নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।

আমি সত্যে অবিচল।

আনোয়ার আলী

যত অপ্রিয়ই হোক, সত্য বলতে আমি দ্বিধা করি না। আমি সদাই সত্যে অবিচল। অন্যের কাছে থেকে কিছু জানা আমার শখ।

আনোয়ার আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘আল্লাহ’ কে? নাস্তিকের প্রশ্ন ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

নাস্তিকেরা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী নন। কিন্তু তাদের নানা লেখায় ধরা পড়ে, এরকম বিশ্বাসে তারা একেবারে অটলভাবে বিশ্বাসীও নন। অর্থাৎ তাদের বিশ্বাসের ভিত অতটা শক্ত নয়। ষ্টিফেন হকিনস বলেছেন, তিনি মানুষ সদৃশ সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী নন। তবে পদার্থ বিজ্ঞানের নানা মৌল কনা যিনি সৃষ্টি করেছেন তাকে মানতে তার আপত্তি নেই। খৃষ্টীয়রা ঈশ্বরকে মানুষ সদৃশ ভেবে এসেছে যুগের পর যুগ ধরে। কেবল খৃষ্টীয়রাই নয়, হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের স্বভাবজাত কারনেই তারা সৃষ্টিকর্তাকে নিজ সাদৃশ ভেবে এসেছে। খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীরা নবী ঈসাকে ঈশ্বরের পুত্র হিসাবে গণ্য করে। ইয়াহুদীদের মতে নবী উযাইর (আ.)ও আল্লাহর পুত্র।
মানুষ সদৃশ কোন ঈশ্বর দ্বারা মহাবিশ্বের সৃষ্টি একেবারেই অসম্ভব। হযরত ঈসা (আঃ) এবং হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন বটে তবে তারাও আল্লাহকে দেখেননি। আল্লাহ সম্পর্কে বাইবেলের বর্নণায় অনেক বিকৃতি ঘটেছে। কোরআন আল্লাহর যে পরিচয় আমাদের কাছে পেশ করে তা-ই তার জন্যে যথেষ্ট। সুরা ইখলাসে বলা হয়েছে, তিনি পরাক্রমশালী, তিনি কাউকে জম্ম দেনওনি, জন্ম নেনওনি। তার সমকক্ষ কেউ নেই।
আল্লাহ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,
আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, তিনি অনাদি সত্ত্বা, ঘুম-তন্দ্রা তাকে স্পর্ষ করে না। আসমান সমুহ ও যমীনে যা কিছু তার সবকিছুর একচ্ছত্র মালিকানা তার, কে এমন আছে যে তার দরবারে বিনা অনুমতিতে কিছু সুপারিশ পেশ করবে? তাদের বর্তমান ভবিষ্যতের সবকিছুই তিনি জানেন। তার জানা বিষয়সমুহের কোন কিছুই (তার সৃষ্টির) কারো জ্ঞানের সীমা পরিসীমার আয়ত্তাধীন হতে পারে না। তবে কিছু জ্ঞান যদি তিনি কাউকে দান করেন (তবে তার কথা ভিন্ন), তার বিশাল সাম্রাজ্য আসমান যমীনের সবকিছুই পরিবেষ্টন করে আছে, এ উভয়টির হেফাজত করার কাজ কখনো তাকে পরিশ্রান্ত করে না, তিনি পরাক্রমশালী ও অসীম মর্যাদাবান। [সূরা আল বাকারা, আয়াত ২৫৫ (২:২৫৫)]

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, তার সবকিছুই আল্লাহর পবিত্রতা এবং মাহাত্ন্য ঘোষনা করে, তিনি মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। [সূরা আল হাদীদ, আয়াত ১]
আসমানসমুহ ও যমীনের সার্বভৌমত্ব তারই জন্যে, তিনি জীবন দান করেন, তিনিই মৃত্যু ঘটান। তিনি সবকিছুর উপর চূড়ান্ত ক্ষমতাবান।[সূরা আল হাদীদ, আয়াত ২]
তিনি আদি, তিনি অন্ত, তিনি প্রকাশ্য, তিনি অপ্রকাশ্য এবং তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত।[সূরা আল হাদীদ, আয়াত ৩]

