![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
জাগো গো ভগিনী জাগো। ভাবতে ভালোই লাগে আমাদের ভগিনীরা আজ জেগেছে। আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে যাচাই বাছাই করে দেখার সুযোগ পাচ্ছি আমাদের ভগিনীদের। তারা আমাদের সামনে অর্ধনগ্ন হচ্ছে। কখনও হেটে দেখাচ্ছে, তো কখনও হাসি মুখে নেচে গেয়ে দেখাচ্ছে। শরীরের ভাঁজগুলো যেন স্পষ্টরুপে প্রকাশিত হয়; সেই দিকেও তারা যথেষ্ট যত্নশীল। আমরা দেখছি আমাদের ভগিনীদের শরীরের প্রতিটি অংশ কত নিখুঁত ভাবে, কত সুন্দর করেই না ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন। আমরা মুগ্ধ হচ্ছি। কার চেয়ে কে বেশি সুন্দর সেটা নির্ণয় করার অধিকার আমাদেরকে তারা দিয়েছে। রূপের ঝলক দেখাতে এতটুকু কার্পণ্যতা নেই কারও মাঝে।
মহাশয়, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। আমাদের চারিত্রিক নৈতিকতা ঠিক রাখতে হবে। চোখ দিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে, নির্ণয় করা যাবে কার চেয়ে কার শারীরিক গঠন বেশি আকর্ষণীয় কিন্তু নিজের চরিত্র ঠিক রাখতে হবে। না হয়; ঠিক রাখলাম নিজেদেরকে সংযমী হয়ে কিন্তু সমাজে কতজন মানুষের পক্ষে তার সংযম ধরে রাখা সম্ভব হয়। যার কারণে নৃশংসতার স্বীকার হতে হয় রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করা আমাদের সাধারন সুন্দরী ভগিনীটিদেরকে। যাদের কাছে সৌন্দর্যের প্রধান উপসর্গ হয়ে দাঁড়ায় প্রসাধনী। কোন প্রসাধনী কোম্পানি হয়ত বলছে গায়ের রঙ ফর্সা হওয়াই প্রকৃত সৌন্দর্য, অন্যদিকে আবার কেউ হয়ত বলছে ফ্রেশ থাকা মানেই হলো সুন্দর। সেখানে কাউকে কৃষ্ণকলি বলে অবহেলা করা ঠিক নয়। আর যখন আমাদের ভগিনীরা সেই সব প্রসাধনী গায়ে মেখে সুন্দর হয়ে প্রস্ফুটিত হচ্ছে তখনই শুরু হয় প্রতিযোগিতার পালা। সবাই সুন্দরী হলেও নির্দিষ্ট কাউকে সবচেয়ে বেশি সুন্দরী হতে হবে।
একটা সময় ছিলো যখন বিয়ের জন্য পাত্র পক্ষ পাত্রী দেখতে গেলে; ভগিনীদের পায়ের নখ থেকে শুরু করে চুলের ঘনত্ব পর্যন্ত যাচাই বাছাই করত। শুধু তাই নয় রান্না বান্না থেকে শুরু করে কাপড় কাঁচার পারদর্শিতা পর্যন্ত যাচাই বাছাই করে নেয়া হতো। অধিকার আদায়ের দাবীর মুখে সেই সব দিন শেষ হয়েছে। আর এখন! অধিকার মানেই হলো বিয়ের জন্য পাত্র পক্ষের সামনে র্যাম্প না করে; বরং জনসন্মুখে অর্ধনগ্ন হয়ে র্যাম্প করা। সেখানে নিজের নানা ধরনের পারদর্শিতার কথা তুলে ধরা। কারণ প্রতিযোগিতায় মুকুট মাথায় দিয়ে সেরা সুন্দরী খেতাব জয় করতে পারলেই ভাগ্যের চাকা খুলে যাবে। উন্মুক্ত হবে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্র।
অতীতে একটা সময় ছিলো; যখন দস্যূরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়িতে ডাকাতি করে ঘরের সুন্দরী মেয়েদের ধরে নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করে দিতো। তারপর হাট বসত। হাটে সেইসব মেয়েদেরকে নগ্ন করে নিলামে উঠানো হতো। তারপর দরদাম করে মিলে গেলে, দাসত্ব বরণ করে নেয়াই ছিলো সেইসব অধিকার বঞ্চিত মেয়েদের জন্য ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। কিন্তু সেই যুগ শেষ হয়েছে অধিকার আদায়ের দাবীর মুখে তীব্র সংগ্রাম করার পর। এখন অবশ্য যুগ বদলেছে। এখন অধিকারের মূল লক্ষ্যই হলো; সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করা ভগিনীদের জন্য নেয়া ভোটিং পদ্ধতি। যার জন্য যত বেশি ভোট সেই জয়ী। তারপর নিজেকে বিলিয়ে দেয়া কর্পোরেট সংস্কৃতিতে। অবশ্য এই ভোটিং পদ্ধতির জন্য আমাদের মোবাইল কোম্পানিগুলো কিছুটা হলেও অর্থ উপার্জনের মুখ দেখছে।
