![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কবিতা লিখি ও আবৃত্তি করি। কৈশোর কাটিয়েছি মঞ্চনাটকের কাজ করে। সমাজসেবামূলক কাজের সাথে জড়িত থাকতে ভালো লাগে। শখের বশে পড়াশুনা করেছি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে। পৈতৃক নিবাস রাজবাড়ির জেলার পাংশায়।
সরলরেখার শেষ বিন্দুতে থামিয়ে দিয়েছি ইচ্ছের পা।
এটা গ্রীষ্মযাপন‒
ভালো বুঝি আমফুল ও জলযাত্রা।
আমরা পাই নাই রডোডেনড্রন।
শাপ পেঁচানো ম্লেচ্ছ সংসারে
বনমুখীর দল সেদ্ধ জলপাই পেতে আসে।
আমার আকাশে বেড়ানো তোমার চোখে এত দুর্বোধ্য!
ব্যবকলিত হয়েছ...
তুই পানিতে নামার আগেই পত্রিকায়
ম্যানিপুলেট করে তোর গোসলের ছবি ছেপে দেয়;
খাদেমরাও তোর চেনা।
নামা না-নামা নিয়ে এখন তাই এত দোটানা!
দ্বিধা-ভয়, নামি নামি অভিনয়।
.
আমার হিমসাঁতার দেখে তোর ক্রূর মুখ।
.
অথচ তোর এই উত্তপ্ত...
কাঠের মুখ
বাসায় ফিরে দেখি প্রিয়তমা নাই!
একটি বিবর্ণ শাড়ি
বিধ্বস্ত সুপারিগাছের
এদিকে সেদিকে থাকে শুধু পেঁচিয়ে
দুটি বিষণ্ন ভ্রমরের জানালামুখী উড়াউড়ি...
ঘুমন্ত পানির বোতল, অভিমানী বিছানা-বালিশ
ভুলে গেছে সন্ধ্যারাগ।
চোখের নদী তার ঢেকে গেছে
নির্জীব সময়ের তাবুতে
একটি কাঠের...
আমি ছাড়া তুমি আর কাউকে চুমোও না
—আমিও না কেবল তোমাকে ছাড়া।
নিজেদের চুমোর মাঝে ঈশ্বর হয়ে বসে আছেন যুগের হুজুগ।
.
কার্যতঃ লেজগুলোই আমাদের নাড়ায়,
খাঁটি ঘোড়া হওয়ার লোভে মূলোর পিছে ছুটি।
আসমানী রঙকে কত...
অলকানন্দায় ভেজা শার্ট সাইহান তীরে শুকিয়ে
সবুজের ঠিক দুই ইঞ্চি উপর দিয়ে উড়ে উড়ে
মাটির যথার্থ ঘ্রাণ অর্জন করে
আমি শীঘ্রই ফিরব, শীলা ম্যাম।
.
রশি দিয়ে দালান বেয়ে বেয়ে
অচেনা পথ চিনে নেব
বনজুঁই এর কাছে...
সরলরেখার শেষবিন্দু পর্যন্ত বাবা জোর কদমে চলতেন। তারপর আর বক্ররেখায় এগিয়ে কারো ঘরে আশ্রয় চাইতেন না। অথচ মাথার আধাহাত উপর দিয়ে যে ছাতাটা বয়ে বেড়াতে দেখেছি, তার ছায়া কখনোই দীর্ঘতর...
না হয় ধরেই নিই ভদ্রলোক ঘরে আছেন; দরোজায় আঁকা দানব-চোখের পাশ কাটিয়ে চলেছি কাশের আমন্ত্রণে। সুপারিগাছের হাঁটাহাঁটি দেখে অবাক হই না; কেননা প্রাণীর বদলে মানুষ কেটে সমাজ শুদ্ধ করা হয়...
এ মাসে কাশফুলের দরকারিতা ছিলো খুব; এবার সোজা ছেঁড়া কাঁথার যুগে চলে যাবো ভেবে। পায়ের রগ ফুলুক, না ফুলুক মেঘের পিঠে হাঁটার বয়স এখনো আছে।
কোন লোভে মন তবে...
সেমি-গাড়ি কেন মাটি দিয়ে চলবে, কী আশ্চর্য !
চলবে নভোমায়ায় বড়বড় গাড়ির গলি দিয়ে,
ওজনস্তর অস্বীকার করে,
স্ববৃত্তের কেন্দ্রে...
কুয়াশার মশালচি
১.
বোটায় ঝুলে চলা জল বিব্রত করেই
সঙ্গে যদিও নিলীন জামা
বিজারক মসুরির রাতকানা ভাব দেখে
ঘোমটা-বৌ সাজে পরিচ্ছন্ন পাখি
এও তো বিশেষ সকাল
কাঠের বিড়ালকে উপগ্রহ ভেবে
খুঁজে মরো কেন গো বালির বালিশ !
২.
নীবিবন্ধে কোটের...
পেয়ারাপাতা দিয়ে চাঁদের বক্রতা ঢাকা যায় না বলে
মায়াকাননের ডালে ডালে
লালশাপলা দিয়ে শকুনেরা খোঁপা বাঁধে।...
কাজী সাহেব, আমাকে মৃত ঘোষণা করুন
টিয়ে-চেতনা লালসালুতে পুরে
পুলসিরাতে দেব হামাগুড়ি।...
অন্ধকারে লটকনের শরীর ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে
আরশোলার আগমন জানান দেয়
লুকিয়ে থাকা দূরত্ব...
অলস বিছাদের ঘাড়ে তুমি পাথর চাপাও না
সব সংজ্ঞা তাই এখানে কেন্দ্রবিন্দু হয়;
দুধের পেয়ালায় বিষ ঢেলে শাবককে মানবীয় করতে চাও বলে...
মানিব্যাগের ছোট নোটটাই সময়মতো কেন্দ্রীয়চরিত্রে অভিনয় করে,
নদীতে নামার আগে তাই ফেসটুন অলঙ্করণ কম গুরুত্বপূর্ণ না;
বেশি মাইনে পাওয়ার পরও যে চাতকী ছোট বেশবাসে অতি উত্তরাধুনিক হয়...
©somewhere in net ltd.