সপ্ত আকাশ ( আকাশসমুহ), যমীন এবং এ (দু’য়ের) মাঝখানে যা কিছু (মজুদ) আছে তা সবই আল্লাহতালার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে, (সৃষ্টিলোকে) কোনো একট জিনিসও এমন নেই যা তার প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করে না। কিন্তু তাদের পবিত্রতা, মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না। অবশ্যই তিনি অতি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ। [সূরা বনী ইসরাঈল,আয়াত ৪৪]

যদি আল্লাহ লোকদেরকে তাদের অন্যায় কাজের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভুপৃষ্ঠে চলমান কোন কিছুকেই ছাড়তেন না। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি সময় পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন। অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহুর্তও বিলম্বিত কিংবা তরাম্বিত করতে পারবে না। [সূরা নাহল,আয়াত ৬১(১৬:৬১)]

তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের উদ্ভাবক। যখন তিনি কোন কার্য সম্পাদনের সিন্ধান্ত নেন, তখন সেটিকে একথাই বলেন, হয়ে যাও, তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়। [সূরা আল বাকারা, আয়াত ১১৭(২:১১৭) ]

আল্লাহর আকৃতি সম্পর্কে কোরআন শরীফে বলা হয়েছে,
আল্লাহর মতই কেউই নেই। অর্থাৎ, তার আকৃতি কোনো সৃষ্টির মত নয়। [সূরা শূরা : ১১ ] কোরআনে আল্লাহর আকৃতি সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা হয়নি।
আল্লাহতাআলা বলেনঃ
“তারা আল্লাহ্র যথার্থ মর্যাদা নিরুপন করতে পারেনি। কিয়ামতের দিন সমগ্র পৃথিবী তাঁর হাতের মুঠোতে থাকবে।”[সূরা-যুমার,আয়াত-৬৭]

আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন বলেনঃ
(কিয়ামতের দিন) ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে । (হে রাসুল) আপনার মহিমাময় ও মহানুভব রবের সত্ত্বাই একমাত্র বাকি থাকবে। [55 আর-রাহমান-২৬-২৭]

“বল -অনুগ্রহ আল্লাহ্রই হাতে” [সূরা-আলে ইমরান-৭৩]

“কোন দৃষ্টিই তাকে প্রত্যক্ষ করতে পারে না বরং তিনিই দৃষ্টি শক্তিকে প্রত্যক্ষ করেন এবং তিনিই দৃষ্টি শক্তিকে প্রত্যক্ষ করেন এবং তিনি সুক্ষদর্শী, সম্যক পরিজ্ঞাত ।” [৬ সূরা-আনআম,আয়াত-১০৩]

“আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তাঁর মুখমণ্ডল ব্যতীত সব কিছুই ধ্বংসশীল ।” [সূরা-আল কাসাস, আয়াত-৮৮]

আল্লাহ্ নবী মূসা (আঃ)-কে লক্ষ্য করে বলছেনঃ
“আমি আমার নিকট থেকে তোমার উপর ভালবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম যাতে তুমি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হও।” [২০নং সূরা-ত্বহা, আয়াত-৩৯]

এমনিভাবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে সান্তনা দিতে গিয়ে বলেনঃ
“আপনি আপনার রবের নির্দেশের অপেক্ষায় ধৈর্যধারন করুন আপনি আমার চোখের সামনেই রয়েছেন।” [৫২ সূরা-আত-তূর, আয়াত-৪৮]

আল্লাহ্ বলেনঃ
“নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শ্রবণ করেন ও দেখেন ।” [৫৮ সূরা-মুজাদালাহ, আয়াত-১]
আল্লাহ্র সাদৃশ্য কোন বস্তুই নেই এবং তিনি শুনেন ও দেখেন ।” [সূরা-আশ-শুরা, আয়াত-১১]

“পরম করুণাময় (রাহমান) আরশের উপর সমাসীন। (সুরা-ত্ব হা-৫)

আমরা আল্লাহ্র গুণাবলী স্বীকার করি ও বিশ্বাস করি তবে সৃষ্টির কোন কিছুর সাথে আল্লাহ্র গুনাবলীর কোন আকার সাব্যস্ত করিনা, সাদৃশ্য (তুলনা) করি না। কেননা আল্লাহ্ নিজেই তাঁর সাদৃশ্যের বিষয়টি বাতিল করে দিয়েছেন এ বলে-
“(সৃষ্টি জগতের) কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়।” (সূরা-শুরা,আয়াত-১১)