আমার শুধু আফসোস হয়; পতিতালয়ের সম্ভ্রম বিক্রি করে যারা নিজেদের পেট চালায় তাদের নিয়ে। তারাও ভালো খদ্দের পেতে সুন্দর করে সাঁজে, নগ্ন হয়, হাসি ভরা মুখ করে শরীর বাঁকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অথচ তাদের উচিত প্রসাধনী গায়ে মেখে সুন্দর হয়ে, সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নাম লেখানো। তাহলেই সব ল্যাঠা চুকে যায়। কেউ আর তাদের সমাজের আবর্জনা বলে গালি দেয়ার মতো মূর্খতা প্রদর্শন করতে পারবেনা।
যাই হোক আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চাই। আমরাও আমাদের ভগিনীদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই। কারণ সোনালি পর্দায় আমাদের সুন্দরী ভগিনীরা জলের রাজ্যের জলকন্যা হয়ে জয় করে নেয় অজস্র দর্শকের মন।
হ্যাঁ, আমাদের অবশ্যই আমাদের ভগিনীদের উন্মুক্ত শরীরের দিকে নিখুঁত দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকতে হবে। আমাদের একটি মহামূল্যবান ভোটের জন্য, আমাদের ভগিনীরা তাদের রূপের ঝলক দেখাতে কার্নিভালে যেখানে কার্পণ্যতা করছেনা, সেখানে আমাদের কোন অধিকার নেই ভগিনীদের অধিকার আদায়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবার।
প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া অপরাধ হতে পারে, রাস্তা ঘাটে চলতি ফিরতি মেয়েদেরকে ইশারায় শিশ দিয়ে সুন্দরী বলা অপরাধ হতে পারে, কিন্তু রূপালী পর্দায় ভগিনীদের রূপের ঝলক দেখে ভোট দেয়া মোটেও অপরাধের কিছু নয়।
অতএব, হে আমাদের সুন্দরী ভগিনীরা মনঃকষ্ট নেবার কিছু নেই। আপনাদের অধিকারের প্রতি যথাযথ সন্মান রেখেই আমরা বলতে চাই; লুলামী আমাদের লুলতান্ত্রিক অধিকার।
জাগো গো ভগিনী জাগো...
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লেখোয়াড় ভাই কিছু একটা হচ্ছে এটা সত্যি কিন্তু নিকট ভবিষ্যতে না আরও বেশি কিছু হয়ে যায় এই শঙ্কায় আসলে আমি খুব হিংসিত।
ধরেন দেশের আন্ডার অয়্যার গার্মেন্টসগুলো যদি কখনও এমন প্রতিযোগিতায় নামে তাহলে অবাক হবার মতো কিছু থাকবেনা।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জাগো গো ভগিনী জাগো...
শিরোনাম এবং উপস্থাপন সুন্দর , ধন্যবাদ লিখনিতে ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা প্রিয় বন্ধু আমার।
ভগিনীরা না ঘুমিয়ে জাগুক এটাই প্রত্যাশা।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: দেশে যে হারে নায়িকার সংখ্যা বাড়ছে ।
অনেকদিন আগে বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে লিখতে যাইয়া দেখি , নায়কই নাই আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রে কিন্তু নায়িকা অনেক চলচ্চিত্রে ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
নাজমুল ভাই কথা সত্যি আমার কাছেও তথ্য আছে।
নায়ক না থাকলে কি আসে যায় সিনেমায় অভিনয় করবে শুধু নায়িকারা। সিনেমা হবে নায়িকা কেন্দ্রিক।
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: দাঁড়ালো না!!
মানে, অন্য ছবিগুলোয় দেখেছি অন্তত একজন দাঁড়িয়ে পোজ দেয়
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মামুন ভাই দাঁড়াবে কেমন করে! ছবিতে দেখছেন না, নত হতে হতে আমাদের পঞ্চ ভগিনীরা কেমন নুয়ে পরেছে এক একজন।
:!>
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: জাগো গো ভগিনী জাগো..
অনেক ভালো লেগেছে......।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভগিনীরা নাকি বর্তমানে খুব করে জেগেছে...
৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০০
"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: এইসব নোংরামীকে কে বা কারা উৎসাহ যোগাচ্ছে সেটা দেখুন তাদেরকে বলার সাহস কি আছে আপনার? এটা প্রতিবেশী দেশের সংস্কৃতি। এটাকে সম্মান দিয়ে দেখুন মিডিয়া রুই কাতলাসহ সবার কাছেই ভাল থাকবেন।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
নারে ভাই দাদারা আমাদের অন্নদাতা। তাদের প্রতি সাহস দেখিয়ে শেষকালে না নিজের প্রাণটাও হারাতে হয় এই শঙ্কাতেই থাকি।
৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++++
যাক ভ্রাতা শেষ পর্যন্ত পোস্টটা দিলেন । বহুল প্রতীক্ষিত পোস্ট । আপনি দিবেন বলাতে আমি আর দেই নি । সেটা যে কতোটা যথার্থ হয়েছে তা আপনার সুন্দর পোস্ট দেখে বুঝতে পারছি । আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বলেছেন , আমি হলে আরও সহজ সরল চাঁছাছোলা ভাবে বলতাম - সুনিশ্চিত । তাতে অবশ্য ভাবের প্রকাশ হত না , কিন্তু আমার মনের সাধ তো মিটত !
যাই হোক , আর মাত্র সম্ভবত এক দিন বাকি । আসুন আপনারা দলে দলে যোগদান করে দেখে শুনে , পর্যবেক্ষণ করে , পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ পূর্বক আপনার মূল্যবান ভোট প্রদান করি ।
@মামুন ভ্রাতা , মাঝখানেরটা এখানে দাঁড়ায় নি তাতে কি ! এই নিন ,
আপনারা বেশী বেশী ভোট দিন , অন্যকে উৎসাহিত করুন । ভোট দিয়া মোবাইল ও পাউডার কোম্পানিকে জয়যুক্ত করুন ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভ্রাতা এমন পোস্টে প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা। নাহলে এইসব বিষয় নিয়ে আজকাল কেউ মাথা ঘামায় নারে ভ্রাতা।
ভ্রাতা আমারও খুব ইচ্ছে ছিলো সহজ সরল ভাবে চাঁছাছোলা কিছু লেখার কিন্তু ভগিনীদের অধিকারের কথা ভেবেই আর লিখতে পারলাম না।
তারচেয়ে বরং আসুন আজকে গ্র্যান্ড ফিনাইলে কে জয়ী হয় সেটা প্রাণ ভরে উপভোগ করি।
৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: আজকের নারীরা পুরুষের মত 'বহুগামী' হয়ে পড়ছে । এককালে পুরুষরা রক্ষিতা পুষতেন, ঘরে বউ রেখে পতিতাপল্লীতে যেতেন .. এখন সেই ধারা যদিও প্রকাশ্যে নেই কিংবা অনেকাংশে কমে গেছে কিন্তু মুনাফালোভী কর্পোরেট কালচার এবং নারীদের দেখনদারী মানসিকতা তাদের যে কতটা নিয়ে নামাচ্ছে সেটা তারা বুঝতে চাইছেনা ।
খুব অবাক লাগে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মেয়েরা এই ফাঁদে পা দিয়ে নিজেকে কিভাবে বিকিয়ে দিচ্ছে তা দেখে !!!
লেখা ভালো লাগলো ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমাদের ভগিনীরাই যখন তাদের আত্ম মর্যাদা নিয়ে চিন্তিত নয় তখন আমরা সাধারন আম জনতা মিছেই তাদের সন্মান নিয়ে ভেবে আর কি করব বলেন রিবর্ণ ভাই। শুধু চোখের সামনে নিজেদের ভগিনীদের এমন অধিকার পেতে দেখলে খারাপ লাগে বলেই কিছু কথা বলা।
কেউ নিজেকে বেচে হাটে আর কেউবা নিজেকে বেচে আধুনিক শপিংমলে। পার্থক্য শুধু এতটুকুই। কিন্তু যেখানেই যেভাবেই বেচুক না কেন তারা পণ্য হয়ে গেছে।
তাই বলি জাগো গো ভগিনী জাগো ...
৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সকাল হাসান বলেছেন: সুন্দর শিরোনামে সুন্দর লেখনীর মাধ্যমে অতি গুরুত্বপূর্ন একটি লেখা!
তবে ভগিনীরা ভাবছে তারা এখনই জেগে আছে! আর যেটা আসলেই জেগে উঠা, সেটাকে তারা ভাবে অধিকারক্ষুন্ন হওয়া!
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভগিনীরা ভাবছে তারা এখনই জেগে আছে! আর যেটা আসলেই জেগে উঠা, সেটাকে তারা ভাবে অধিকারক্ষুন্ন হওয়া!
