কেবলই শাস্তি, অনন্তকাল চলতেই থাকবে। এ বিষয়ে আল্লাহপাক তো সতর্ক করেছেনই। যারা বিশ্বাস করলো না, এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের অবসানের সাথে সাথেই তারা এটা নিশ্চয়ই উপলদ্ধি করতে পারবে। কোন সন্দেহ নেই।
২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৪
আনোয়ার আলী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টি শেয়ার করার জন্যে। আশা করছি সামনেও সাখে পাব।
২| ২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৬
লিমন আজাদ বলেছেন: অবশ্যই সাথে থাকব। এই সিরিজের প্রথম লেখাটি ভাল লেগেছে। আমি তিনমাস মাদ্রাসায় পড়েছিলাম। মানিয়ে নিতে পারি নাই। চলে এসেছি। আপনার জন্য শুভকামনা।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
মোহাম্মদ রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ বলেছেন: এই পেজে আপনার পোস্ট কপি করলাম।
https://www.facebook.com/pages/নাসà§à¦¤à¦¿à¦à¦¦à§à¦°-à¦à¦¤à¦¿à¦ªà§-à¦
যà§à¦à§à¦¤à¦¿à¦-পà§à¦°à¦¶à§à¦¨-à¦à¦¬à¦-à¦à§à¦°à¦à¦¨-সà§à¦¨à§à¦¨à¦¾à¦¹à§-র-à¦à¦²à§à¦à§-à¦à¦¬à¦¾à¦¬/319469448233474
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
লিমন আজাদ বলেছেন: এই প্রশ্নটার আরেকটা ব্যাখ্যা আমার কাছে আছে। পরকাল যে ইহকাল সদৃশ এই কথাটার কোন ভিত্তি নেই। পরকালের বিভিন্ন বিষয় বরং ইহকালের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে তুলনা করে বুঝান হয়েছ যাতে আমাদের; বিশেষ করে তখনকার মানুষদের বুঝতে সুবিধা হয়। এমন কোন বিষয় যেটা আমরা কখনও দেখি নাই সেটা আমাদের দ্বারা কল্পনা করাও সম্ভব না। এটা বিজ্ঞানসম্মত সত্য। তাই পরকালের বিষয়সমূহ হয়তো মহান সৃষ্টিকর্তা ইচ্ছে করেই ইহকালের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে তুলনা করে বুঝিয়েছে।
নাস্তিকদের ধন্যবাদ এজন্য যে, তারা এমন সব হাস্যকর প্রশ্ন উত্থাপন করে যা নিজের বিশ্বাসকে আরও করতে সুবিধা হয়।