নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অশ্রু তোমার আমার মনে ক্ষতের সৃষ্টি করে, বন্ধু তোমার হাসি ঘরে আলোর সৃষ্টি করে।

আরোগ্য

পৃথিবী আজ তার বার্ধক্যে এসে পড়েছে, শৈশব পেড়িয়ে যৌবন ও সে হারিয়েছে, তাই বৃথা আনন্দ করো না, ক্ষণিকের সময় হাতে, নশ্বর এ পৃথিবী যেন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। সে মৃত্যু আসার আগে আজ তীর্থে ভ্রমণ করো, পবিত্র জলে হে পৃথিবী তুমি অবগাহন করো। ধুয়ে ফেলো তোমার গায়ের শত কালিমা, সাজিয়ে নাও বিদায়ের আগে আবার আঙিনা।

আরোগ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরবি ভাষা : কোরআনের বুলি

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০০



ভাষা হচ্ছে মানুষের ভাবনার প্রতিফলন, মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ, যোগাযোগের একটা মাধ্যম, যার ফলে মানুষ তার মনের ভাব, চিন্তা, অনুভূতি প্রকাশ করে থাকে। ‌আরবি ভাষা হচ্ছে পৃথিবীর জীবন্ত ভাষাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। সেমেটিক ভাষাসমূহের মধ্যে আরবি অন্যতম ভাষা যা খ্রীস্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দ থেকে বিশ্ব সংস্কৃতিতে অবদান রাখতে শুরু করে। আধুনিক মানব সভ্যতার সূচনায় আরবরা নিঃসন্দেহে অবদান রেখেছেন, আর এর সবচেয়ে বড় প্রমান হচ্ছে, আরবি ভাষার শত-শত বিজ্ঞানসম্মত বই, যেগুলো ল্যাটিন ভাষায় অনুদিত হয়েছে এবং ইউরোপের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে পড়ানো হয়ে থাকে। তদ্রূপ আধুনিক ইউরোপীয় বিভিন্ন ভাষাসমূহে অনেক আরবী শব্দ বিদ্যমান রয়েছে। স্প্যানিশ ভাষায় কমপক্ষে চার হাজার আরবি শব্দ পাওয়া যাবে, পর্তুগিজ ভাষায় তিন হাজার, তাছাড়া ইউরোপের সকল ভাষায় বহু আরবি শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
মধ্যযুগেই আরবি ভাষা থেকে শব্দগ্রহন শুরু হয় এবং তা কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত চলতে থাকে। ইংরেজি ভাষায় বহু আরবি শব্দ সরাসরি প্রবেশ করেছে কিংবা ইউরোপের অন্যান্য ভাষার মাধ্যমে প্রবেশ করেছে যেমন ল্যাটিন, স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, ইতালীয় ভাষা।
ইংলিশ গবেষক Walt Taylor একটি গবেষণা তৈরি করেছিলেন যার শিরোনাম দেন, Arabic Words in English, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি তা প্রকাশ করে। Sir Taylor বলেন, ইংরেজি ভাষায় আরবি মৌলিক শব্দ প্রায় এক হাজার রয়েছে, আরো হাজার হাজার শব্দ মৌলিক শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে, এগুলোর মধ্যে অর্ধেকের বেশি এখন ব্যবহৃত হয় না কিংবা খুব কম ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ২৬০ টি মৌলিক শব্দ রয়েছে যেগুলো এখনো ইংরেজরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে থাকে।
তার উল্লেখিত শব্দসমূহ অক্সফোর্ড পকেট ডিকশনারিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যা নিশ্চিত করে যে, ইংরেজরা এই শব্দসমূহ দৈনন্দিন জীবনে অনেক ব্যবহার করে। আরো অনেক আরবি শব্দ ইংরেজিতে অন্য রূপ নিয়েছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে কখনও অনেক আবার কখনও সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। সেগুলোর কতগুলো পুরোপুরি ইংরেজি রূপ নিয়েছে আবার কতগুলো আরবি রুপের কাছাকাছি আছে। এই শব্দসমূহ বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে প্রবেশ করেছে যেমন, জীবজন্তু , পোশাক, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, রসায়ন ও অন্যান্য।
নিম্নে কতিপয় ইংরেজি শব্দ তার মূল শব্দ আরবি ও ইংরেজি ভাষায় গ্রহনের তারিখসহ উল্লেখ করা হলঃ

Admiral ----- ১২০৫ ----- أمير البحر
Azure ----- ১৩৭৪ ----- أزرق
Tariff ----- ১৫৯১ ----- تعريفة
Algebra ----- ১৪৫২ ----- الجبر
Cable ----- ১২০৫ ----- حبل
Giraff ----- ১৫৯৪ ----- زرافة
Zarnich ----- ১৩৮২ ----- زرنيخ
Spinach ----- ১৫৩০ ----- سبانخ
Syrup ----- ১৩৯২ ----- شراب
Chiffon ----- ১৮৭২ ----- شف
Sahara ----- ১৮৬২ ----- صحارى
Fellah ----- ১৫৪৮ ----- فلاح
Cotton ----- ১২৯০ ----- قطن
Coffee ----- ১৫৯৮ ----- قهوة
Lemon ----- ১৪০০ ----- ليمون
Musk ----- ১৩৯৮ ----- مسك
Magazine ----- ১৫৮৩ -----مخزن
Jasmin ----- ১৫৬২ -----ياسمين

আরো বহু সন্দেহসূচক শব্দ রয়েছে , যেগুলো গ্রহণের সাল পাওয়া যায়নি। যেমনঃ earth>أرض، cover> كفر، coffin> كفن , candle > قنديل , mirror>مرآة , yacht> يخت , zigzag> زقاق , abide> أبد , banana> بنان , messiah> المسيح. satan> شيطان. traffic> تغريق , cuff> كف divan> ديوان eden > عدن

পাক - ভারত উপমহাদেশের বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে আরবি ভাষা ও সাহিত্য চর্চা অতি প্রাচীন। বিশেষত মুসলিম শাসনামলে এ অঞ্চলে আরবি শিক্ষা ব্যাপকতা লাভ করে বলে প্রতীয়মান হয়। বর্তমানেও বাংলা ভাষায় অনেক শব্দ ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। এতেও প্রমাণিত হয় যে, অতীতের কোন এক সময় এসব অঞ্চলে আরবি ভাষার ব্যাপক চর্চা ছিল। ধর্মীয় অঙ্গন ব্যতিতও দৈনন্দিন জীবনে অনেক আরবী শব্দ ব্যবহার করা হয়। যেমন
আদালত> عدالة, উকিল>وكيل, হাজির>حاضر, কিস্তি >قسط, সনদ >سند ، রায় > رأي, ওজন> وزن, দোকান> دكان, দেনা> دين, দুনিয়া> دنيا, খবর> خبر, কলম>قلم, ، দোয়াত >دواة، আমানত >أمانة، তারিখ>تاريخ, গোসল> غسل، কামিজ> قميص, জরুরি> ضروري, মাল>مال, জমা> جمع, নগদ>نقد, বাকি>باقي, আদায় > أداء, আসল>أصل,নকল >نقل, মুনাফা> منفعة, লোকসান > نقصان, ফায়দা> فائدة, হজম>هضم, মানা > منع، বদল > بدل، জবাব>جواب، ময়দান>ميدان,নাটক > نطق, মজুদ > موجود، বাতিল>باطل, সবর>صبر, ইশারা > إشارة, কেচ্ছা > قصة ، ফ্যাসাদ > فسد, নজর > نظر, সিন্দুক > صندوق ، জালেম > ظالم, আজব>عجب, মজলুম > مظلوم, জুলুম > ظلم, তফসীল > تفسيل সাবেক >سابق, মহল্লা >محل, হালুয়া >حلوى, আসবাব >أسباب, কাবাব > كباب, মোরব্বা >مربى, মুরব্বি > مربي ইত্যাদি আরো অনেক শব্দ আছে। আঞ্চলিক ভাষায় আরবি শব্দের বহুল ব্যবহার লক্ষনীয়।
একইভাবে হিন্দি ভাষাতেও আরবি শব্দের বহুল ব্যবহার রয়েছে। উর্দু ভাষায় হয়ত এমন কোন বাক্য নেই যেখানে আরবি শব্দ অনুপস্থিত। তদ্রূপ ফারসি, কাবুলি, পাঞ্জাবি, পস্তু, তুর্কীসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য ভাষাগুলোর মাঝেও আরবি শব্দ মিশে একাকার হয়ে গেছে।




