নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যত অপ্রিয়ই হোক, সত্য বলতে আমি দ্বিধা করি না। আমি সদাই সত্যে অবিচল। অন্যের কাছে থেকে কিছু জানা আমার শখ।
নাস্তিক, কাফের, মুনাফেক বা মুরতাদ হওয়ার স্বাধীনতা আল্লাহ মানুষকে দিয়ে রেখেছেন। দুনিয়াটা মুমীনদের জন্যে একটা পরীক্ষাগার। পরকালে স্বর্গ নরকের সৃষ্টিও তো সে কারনেই। আল্লাহর নবীকে কাফের, মুনাফেকেরা অনেক অত্যাচার করেছেন। তিনি তা সহ্য করেছেন এবং ধৈর্য্য ধারন করেছেন। আল-কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আপনি কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের উৎপীড়ন উপেক্ষা করুন ও আল্লাহর উপর ভরসা করুন। আল্লাহ কার্যনিবার্হীরূপে যথেষ্ট। (৩৩:৪৮)
‘আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তাআলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।’ (৪:১৪০)
‘আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক।’ (৭:১৯৯)
সুরা ইউনুস-এর আয়াত ৪০-এ বলা হয়েছে, ‘আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ কোরআন বিশ্বাস করবে এবং কেউ কেউ বিশ্বাস করবে না। বস্তুতঃ তোমার পরওয়ারদেগার যথার্থই জানেন দুরাচারদিগকে।’
৪১ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তবে বল, আমার জন্যে আমার কর্ম, আর তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। তোমাদের দায়-দায়িত্ব নেই আমার কর্মের উপর এবং আমারও দায় দায়িত্ব নেই তোমরা যা কর সেজন্য।’
সুরা ইউনুসের ৯৯ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর তোমার পরওয়ারদেগার যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান নিয়ে আসতো সমবেতভাবে। তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তি করবে ঈমান আনার জন্যে?’
সুরা মায়েদার আয়াত ৩২-এ বলা হয়েছে, ‘এ কারনেই আমি বনী ইসরাইলের উপর হুকুম দিলাম যে, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করা কিংবা যমীনে ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী ছাড়া যে কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাল, সে যেন সব মানুষকে বাঁচাল। আর অবশ্যই তাদের নিকট আমার রাসুলগণ সুষ্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছে। তা সত্বেও এরপর যমীনে তাদের অনেকে অবশ্যই সীমালঙ্ঘনকারী।’
আল্লাহর কোরআনের কোথাও নাস্তিকদের হত্যা করার কথা বলা হয়নি। হাদীস অনুযায়ী যারা ইসলাম ত্যাগ করে তারা মুরতাদ। তাদের শাস্তির বিধান আছে। আর সে শাস্তি প্রয়োগ করতে পারে কেবলমাত্র রাষ্ট্রের শাসকগোষ্টি বা আদালত। কোন মুমীন নাগরিক অন্যের শাস্তি কার্যকর করার অধিকারী নন।
১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:০৬
আনোয়ার আলী বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
২| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০০
সজা১২৩ বলেছেন: কেউ আপনাকে বা আপনার অনুভূতীকে আঘাত করলে বা গালিগালাজ করলে তার জবাবে যদি আপনিও গালিগালাজ করেন তা যে ভদ্রমানুষের কাজ হয় তা নয়। কারন যিনি কাউকে গালি দেন, নিশ্চিত উহা মূর্খতার পরিচয়। কুকুর কামড়ালে কুকুরে পায়ে পাল্টা কামড় দেয়া মানুষের শোভা পায় না। হ্যা, গালির জবাবে গালি দেয়া ভদ্র মানুষের শোভা পায় না, তবে অন্যয় নয়। কারন আপনি গালি খেয়েছেন, আপনার প্রতিশোধ নেয়ার অধিকার রয়েছে। তবে একটি গালির জবাবে সমপরিমান আরেকটি গালি দেয়া আপনার অধিকার রয়েছে, এর বেশি নয়। সুতরাং নাস্তিকরা গালি দিলে প্রতিশোধ যদি আপনাকে নিতেই হয় তাহলে যিনি গালি দিয়েছে ঠিক তাকে অনুরুপ গালি দেন। এর বেশি করা অন্যয়।
সব নাস্তিক নিশ্চয়ই গালিকগালাজ করে না। লতিফ সিদ্দিকি তো কাউকে গালি দেয়নি। সে তার মতামত ব্যক্ত করেছে। তার মত কার কাছে অপছন্দ হতেই পারে, তাই বলে তার বিরুদ্ধে যে আচারন করা হল তা তো ন্যয়ের কাজ নয়।
৩| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০৪
এন জে শাওন বলেছেন: @সজা১২৩
আপনার মাকে নিয়ে কেউ যদি নোংরা মন্তব্য করে কথা বলে সে লোক কে আপনি কি করবেন?
৪| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৫
সজা১২৩ বলেছেন: আমার সম্পূর্ণ মন্তব্য মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আমি লিখি নাই যে কেউ নোংরা মন্তব্য করলে আপনি প্রতুত্তর দিতে পারবেন না।
৫| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আল্লাহ মানুষকে নাস্তিক হওয়ার অধিকার দেয়ার কে? ভাষা ব্যবহারে সতর্ক হোন
৬| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:২৩
মাথা খারপ মানুষ বলেছেন: সমস্যাতো ঐখানে না। সমস্যা অইলো নাস্তিকগো চুলকানি। এসাইলাম পাওয়ার লোভে মেট্রিক পাস নাস্তিকগুলা ইসলামরে গালি-গালাজ করে। নিজের যোগ্যতায় বিদেশ যাইবার পারেনা বইলা চাপাতির দাগ দেহাইয়া বিদেশ যায়। কয়েকটা চাপাতির কোপে মইরা যায়। কয়েকটা যায় বিদেশে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ব্যক্তিগত জীবনে আপনি নাস্তিক, কাফের, মুনাফিক, মুরতাদ বা অন্য যে কোন ধর্মের হতেই পারেন। তাতে কোন সমস্যা নাই। ধর্ম বা ধর্মহীনতাকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাখলে সমস্যা নাই। সমস্যা তখনই তৈরি হয়, যখন কেউ অন্য কোন ধর্মের নবী, রসুল বা সৃষ্টিকর্তা নিয়ে অশ্লীল নোংরা কথা বলে বা গালাগালি করে। অন্য ধর্মকে হেয় করার বা গালাগালি করার অধিকার কারো নাই। যার যার ধর্ম তার তার কাছে বড়। এটাকে ছোট করলে মানুষের মনে চোট লাগবেই।
এমনকি আপনি যদি কোন নাস্তিককে গালাগালি করেন বা নোংরা অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেন, সে উত্তেজিত হবেই। এই গালাগালি, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, ঠাট্টা, তামাসা বাদ দিলে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।