![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০৮ সালে ফাহমিদুল হক একটি ধারাবাহিক ব্লগে শেষ পর্ব লিখেছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের সুস্থ্যধারায় প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। এদিকে চলচ্চিত্র ক্রমশ চৌকোনা বক্সে স্থান পেতে শুরু করেছিল । আর এতে যে চ্যানেলটি সবচেয়ে বড় ভুমিকা রেখেছিল সেটি হচ্ছে চ্যানেল আই ওরফে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। সেটি ২০০০ সালের গোড়ার কথা। সেই সময় আমাদের চলচ্চিত্র পাড়া মোটামুটি ভাবে ছিল অশ্লিলতায় পরিপূর্ণ। দর্শক হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। চলচ্চিত্রের ইউনিটে কাজ করতে করতে একজন প্রডাকশন ম্যানেজার হয় পরিচালক না হয় প্রযোজক বনে গেছে। এমনি সময়ে চলচ্চ্ত্রি শিল্পকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে চ্যানেলগুলো। তারা প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে শুরু করে। আর এদের মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রের মুল শর্ত হল টিভিতে প্রিমিয়ার করে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে লগ্নিকৃত টাকার চেয়ে বেশী পরিমাণ তুলে আনা। শৈল্পিক বিচারে তা মানসম্পন্ন হোক আর না হোক। আর এ কাজে শুরু থেকেই অগ্রণী ভুমিকা রেখে এসেছে চ্যানেল আই ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। ইমপ্রেসের ১ম চলচ্চিত্র কীত্তনখোলা হলেও এর পূর্ণাঙ্গ প্রযোজনা ইমপ্রেসের নয়। সে যাই হোক চ্যানেল আই এর পথ চলা সেই সময় থেকেই। শুধু তাই নয়, চ্যানেল আই চলচ্চিত্রের সেই সোনালী যুগ ফিরিয়ে আনতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তারা চলচ্চিত্র বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করছে। ২০০৮ সাল থেকে তারা চলচ্চিত্র মেলার আয়োজন করে যাচ্ছে। তারা চলচ্চিত্রের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। কিন্তু আসলেই কি তাই?
আমরা আসলে ভেতরের কথা ভাবি না। আমাদের দেশের মত এমন উন্নয়নশীল দেশে একজন প্রডিউসার পাওয়া খুব সহজ নয়। আর যারা প্রতিষ্ঠিত পরিচালক তারাই হয়তো প্রডিউসার পায়। কিন্তু, অশ্লিলতার সেই সময়ে ভাল ভাল অনেক পরিচালকও প্রডিউসার না পাওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে চ্যানেল আই এর উদ্যোগ প্রশংসনীয় ছিল। কিন্তু এখনও কি তারা তাই আছে? এখন তো আমার মনে হয় চ্যানেল আই বিএফডিসি কে ধ্বংসের পায়তারা করছে? তার জলজ্যান্ত প্রমাণ বিএফডিসি কর্তৃক আয়োজিত চলচ্চিত্র মেলায় চলচ্চ্ত্রি সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে অনিহা দেখে। এমনকি স্বয়ং মোরশেদুল ইসলাম তার চলচ্চিত্রম এর সঙ্গে যৌথভাবে একটি সেমিনার করতে চেয়েও অন্তিম মূহুর্তে সেখান থেকে সরে আসা কি প্রমাণ করে আসলে? প্রতি বছর চলচ্চিত্র মেলা চ্যানেল আই করত। আর এ বছর বিএফডিসি করতে চাওয়ায় কি তাদের আয়োজনের সমস্যা হয়েছিল যে, এ বছর তারা চলচ্চিত্র মেলাই করল না এবং বিএফডিসিকেও করতে দিল না। আমার তো মনে হয় এটাই বড় কারণ । বিএফডিসি মেলা শুরু করলে যদি তা জমে যায় তাহলে তো চ্যানেল আই আর মেলা করতে পারবে না। আর যেহেতু প্রযোজনা করার সুবাদে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বেশীর ভাগ লোক কোন না কোন ভাবে চ্যানেল আই দ্বারা আর্শিবাদ পুষ্ট, তার একবার যদি জনাব ফরিদুর রেজা সাগর বলে যে এফডিসি-এর মেলায় যাওয়া যাবে না, তাহলে কার বুকের পাটা আছে যে মেলার দিন এফডিসি এর পথ মাড়ায়? সে এফডিসি ভিত্তিক সংগঠনের যত বড় হ্যাডম ই হোক না কেন?
আর ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে বিএফডিসি এর চলচ্চিত্র মেলায়। তাই তো জনাব মোরশেদুল ইসলামও ভয়ে সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন নাই , যদি তিনি তার আগামী চলচ্চিত্রের প্রডিউসার হিসেবে চ্যানেল আইকে না পান তবে তো আর সিনেমা বানাতে পারবেন না!
হায়রে বিএফডিসি! হায়রে বাংলা চলচ্চিত্র!
অনেক উদাহরণ ই দেয়া যেত। আমি শুধু একটি উদাহরণ দিয়ে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের ভাবনার জগৎকে আলোড়িত করলাম। এর পরের ভাবনা সকল চলচ্চিত্র প্রেমীদের। আমরা কি আসলে আমাদের চলচ্চিত্রের সুতিকাগার এই বিএফডিসি-কে শক্তিশালী করতে চাই নাকি এর থাকা না থাকায় আমাদের কিছুই আসে যায় না?
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
প্রধান আরিফ বলেছেন: Thanks bibesh.