আমাদের ভগিনীরা যদি এতে নিজেদের খুব সন্মানী বলে মনে করে তাহলে ভাই আমাদের লুল সমাজের বাসিন্দাদের লুল হিসেবে গর্ব করা উচিত।
১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
ইসটুপিড বলেছেন: আন্ডাপুস্ট দিছেন আমি কই ঝাঝ হইতে না পারার দুঃখে মরতাছি
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার নিকটা খুব সুন্দর। শুভেচ্ছা জানবেন ইসটুপিড।
আমার একটা সাজেশন রইল এবার মামলেট করে পরোটা দিয়ে খেয়ে দেখেন।
১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২০
ধূসরছায়া বলেছেন: বিকলাঙ্গ সমাজ সর্বদাই নারীর মেধার থেকে রূপের কীর্তনে মুখর! তাছাড়া পরুষ শাসিত সমাজে নারীর মেধার অলি-গলি থেকে শরীরের বাক গুলোই যে পুরুষের কাছে বেশি আকর্ষণীয়! পুঁজিবাদের এই যুগ পন্য-ক্রেতা-বিক্রেতা ছাড়া কিছু বুঝেনা! আর আমাদের কুশিক্ষিত কতিপয় আধুনিকা এই সত্যতা বুঝেননা যে, পুঁজিবাদের বিশাল সাম্রাজ্জ্য এখনো কিন্তু পুরুষেরই হাতে! তথাকথিত আধুনিকারা নগ্ন-অর্ধনগ্ন হয়ে নিজেকে স্বাধীন আর পুরুষের সমপর্যায়ে বলে মনে করেন! তারা এইটাই জানেননা-যতোই নাচানাচি তারা করেন না কেন, এখনো পর্যন্ত তারা ঠিক ততোটাই স্বাধীন; যতোটা স্বাধীনতা এই পুঁজিবাদী, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তেনাদের দিচ্ছে!
যার শরীর একমাত্র পুঁজি, সেরকম একজন তথাকথিত আধুনিকার কাছে এর বেশী কিইবা আশা করা যায়! একজন মেয়ে হিসেবে এইসব দেখে-শুনে এতোই অপমানিত লাগে বলে বোঝানো মুশকিল।! এই লজ্জার রাখার জায়গা নেই! আর আমাদের জাগাবার ক্ষমতা আমদের নিজেদেরও নেই! কেননা যে ঘুমায় তাকে জাগানো সহজ, কিন্তু যে জেগে ঘুমায় তাকে জাগানো কি সম্ভব?
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।
যে জেগে ঘুমায় তাকে জাগানো কি সম্ভব?
১২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল পোস্ট।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় ঢাকাবাসী।
১৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪২
কলমের কালি শেষ বলেছেন:
এই নিয়ে আর বাড়তি কিছু বলার নেই । নারী অধিকার বলে একটা কথা আছে । আর ওদেরইবা দোষ দিয়ে কি করবেন ওদের মা বাবারাই তো মেয়ের নগ্ন সাফল্যের জন্য ছেড়ে দেয় ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কাউকেই দোষ দিচ্ছিনা আসলে আমরা এইসব মুনাফালোভী পাউডার ও মোবাইল কোম্পানির ফাঁদে পা দিয়ে নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ করছি।
সুন্দর মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন।
১৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩১
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: কিছু বলার নাই । +++++++++++++++
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সত্যি কিছু বলার নাই।
১৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৬
রাফা বলেছেন: আপনার এই দৃস্টিভঙ্গির সাথে একমত হোতে পারলামনা।
বললে অনেক কথা বলতে পারি-পক্ষান্তরে বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোস্ঠিকে অসন্মান করলেন।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন রাফা ভাই।
আসলে ভাই এটা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। সকলের দৃষ্টিভঙ্গি এক হবে না কখনও।
কারো কাছে যেটা অসন্মান সেটা হয়ত অন্যের কাছে ন্যায়...
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৮
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: ভালো লাগল। মেয়েরাই মেয়েদের সম্মান নষ্ট করে দিচ্ছে। নিজের বিবেকবোধ হারিয়ে ফেলছে।
শরীর দেখানোটাই এখন ফ্যাশন ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা আপু।
আসলে পুরো ব্যাপারটাই হচ্ছে মুনাফা লোভীদের অত্যন্ত সুকৌশলে পাতা ফাঁদ।
১৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
সোহানী বলেছেন: আগে ধন্যবাদ দিই চমৎকার লিখার জন্য।
তারপর বলি...... আসলেই কি ভগিনিরা জেগেছে??? তবে এর পিছনের সত্যটি কি... একবার ও ভেবে দেখেছেন???? এটা তো হাটে উঠানোর মতই...তবে সে ডাকাত এখন ভদ্র মুখোশের কর্পোরেট কালচারের বেনিয়ারা।
হাঁ ভদ্র মুখোশের কর্পোরেট কালচারের বেনিয়ারাদের ইশারায় সব চলছে.... মেয়েদের কাপড় যত খুলতে পারবে ততইতো ব্যবসা....... যতই লাক্স মাখবে ততই ব্যবসা.... যতই স্টার জলসা/জি বাংলা চলবে ততই ব্যবসা... কারন কাপড় খোলা যে বিশাল সৈান্দর্য্য সেটা এ চ্যানেলগুলা না দেখলে যে মেয়েরা উপলব্ধি করবে না..... একটা আরেকটার পরিপুরক.....