কুরআনের ৬ নং সূরা, সূরা আনামের ১০৩ নং আয়াত অনুযায়ী আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়। কোন দৃষ্টিই তাকে দেখতে সক্ষম নয়। তার বিশালতা অকল্পনীয়, মানুষের কল্পনায় তা ধারন করা সম্ভব নয়। তিনি মহাশক্তি। তার ইচ্ছেতেই সবকিছু হয়। তাছাড়া একটি হাদিস রয়েছে যাতে হযরত আয়েশা (রা) নবীজি (সঃ) কে জিজ্ঞাসা করেছেন যে তিনি মেরাজের রাতে আল্লাহকে দেখেছিলেন কিনা। উত্তরে তিনি বলেন যে তিনি আল্লাহকে দেখেননি তবে ফেরেশতা জিব্রাইল(আ) কে তার নিজস্ব আকৃতিতে দেখেছিলেন। আল্লাহর সৃষ্টি যেমন অকল্পনীয়, তেমনি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহও অকল্পনীয়। মহাবিশ্বের অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীব ‘মানুষের’ দৃষ্টিতে আল্লাহকে দেখা অসম্ভব। কেননা আল্লাহর সৃষ্টি অতি ক্ষুদ্র নক্ষত্রকে পর্যন্ত মানুষ তার দৃষ্টি দ্বারা অবলোকন করতে পারে না।
কোন কিছুই আল্লাহর সাদৃশ্য নয়। তিনি সবকিছুই শুনেন এবং দেখেন (সুরাঃ আশ-শুরা-১১)
কেবলমাত্র তোমার রবের মহিয়ান ও গরিয়ান চেহারাই অবশিষ্ট থাকবে (সুরাঃ আর রহমান-২৭)
আল্লাহর চেহারা বা সত্ত্বা ব্যতীত সব কিছু ধ্বংস হবে (সুরা আল কাসাস-৮৮)
আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। [সূরা বাকারা-১৮৬]
আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। [সূরা কাফ-১৬]
আল্লাহ তায়ালার কুরসী আসমান জমিন ব্যাপৃত [সূরা বাকারা-২৫৫]

আল্লাহ সম্পর্কে কোরআনের উপরাক্ত আয়াত সমুহ আলোচনার আগে আরেকটি আয়াত দেখে নিই। মানুষদেরকে নিয়ে আল্লাহ আগেই বলে রেখেছেনঃ
তিনিই তোমার (মুহম্মদ) প্রতি কিতাব অবতরণ করেছেন। এর কিছু আয়াতের অর্থ একদম পরিস্কার, সেগুলোই কিতাবের মূল ভিত্তি। এবং কিছু আয়াত রুপক অর্থে। যাদের অন্তরে কুটিলতা আছে, তারা ওই সব রুপক অর্থে আয়াতগুলোকে আগ্রহ নিয়ে খুঁজে বের করে সমস্যা সৃষ্টি করার জন্য এবং নিজের ইচ্ছা মত অর্থ করার চেষ্টা করে। একমাত্র আল্লাহই সেগুলোর প্রকৃত অর্থ জানেন এবং যাদের গভীর জ্ঞান আছে তারা বলে, “আমরা এতে বিশ্বাস করি, এগুলো সবই আমাদের প্রভুর কাছ থেকে এসেছে” – শুধু মাত্র যারা বুদ্ধিমান, তারাই এ থেকে শিক্ষা নেয়। [সুরা আল-ইমরান,আয়াত-৭, (৩:৭)]
বোঝা গেলো, কিছু আয়াত রূপক হিসাবে আল্লাহপাক ব্যবহার করেছেন। যেমন আল্লাহর চেহারা, হাত, চোখ, পায়ের গোড়ালী, হাতের মুষ্টি ইত্যাদি। [ দেখুনঃ- সূরাঃ আর-রহমান ২৬-২৭, কিয়ামা ২২-২৩, আল ক্বাসাসঃ ৮৮, ত্বহা ৩৯ ,ক্বলাম ৪২ ও যুমার ৬৭ ইত্যাদি আয়াত]
তাই বলে আল্লাহকে মানুষ আকৃতির বা সৃষ্টিজগতের কোন জীবের ন্যায় মনে করার কোন কারন নেই। কেননা আল্লাহপাক নিজেই বলেছেন, “(সৃষ্টি জগতের) কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়।” [সূরা-শুরা, আয়াত-১১]। আবার আল্লাহ নিরাকার একথাও তিনি বলেননি। তার সত্তা এবং অস্তিত্ব রয়েছে। কাজেই তিনি নিরাকার নন। সবকিছুই তার সৃষ্টি, তার আয়ত্বের মধ্যে কিন্তু তিনি সব জায়গায় বিরাজমান নন। আল্লাহ যেহেতু অস্তিত্বমান, কাজেই তাকে দেখা সম্ভব। তবে মানুষের চর্ম চোখে তাকে দেখা সম্ভব নয়। আখেরাতে বিশেষভাবে সৃজিত জান্নাতীগণ আল্লাহকে দেখবেন। (সূরা ক্বিয়ামাহ্ঃ ২২-২৩ (৭৫: ২২-২৩)] বিশেষভাবে সৃজিত উজ্জ্বল আলোয় চেহারা আলোকিত না হলে আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়। আল্লাহপাক সপ্তাকাশের (আকাশ সমুহের) উপর আরশে আযীমে অবস্থান করেন। [সূরা ত্বহা : ৫]। এই আরশে আযীম সম্পর্কে মানুষে কোন ধারনা নেই। এই সপ্তাকাশ (তথা আকাশ সমুহের) সম্যক কোন ধারনাও মানুষের নেই। মানুষ তার জ্ঞানের মধ্যে সেটা ধারন করতে সক্ষম নয়।

