নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মতবাদগ্রন্থ তথা ধর্মগ্রন্থ নিয়ে কিছু বলতে বা লিখতে হলে আপনাকে পুরাণতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব এবং অধ্যাত্মতত্ত্ব এ তিনটি বিষয়ের উপর গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। এর মধ্যে আবার ’অধ্যাত্মতত্ত্ব’ শুধু জানলে বা শুনলে হবে না একে নিজের ভেতর আত্মস্থ করে এর ভেতর ঢুকতে হবে তবেই জানা যাবে সৃষ্টি রহস্য এবং নিজের রহস্য। এ তিনটি বিষয়ের জ্ঞান না থাকলে আপনি হয় ধর্মান্ধ অথবা নিরীশ্বরবাদী। ধার্মিক বলে কিছু নেই, তারাও একপ্রকার ধর্মান্ধ। সৃষ্টিকর্তা বলে একজন আছেন এ অন্ধবিশ্বাস নিয়েই তারা ধর্ম-কর্ম করে।
পুরাণতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব এবং অধ্যাত্মতত্ত্ব এ তিনটি বিষয়ের উপর গভীর জ্ঞান না থাকার কারণে কোরআনের একেকটি তাফসীরগ্রন্থ পরিণত হয়েছে গোঁজামিলের আখড়ায়। কোরআন পুরোটাই একটি মানবদর্শন এবং জীবনদর্শন। অথচ না জানার কারণে ধর্মান্ধ লোকেরা একে বিশ্ব এবং মহাবিশ্বের কল্পকাহিনী বানিয়ে ফেলেছে! কোরআনকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার জন্য তাফসীরগ্রন্থ গুলো কম দায়ী নয়। আর এসব ভুলে ভরা তাফসীরগ্রন্থ, শান-এ-নুযূল এবং হাদীস সংকলন পড়ে সালমান রুশদীর মতো নিরীশ্বরবাদী লোকেরা ”স্যাটানিক ভার্সেস” লিখতে প্রবুদ্ধ হয়। তারপর মার খায়। দোষ উভয়ের। অজ্ঞানীর মতো কাজ করলে সমালোচনাও শুনবেন (যেমন আমি এখন তাফসীরগ্রন্থ গুলোর সমালোচনা করছি), মারও খাবেন।
তাফসীরগ্রন্থ গুলোর সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমি আগেও লিখেছি। এখানে আরো একটি উদাহরণ দিচ্ছি।
”সূর্য অতিক্রম করে না চন্দ্রকে এবং রাত্রি অগ্রে যায় না দিনের এবং প্রত্যেকেই নৌকায় ভাসমান” (সূরা ইয়া সীন, আয়াত ৪০)।
আমি এখানে হুবহু অনুবাদ দিয়েছি। তাফসীরগ্রন্থ গুলোতে কোরআনের সূর্য হয়ে গেছে মহাবিশ্বের নক্ষত্র, চন্দ্র হয়ে গেছে পৃথিবীর উপগ্রহ আর নৌকা হয়ে গেছে কক্ষপথ (আরবী ফুলকা অর্থ হচ্ছে নৌকা)। সূর্য, চন্দ্র, রাত্রি, দিন এবং নৌকা এগুলো সব রূপক শব্দ। সবগুলোই মানবদেহে বিরাজমান। অজ্ঞানতার কারণে আমরা এগুলোকে মহাবিশ্বের সাথে গুলিয়ে ফেলেছি। এখন বলবেন ব্যাখ্যা করুন। করব না। অধ্যাত্মবাদে আসুন। ব্যাখ্যা আপনিই পেয়ে যাবেন।
মতবাদগ্রন্থ তথা ধর্মগ্রন্থ গুলোর উৎস কী? অলৌকিক কোন সত্তা নাকি মহামানবেরা? প্রশ্নটির উত্তর জানতে হলে আপনাকে অধ্যাত্মবাদে আসতে হবে। নচেৎ নীরব থাকাই শ্রেয়। আন্দাজে বিতর্ক করবেন মার খাবেন। কেউই চরম জ্ঞানী নয়, সবারই সীমাবদ্ধতা আছে। সুতরাং কোন বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেয়ার আপনি আমি কে? না জানলে জানার চেষ্টা করুন।
বই পড়ে কেউ জ্ঞানী হয় না। জ্ঞানের খোঁজ পায় মাত্র। ’জ্ঞান’ হচ্ছে শোনা, জানা এবং দেখা এ তিনটি বিষয়ের একত্রিত রূপ। সৃষ্টিকর্তা বিষয়ে আপনি শুধু শুনেছেন আর বই পড়ে জেনেছেন কিন্তু দেখেননি। অতএব সৃষ্টিকর্তা বিষয়ে আপনি অজ্ঞানী। তাই সৃষ্টিকর্তা বিষয়ে কোন কিছু বলারও কোন অধিকার আপনার নেই। বললেই ঝামেলা হবে এবং লিখলেই স্যাটানিক ভার্সেস তথা শয়তানের পঙক্তিমালা হয়ে যাবে। এবং হচ্ছেও পৃথিবীতে।
২| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:০০
কামাল৮০ বলেছেন: পুরান পাগলে ভাত পায় না,নতুন পাগলে ধরে বায়না।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পুরাণতত্ব, দেহতত্ব এবং আধ্যাত্নতত্ব এই তিনটি বিষয়ে আমার নলেজ একদম জিরো। এগুলো আসলে কি এবং কিভাবে কাজ করে? উক্ত বিষয়গুলোর উপরে ঠিক কিভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারি?
ধন্যবাদ।