সাধারণত যে কোন ভাষার দুটি রূপ থাকে একটি আঞ্চলিক ও একটি শুদ্ধ । এদিক দিয়ে আরবি ভাষারও দুটি রূপ আছে, আঞ্চলিক রূপ ও শুদ্ধ রূপ।

আঞ্চলিক আরবি (العامية) : মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশের ভাষা আরবি হলেও অঞ্চলভেদে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। যেমন মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকার কতিপয় দেশসহ আরো বিভিন্ন দেশেগুলোর রাষ্ট্রীয় ভাষা আরবি হলেও কথ্য ভাষায় বিস্তর পার্থক্য লক্ষনীয়। কিছু দিন কোন অঞ্চলে বসবাস করলে সহজেই listening n speaking পদ্ধতিতে সে অঞ্চলের আরবি ভাষা আয়ত্তে চলে আসে। এজন্য কোন ধরাবাঁধা নিয়ম শিখতে হয় না। কিন্তু এক অঞ্চলের ভাষা আরেক অঞ্চলের মানুষের বোধগম্য নয়।

শুদ্ধ আরবি (الفصحى) : প্রাতিষ্ঠানিক বা প্রমিত আরবি হচ্ছে( الفصحى) ফুসহা। ফুসহা দুই প্রকার, ধ্রুপদী আরবী ( classical arabic) ও আধুনিক আরবী ( Modern standard arabic - MSA)।
আধুনিক আরবী ( MSA) : বই পুস্তক, কলাম, খবরের কাগজ, বক্তব্য, ভাষণ, সাহিত্যচর্চা, বিজ্ঞানচর্চা, টেলিভিশন, রেডিও ও সকল প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম আধুনিক আরবি ভাষায় করা হয়। আরবী ভাষাভাষী দেশসমূহের মাঝে জাতিগত ভিন্নতা, আঞ্চলিক ভাষার বৈষম্য থাকলেও আধুনিক আরবি ভাষা সকল আরবদের একসূত্রে গাঁথে। বিশ্বের যে কোন ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মূলত আধুনিক আরবী শিখানো হয়। Listening & Speaking method এর পাশাপাশি আধুনিক আরবি শিখার জন্য Reading & Writing method ও অপরিহার্য।
ধ্রুপদী আরবী (Classical arabic): ধ্রুপদী অর্থ অভিজাত বা সম্ভান্ত্র। ধ্রুপদী ভাষা বলতে এমন সব ভাষাকে বোঝায় যেগুলি অত্যন্ত প্রাচীন (আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বা তারও বেশি বছর পুরনো), যাদের একটি বৃহৎ ও অত্যন্ত সমৃদ্ধ প্রাচীন সাহিত্য আছে, এবং যাদের প্রাচীন সাহিত্যের ঐতিহ্যটি অপর কোন সাহিত্যিক ঐতিহ্যের পরম্পরায় নয়, বরং স্বাধীন ও স্বাবলম্বীভাবে, গড়ে উঠেছিল। অর্থাৎ কোন ভাষার আদি রূপ হচ্ছে ধ্রুপদী রূপ । প্রাচীন বেদুঈনদের ব্যবহৃত আরবী হচ্ছে ধ্রুপদী আরবী। বর্তমানে প্রমিত রূপটি ধ্রুপদী আরবির অধিক নিকটবর্তী। অগণিত ভাষার ধ্রুপদী রূপ আজ বিলুপ্ত। যার ফলে প্রতিনিয়ত বিদেশি ভাষার প্রভাবের ফলে যে কোন ভাষা তার মূলরূপ হারিয়ে ফেলে। এতে করে এক সময় সে ভাষার আর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়না। এমন করেই পৃথিবী থেকে বহু ভাষার আজ বিলীন হয়ে গেছে । খুব কম ভাষায় ধ্রুপদী রূপ পাওয়া যায় তার মধ্যে আরবি একটি।

আল কোরআন মূলত ধ্রুপদী আরবীতে অবতীর্ণ হয়েছে। কোরআনের বদৌলতে আরবির ধ্রুপদী রূপ আজও সগৌরবে টিকে আছে এবং থাকবে। ধ্রুপদী ভাষার পাশাপাশি কোরআন পরিপূর্ণ অলঙ্কারশাস্ত্রে। অলঙ্কারশাস্ত্র হচ্ছে একটি কৌশল যা কোন বিষয় বা বক্তৃতা বা মনোভাবকে শ্রোতা বা পাঠকদের প্রভাবিত কার জন্য সুস্পষ্ট, আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণামূলকভাবে উপস্থাপন করে। তাই এটি ভাষার শৈলী ও সৌন্দর্য বিষয়ক সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকে। উপযুক্ত শব্দ চয়ন ভাষাশৈলীর একটি বিশেষ গুণ। এটি হতে পারে, আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক, আক্ষরিক বা রূপক, সরল বা অভিজাত, প্রাঞ্জল বা গম্ভীর। বিষয়বস্তুর ধরন ও তাৎপর্য মোতাবেক যথোপযুক্ত শব্দ চয়ন অলঙ্কারশাস্ত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন ভাষায় ব্যবহৃত অলঙ্কারে সুস্পষ্ট বৈচিত্র্য রয়েছে।

রাসুলুল্লাহ ﷺ এর আবির্ভাবের সময় ও তার পূর্বে আরব জাতি ভাষা ও সাহিত্যের আলঙ্কারিকতায় একক কৃত্বিতের অধিকারী ছিল। তারা এত অনন্য ভাষাশৈলীর অধিকারী ছিল যে, তাদের মতে অনারবরা ছিল "আজমী" বা বাকশক্তিহীন, সোজা কথায় বোবা। আরবদের বেদুঈন ও যাযাবরী অকৃত্রিম শব্দধ্বনি শহুরে অলঙ্কারপূর্ন ভাষার চাইতেও উন্নততর ছিল। কুরআন এমন একটি গ্রন্থ, যার আয়াতসমূহে রয়েছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ গভীর মর্ম। বাস্তব ও রূপকের সমাহার। যার সুরাগুলোর প্রারম্ভ ও পরিসমাপ্তির সৌন্দর্যের নজির দূর্লভ, যার বিন্যাসরীতি সুসমন্বিত।এর শব্দাবলী ব্যাপক অর্থবোধক। কুরআনের আলোকিকতা হলো এর অনন্য রচনাশৈলী। কুরআনের গদ্য ও পদ্যের মধ্যবর্তী এমন একটি সুন্দর চিত্তাকর্ষক বাক্য রীতির অনুসরণ করা হয়েছে, যা ছিল আরবের ভাষাবিদদের সম্পূর্ণরূপে চিন্তা বহির্ভূত। কুরআনে যেভাবে ছেদ, অন্তমীল ও চলমান গতি অনুসরণ করা হয়েছে যেভাবে কোন কিছু বর্ণনা শুরু করা হয়েছে, সমাপ্তি টানা হয়েছে এবং যেভাবে একটি আয়াতকে অপর আয়াত হতে পৃথক করা হয়েছে তা আসলেই অলৌকিকতার অন্তর্ভুক্ত।
আল্লামা জালাল উদ্দিন আস্ সুয়ূতী (র) তার আল-ইতকান গ্রন্থে লিখেছেন : 'কুরআনের অলৌকিকতা এই যে, এতে ভাষা সাবলীলতা ও অলংকারিকতা সর্বত্র সমানভাবে বিদ্যমান। গোটা কুরআন খুঁজে এমন একটি আয়াত কোথাও পাওয়া যাবে না যার ভাষা সাবলীল ও আলঙ্কারিক নয়।পক্ষান্তরে কোন মানুষের পক্ষে কখনো এমনটি সম্ভবপর নয় যে, তার রচনা বা বক্তব্যে শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সর্বত্র ভাষার সৌকুমার্য , সাবলীলতা ও প্রাঞ্জলতা সমানভাবে বর্তমান।'
কুরআনের উঁচু মানের সাহিত্যিক ব্যঞ্জনা, উপমা, উদাহরণ এক কথায় অতুলনীয়। চিত্তাকর্ষক শব্দ , অভিনব বাচনভঙ্গি, সুন্দর বাক্য বিন্যাস যা কৃতিমতা ও শ্রুতিকটু ভাব থেকে মুক্ত। ড. তাহা হুসাইনের একটি বক্তব্য প্রণিধান যোগ্য। তিনি বলেন, "নিঃসন্দেহে কোরআন আরবি সাহিত্যের আদি গ্রন্থ, কিন্তু তোমরা হয়তো এও জানো যে, কোরআন পদ্য নয় আবার গদ্য নয়, কোরআন কোরআনই,একে অন্য কোন নাম দেয়া যায় না। "
কুরআনের রচনারীতি, বিষয়বস্তুর অলৌকিকতা ও পালনীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণের ফলশ্রুতি হিসেবে সাহিত্যে একটি স্বতন্ত্র শাস্ত্রের উদ্ভব ঘটেছে যা ই'জাযুল কুরআন বা কুরআনের আলংকারিক অলৌকিকতা হিসেবে স্বীকৃত। খ্রিস্টীয় নবম ও দশম শতাব্দীতে এ শাস্ত্রের উদ্ভব হয়েছে এবং ব্যাপকভাবে এর উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার কালামের মূল অলৌকিকতা প্রধানত علم البلاغة বা আরবী অলঙ্কার বিজ্ঞানে নিহিত। সুতরাং علم البلاغة এর যথার্থ জ্ঞান ও রুচি অর্জন ছাড়া কোরআনের অলৌকিকতা অনুধাবণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয় । আরবি ভাষার প্রয়োজনীয় দক্ষতা ব্যতিত অনুবাদের মাধ্যমে তার আলঙ্কারিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা অসম্ভব ।