কু’রআনে আল্লাহর সম্পর্কে সঠিক ধারণার জন্য আরো কিছু আয়াত রয়েছে, যেমনঃ
তাঁর সাথে তুলনা করার মত আর কিছুই নেই। [৪২:১১]
তাঁর সাথে তুলনা করার মত কোন অস্তিত্ব নেই। [১১২:৪]
ওদের সামনে-পিছনে যা আছে সব সম্পর্কে তিনি অবগত। ওরা কখনও তাঁকে ওদের জ্ঞানের মধ্যে ধারন করতে পারবে না। [২০:১১০]
আল্লাহকে কল্পনায় ধারন করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। মানুষ আল্লাহ সম্পর্কে যা-ই কল্পনা করুন না কেন, আল্লাহ তা নন। মানুষের জ্ঞানের মধ্যে আল্লাহকে ধারন করা অসম্ভব। কেননা আল্লাহ হলেন সেই স্বত্বা যিনি স্থান ( মহাবিশ্ব) ও সময় সৃষ্টি করেছেন। কত বড় এই মহাবিশ্ব তা মানুষের কল্পনারও বাইরে। আলোর গতি সেকেন্ডে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল। এই গতিতে চাঁদে যেতে সময় লাগবে ১.৩ সেকেন্ড, সূর্য্য পর্যন্ত্য ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড, মংগল গ্রহে যেতে ৪৪ মিনিট লাগবে। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সেন্টারে পৌছতে লাগবে ২৬,০০০ আলোকবর্ষ। আমাদের সবচেয়ে কাছের গ্যালাক্সিতে (এ্যান্ড্রমিডা) পৌছতে সময় লাগবে ২,৫০০,০০০ আলোকবর্ষ Great Attractor (যে স্পেসের মধ্যে কয়েক লক্ষ গ্যালাক্সি আছে) পর্যন্ত পৌছতে সময় লাগবে ২০০,০০০,০০০ আলোকবর্ষ । মহাবিশ্বের ডাইমেনশন (যতটুকু দেখা যায়) ৪৬,৫০০,০০০,০০০ আলোকবর্ষ লাগবে এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত আলোর গতিতে ভ্রমন করলে। ছায়াপথ নামে পরিচিত এই গ্যালাক্সিতেই রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি নক্ষত্র। একটা গ্যালাক্সীর এ প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে আলোর গতিতে গেলেই সময় লাগবে এক লক্ষ বছর। মহাবিশ্বে নক্ষত্রের সংখ্যা হলো ৭০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০। পৃথিবীর সমস্ত সমুদ্রের যত বীচ আছে, তার সব বালুকনাকে গননা করলে সংখ্যা হবে ৭,৫০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ । আর একটি মাত্র মাঝারি আকারের নক্ষত্রের (সুর্য্য) অধীনে পৃথিবী নামের আমাদের এই ক্ষুদ্র গ্রহ। তাহলে কোটি কোটি নক্ষত্রের মধ্যে ক্ষুদ্র গ্রহ ‘পৃথিবী’র স্হান কোথায়, একবার ভাবুন। পৃথিবীর সমস্ত বালুকনার মধ্যে একটা বালুকনার সমানও না। প্রাণ ধারণের উপযোগী গ্রহের সংখ্যা একটি গ্যালক্সীতেই প্রায় শ’য়ের উপর হতে পারে। কাজেই বলতে হয় মহাবিশ্বে আমরা একা নই। একেক পরিবেশের প্র্রাণও একেক রকম হওয়াই স্বাভাবিক।