স্টার জলসা/জি বাংলা চলবে......... লাক্স মাখবে............কাপড় খুলে বিশাল সৈান্দর্য্য প্রকাশ করবে.............. হাঁ দেশ এগিয়ে চলছে.... +++++
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু প্রথমেই বলে নেই আপনার ধন্যবাদ মানেই আমার কাছে দোয়ার স্বরূপ।
সত্যি আপু ভাবতে ভালোই লাগে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে... শুধু আমরাই এগুতে পারলাম না...
১৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: গ্ল্যামার্স শোবিজ বা নারীর বিভিন্ন রূপে উপস্থাপন এগুলো সেইদ আদিকাল থেকেই চলে আসছে এবং বর্তমানেও চলছে। এমন তো না যে লাক্স সুপারস্টারে যারা অংশগ্রহন করেছে তাদের বাড়ী থেকে জোর করে ধরে আনা হয়েছে। হয়তো এমনটা আদিকালে হতো কিন্তু বর্তমান অবস্থা বিশেষ করে লাক্স চ্যানেল আই নিশ্চই এমনটা করেনা। যারা যায় তারা জেনে বুঝেই যায় এবং অভিবাবকদের সেখানে ছাড়পত্র থাকে থাকে এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর। তাছাড়া ভবিষ্যতে হয়তো আপনাকেই কেটি পেরির ভিডিওতে নান্দনিকতা ইতিহাস খুঁজতে হবে। অপ্সরার নৃত্য কথন বুঝতে পর্যবেক্ষণ করতে হবে নগ্ন অর্ধনগ্ন নারী মুর্তি। শুধু তাই না সর্গ নরকের দ্বৈরথের মতো আদি ধর্মীয় ইতিহাস লিখতে আপনারই লাগবে ফ্রিদা কাহোলের নগ্ন নারী চিত্র।
তাহলে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগীতা নিয়ে স্ববিরোধী বক্তব্য কেন? মিস ইউনিভার্স বা ওয়ার্ল্ড এর বদলে এটা স্বদেশী একটা চ্যানেলের প্রতিযোগীতা বলে? নাকি একজন বিচক্ষণ প্রতিশ্রুতিশীল ব্লগারেরও একটি হটকেক ইস্যুর স্রোতে গা ভাসিয়ে শুধুই একটি উদ্দেশ্যহীন স্ববিরোধী পোষ্ট?
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হা হা হা হা হা হা হা হা হা
কুনো ভাই দুঃখিত সত্যি আমি দুঃখিত আপনার আসলে পোস্টগুলো কোনটাই মনে হচ্ছে বোধগম্য হয়নি।
ক্যাটি পেরির ডার্ক হর্স গানে কোথাও নারীর অধিকার নিয়ে বলা হয়নি। শুধু মাত্র একটি পুরাণের ব্যবহার এবং তাঁর অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের কথাই তুলে ধরা হয়েছে। আর নাচের পোস্টে তুলা ধরা হয়েছে নাচের ইতিহাস। সবশেষে স্বর্গ নরকের দ্বৈরথেও কোথাও নারীর অধিকার নিয়ে আলোকপাত করা হয়নি। সেখানে বরং টিপের বিরোধীতা করা হয়েছে। আমি যদি কাল জুয়া খেলা নিয়ে পোস্ট দেই এবং তারপর বলি যে জুয়া খেলা হারাম তাহলে সেটা স্ববিরোধী পোস্ট হয়ে যায় না।
নগর সাংবাদিকতা মানেই শুধু সুন্দর ফিচার, গল্প, কবিতা লেখা নয় সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখাও ব্লগিং এর মূল লক্ষ্য। নতুবা ব্লগিং না করে কাওরান বাজারে গিয়ে মাছ বিক্রি করলেই পারতাম। তাতে অনেক ফায়দা হতো।
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় যারা যায় জেনে বুঝেই যায় এইটা আমিও জানি। কাউকে ধরে যে নিয়ে যাওয়া হয়না কিংবা এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর থাকে এই সবই আমিও জানি। আর জানি বলেই এই পোস্ট যে কেউ আপনাকে আগুনে ঝাপ দিতে বললেই যে আপনি আগুনে ঝাপ দিয়ে দিবেন তাহলে আর আপনার আত্মমর্যাদা কোথায় থাকল?