English writer Karen Armstrong এর মতে, 'শেক্সপিয়ার এর সবচেয়ে সুন্দর পঙক্তিগুলো অন্য ভাষায় খুবই নগন্য শোনা যায় কারণ কবিতার ক্ষেত্রে কিঞ্চিৎ বিদেশি বাগধারায় প্রকাশ করা যায়। আর আরবী হচ্ছে এমন একটি ভাষা যা অনুবাদ করা বেশ কঠিন। আরবদের মতে, অন্য ভাষায় অনূদিত মূল আরবি কবিতা ও গল্পগুলো তাদের কাছ অপরিচিত মনে হয়। আরবি ভাষায় এমন কিছু আছে যা অন্য কোন বাগধারা অসংলগ্ন বোধ হয় এমনকি আরবী রাজনীতিবিদদের বক্তৃতা গুলিকে একটি ইংরেজি অনুবাদে কৃত্রিম এবং বিদেশী মনে হয়। এটা যদি পার্থিব কথোপকথন বা প্রচলিত সাহিত্যের সাধারণ আরবীতে সত্য হয়, তাহলে এটি কুরআনের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ সত্য যা অত্যন্ত জটিল, প্রগাঢ় ও সাঙ্কেতিক ভাষায় লেখা। এমনকি আরবরা যারা সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে, তারা বলে যে তারা যখন ইংরেজি অনুবাদে কোরআন পড়ে তখন তাদের মনে হয় তারা সম্পূর্ণ ভিন্ন বই পড়ছে।'



আরবি ভাষার স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা তাকে অন্যান্য ভাষা হতে পৃথক করে।

১. الإعراب ( শব্দের শেষে বর্ণের স্বরধ্বনি নিরূপণ) :
আরবি ভাষায় ই'রাব অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। এটি প্রাচীন সভ্যতার ভাষাসমূহের একটি বৈশিষ্ট্য। ই'রাবের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাক্যে শব্দের অবস্থান সনাক্ত করা হয়। উদ্দেশ্য, বিধেয়, কর্তা, কর্ম নাকি অন্য কিছু তা নির্ধারণ করা হয়। ভাষাবিদ ইবনে ফারিস এর মতে,
" ই'রাব হচ্ছে কোন শব্দের সমতুল্য অর্থসমূহের মধ্যে পার্থক্যকারী, এটি বক্তার অনুভূতি , চিন্তা ও অর্থের সামগ্রিকতা বিবেচনা সাপেক্ষে তার উদ্দেশ্য ও অর্থের মধ্যে পার্থক্য নির্দিষ্ট করে। "

২. الاشتقاق ( শব্দের ব্যুৎপত্তি) :
শব্দের ব্যুৎপত্তি হচ্ছে অন্যতম দুর্লভ বৈশিষ্ট্য যেখানে আরবি ভাষা বিশ্বের সকল ভাষার উপর শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। এর ফলে কোন শব্দরূপ তার শব্দমূলের দিকে ফিরে. যার একটি নির্দেশিত অর্থ রয়েছে। এটি হচ্ছে মূল উপাদান যা হতে বিভিন্ন শব্দ ও অর্থের শাখা বের হয়। যেমন, কর্তা বিশেষ্য, কর্ম বিশেষ্য, ক্রিয়া, বিশেষণ ছাড়াও আরো নানা শাখা। সাধারণত আরবী শব্দমূল তিন বর্ণ থেকে শুরু হয়, এবং চার থেকে পাঁচ বর্ণ পর্যন্ত হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, শব্দ মূল س ل م হতে তৈরি হয়েছে سلم ، سلّم. سالم، مسلم، سلمان، سلمی ،سلامة। উল্লেখ্য সব শব্দ তাদের ব্যাখ্যায় "নিরাপত্তা" অর্থ গ্রহণ করে। তদ্রূপ শব্দমূল " سمل" যার রূপান্তর হয় سلم، مسل، ملس، لمس ،لسم, যেগুলো অর্থ কোন না কোনভাবে বন্ধুত্ব ও সহৃদয়তা দাঁড়ায়। একটি শব্দমূল হতে হাজারখানেক শব্দ তৈরি করা যায়।

৩. المترادفات ( সমার্থক শব্দ) :
আরবি ভাষায় সমার্থক শব্দের সংখ্যা প্রচুর। এ প্রতিশব্দ / সমার্থক শব্দগুলো আরবি শব্দভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে যার সাথে বিশ্বের অন্য কোন চলমান ভাষার মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রতিটি সমার্থক শব্দ সেই বস্তু বা প্রাণীর নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি প্রকাশ করে। প্রখ্যাত ভাষাবিদ জুরজি যাইদান এর মতে, " প্রত্যেক ভাষায় সমার্থক শব্দ থাকে, যা কতিপয় শব্দ একই অর্থ বহন করে, কিন্তু আরবরা এক্ষেত্রে বিশ্বের সকল ভাষাকে অতিক্রম করেছে। তাদের ভাষায় বছর শব্দটার জন্য ২৪ টি প্রতিশব্দ রয়েছে, আলোর জন্য ২১ , অন্ধকারের জন্য ৫২ , মধুর জন্য ৮০ , উটের জন্য ২৫৫ , সিংহের জন্য ৩৫০ , মেঘের জন্য ৫০, বৃষ্টির জন্য ৬৪ , পানির জন্য ১৭০ ইত্যাদি কয়েকটি উদাহরণ। আরবরা 'লম্বা ' বিশেষণটি বুঝানোর জন্য ৯১ টি শব্দ ব্যবহার করে, 'খাটো 'বুঝাতে ১৬০ টি, এ ধরনের তালিকা তৈরি বেশ কঠিন। "

৪. الأضداد ( বিরোধার্থক / বিপরীতার্থক শব্দ) :
একটি শব্দ দুটি বিপরীতমুখী অর্থ বহন করে থাকে, যা আরবি ভাষার ব্যতিক্রমধর্মী একটি বৈশিষ্ট্য। যেমন, আরবরা الصريم শব্দটি দিন - রাত উভয়ের জন্য ব্যবহার করে, তদ্রূপ الصارح সাহায্যকারী - সাহায্যপ্রার্থী উভয়কেই বুঝায়, السدفة বুঝায় অন্ধকার - আলো, الزوج নর - নারী, البسل হালাল - হারাম ،الجون সাদা - কালো ইত্যাদি।

৫. الأصوات (স্বর / ধ্বনি) :
আরবি ভাষা তার ধ্বনিগত পরিসরে অলৌকিকতা ও পরিপূর্ণতার শিখরে পৌঁছেছে। আরবি ভাষা তার শব্দতত্ত্ববিষয়ক পরিবর্তন সত্বেও ধ্বনিগত উপাদানগুলো সংরক্ষণে সেমেটিক ভাষাসমূহের মধ্যে একক অধিকার অর্জন করেছে । এই উপাদানগুলো হলো ধ্বনি উচ্চারণের স্থান বা মাখরাজ এবং সেগুলোর সুন্দর গুণাবলি । আরবি শব্দের বৈশিষ্ট্য এমন যে, শব্দের অর্থ ও উদ্দেশ্য বুঝার জন্য বক্তার স্বরের দিকে বা উচ্চারণে লক্ষ্য রাখতে হয়।