কিভাবে সৃষ্টি হলো এই মহাবিশ্ব ? এতো কোটি কোটি নক্ষত্র, গ্রহ উপগ্রহ?
বিজ্ঞানীরা এর নানা তত্ত্ব দিয়েছেন। কিন্তু কোন তত্ত্বই সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি। শক্তি বা কণা থেকে মহা বিষ্ফোরনের মাধ্যমে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে বিজ্ঞানের মত। বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ের মতো এটা ল্যাবরেটরীতে পরিক্ষীত কোন কনক্রিট তত্ত্ব নয়।
মহাবিশ্ব সৃষ্টির নানা বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মধ্যে বিগব্যাং তত্ব্, বুদবুদ তত্ত্ব ও কণাবাদী তত্ত্ব ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ষ্টিফিন হকিংস কণাবাদী তত্বে বিশ্বাস করেন। তিনি তার ব্রিফ ষ্টোরি অফ টাইম গ্রন্থে বলেছেন, কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুসারে শক্তি হতে অথবা বিপরীত কণিকার জোড়ারূপে কণিকা তৈরী হতে পারে। তার মতে কণিকার উৎস দুটো- ১। শক্তি হতে কণিকা, ২। বিপরীত কণিকা বা বিপরীত পদার্থ বা বিপরীত জগত। এখন প্রশ্ন হলো, শক্তি থেকে কণিকা এলে এই শক্তি এলো কোথা থেকে? মৌল কণা বা পদার্থ কে সৃষ্টি করল? এই মৌলিক জড় পদার্থ থেকে জীবনের সৃষ্টি হলো কিভাবে? এধরনের অসংখ্য প্রশ্নের জবাব নাস্তিকেরা দিতে পারছেন না। শূণ্য থেকে ভ্যাকুয়াম ফ্ল্যাক্চুয়েশনের মাধ্যমে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে এমন মতবাদেও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বলা হচ্ছে, সেরকমটা হতে পারে। শূণ্য থেকে জড় পদার্থ সৃষ্টির ধারণাটি প্রথম ব্যক্ত করেছিলেন এডওয়ার্ড ট্রিয়ন ১৯৭৩ ‘নেচার’ নামীয় এক বিখ্যাত বিজ্ঞান জার্নালে। আশির দশকে তার এ ধারনার সাথে স্ফীতি তত্ত্ব জুড়ে দিয়ে একটা মডেল সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। বিজ্ঞান তার নিজস্ব গতিতে চলবে এটাই স্বাভাবিক। ঈশ্বরে বিশ্বাস করা বিজ্ঞানের কাজ নয়। কিন্তু এই শক্তি বলুন আর কনা বলুন, এগুলো এলো কোথা থেকে? বীজ থাকলে গাছ হবেই। কিন্তু বীজটা এলো কোথা থেকে। এসব প্রশ্নের কোন জবাব নেই। শক্তি বা কণা থাকলে বিগ ব্যাং হবে। মহাবিশ্বের সৃষ্টি হবে। শক্তি এবং কণা না থাকলে এটা সম্ভব নয়। ভ্যাকুয়াম ফ্ল্যাক্চুয়েশনের তত্ত্বটা যৌক্তিক কি অযৌক্তিক সে প্রশ্নও এখানে অবান্তর। শূণ্য থেকে আপনাআপনি জড় পদার্থের সৃষ্টি, জড় পদার্থ থেকে বিগ ব্যাং, তার থেকে মহাবিশ্ব, মহাবিশ্বের এই পৃথিবী নামক গ্রহে অজৈব অনু (inorganic molecules) থেকে দৈবক্রমে এমিনো এসিড (amino acids) গঠিত হওয়া, এমিনো এসিড থেকে দৈবক্রমে প্রোটিন (proteins) ; এবং সবশেষে প্রোটিন থেকে দৈবক্রমে জীবকোষ গঠিত হওয়াকে কোনমতেই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বলা চলে কি? বরং এগুলো একেকটা তত্ত্ব মাত্র। প্রমাণিত বিষয় নয়। আর ঠিক এখানেই নাস্তিকদের ভিত নড়ে যায়। মানুষের কল্পনাতীত বিশাল এই মহাবিশ্বের কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা আছে কি? প্রত্যেকেই নিয়ম মেনে আবর্তিত হচ্ছে। এ পৃথিবীতেও যেখানে মানুষের যা প্রয়োজন, সেখানে তা-ই সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশে মরুভুমি নেই, তাই এখানে উটেরও সৃষ্টি হয়নি। শীতকালে তরমুজ জন্মায় না। গরমকালে বরই জন্মায় না। যে সিজনে মানুষের শরীরের জন্যে যা দরকার প্রকৃতি তা-ই জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। কে এই প্রকৃতি? সবক্ষেত্রেই অবাক করা এই সুশৃঙ্খলা আপনাআপনি? কেউ এর সৃষ্টিকর্তা বা নিয়ন্তা নেই?

