গেট ইন টি ট্রেন গায়েজ ...চেন্নাই এক্সপ্রেস

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৫৯

সিনেমা হলে গিয়েই দেখব আর তাই ইংলিশ সাব টাইটেল সহ ভালো প্রিন্ট পাইয়া ও চেন্নাই এক্সপ্রেস দেখি নাই। শেষ পর্যন্ত মুক্তির ৫ দিন পর মঙ্গলবার হলে গিয়া টিকেট কাটলাম শো শুরুর টাইম ৫.১০।

বিশাল লাইন পার করে সাড়ে ৫ টায় ঢুকলাম ,মুভি শুরু হইলো ৫.৪০ এ। পপকর্ন হাতে নিয়া বসলাম।

নারে ভাই কোনো টুইস্ট নাই। এত্ত এত্ত তামিল আর তেলেগু মুভি লন্ডন এ আসার পর দেখছি যে এই মুভির সাসপেন্স বলতে কিছুই ফিল করি নাই ,গান ও আহামরি কিছু না একশ্যান ট্রেইলার এ যা দেখাইছে তার সবটুকুই প্রচারের জন্য। কাহিনীর কোনো গভীরতা নাই।অনেক কথাবার্তা তামিল ভাষায় .ইন্ডিয়া এর মত পাকনা দেশের সমালোচক রা যে এই মুভিরে ধুইয়া দিব এটা বুজতে বোদ্ধা হতে হয় না।



এর পর ও প্রায় আড়াই ঘন্টা মুগ্ধ হয়ে বসে রইলাম সিনেমা হলে ,কারণ আর কিছুই না। মুভি দেখার উদ্দেশ্য যদি হয় এন্টারটেইনমেন্ট পাওয়া। তাহলে বলতে হয় এই মুভি ১০০% এন্টারটেইনমেন্ট দিবে।

রহিত শেঠি কোনো কালেই সিরিয়াস মুভি বানায় নাই। এইটাও এরই ধারাবাহিকতা। শাহরুখ এর ওভার এক্টিং ও যে কারণে আপনাকে বিরক্ত করবে না। বোনাস হিসাবে পাবেন অসম্ভব কিছু লোকেশন যা আপনার দৃষ্টিতে গ্রাফিক্স এর ইললুশিওন বলে মনে হবে , দীপিকা সম্পর্কে একটা কথায় বলা সেটা হলো ফাটাইয়া ফালাইছে। তারে ১০ এ ৯ চোখ বন্ধ করে দেয়া যায় তামিল টানে হিন্দি বলার যে মুন্সিয়ানা দীপিকা দেখাইছে ,আমার মনে হয় না এই চরিত্রে আর কেউ এত্ত পারফেক্ট হত. সী ওয়াজ দ্যা বেস্ট এন্ড পারফেক্ট চয়েজ এজ মীনা লোচানি।

কাহিনী তেমন কিছুই না। .দাদার অন্তষ্টিক্রিয়ার জন্য শাহরুখ এর ট্রেন এ উঠা সেই ট্রেন এ দীপিকার সাথে পরিচয় এবং ঘটনাক্রমে এক গডফাদার এর এলাকায় প্রবেশ যে কিনা দীপিকার বাবা। এর পরের অংশ হলো কিভাবে শাহরুখ ঐখান থেকে দীপিকাকে উদ্ধার করে পালাবে এই নিয়ে মজার মজার সব কাহিনী। একবার বসলে পুরো ছবি না দেখে উঠা মুশকিল। প্রথমে ই বলছি না আছে টুইস্ট, না থ্রিলার,, না ভালো গান, না মারপিট না কাহিনীর গভীরতা। কিন্তু ছবি দেখা যদি মনের আনন্দের জন্য হয় হলে চেন্নাই এক্সপ্রেস আপনার সেই খায়েশ পূরণ করবেই। সো ডোন্ট ওয়েট। .গেট ইন টি ট্রেন গায়েজ ...

IMDB Rating 7/10,

My Rating 8/10 ..

০ টি +০/-০