মন্তব্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
ডি মুন বলেছেন:
মহাশয়, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। আমাদের চারিত্রিক নৈতিকতা ঠিক রাখতে হবে। চোখ দিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে, নির্ণয় করা যাবে কার চেয়ে কার শারীরিক গঠন বেশি আকর্ষণীয় কিন্তু নিজের চরিত্র ঠিক রাখতে হবে।
নাহ, ভাইয়া, 'নারী স্বাধীনতা' বলতে শুধু দৈহিক সৌন্দর্য প্রকাশের স্বাধীনতা বোঝায় - এইটা কি তুমি জানো না। ( কেননা বাকী সকল ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা রেখে তাদেরকে স্বাধীনতার স্বাদ দেয়া হয়)
তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার জন্যে তোমাকে একবস্তা মাইনাস। - - -- -- - --
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
নারীদের মর্যাদা অনেক উপরে কিন্তু তারা যদি নিজেরাই নিজেদের সেই মর্যাদা রাখতে না পারে তাহলে আসলে খুব খারাপ লাগে।
যেখানে নারীরা আজ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট থেকে শুরু করে রকেটে করে মঙ্গল গ্রহে যাচ্ছে সেখানে আসলে রূপ দেখিয়ে ভোট চাওয়ার মত আত্ম মর্যাদাহীন কাজ অপমানজনক কাজ।
২০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: সবই বুঝলাম, কিন্তু সংশ্লিষ্ট পরিবার বা প্রতিযোগীরা কিসের নেশায় প্রতিযোগিতায় নাম লেখালো? এটা অবশ্য খোরা যুক্তি, কিন্তু যার যার অবস্থান থেকে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় না। আমাদের আরো সচেতন হওয়া উচিৎ এবং নারী জাতিকে সন্মান করা উচিৎ।
ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব ভাইকে পোষ্টের জন্য ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ইমতিয়াজ ভাই অবশ্যই যার যার অবস্থান থেকেই ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। সেই জন্য দরকার নিজের আত্ম সন্মান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পোষণ করা। নতুবা সম্ভব নয়।
আমিও আপনার সাথে সহমত। স্বয়ং নবীজি বিদায় হজ্জের ভাষণে বলে গেছেন; যে জাতি নারীর মর্যাদা রাখতে জানবেনা সেই জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।
২১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৮
শাহ আজিজ বলেছেন: না খারাপ তোঁ লাগলো না , ভালইত। পাডুকোণের বুকের ভাজ নিস্পলকে দেখি , জোলির বগলের লোম গুনতে পারি আর এই সহি ব্যাপার দেখলেই ইজ্জত যায়। পরের বেটিগো গা গতর ভালই লাগে , নিজের বেটিগো দেখলে অজু নষ্ট হয়।
কই যাই কাণ্ডারি
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শাহ আজিজ ভাই একদম হক কথা বলছেন... সহমত।
আপাতত আগামী পাউডার প্রতিযোগিতার জন্য অপেক্ষা করি চলেন... এছাড়া আর কিছুই করার দেখছি না...
২২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: রকাশ্যে চুমু খাওয়া অপরাধ হতে পারে, রাস্তা ঘাটে চলতি ফিরতি মেয়েদেরকে ইশারায় শিশ দিয়ে সুন্দরী বলা অপরাধ হতে পারে, কিন্তু রূপালী পর্দায় ভগিনীদের রূপের ঝলক দেখে ভোট দেয়া মোটেও অপরাধের কিছু নয়।
লেখা ভালো লাগলো ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইডি ভুল কিছু বলি নাইতো আবার...
২৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩২
খাটাস বলেছেন: একেক জন একেক ভাবে জীবনে ওপরে উঠতে চায়। কিন্তু পায়ের নিচে কি পিষে ওপরে উঠছে, তার ফলাফল সামগ্রিকভাবে কেমন সেটা ভাবা দরকার।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই উপরে উঠতে সবাই চায়, সেটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু উপরে উঠতে গিয়ে নিজেকে বিকিয়ে দিয়ে উঠা নিশ্চয় কাম্য হতে পারেনা।
২৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কাপড় খুলে বক্ষের নিতম্বের সৌন্দর্য্য প্রকাশ করবে আমরা হা করে উপভোগ করবো এবং নির্বাচন করবো কে বেশী নিপূন ভাবে বক্ষ নিতম্ব দেখাতে পেরেছে। বাহ্ চমৎকার!