আজ পর্যন্ত মহাগ্রন্থ কোরআনের কোন কিছুই মিথ্যা প্রমাণিত হয়নি। বিগ্ ব্যাং তত্ত্ব কোরআনের বিপরীত তা-ও নয়। কোরআনে বিশ্ব সৃষ্টির মৌল হিসাবে গ্যাসীয় পদার্থ বা ধোঁয়ার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ডঃ মরিস বুকাইলির বইতে যথাযথ বর্ণনা রয়েছে। বহু বিশ্বের ধারনাও কোরআনে রয়েছে। আছে বিবর্তনের ধারনাও। যেমন, আল্লাহ্ সকল প্রকার প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে। তাদের কতক বুকে ভয় দিয়ে চলে, কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে এবং কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে; আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম। (২৪ : ৪৫)‘আর তিনি তোমাদেরকে মাটি হতে এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি করেছেন।’ [সুরা নূহ: ১৭]
‘অথচ তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন পর্যায়ক্রমে’ । [সুরা নুহ : ১৪ ] বিবর্তনবাদকে ডিফেন্ড করার জন্যে অনেকে এ আয়াতটি ব্যবহার করেন। অথচ এটা যে ডারউইনীয়-ডকিন্সীয় বিবর্তনবাদ নয়, তা বোঝা উচিত। ডারউইনের বিবর্তনবাদ কোন প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক সত্য নয়। এটা ল্যাবরেটরীতে প্রমাণ করা যায় না। প্রাচীন যুগের কিছু ফসিল বিশ্লেষন করে এ তত্ত্ব দাঁড় করানো হয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনার জন্যে ড. মরিস বুকাইলির ‘দি অরিজিন অব ম্যান’ গ্রন্থটি পড়ে দেখতে পারেন।
নানা পর্যায় পেরিয়ে আল্লাহর সৃষ্ট পরিপূর্ণ মানুষ আদম-হাওয়ার সন্তানেরা পৃথিবীর চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। তারা নানা জায়গায় পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করেছেন। আদিতে আদিমতায় ডুবে থাকেই স্বাভাবিক। আদম-হাওয়া কাপড় পড়ে আধুনিক বুদ্ধিমান হয়ে দুনিয়াতে এসেছিলেন এমন তো নয়। তারা প্রকৃতির বিরুপ পরিবেশের সাথে যুদ্ধ তো করেছেন। আদম-হাওয়ার সন্তানেরা ধীরে ধীরে সভ্যতা অর্জন করে এগিয়ে চলেছে। আল্লাহ বলেছেন, এরাই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। প্রাণীজগতে এরাই শ্রেষ্ঠ। কিন্তু নাস্তিকেরা এ বিষয়ে বেশ উচ্চকন্ঠে নানা কুযুক্তি পেশ করেন।
১৪০০ বৎসর পূর্বে অবর্তীণ কোরআন বলছে, মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে ৬টি সময়কালে। একেকটি সময়কাল হাজার কোটি বৎসর বা তারও বেশী। এ ৬টি সময়কালকে বিজ্ঞানীরা অস্বীকার করতে পারেননি। বরং প্রমাণিত হয়েছে, আসলেই ৬টি পর্যায়ক্রমিক সময়কালে এ মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে। নাস্তিকেরা প্রশ্ন করেন, আল্লাহ যদি থাকেনই, তাহলে তিনি পৃথিবী সৃষ্টিতে এত সময় নিলেন কেন? মানুষ সৃষ্টি করতে তাকে কোটি কোটি বৎসর অপেক্ষা করতে হলো কেন? প্রশ্নটা এমন যে, বীজ বুনে অপেক্ষা করতে হবে কেন, আল্লাহ চাইলে তো সাথে সাথেই ফলন দিতে পারেন। কিন্তু আল্লাহ তেমনটা করেননি। আমাদের কাছে সময়টা যেরকম আল্লাহর কাছে তো তা নয়। ধীরে ধীরে নিয়ম মেনে সবকিছু হলো যৌক্তিকভাবে। তাতে কি আল্লাহর মহিমা বিলীণ হয়ে গেলো? আল্লাহর অস্তিত্ব থাকতে হলে ম্যাজিক দেখাতেই হবে, এটা কোন যুক্তি? আল্লাহ তো বলেছেনই তিনি সবকিছু নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে সৃষ্টি করেছেন। কোথাও কোন অনিয়ম (ম্যাজিক) নেই। সবকিছু নিয়ম মেনেই আবর্তিত হচ্ছে।
আর আল্লাহর কোরআনও মহাবিশ্ব পরিচালনার কোন গাইড নয়। এটা কেবলই পৃথিবীর মানুষের জন্যে একটা গাইড মাত্র। এখানে মহাবিশ্ব পরিচালনার খুঁটিনাটি থাকার কথা নয়। যতটুকু প্রয়োজন, আল্লাহপাক তার সবটাই দিয়েছেন। মানুষের পক্ষে কোটি কোটি আলোকবর্ষ পার হওয়া সম্ভব নয়। মানুষ সেসব পরিচালনাও করতে পারবে না। তাই সংগতকারনেই সে বর্ণনা সেখানে নেই। মানুষের জীবনকাল বর্তমানে ১০০-১৫০ বৎসর। ভবিষ্যতে বড়জোর ১০০০-১৫০০ বৎসর হতে পারে। এতো ক্ষুদ্র জীবনকালে হাজার কোটি আলোকবর্ষ পাড়ি দেয়া অসম্ভব। কল্পনা আর বাস্তবতা এক কথা নয়। আলোর গতির চাইতে দ্বিগুন গতিতে এগুলেও মানুষের জীবনকালে নিজের ছায়াপথ পাড়ি দেয়াও সম্ভব নয়। লক্ষ কোটি ছায়াপথ তো দুরের কথা।

