![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোলায় পানিবন্ধি গৃহহারা শতশত পরিবারের হাহাকার
ভোলা ইলিশা চডার মাথা এলাকায় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় দোয়ামোনাজাতের আয়োজন করা হয়। গতকাল শুক্রবার বিকালে ওই দোয়ামোনাজাতের মানুষের ঢল নেমেছ। প্রায় এক মাস ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে ৪/৫ কোটি টাকার জিও ব্যাগ ভর্তি বালির বোস্তা ফেলেছে। তাকে কোন কাজ না হওয়ায় ওই দোয়ামোনাজাতের আয়োজন করেছে স্থানীয়রা।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে ভোলা-লক্ষীপুর মহাসড়ক মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে। তার পর থেকে দুই গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ জোয়ারের পানিতে দৈনিক দুই বেলা করে ভাসছে। ইলিশা রাজাপুর গ্রামের প্রায় ৪/৫ শত গৃহহারা পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে এখন চলছে হাহাকার অবস্থা। তাদেরকে জরুরি পুনবাসন না করায় অনেকই এখন উদবাস্তুর মতো মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ইলিশা জংশং বাজার ব্যবসায়ী সমতিরি সম্পাদক নূরে আলম জানান, গত ঈদুল ফিতরের দিন হঠাৎ করে ইলিশা ফেরিঘাট এলকায় ভাঙ্গন শুরু হয়। তার পর থেকে অব্যহত ভাঙ্গনে ২/৩ কিলোমিটার এলাকার কয়েক শত দোকান ঘর বাড়ি ইতো মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। কয়েক শত পরিবার ভিটামাটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে পথে বসে গেছে। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এপর্যন্ত এক লাখ জিও ব্যাগ ভর্তি বালির বোস্তা ফেলেও ভাঙ্গন রোধ করতে পারেনি। এতে করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে। এখন ভোলা-লক্ষীপুর ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় ইলিশা জংশং বাজার মেঘনার ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে। তাই বাজার ব্যবসায়ীদের উদ্দ্যোগে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে ভোলা ইলিশা রাজাপুরবাসীকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া মুনাজাত করা হয়। দোয়া মুনাজাতে ভোলা সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস,ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদারসহ দূর দূরান্ত থেকে ৪/৫ হাজার মানুষ দোয়ামুনাজাতে শরিক হয়।
এদিকে ইলিশা চডার মাথা এলাকায় শুক্রবার বিকালে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়।
পানি বন্দি এলাকার সেলিমা বেগম বলেন, ভাঙ্গন ঠেকাতে বস্তা ফালালেও কোন লাভ হয়নি, এখন পানি ঢুকে সব কিছু নিয়ে যাচ্ছে। ঘরের ভীতর এক হাটু পানি জমেছে। রান্না-বান্না কিছুই করতে পানিরি। গৃহবধু খায়নুর বেগম বলেন, একদিকে নদী ভাঙ্গছে অন্যদিকে পানি ঢুকছে এখন আমরা কি করবো, আমাদের আশ্রয় নেয়ার কোন উপায় নেই।
ভাঙনের মুখে পড়া অসহায় মানুষ বলেন, সরকার নৌকা-লঞ্চডুবি, ঝড়ের কবলে পড়া ও অগ্নিকান্ডে পতিত মানুষদেরকে উদ্ধার করে, সাহায্য করে। কিন্তু ভাঙন প্রাকৃতিক দুযোগ হওয়া সত্ত্বেও সরকারের কোন লোক উদ্ধারতো দূরের কথা সামান্য সাহায্যও করে না।
পানি এলাকার ইদ্রিস আলী বলেন, আমারা এ দুর্যোগে সময়ে কই যামু কোন কুল-কিনারা পাই না, পূর্ব ইলিশা ৪/৫’শ ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। অপর দিকে দক্ষিণ রাজাপুরের মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, আড়াই লাখ টাকার ৯০টি গাছ বিক্রি করেছেন ৯০ হাজার টাকা। তাও বাকীতে। গাছ কাটার পরে টাকা দেবে।
©somewhere in net ltd.