ভাবতে ভালোই লাগে, আমরা পশ্চিমা ধাঁচে এগিয়ে চলছি!!
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ছিঃ ছিঃ ভ্রাতা এভাবে বলে না...
হাজার হোক তারা আমাদের ভগিনী। তারা ভুল করলেও আমরা তাদের ভুল ধরিয়ে দিতে চাই। আর মুক্ত হতে চাই মুনাফালোভী কর্পোরেট সংস্কৃতি থেকে।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সব সময়ের জন্য।
২৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: একটা সময় ছিলো যখন বিয়ের জন্য পাত্র পক্ষ পাত্রী দেখতে গেলে; ভগিনীদের পায়ের নখ থেকে শুরু করে চুলের ঘনত্ব পর্যন্ত যাচাই বাছাই করত। শুধু তাই নয় রান্না বান্না থেকে শুরু করে কাপড় কাঁচার পারদর্শিতা পর্যন্ত যাচাই বাছাই করে নেয়া হতো। অধিকার আদায়ের দাবীর মুখে সেই সব দিন শেষ হয়েছে। আর এখন! অধিকার মানেই হলো বিয়ের জন্য পাত্র পক্ষের সামনে র্যাম্প না করে; বরং জনসন্মুখে অর্ধনগ্ন হয়ে র্যাম্প করা। সেখানে নিজের নানা ধরনের পারদর্শিতার কথা তুলে ধরা। কারণ প্রতিযোগিতায় মুকুট মাথায় দিয়ে সেরা সুন্দরী খেতাব জয় করতে পারলেই ভাগ্যের চাকা খুলে যাবে। উন্মুক্ত হবে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্র।
রূঢ় বাস্তব। বোকা মেয়েগুলো কিছু বোঝে না , বা বুঝতে চায়না।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু ভাল আছেন নিশ্চয়। মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
সকলের মাঝে বুঝ আসুক এটাই কামনা।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।
২৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: জাগো গো ভগিনী জাগো... নিঃসন্দেহে অনেক ভগিনীরা জেগেছে অাত্মসম্মানে।কিন্তু ফুলের সাথে কাঁটা হিসাবে কিছু ভগিনী জেগেছে নিন্দনীয় কামনা-বাসনায়
গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ ভাই কান্ডারিকে
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় মবীন ভাই।
নিঃসন্দেহে অনেক ভগিনীরা জেগেছে অাত্মসম্মানে।কিন্তু ফুলের সাথে কাঁটা হিসাবে কিছু ভগিনী জেগেছে নিন্দনীয় কামনা-বাসনায়
সেইসব ভগিনীদের প্রতি দোয়া রইল তারা যেন সত্যিকার অর্থেই জাগতে পারে।
২৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৫
তাসজিদ বলেছেন: ভগিনীরা আজ জেগেছে। পয়সা কামাতে হবে। স্টারডাম লাগবে। এজন্য কাওকে পারসোনার সময় লাগলে দেবে। ব্যাপার না।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কোন ব্যাপার না ভাইডি... যেখানে সময় লাগলে দিক ... তাতেও কিছু আসে যায় না...
কিন্তু অধিকার মানেই যে বেহায়াপনা নয়, নিজেকে বিকিয়ে দেয়া নয় সেটা বোঝাবে কে?
২৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৮
তাসজিদ বলেছেন: আর আমাদেরও দোষ আছে। তা না হলে নায়লা নাইমের মত এক শয়তানকে নিয়ে কেন এত মাতামাতি। তার পেজও নাকি ফেসবুক স্বীকৃতি দিয়েছে। কি কারণে? তার মধ্যে কি বিশেষত্ব আছে? এক কাপড় খোলা ছাড়া আর কি পারে সে?
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইরে দিনে দিনে আরও কত কিছু দেখতে হবে... আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আসলেই বদলে গেছে...
২৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৩৫
আরজু মুন জারিন বলেছেন: আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।
আপনার পোষ্টের প্রসঙ্গে আর গেলামনা।
আমাদের দেশের মেয়ে মনে হচ্ছে না তাদের আপনার সাথে সূর মিলিয়ে একটি কথা ই বললাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা আপু। আমিও আর এই নিয়ে কথায় গেলাম না।
কেমন আছেন আপনি?