এ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন যে স্বত্বা তিনি কি মানুষ সদৃশ কোন প্রাণী? উত্তর হলো-না। তিনি এক মহা স্বত্বা। তিনি তার সৃষ্টি থেকেও অনেক বেশী বৃহৎ এবং শক্তিশালী। তিনি নিরাকার নন। তিনি মহাকাশে আরশে আযীমে সমাসীন। তার ইচ্ছাতেই সবকিছু হয়। তিনি সবকিছু দেখেন। তার সব সৃষ্টিই নিয়ম মেনে চলে (বিজ্ঞানের ভাষায় পদার্থ বিজ্ঞানের চিরাচরিত নিয়ম)। কেউ কাউকে অতিক্রম করতে পারে না। এই মহাবিশ্বের তিনিই নিয়ন্তা। সবকিছু তারই সৃষ্টি। তিনি মহাপরাক্রমশালী, তার সমকক্ষ কেউ নেই। কেউ তাকে সৃষ্টি করেনি। তিনি চির স্বত্বা। তাঁর সাথে তুলনা করার মত কোনো অস্তিত্ব বিদ্যমান নেই। [১১২:৪] তিনিই আল্লাহ।আরো বিস্তারিত জানতে-













মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

Enigmatic jihad বলেছেন: "নাস্তিকেরা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী নন। কিন্তু তাদের নানা লেখায় ধরা পড়ে, এরকম বিশ্বাসে তারা একেবারে অটলভাবে বিশ্বাসীও নন। অর্থাৎ তাদের বিশ্বাসের ভিত অতটা শক্ত নয়।"--
আপনার ধারণার যথেষ্ট ত্রুটি রয়েছে। যারা প্রকৃতপক্ষেই নাস্তিক তারা আপনার উপরিউক্ত ধারাবিবরণী এরও যথার্থ ব্যখ্যা দিতে চেষ্টা করবে। কারণ তারা সর্বদাই কোরআন ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে গবেষণা ও নানান লেখালেখি করে থাকে। কাজই আপনার কোরআন কর্তৃক প্রদত্ত ব্যাখ্যা তাদের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না, কারণ তারা কোরআন এর মাঝেই নানা ভূল থাকার ব্যাখ্যা করে থাকে। আর নাস্তিকতা সম্পর্কে আপনার অবগতির জন্য নাস্তিক্যবাদের সঠিক সংজ্ঞা সরাসরি উইকিপিডিয়া থেকে কপি করলাম।
**নাস্তিক্যবাদ (ইংরেজি ভাষায়: Atheism; অন্যান্য নাম: নিরীশ্বরবাদ, নাস্তিকতাবাদ) একটি দর্শনের নাম যাতে ঈশ্বর বা স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়না এবং সম্পূর্ণ ভৌত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রকৃতির ব্যাখ্যা দেয়া হয়। আস্তিক্যবাদ এর বর্জনকেই নাস্তিক্যবাদ বলা যায়। নাস্তিক্যবাদ বিশ্বাস নয় বরং অবিশ্বাস এবং যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বাসকে খণ্ডন নয় বরং বিশ্বাসের অনুপস্থিতিই এখানে মুখ্য।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: জাকির নায়েকের মতই কোরান দিয়ে ইসলাম বুঝালেন !
নাস্তিকেরা তো কোরানই মানে না !

