![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত সপ্তাহের প্রাণঘাতী বোস্টন হামলার আটককৃত আসামি জোখার ইতোমধ্যে মার্কিন তদন্ত দলকে জানিয়েছে যে, এই হামলায় কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন জড়িত ছিল না বরং তারা দুই ভাই নিজ থেকেই জিহাদি কার্যক্রম চালিয়েছে। এই হামলার মাধ্যমে তারা ‘ইসলামকে রক্ষা’ করতে চেয়েছিলেন।
আমার প্রিয় মাতৃভুমিতে আজ ইসলাম রক্ষার নামে মিছিল হচ্ছে মিটিঙ হচ্ছে। কিন্তু কেন? বাংলাদেশে মুসলিম জনসংখ্যার হার ৯০.৪%। এই হিসাব অনুযায়ী এটি মুসলিম দেশ। কিন্তু, তবুও ইসলাম রক্ষার জন্য এখানে আন্দোলন হয়। কিন্তু, আমার শ্বশুর বাড়ি এলাকায় হিন্দুদের সংখ্যা বেশী হওয়ার পরও দেখেছি তারা একসঙ্গে কিভাবে বাস করছে।
আন্দোলন!! আন্দোলন!! আন্দোলন!!
সব কিছু নিয়েই আন্দোলন। গতকাল আমার এক ছোটভাই গল্প করছিল তার ছোট্টছেলে আর মেয়ে মিলে আজকাল বাড়িতে হরতাল হরতাল খেলে। আর খেলতে গিয়ে সোকেসের কাচ ভেঙ্গে হাত কেটে ফেলেছে। ছোট বাচ্চাকে কাচ ভাঙ্গার কারণ জিজ্ঞেস করলে নাকি সে বলে যে কাচ না ভাঙ্গলে কি হরতাল হয়।
"উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ।" - কিহবে কিছুই জানা নাই।
কিন্তু এত বিরোধ কেন? আস্তিকতাবাদ বা নাস্তিক এই শব্দগুলো একটি মুসলিম দেশে কতটুকু প্রযোজ্য? একজন মানুষ মুসলমান না হিন্দু তা আমরা তার নাম থেকে জানতে পারি। একজন মুসলমান নামধারী কি করে নাস্তিক হবে তা বোধগম্য নয়। সে মুসলমান বলেই তো তার নাম অমুক আহমদ বা অমুক ইসলাম। তবে সে কি করে নাস্তিক হল তা আমার বোধগম্য নয়। আর সেই ব্যক্তিটিও কি করে নিজেকে নাস্তিক বা আল্লাহ বিশ্বাসী নয় বলে দাবী করে?
তাই হেফাজত ইসলামের এই ইসলাম বাঁচাও আন্দোলন গ্রহণযোগ্য নয়। অন্য কোন উপায়ে তাদের নিজের দলের প্রচারাভিযান চালানো উচিত।
©somewhere in net ltd.