![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় বড়বিঘাই এলাকায় অর্জুন মাঝি নামে হিন্দু ধর্মের এক ঠাকুর কর্তৃক বড়বিঘাই জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষন করে। এ ঘটনার বিচার চাওয়ায় স্থানীয় একটি চক্র ওই ঠাকুরকে ও তার সহযোগীদের বাচাতে প্রথমে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। পরে বিচার দাবী করায় শিশুটির মাকে মারধরও করে। এদিকে ঠাকুরের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা, শ্লীলতাহানী এবং আপোষ ফয়সালার নামে ওই শিক্ষার্থী’র মাকে মারধোরের মামলা করায় পরিবারটিকে দেশ ত্যাগের হুমকি দিচ্ছে ওই ঠাকুর এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা।
শিক্ষার্থীর মা জানান, ১৯ আগষ্ট দুপুরে তাঁর পঞ্চম শ্রেনি পড়ুয়া মেয়েকে ফুসলিয়ে দুলি রানী নামের পাশের বাড়ির মাসি তাঁর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষন পর মেয়ে ডাক-চিৎকার শুরু করলে কবিতা রানী ও তার ছেলে দৌড়ে যান দুলির ঘরে। ঘরের মধ্যে কান্নারত বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁর শিশু মেয়েকে অর্জুনকে উদ্ধার ঠাকুরের হাত থে করেন মা ছেলে। ঘটনার একদিন পর স্থানীয় খোকন মেম্বার, আনোয়ার সরদার এবং আব্দুস সালাম মাতুব্বর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাসহ শালিশ করে দেয়ার কথা বলেন। ২১ আগষ্ট রাতে শালিশ ওই পাঁচজন শালিশ বৈঠকে বসে কবিতা রানীকে পিটিয়ে বিবস্ত্র করে। এ ঘটনায় সার্বক্ষনিক কবিতা রানী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যেদিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয় একটি সূত্রে জানাযায়, বড়বিঘাই এলাকার অর্ঝুন মঝি একটি মন্দিরের ঠাকুর হিসেবে ধর্মীয় লেবাসের মাধ্যমে ওই এলাকার বহু মেয়ের সর্বনাশ করেছে। বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় বিষয়ে অপব্যক্ষা দিয়ে গ্রামের সহজ সরল নারীদের ইজ্জত লুটে নিয়েছে অর্জুন। এরই ধারবাহিকতায় সর্বশেষ শিকার হলো ৫ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী।
©somewhere in net ltd.