নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরিফ দ্যা ভলকানো

সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে প্রতিনিয়ত আমার ব্যবহার সর্বশ্রেষ্ঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার যুদ্ধে যুদ্ধরত এক সৈনিক ......

আরিফ দ্যা ভলকানো › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নের বাড়াবাড়ি, স্বপ্ন দোষের ছড়াছড়ি

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

মজিদের বউ সেইরাম দজ্জাল।তো বিয়ার সময় মজিদের শশুর মজিদরে একটা লাল টুকটুক গরু উপহার হিসেবে দিল।

বলাবাহূল্য সংসারে মজিদের চাইতে গরুর খাতির বেশি। দজ্জাল ,একরোখা মেজাজী বৌরে বাগে আনতে হইলে মজিদরে সেই গরুরে ভিআইপি মর্যাদায় খাতির করতে হয়। এই রকম দিনে মজিদ মাঝে সাঝে যমদূত বৌএর সাথে উচ্চসরে কথাও বলে। সেইদিন মজিদ নিজের বৌরে প্রধানমন্ত্রী ভাবে আর নিজেরে ভাবে সরাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ আর কিছুই না ,আলটিমেটলি গরুরুপি আসামী বান্ধার কামডা তো তার নিজেরই করতে হয়।

এক গ্রীষ্মের দাবদাহে প্রচন্ড গরমে মজিদ গরু মাঠে চড়াইয়া দিয়া পাশের গাছের নিচে জিরাইতে বসে.ক্লান্ত মজিদ ভাবে আহারে দেশটা যদি বিল়েত হইতো ,গরমের এই কষ্ট আর সহ্য করতে অইত না। পাশের গ্রামের মেম্বার এর পোলা ঐহানে থাহে , হেয় কয় বিলাতে গরম বইল্লা কিচ্ছু নাই ,হারা বছর ঠান্ডা। আসমান থাইক্কা বরফ ও নাকি পরে। ভাবতে ভাবতে মজিদ ঘুমাইয়া পরে।ঘুমের ঘোরে সে স্বপ্নে বিলেতে চলে যায়।

দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়। মজিদের বিলেত স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। ঘুম ভাঙ্গলে মজিদ দেখে তার গরু চুরি হইয়া গেছে। বউ এর কথা মনে পরতেই মজিদ এর অন্তরাত্তা কেপে উঠে। সাধের বিলেত সপ্ন, তার শুধু গরুই না তার সরাষ্ট্র মন্ত্রণলয় ধৈরা টান মারছে। ভয়ে ভয়ে মজিদ বাড়ি ফিরে . বউ জিগায় গরু কই ?

মজিদ কয় হারাইয়া গেছে। বউ কয় এত্ত বড় সাহস পাইলা কই তুমি ? গরু পাহারা দিয়া রাখো নাই কেন ?

মজিদ ভয়ে ভয়ে কয় মাঠে ঘটে গিয়া ২৪ ঘন্টা গরু পাহারা দেওয়া সম্ভব না।

বউ কয় চুপ মিনসে গরু পাহাড়া দেওনের হ্যাডম নাই বড় বড় কথা। পিছা (ঝাড়ু ) দিয়া থোকমার মইধ্যে এমুন বাড়ি দিমু যে ভাত চিবায়ন্নার মুরদ থাকত না। যেইহান থিক্কা পার আমার গরু ধৈরা আনো।নাইলে এই বাইত্তে জাগা নাই।

মজিদ যায় গরুর খোজে। সেই গরু যেইডা হেরে মাঝে মাঝে সরাষ্ট্রমন্ত্রী বানাইয়া দিত।



হারাবিহাল গরু বিছরাইয়া ক্লান্ত মজিদ মিয়া বাড়ির বাগানের আম গাছের উপরে উঠে ঘুমিয়ে পরে। কারো ফিসফাস কথার শব্দে তার ঘুম ভাঙ্গে। মজিদ জানে পাশের গ্রামের মজিবর তাগো গ্রামের বয়াতির মাইয়া সমিরণের লগে লুকাইয়া লুকাইয়া লাইন (প্রেম ) করে। গাছের উপর থেকে মজিদ দেখে মজিবর সমীরণ রে কৈতাছে ,তোমার চোখের দিকে তাকাইলে আমি দুনিয়ার সব দেখতে পারি

.আমার ১৪ গোষ্টির দেখা সব অপূর্ণ স্বপ্ন তোমার চোখে সইত্য অইয়া ধরা দেয়।

খিল খিল হাসিতে ভেঙ্গে পরে তরুণী সমীরণ, তাই নাহি। কি স্বপ্ন ?

মজিবর কয় আমার দাদার দাদা স্বপ্ন দেখত দরজার সিটকানি খুললেই বিদেশ এর মানুষ দরজার বাইরে খারাইয়া আছে।

আমেরিকার এক বেডা আমার দাদার দাদার সপ্ন চুরি কইরা মবিল ফোন বানাইছে। সেই ফোনে ছিট্কানির মত কইরা (slide to unlock) টান মাইরা ফোন করলে এহন বিদেশ এর মাইনষেরে দেহন যায়.আর আমিও তোমার চৌখখের ভিত্তে চাইয়া হারা দুনিয়ার কোনহানে কি ঘটে হেইয়া দেখবার পারি।

এই কথা হুনা মাত্র মজিদ এক ফালে গাছেত্তন নাইম্মা কয়। মজিবৈরা দেখত আমার গরুডা কই ?

গরুর খোজ দেওয়া মজিবরের পখখে সম্ভব ছিল না। কারণ মজিবর সমীরনের লগে যা করছিল সব ছিল ভাঁওতাবাজি।



মজিদ সন্ধায় তৃষ্ণার্ত ,ক্ষুধার্ত পরিশ্রান্ত হইয়া ঘরে ফিরে ( গরু ছাড়া ). তার পোলারে কয় এক গ্লাস পানি দে তো ভাই, গলডা হুগাইয়া কাড হইয়া গেছে। বাপের মুখে ভাই হুইন্না পোলার টাসকি খাওয়া ভাব শেষ হওয়ার আগেই বউ কয় মাথা-মুতা কি নষ্ট হইয়া গেল নাকি ? নিজের পোলারে ভাই ডাকতাছ কেন ?

হতাশ মজিদের নির্বিষ উত্তর গরু (পড়ুন সরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ) হারাইলে এমনি হয় গো মা। ......



অফটপিক : ( মজিবরের দাদার দাদা বেচে থাকলে , তার দেখা উদ্বাবনী স্বপ্নের জন্য ,সে স্বাধীন বাংলাদেশের টেলি যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় পেয়ে যেত.

এমনকি বিশ্ব বিখ্যাত স্মার্ট ফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জাম্বুরা { এপল ইজ নাথিং টু হিজ ক্রিয়েটিভ ড্রিম} তাদের সিইও পদের জন্য উনাকে লুফে নিত )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.