৬. مفردات (শব্দভাণ্ডার) :
শব্দভান্ডারের দিক দিয়ে আরবি ভাষা সবচেয়ে সমৃদ্ধ। যেখানে শব্দকোষে ইংরেজি শব্দ আছে ৫ লাখ, ফরাসি ১ লাখ ৫০ হাজার, রাশিয়ান ১ লাখ ৩০ হাজার, সেখানে আরবি ভাষায় শব্দ সংখ্যা আছে ১২,৩ মিলিয়ন যার ফলে আরবি ভাষার শব্দভাণ্ডারকে সবচেয়ে ধনী বলা হয়। বিখ্যাত আরবি শব্দকোষ লিসানুল আরব এ মাদ্দাহভিত্তিক শব্দ বা শুধুমাত্র শব্দমূল রয়েছে ৮০ হাজার, যেখান থেকে আরো বহু শব্দ বের হয়।

৭. فصاحة ( ভাষার বিশুদ্ধতা / বাচনভঙ্গি )
আরবি ভাষার বাচনভঙ্গি ভাষাগতভাবে ত্রুটিমুক্ত, যেমনঃ শব্দের মাঝে অসঙ্গতি, শব্দ গঠনে অপারগতা, শব্দগত জটিলতা, অর্থগত জটিলতা ইত্যাদি থেকে মুক্ত। আরবি ভাষা হচ্ছে কোন পরিস্থিতি ও বর্ণনা প্রকাশের সবচেয়ে নির্ভুল একটি ভাষা। আরবি শব্দভাণ্ডার এত বিশাল যে শব্দের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে মনের ভাব ও মন্তব্য সুস্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত ও সর্বোত্তমভাবে ব্যক্ত করা যায়, যা অন্য ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে তুলে ধরা দুষ্কর।

৮. التعريب ( আরবিকরণ) :
আরবিকরণ হল একটি বিদেশি শব্দকে আরবি মিটার ও কাঠামো অনুপাতে তৈরি করার প্রক্রিয়া। বিদেশি শব্দকে আরবি বর্ণে রূপান্তর করে শব্দ তৈরি করা হয় যাতে আরবরা তাদের মত করে উচ্চারণ করতে পারে। আরবি ভাষার এক বিশেষ যোগ্যতা আছে বিদেশি শব্দকে বর্ণনা করার এবং নিজস্ব ছাঁচে ঢেলে আরবিকরণ করে গঠন করার, যা আরবি ভাষার এক ব্যতিক্রমধর্মী বৈশিষ্ট্য। যেমন: পাকিস্তান > বাকিস্তান, চীন > সীন।

৯. لغة شاعر: ( কাব্যিক ভাষা) :
আরবি একটি কাব্যিক ভাষা, যা শ্রোতার মনে প্রভাবশালী অনুভূতি রেখে যায় এবং বিভিন্ন কাব্যিক চিত্রের মাধ্যমে তা স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়, যেমন: উপমা, রূপক, সঙ্কেত, লক্ষণা, সংক্ষেপণ, অধিক প্রতিশব্দের ব্যবহার, শব্দের গাম্ভীর্যতা, কমনীয়তা, সূক্ষ্মতা, অর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অক্ষর ও শব্দের উচ্চারণ ইত্যাদি।

১০. الثبات ( স্থিতিশীলতা) :
আরবি ভাষার এক অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার স্থিতিশীলতা। আরবি ভাষা যুগ যুগ জুড়ে তার স্থিতিশীলতা দ্বারা স্বতন্ত্র স্থান বজায় রেখেছে। এটি সকল সময় ও স্থানের জন্য যথোপযুক্ত। যার ফলে আরবরা এখনও হাজার বছর পুরনো সাহিত্য পড়তে ও বুঝতে সক্ষম যা অন্য ভাষায় অসম্ভব।

একজন মুসলিমের জীবনে আরবী ভাষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ড. ইসরার আহমেদ এর মতে ( রাহিমাহুল্লাহ), কোরআন বুঝার জন্য প্রয়োজনীয় আরবি ভাষা শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য। কোরআনের ভাষাকে আল্লাহ সহজ করেছেন যাতে মানুষ স্মরণ করতে পারে, উল্লেখ করতে পারে, উপদেশ গ্রহণ করতে পারে। বিশ্বব্যাপি কোরআনের অসংখ্য হাফেজ, আলেম এর জ্বলন্ত প্রমান। সুরা ক্বামারে ১৭, ২২,৩২,৪০ নম্বর চারটি আয়াতে আল্লাহ একই কথা উল্লেখ করেছেন।


আল্লাহ তায়ালা বিশ্বের এত বৈচিত্র্যময় ভাষার মধ্য থেকে আরবীকে বেছে নিয়েছেন কোরআন নাযিল করার জন্য এবং কোরআনের আয়াতেই আরবি ভাষায় কোরআন নাযিলের মর্ম উল্লেখ করেছেন।

সুরা শুআরা: ১৯৫
بِلِسَانٍ عَرَبِىٍّۢ مُّبِينٍۢ ١٩٥

In a clear Arabic language.
— Saheeh International

অবতীর্ণ করা হয়েছে সুস্পষ্ট আরবি ভাষায়।
_ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সুরা ইউসুফ : ২
إِنَّآ أَنزَلْنَـٰهُ قُرْءَٰنًا عَرَبِيًّۭا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ ٢

Indeed, We have sent it down as an Arabic Qur’ān that you might understand.
— Saheeh International
নিশ্চয় আমরা এটা নাযিল করেছি কুরআন হিসেবে আরবি ভাষায়, যাতে তোমরা বুঝতে পারো ।
— Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria

সুরা যুমার : ২৮
قُرْءَانًا عَرَبِيًّا غَيْرَ ذِى عِوَجٍۢ لَّعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ ٢٨

[It is] an Arabic Qur’ān, without any deviance that they might become righteous.
— Saheeh International

বক্রতামুক্ত আরবী কুরআন। যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারে।
— Rawai Al-bayan

সুরা হা মীম সিজদাহ্ : ৩
كِتَـٰبٌۭ فُصِّلَتْ ءَايَـٰتُهُۥ قُرْءَانًا عَرَبِيًّۭا لِّقَوْمٍۢ يَعْلَمُونَ ٣

A Book whose verses have been detailed, an Arabic Qur’ān for a people who know,
— Saheeh International

এক কিতাব, যার আয়াতগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যাকৃত, আরবী ভাষার কুরআন, জ্ঞানসম্পন্ন মানুষদের জন্য।
— Taisirul Quran

সুরা হা মীম সিজদাহ্ :৪৪
وَلَوْ جَعَلْنَـٰهُ قُرْءَانًا أَعْجَمِيًّۭا لَّقَالُوا۟ لَوْلَا فُصِّلَتْ ءَايَـٰتُهُۥٓ ۖ ءَا۬عْجَمِىٌّۭ وَعَرَبِىٌّۭ ۗ قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ هُدًۭى وَشِفَآءٌۭ ۖ وَٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ فِىٓ ءَاذَانِهِمْ وَقْرٌۭ وَهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًى ۚ أُو۟لَـٰٓئِكَ يُنَادَوْنَ مِن مَّكَانٍۭ بَعِيدٍۢ ٤٤

And if We had made it a foreign [i.e., non-Arabic] Qur’ān, they would have said, "Why are its verses not explained in detail [in our language]? Is it a foreign [recitation] and an Arab [messenger]?" Say, "It is, for those who believe, a guidance and cure." And those who do not believe - in their ears is deafness, and it is upon them blindness. Those are being called from a distant place.
— Saheeh International

আর যদি আমরা এটাকে অনারবী ভাষায় কুরআন তবে তারা অবশ্যই বলত, 'এর আয়াতগুলো বিশদভাবে বিবৃত হয়নি কেন? ভাষা অনারবীয়, অথচ রাসূল আরবীয়! বলুন, ‘এটি মুমিনদের জন্য হেদায়াত ও আরোগ্য।' আর যারা ঈমান আনে না তাদের কানে রয়েছে বধিরতা এবং কুরআন এদের (অন্তরের) উপর অন্ধত্ব তৈরী করবে। তাদেরকেই ডাকা হবে দূরবর্তী স্থান থেকে।
— Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria






পরিশেষে একটি উপমা দিয়ে শেষ করতে চাই, আল্লাহ তায়া’লার অসীম কুদরতের এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে সমুদ্র জগৎ। এর যত গভীরে যাওয়া যায় ততই যেন রহস্য উন্মোচন করা যায়। হরেক রকমের প্রাণী ও উদ্ভিদ ছাড়াও রয়েছে অফুরন্ত রত্নভান্ডার। অতলস্পর্শী সমুদ্র বক্ষে আরও লুকিয়ে আছে হাজার হাজার বছরের পুরনো ধ্বংসাবশেষ। যেগুলোর রহস্য ভেদ করলে খুঁজে পাওয়া যায় বিশাল বিশাল সভ্যতার ইতিহাস। বৈচিত্র্যময় এই সমুদ্র পৃষ্ঠে বিচরণ করে মানুষ প্রতিনিয়ত তার জীবিকা নির্বাহ করে থাকে । কেউ সমুদ্রের পেট চিড়ে মণি-মুক্তা নিয়ে আসে, কেউ আবার সিন্ধু তালাশ করে, কেউ বা বিশাল প্রাণীজগত নিয়ে গবেষণা করে, কেউ বা পড়ে থাকে বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদজগৎ নিয়ে। কেউ আবার সমুদ্রে পৃষ্ঠে বিচরণ করে মৎস্য শিকার করে, কেউ যানবাহন পারাপার করে, কেউ লবন আহরণ করে, কেউ তীরে বসে সমুদ্রের তরঙ্গ অবলোকন করে, কেউ বা কবিতার শব্দ খুঁজে বেড়ায়। দিনের আলোয় সমুদ্র পৃষ্ঠের এক রূপ দেখা যায় আবার জোছনার আলোয় আরও চিত্তাকর্ষক রূপ ধারণ করে।দৃষ্টি সীমার বাইরে থাকলেও খানিকটা দূর থেকেই সমুদ্রের গর্জন শুনতে পাওয়া যায়। কতইনা বৈচিত্র্যময় এই সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য্য। তেমনি বৈচিত্র্যময় তাতে বিচরণকারীগণ। একজনের পক্ষে কখনোই সম্ভব নয় একযোগে এই বিশাল ও বৈচিত্র্যময় সৃষ্টির সকল রহস্য উদঘাটন করা। মানবসভ্যতার ইতিহাসে এই সমুদ্রজগতের চেয়েও বৈচিত্র্যময় ও রহস্যময় নিদর্শন হচ্ছে আল্লাহর তায়া’লার প্রেরিত আল কোরআন, যার গভীরতা ও বিস্তৃতির তুলনায় সমুদ্রের বিশালতা অতিক্ষুদ্র, যেটাকে আমরা নিছক পবিত্র বই হিসাবে সসম্মানে আলমারির উঁচু তাকে বা শোকেসে শোপিসের মত সাজিয়ে রাখি। কোরআনের প্রতি আমাদের গাফিলতির অভিযোগ স্বয়ং নবীজী ﷺ আল্লাহর নিকট করবেন।



وَقَالَ ٱلرَّسُولُ يَـٰرَبِّ إِنَّ قَوْمِى ٱتَّخَذُوا۟ هَـٰذَا ٱلْقُرْءَانَ مَهْجُورًۭا ٣٠

And the Messenger has said, "O my Lord, indeed my people have taken this Qur’ān as [a thing] abandoned."
— Saheeh International

আর রাসূল বলবে, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমার কওম এ কুরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছে। (২৫:৩০)
— Rawai Al-bayan










তথ্যসূত্রঃ

১. القراءة الميسرة
২. خصائص اللغة العربية : موضوع
৩. خصائص اللغة العربية : Darul Uloom Deoband
৪. Oriental gems in English crown
৫. Fifteen poems
৬. Muhammad : A Biography of the Prophet
৭. আল কুরআনুল কারীমের আলংকারিক বৈশিষ্ট্য
৮. কালের কণ্ঠ
৯.মুসলিম বাংলা অ্যাপ
১০.Quran.com
১১. Wikipedia

বিশেষ কৃতজ্ঞতা : উস্তাদ নোমান আলী খান

ছবি: কাটছাট from google

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: প্রাচীন কোরানের আরবি আর বর্তমান আরবি এক না।অক্ষর কম ছিলো আর নোকতা ছিলো না।সব কিছুর মতে ভাষারো বিবর্তন হয়েছে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১

আরোগ্য বলেছেন: বাংলা একাডেমি যদি ঘোষণা করে, আজকে থেকে ফ এর নিচে একটা নোকতা দিতে হবে আর উচ্চারণের সুবিধার জন্য আরো এক প্রকার ক যুক্ত করা হবে, এতে কি বাংলা ভাষা পরিবর্তন হয়ে যাবে?

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বেশ পরিশ্রমলব্দ একটি নিবন্ধ ।
আরবি ভাষা ঃ কোরআনের বুলি বিষয়ে
মুল্যবান লেখাটি পাঠে আরবি ভাষা ও
পবিত্র কোরআনের বিশেষত্ব সম্পর্কে
বিষদভাবে অনেক জানা হল ।
পোষ্টটি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

আরোগ্য বলেছেন: আপনাদের মত সিনিয়র ব্লগাররা মন্তব্য করলে কিভাবে প্রতিমন্তব্য করবো ভাষা খুঁজে পাই না। এক ধরনের উৎকণ্ঠা কাজ করে। এতো পরিশ্রমের পর এমন মন্তব্য আসলেই উৎসাহ যোগাতে সহয়তা করে অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চমৎকার একটা ফিচার। অনেক কিছু জানলাম। সংরক্ষণে রাখার মত একটা পোস্ট। তাই প্রিয়তে রাখলাম। অনেক পরিশ্রম করে লেখাটা লিখেছেন।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

আরোগ্য বলেছেন: আসলেই এই পোস্ট করার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে লিখার উদ্যোগ নেই, নানা তথ্য, তত্ত্ব অনুসন্ধান করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। আপনাদের ভালোলাগা আমার লিখার অনুপ্রেরণা। লাইক ও মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রিয়তে তুলে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৭

কথামৃত বলেছেন: Okay- শব্দটি যোগ হবে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

আরোগ্য বলেছেন: দুঃখিত! আপনার মন্তব্যটি আমার বোধগম্য নয়। পোস্টটি লাইক করার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আরবী ভাষার চেয়ে ইংরেজি ভাষা শেখা ও জানাটা জরুরী।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

আরোগ্য বলেছেন: ঢাকাইয়া ভাষায় একটা প্রবাদ আছে, আপনার মন্তব্যটি পড়ে সেই কথাটি মনে পড়লো। **র পেটে ঘি সয়না। :P

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


এটা আপনার নিজের লেখা?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪

আরোগ্য বলেছেন: তথ্যসুত্র উল্লেখ করা হয়েছে। দেখে নিবেন। ধন্যবাদ মন্তব্যে আসার জন্য।

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: আরবী ভাষা এবং বিভিন্ন ভাষায় এর ব্যাবহার নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট। ইংরেজিতে আরবী শব্দ ব্যাবহার হয় এটা আগে জানা ছিল না।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৩

আরোগ্য বলেছেন: আমি অবাক হয়েছে প্রায় সর্বত্র আরবির বিচরণ দেখে। মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ রইলো।

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ইসলাম ধর্মাবলম্বীর দের কাছে আরবি ভাষা একটি পবিত্র ভাষা।
তাই এই ভাষার দুর্বলতা খুব একটা প্রকাশিত হয় না।
সাধারণ দৃষ্টিতে আরবি ভাষা অন্যান্য ভাষার চেয়ে একটি দুর্বল ভাষা মনে হয়।

কুরানিক সময়ে ১৪০০ বছর আগে আরবি ভাষা আরও অসম্পূর্ণ ছিল। অনেক বর্ণমালা ছিলই না, অল্প কয়েকটি বর্ণমালা অসম্পূর্ণ সেগুলো দেখতেও ভিন্নরকম ছিল। যে কারণে প্রাচীন প্রাপ্ত ৮ ৯০০ বছর আগের লিখিত কোরআন গুলো পাঠ উদ্ধার করা আরবদের পক্ষেও সম্ভব হয় না।
পরবর্তীতে আরবি অক্ষর গুলো বিবর্তিত হয়ে বর্তমানে মত হয়েছে। আরো পাঁচ-ছয়টি বর্ণমালা আরবি ভাষায় যুক্ত করা হয়েছে,

এরপরেও অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি বর্ণমালা আরবি ভাষায় নেই যেমন প এবং চ। যেখানে আরবি ভাষায় কবিতা এবং সাহিত্য খুব কম সৃষ্টি হয়েছে। বরং পার্শি এবং উর্দু ভাষায় ইসলামী সাহিত্য এবং কবিতা বেশি সৃষ্টি হয়েছে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৩