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :-< ইশ্বর আছে কি নাই এট নিয়ে যুগে যুগে বির্তক ছিল এখনো আছে এবং ভবিষ্যতে চলতে থাকবে। একদল কোরআন হাদীস, বাইবেল প্রভূতি গ্রন্থ দিয়ে প্রমান করতে চান ইশ্বর আছেন। তারা মাছের তেল দিয়ে মাছ ভাজেন। যিনি কোরআন হাদীস বিশ্বাস করেন না তার কাছে ইহা উপস্হান না করাই ভাল। কারণ, তারা ত' ইহা বিশ্বাস করেন না।

নাস্তিকেরাও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমান দিতে পারছেন না ইশ্বর নাই। সুতরাং তাদের কথায় আমল করা যাইবেনা।

আমার কথা হল, নাস্তিকদের কথা অনুযায়ী আমি বিশ্বাস করি খোদা নেই তারপর আমি মৃত্যু গ্রহন করলাম কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলাম সত্যি সত্যি একজন খোদা আছে। তাহলে আমার আফসোস ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা। আর সে সময় যাদের কথা বিশ্বাস করে ছিলাম তারাও কোন কাজে আসবেনা, কেননা তারা নিজেরাই বিপদগ্রস্ত। যদি খোদা থাকার সম্ভাবনা ১% সত্যি হয় তাহলে তাকে বিশ্বাস করা উচিত। বিশ্বে একজন খোদা আছেন আমার বিশ্বাসস করতে সমস্যা কোথায়।

তাছাড়া পুথিবীতে এমন কথগুলো অপরাধ আছে যেগুলো মানুষ দেখতে পায় না আর সেই আপরাধের জন্য অপরাধীর বিচারও হয়না। তাহলে মজলুমের কি হবে! তাদের শান্তনা বা কি হবে? উত্তর পরকালীন বিচার। মানুষ বিশ্বাস করে দুনিয়াতে যেহুতু তার বিচার হয়নি আখরাতে তার বিচার প্রাপ্য। সাগর- রুনির মায়েকে জিঙেস করুন তাহলে এর উত্তর পেয়ে যাবেন।

যারা নাস্তিক আছেন তাদের কে যেন আস্তিক বানানোর প্যাকেজ আমরা কেউ হাতে না নেই। যাকে ইচ্ছা খোদা বুঝ দিবেন যাকে ইচ্ছা না দিবেন, এটা খোদার ইচ্ছা।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

আল হাবসি বলেছেন: কিয়ামতের দিন হাসরের ময়দানে-চার ফেরেসতা ঘারে করে -কাকে যেন এনে বসাবেন, মস্তীস্ক কত উব্বর হলে
এই রুপ চিন্তা ভাবনা আসে ??। রুপ কথা ও হার মেনে যায়--

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.