৩০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৮
গোর্কি বলেছেন:
লজ্জা নারীর ভূষণ!! প্রবাদটি অভিধান থেকে বাদ দেবার দাবী জানালাম। সময়োচিত সমালোচনামূলক লেখায় পঞ্চ তারকা দাগালাম। শুভকামনা।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পঞ্চ তারকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
আপনার দাবীর সাথে সহমত।
৩১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২
অচিন্ত্য বলেছেন: নারীকে আমাদের মূল্যবোধ থেকে ছিটকে নিয়ে বহুদূরের বেনিয়া সওদাগরি পণ্যের কাতারে ফেলার চেষ্টায় সবচেয়ে এগিয়ে 'চ্যানেল আই হৃদয়ে বাংলাদেশ '। হৃদয়ে বাংলাদেশ ধারণের দাবির আগে বাংলা সংস্কৃতিকে ভালবাসতে শেখ অপদার্থ কোথাকার। সাদা চামড়ার শোষক গোষ্ঠী বহু আগে চলে গেছে। কিন্তু তোদের মত কিছু পা চাটা চতুষ্পদ রেখে গেছে যারা এখনো মানসিক দাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। যাদের কাছে সৌন্দর্য তাদের পূর্বতন শোষকের স্কেল ছাড়া অপরিমাপযোগ্য। মানুষ হ মানুষ হ আগে। হৃদয়ে বাংলাদেশ পরে ধারণ করিস। ইডিয়ট
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
৩২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম , বললেই তো বোল্বেণ বুলছি
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
৩৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
রোদেলা বলেছেন: সকল পেপার জুড়ে আছে সুন্দরীদের ভীড় ;
মেকাপ ওয়ালা মুখ দেখেতো বুকে লাগে তীর ।
শশা – কলা খায়না তারা, খালি মুখে মাখে ;
মিথ্যে রূপের বাঁধন কি আর হৃদয় ছুঁয়ে রাখে?
মেডিসিনের কথা শুনলে চোখে তাদের জল ;
ননী ছানা ছেড়ে এখন জিরো ফিগার চল----------------------
এভাবেই চলছে,চল্বে।কিচ্ছু করার নাই।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দারুণ বলেছেন আপু।
কবিতায় একরাশ ভাল লাগা রইল।
৩৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২০
এহসান সাবির বলেছেন: শুভ জন্মদিন!!
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।
৩৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২২
সুমন কর বলেছেন: এত সুন্দর করে সিরিয়াস বিষয় নিয়ে অাপনিই লিখতে পারেন। প্রতিটি বক্তব্যের সাথে সহমত এবং যুক্তিসম্মত।
মেয়েদেরকে অাজকাল নারী নয়, পণ্য হিসেবেই দেখানো হচ্ছে। অার তাই বাড়ছে অামাদের নৈতিক অবক্ষয়।
৭ম লাইক।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লাইক এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা সুমন ভাই।
শুভকামনা সব সময়ের জন্য।
৩৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১০
রাইসুল নয়ন বলেছেন: আমার শুধু আফসোস হয়; পতিতালয়ের সম্ভ্রম বিক্রি করে যারা নিজেদের পেট চালায় তাদের নিয়ে। তারাও ভালো খদ্দের পেতে সুন্দর করে সাঁজে, নগ্ন হয়, হাসি ভরা মুখ করে শরীর বাঁকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অথচ তাদের উচিত প্রসাধনী গায়ে মেখে সুন্দর হয়ে, সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নাম লেখানো। তাহলেই সব ল্যাঠা চুকে যায়। কেউ আর তাদের সমাজের আবর্জনা বলে গালি দেয়ার মতো মূর্খতা প্রদর্শন করতে পারবেনা।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ নয়ন, ভালো থাকা হোক সব সময়।
শুভেচ্ছা শতত।
৩৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১২
আরজু পনি বলেছেন:
পাতা ধরে ধরে এগিয়েছি, পোস্ট খুঁজেছি তারপরও এটা কীভাবে চোখের বাইরে গেল বুঝলাম না। নিশ্চয়ই এমন করে আরো পোস্ট চোখের বাইরে রয়ে গেছে। শেয়ার করার জন্যে কৃতজ্ঞতা জানাই, কাণ্ডারী ।।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু সামুতে আপনার কাছে আমি সব সময় কৃতজ্ঞ। ব্লগিং এর সেই প্রথম থেকে আপনার উৎসাহ পেয়ে এসেছি অনেক। যা আমাকে ব্লগিং এর জন্য অনেক প্রেরণা যুগিয়েছে। বিশেষ করে আপনার পোস্টগুলো অনুকরণীয় ও অনুসরনিয়। আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা চিরদিনের জন্য।
শুভেচ্ছা ও সুভকামনা সব সময়ের জন্য আপু।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন।
৩৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯
আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: নারীবাদি পুরুষরা দেখি সব নিরব
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮
লেখোয়াড় বলেছেন:
আহারে!! আপনার এত হিংসা কেন?
কিছু একটা তো হচ্ছে।