আরোগ্য বলেছেন: শর্টহ্যান্ড এ বাংলাভাষা লিখলে কি বাংলাভাষা পরিবর্তন হয়ে যায়? শুধুমাত্র প আর চ এই দুটি বর্ণের জন্য আরবি সাহিত্য কম সৃষ্টি হয়েছে এই বিশাল রহস্য আমার অজানা ছিল :(

৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৭

ঘুম ভাঙ্গা শহরে বলেছেন: তথ্যসূত্র উল্লেখ পুর্বক কফিফেস্ট।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৪

আরোগ্য বলেছেন: আমি তো চা আর পেস্ট ভাবিতেছিলাম।

১০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর। জান্নাতের ভাষাও আরবি, আরবি ভাষার প্রচুর সমর্থক শব্দ রয়েছে যা ভাষাকে করে গতিশীল।+++

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৯

আরোগ্য বলেছেন: আপনার লাইক ও কমেন্টে প্রীত হলাম। সচরাচর আপনারা যে কয়জন আমার পোস্টে মন্তব্য রাখেন তাদের কেউ গতকাল ছিলেন না তাই অপেক্ষায় ছিলাম।

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৪

করুণাধারা বলেছেন: এই লেখা লিখতে কত সময় লেগেছে আরোগ্য? আমার তো বুঝে বুঝে পড়তেই অনেক সময় লাগছে। অত্যন্ত তথ্য বহুল, উপকারী পোস্ট। ধীরে ধীরে পড়ে পরে আরেকবার আসার ইচ্ছা রইল।

আমার ছেলেমেয়েরা কুরআন বোঝার জন্য ডুয়েলিঙগ থেকে শেখে। আমি ইউটিউবে কুরআনিক এ্যারাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ দেখি। সেখানে থেকে দেখেছি আমাদের পরিচিত অনেক বাংলা শব্দ আরবি থেকে নেয়া হয়েছে।

চমৎকার পোস্টটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৭

আরোগ্য বলেছেন: ব্লগে এই পাঁচ বছরে কোন পোস্ট লিখতে এতো কষ্ট হয়নি যে পরিমাণ এই পোস্টের জন্য করেছি। বেশ কয়েকটি বই, পিডিএফ লিঙ্ক, কয়েকটি অনলাইন আর্টিকেল খুব ভালোমত কয়েকবার পড়তে হয়েছে তারপর আরবি ডিকশনারি খুঁজে সহজ অনুবাদের চেষ্টা করেছি। এই পোস্টে সিংহভাগ লেখা আমি বই থেকে, লিঙ্ক থেকে হুবহু তুলে ধরেছি, যেহেতু এটা এনালিটিকাল পোস্ট এবং আমি সব সূত্রও উল্লেখ করে দিয়েছি। এই পোস্টের উপসংহার আমি প্রায় দুবছর আগে লিখেছিলাম। পুরো পোস্ট রেডি করার পর পোস্ট করে দিবো এমন সময় প্রথম ছবিটি পাই তখন আবার কিছু দিনের জন্য থামি এবং এই সুযোগে বৈশিষ্ট্য গুলো ভালোমত অনুসন্ধান করে লিখি। পূর্বে কেবল ৪/৫ টা বাক্যে বৈশিষ্ট্য লিখেছিলাম। মোটামুটি এই আমার লেখার বৃত্তান্ত।

আপা আপনারা কোরআন বুঝার জন্য আরবি শিখতেছেন শুনে ভালো লাগলো। ইউটিউবে এই কোর্সটা করে দেখতে পারেন। কোরআন বুঝতে সহজ হবে।

অনেক ধন্যবাদ আপা পোস্ট ভালোমত পড়ে মন্তব্য ও লাইক করার জন্য। আশা করি লেখাটি উপকারে আসবে।

১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত উপস্থিতির জানান দিলাম। তবে আমি অবশ্য এই বিষয়টি একটু কমই বুঝি। তবুও তোমার নির্দেশ মতো :) হোমওয়ার্ক করে আবার তোমার কমেন্টে ফিরে আসছি।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৪৭

আরোগ্য বলেছেন: : এটা খুব দরকারী পোস্ট। কোন এক সময় মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিও, আশা করি উপকারে আসবে।

১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাবছিলাম, ভালা কইরা পইড়া মন্তব্য করুম। অনেক কয়বার পড়ার এটেম্প্টও নিসিলাম, মাগার এতো বড় পোষ্ট..............টাইম ম্যানেজ করবার পারতাছি না। হের লাইগা প্রিয়তে নিলাম............পরে টাইম কইরা পড়ুম নে। :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৯

আরোগ্য বলেছেন: এই লয়া দুই দুইটা পোস্ট আমার প্রিয়তে লয়া ফালায়া রাখসেন। কত খাটনি খাটলাম এই ছোট্ট একটা পোস্টের লেইগা। কুনদিকে একটু তারিফ কইরা মন্তব্য রাখবেন তা না কইরা ভেটকি ইমো লাগাইলেন। :((

মনে কইরা পোস্টে আহনের লেইগা শুকরিয়া। পরে টাইম কইরা পইড়া লয়েন। আজকা মুরুব্বীর লগে একটু বাজাবাজি করতাসি। :P

১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:




আরোগ্য,

এই পোষ্টে আমার ১৬ নং মন্তব্য এবং তারপর কিছু মন্তব্যে দেখবে কি করে ভিডিও লিংক দিতে হয়

তারপরও যদি প্রশ্ন থাকে, please feel free to ask.


১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩১

আরোগ্য বলেছেন: Thanks a lot dear মিররডডল। কতবার চেষ্টা করার পর পারলাম। পাঁচ বছর আগে একবার রাকু ভাইয়ের কাছে শিখেছিলাম বাট ভুলে গেছি। বয়স হলে যা হয় আরকি :(

পোস্টের সাথে মিল রেখে একটা আরবি গান শেয়ার করলাম।

১৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪২

মিরোরডডল বলেছেন:




congratulations!
অফলাইন থেকে দেখেছি, স্পেস ছিলো বলে হয়নি।
আমি লগইন করলাম এটা বলতে যে স্পেস হবে না।
now all good.

পর পর কয়েকদিন লিংক শেয়ার করবে, তাহলে আর ভুলবে না।
থ্যাংক ইউ গান শেয়ার করার জন্য।

আমিও একটা আরবি গান দিলাম যেটা পোষ্টের মানহানি করবে :)
এই রিদমের সাথে নাচতে ইচ্ছে করবে।
এখানে এক হাবিবীকে আমার মনে ধরেছে, আরোগ্য বলতে পারবে কোনজন?







১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩২

আরোগ্য বলেছেন: একটা সমস্যা হচ্ছে, ভিডিও তো ঠিকঠাক শেয়ার দিতে পারছি কিন্তু পোস্ট করার পর যখন দেখতে যাই মোবাইল হ্যাং হয়ে যায়।

যদিও এখন এসব ঢিংচ্যাং গান দেখা হয়না তাও মিরোরডডলের কথায় হাবিবীকে খোঁজার জন্য দৌড়ের ওপরে দেখতে হলো। নর নারী কোনটাই যুৎসই মনে হলো না :-<

১৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৭

শার্দূল ২২ বলেছেন: আমি মনে হয় আরো ২/৩ বার বেশি জন্মালেও এমন পোষ্ট লেখা আমার পক্ষে সম্ভব হতোনা, আপনার ধর্য্যের প্রশংসা করছি। এত পরিশ্রম করে তথ্য সংগ্রহ করে পোষ্ট লেখার পরে পোষ্টের বিরুধিতা করতে আমার একটুও ইচ্ছে করছেনা। তবুও অল্প কথায় একটু না বললেই নয়।

মুসলিম কোরাণ কে কঠিন বা দুর্বধ্যে ভাবা এবং কোরাণ থেকে দুরে থাকার যত গুলো কারণ আছে তার মধ্যে আপনার পোষ্টা একটা। আপনি আরবি ভাষাকে যেই যায়গায় উঠাইছেন সেটা দেখে আমার আম্মুর কথা মনে পড়লো, উনি কোরাণ এর গিলাফ খুলতে ৩০ মিনিট আর বিড় বিড় করে কি পড়তেন উনি জানেন আর ওনার খোদায় জানে। আবার সেই কোরাণ উনি গিলাফ লাগাতে ৩০ মিনিট, রাখতেন সব চেয়ে উচু আলমিরার উপর। এসব ক্রিয়া কলাপের মাঝে যাও একটু পড়তেন ঢুলে ঢুলে তাও আরবিতেই। দিন শেষে তিনি কিছুই বুঝেননি। এসবের কারণ আম্মুর চোখে কোরাণ হলো পরশ পাথর। ছুইলেই নেকি আর নেকি, হুর আর হুর সরাব আর সরাব, আমরতো কোরাণ থেকে ১০০ হাত দুরে থাকতাম, এতশত পড়ে কোরান খুলবো কিভাবে আর বন্ধ করবো কিভাবে।

আরবি ভাষা হলো পৃথিবীর অষ্টম পুরাতন ভাষা, পৃথিবীতে যতগুলো দুর্বল ভাষা আছে তার মধ্যে আরবি অন্যতম। আর আল্লাহ অলৌকিকতা এখানেই যে এত দুর্বল ভাষা দিয়েই উনি কোরাণের মত শক্তিশালী বই অবতির্ন করেছেন।

আপনার এতসব গবেষণায় হুজুরদের ঐ কথাই সত্য হয় যে কবর এবং আখেরাতের ভাষা হলো আরবি, ফেরেস্তা প্রশ্ন করবে মান রাব্বুকা, আপনি যদি আরবি না জানেন আর সিলেটের ভাষায় জবাব দেন ফেরেস্তা তুলে আছাড় দিবে । আমাদের এক জেঠি ছিলো, আমরা তাকে বুলির মা জেঠি ডাকতাম যে বাংলা ভাষা তো জানেইনা, বরং নোয়াখালির ভাষাকেও খালে ফেলে ওনার নিজস্ব ভাষায় কথা বলতেন। ওনার যে কবরে কি অবস্থা হইসে আর বিচার দিবসে কি হবে আমি সেই চিন্তায় আছি, নিশ্চই উনি এখনো পেন্ডিং ফাইলে আছেন।

আরো অনেক কথা বলার আছে আরবি ভাষা নিয়ে, তবে একটা কথাই বলি আল্লাহর কোন ভাষার দরকার হয়না, উনি খুব বড় গলায় বলেছেন- আমাকে তোমরা স্বরণ করো, আমিও তোমাদের স্বরন করবো, শুধু স্বরণ । সুতরাং কোন ভাষাকে এতটা মাথায় তোলার কিছু নেই। আজকে হুজুরদের বক বক আমাদের শুনতে হয় কারণ তারাও আরবি ভাষাকে কঠিন কঠিন বলে আমাদের অনেক দুরে সরিয়ে রেখেছিলো সমাজে তাদের প্রোয়জনিয়তা ধরে রাখতে।

যাই হোক একটু মজা করলাম।

আবারও আপনার শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধা আসবো আবার সুযোগ করে ,

শুভ কামনা

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫২

আরোগ্য বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম। ধৈর্য ধরে এত দীর্ঘ পোস্ট পড়েছেন এবং গঠনমূলক দীর্ঘ মন্তব্য রেখেছেন তার জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ দিতেই হয়। আপনি আমার ধৈর্যের প্রশংসা করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। এতো বড় পোস্ট পড়েও আপনি আমার লেখা ভুল বুঝেছেন। হয়তো আমিই আমার বক্তব্য পরিস্কারভাবে তুলে ধরতে পারিনি, এটা আমার ব্যর্থতা, সেজন্য আমি দুঃখিত।

পুরো পোস্টের সারাংশ আমি উপসংহারে এনে দেয়ার চেষ্টা করেছি তবুও আরেকটু ব্যাখ্যা দিচ্ছি। মূলত এই পোস্ট দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরা যারা মুসলিম, কোরআনকে ভালবাসি, পড়ার চেষ্টা করি ( অন্তত রমজান মাসে) তারা যাতে মোটামুটি এই ভাষাটা কিছুটা শিখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি, আগ্রহ পাই। আপনি হয়তো উপসংহারটা স্কিপ করে গেছেন। আমিও কিন্তু আপনার মত একই কথা বলেছি।

আজ যদি প্রতি বাড়িতে অন্তত আমরা একজন আরবি ভাষা জানতাম তাহলে পান থেকে চুন খসলেই হুজুরদের নিকট দৌড় দিতে হতোনা। বিয়ে পড়ানো থেকে শুরু করে কবরস্থ করা পর্যন্ত সবকিছু নিজেদের লোকই করতে পারতো।

আরো কিছু কথা নিচে মিরোরডডলের প্রতিমন্তব্যে রাখার চেষ্টা করেছি। কষ্ট করে দেখে নিবেন।

আমার কষ্টটা মূল্যায়ন করতে পেরেছেন সেজন্য আরো একবার ধন্যবাদ জানাই । আপনার মন্তব্যে প্রীত হলাম।

১৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন:




শার্দূল ২২ বলেছেন: উনি কোরাণ এর গিলাফ খুলতে ৩০ মিনিট আর বিড় বিড় করে কি পড়তেন উনি জানেন আর ওনার খোদায় জানে। আবার সেই কোরাণ উনি গিলাফ লাগাতে ৩০ মিনিট, রাখতেন সব চেয়ে উচু আলমিরার উপর। এসব ক্রিয়া কলাপের মাঝে যাও একটু পড়তেন ঢুলে ঢুলে তাও আরবিতেই। দিন শেষে তিনি কিছুই বুঝেননি।

so sorry, I shouldn't laugh but I did :(
ধর্ম কঠিন কিছু না, মানুষ সেটাকে অকারণে কঠিন করে।

আখেরাতের ভাষা হলো আরবি, ফেরেস্তা প্রশ্ন করবে মান রাব্বুকা, আপনি যদি আরবি না জানেন আর সিলেটের ভাষায় জবাব দেন ফেরেস্তা তুলে আছাড় দিবে ।

আবারও হাসলাম।
আমিতো আরবি ভাষায় কথা বলতে পারিনা।
আমাকে প্রশ্ন করলে আমি বাংলায়ও উত্তর দিবোনা।
ফ্রেঞ্চ ভাষায় বলবো je ne sais pas :)

শার্দুলের মন্তব্যের সাথে পূর্ণ সহমত।


১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১১

আরোগ্য বলেছেন: আমার কিন্তু কোরআনের প্রতি মানুষের এহেন ভক্তি দেখে একটা প্রবাদ মনে পড়ছি। সেটা আর উল্লেখ করছি না, কোরআনের বেলায় একটু বেমানান শোনা যায় তাই। একটু ব্যাখ্যা তো করতেই পারি। কোরআনকে তো আল্লাহ বুঝার জন্য অবতীর্ণ করেছেন, সাজিয়ে রাখার জন্য না। রোগী যদি প্রতিদিন তিন বেলা ওষুধের বোতল খুলে ঘ্রাণ নিয়ে আবার তা তুলে রাখে, সেবন না করে তবে অসুখ সারবে কিরূপে? :||

পুলিশ যখন চোরকে মাতৃভাষায় নাম জিজ্ঞেস করে তখন চোর নামও ভুলে যায়। আবার অজ্ঞাত কোন পথিক যখন ভীনদেশী ভাষায় ঠিকানা জিজ্ঞেস করে তখনও লোকালয়ের মূর্খ লোকটি ইশারায় তা বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়। পটর পটর আরবি জানলেই কিন্তু হবে না, যদি জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি অপরাধী হয় তাহলে কিন্তু তার হালত চোরের অনুরূপ :P


১৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪০

মিরোরডডল বলেছেন:




একটা হাবিবি ছাড়া বাকিগুলো আমারও মনে ধরেনি।
তবে এরাবিক গানের মিউজিক রিদম আসলেই মজার হয়।
এটা বহু পুরনো গান, আরোগ্যর শেয়ার দেখে ওটা বের করলাম :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১৭

আরোগ্য বলেছেন: ওসব রিদম ফিদম ওয়ালা গান আমি দেখিনা। B:-/

আমি যার গানটা শেয়ার দিয়েছি তার কণ্ঠটা বেশ soothing. You can try Muhammad al Muqit.

পুনরায় আগমনের জন্য ধন্যবাদ মিররডডল। আর একটা উত্তর দেয়া বাকি তারপর ঘুম দিতে হবে। |-)

১৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫০

মুক্তা নীল বলেছেন:
এতগুলো আরবি শব্দ ইংরেজিতে আছে তা আমি তো জানতামই না এবং তুমি বিভিন্ন অর্থ দেখিয়েছো ও সমার্থক শব্দগুলো পূর্ণ অর্থ বিশ্বাস করো এসব আমি কিছুই জানতাম না , তোমার লেখাপড়ে আমার অনেক কিছুই জানা হলো ।
লেখাটা আমি প্রিয়তি নিয়ে রাখছি । তোমার পরিশ্রম সার্থক।
আরোগ্য কে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২৩

আরোগ্য বলেছেন: মুক্তানীল আপুর নতুন প্রো পিক। তবে নীল শাড়ি হলে কিন্তু নামের সাথে পুরো মিলে যেত। আশা করি প্রিয় আপু সুস্থ ও ভালো আছেন।

প্রিয়তে তুলে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। লাইক ও মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। আগমনের অপেক্ষায় ছিলাম।

মুক্তা আপুর আগামীর প্রতি মুহূর্ত সুন্দর ও সহজ হোক। বেশ রাত হয়েছে আর মন্তব্য দীর্ঘ করছি না। পরে কথা হবে আবার।

২০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ কোর্সের লিঙ্ক দেবার জন্য। আমি এটা দেখছি...

আমি খুব কম মানুষকে দেখেছি কুরআন বুঝে পড়তে। কুরআন পড়ে প্রতি অক্ষরে ১০ (কিংবা ৭০) নেকি হাসিল করা বাদ দিয়ে এর ভাষা বোঝার জন্য সময় নষ্ট করতে কেউ রাজি না!! অথচ বুঝে পড়লে জানতে পারতো কুরআনের কত ভুল interpretation তারা মেনে চলেছে।

যদি একজন পাঠকও আপনার পোস্ট পড়ে কুরআন বুঝে পড়তে আগ্রহী হয়ে উঠেন, তাইই যথেষ্ট। আমার ধারণা তেমন পাঠক আপনি পেয়ে গেছেন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আরোগ্য বলেছেন: আপা আপনার মন্তব্যটা পেয়ে আমি ভীষণ কৃতজ্ঞতা জানাই। কিছু বাঘা বাঘা মন্তব্য পেয়ে মনটা খুব খারাপ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। কিন্তু এ দিকে আপনার মন্তব্যটি প্রতিষেধকের কাজ করছে। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
নতুন একটা পোস্ট দিয়েছি সেখানে একটা সহজ কোর্সের লিংক শেয়ার করেছি। রমাদানের পূর্বে এটা শেষ করে নিতে পারেন। আর এখন যেটা করছেন সেটা আমিও করেছি। যদিও অনেকের ধৈর্য কুলাবে না তাই এটা সর্বসাধারণের জন্য শেয়ার করিনি। আমি চাই আপনি অবশ্যই বাইয়্যেনাহ্ এর কোর্সটি শেষ করবেন অনন্ত যতটুকু ইউটিউবে আছে। আমাদের পিডিএফ দেয়া হয়েছিল, আপনার যখন লাগবে আমাকে জানাবেন।

২১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮

শার্দূল ২২ বলেছেন: সুন্দর সাবলীল জবাবের জন্য ধন্যবাদ আরোগ্য ভাইকে।

আমি আপনার উপসংহার সহ পুরো বিষয়টাই বুঝে মন্তব্য করেছি, আপনি বোঝাতে চেয়েছেন আমাদের সবার কোরাণ বুঝে পড়া উচিৎ, তার মানে কারো অনুবাদ না পড়ে নিজে সরাসরি আরবি শব্দার্থ বুঝে পড়তে হবে, তার মানে আপনাকে আরবি ভাষা পড়তে এবং শব্দের অর্থ বের করে জানতে হবে । কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি এটাই আর এখন দরকার নেই, প্রথমিক ভাবে কোরাণ বোঝার জন্য যতটুকু অনুবাদ দরকার ছিলো ততটুকু অনুবাদ অলরেডি হয়ে গেছে।নতুন করে আপনি যদি শব্দের মানে বুঝতে যান তা পুর্বে যা অনুবাদ হয়েছে সেটাই পাবেন। কিন্তু কোরাণে এর বাইরে যেসব সাইন্স ম্যাথ হিষ্ট্রি আছে সেসব বুঝতে হলে আপনার এই তিন বিষয়ের উপর পড়ালেখা করতে হবে । আর আপনি যখন কোন আরবি শব্দ বুঝতে যাবেন তখন সেটাকে আপনি মনে মনে আপনার নিজের ভাষায় অনুবাদ করেই বুঝবেন। যেমন আরবি শব্দ 'তাল' এর মানে হলো 'আসো '। এই আসো কথাটা আপনি আপনার ভাষাতেই বুঝবেন। আপনি এরাবিয়ান হলে তাল বলতেই আপনি বুঝে যেতেন, আপনাকে আবার আপনার ভাষায় আসো শব্দটা মাথায় আনতে হতোনা।
সুতরাং আপনি বাংলা অনুবাদ পড়লেই আপনি কোরাণের প্রথমিক বিষয় গুলো বুঝে যাবেন।

আর বাকি যেই বিষয় গুলো আছে সেটা হলো সাইন্স ম্যাথ হিষ্ট্রি- এসব অনুবাদেও আপনি পাবেননা। এসব বুঝতে হলে আপনাকে এই তিন বিষয়ের উপর মোটামুটি ধারণা থাকতে হবে। যেমন আল্লাহ বললেন - ইহুদিরা বলে মানুষ মরে গেলে তাকে মাটি খেয়ে ফেলবে, আমি আবার তাদের পুনরায় কিভাবে সৃষ্টি করবো- আপনি বলে দেন, আমি জানি মাটি কতটুকু খেতে পারে। এই হলো আল্লাহর কথা, এখন আপনি এই কথার যত অনুবাদ করেননা কেন অন্য আর কোন অর্থ বের হবেনা। এখন আপনার কাজ হলো মাটি কেন পুরোটা খায়না, কি খেতে পারেনা মাটি। এই ভাবনার জবাব কোন আরবি ভাষার পন্ডিত বের করেনি বা করতে পারবেনা। পেরেছে বিজ্ঞান। আমরা জানি একটা মানুষকে যদি বাঘে খেয়ে ফেলে এবং সেই বাঘের মল মু্ত্র দিয়ে মানুষের ডিএনএ মাটিতে এসে পড়ে। তার মানে ডিএনএ নষ্ট করার মত কিছু দুনিয়াতে নাই। তাহলে বিষয়টা কি দাড়ালো। আল্লাহর এই চ্যালঞ্জ আমরা বুঝতে পেরেছি বিজ্ঞানের কল্যাণে। এইভাবে ফিঙ্গার প্রিন্টের কথাও বলতে পারি, যখন আল্লাহ বললেন- নবি আপনি ইহুদিদের বলে দেন আমি তাদের শুধুই পুনরায় সৃষ্টি করবোনা, আমি তাদের আঙ্গুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত মিলাবো। এখানেও অনুবাদ এতটুকুই। ফিঙ্গার প্রিন্ট বিষয়টা বিজ্ঞানের আবিষ্কার। এই জন্য আল্লাহ বার বার আলেম(মাদ্রাসার হুজুর না কিন্তু) মানে জ্ঞানি মানুষের কাছে যেতে বললেছেন আল্লাহ সৃষ্টি বোঝার জন্য।

আরেকটা উদাহারণ দেই। আল্লাহ বলছেন আমি জমিনকে সম্প্রসারিত করলাম, এর পর তার উপর পাহাড় বসালাম। এরপর জোড়ায় জোড়ায় ফলফ্রুটস সৃষ্টি করলাম। হুজুরদের প্রশ্ন করলাম । পরেরগতি (প্রগতিশীল) হুজরদের, প্রশ্ন করলাম জমিন সম্প্রসারিত মানে কি? কোন জমিন, পাহাড় কেন দিলো। জোড়ায় জোড়ায় মানে কি? তারা জবাব দিলো জমিন সম্প্রসারিত মানে বিগব্যঙ।( তবুও বিজ্ঞান থেকে ধার করা, যদিও কথাটা সত্য নয়)। পাহাড় দিসে যেন জমিন না ঢুলে। জোড়ায় জোড়ায় মানে জামাই বউ। এর বাইরে ওনাদের কোন জ্ঞান নাই, তাই এটা বলে আমাদের সামলেছেন। কারণ ওনারা অনুবাদ করে যা বুঝেছেন তাই ।


আমাদের পৃথিবীর জমি একসাথে ছিলো, আল্লাহ সেই ল্যান্ড কে বিভিন্ন মহাদেশের ভাগ করে দিয়েছেন জমিন কে ভেঙ্গে ভেণ্গে । যাদের ইতিহাস ,ভৌগলিক জ্ঞান আছে তারা জানেন। এবার আসুন পাহাড় কেন দিলো। আপনি দেখবেন আমাদের দুনিয়াতে মেজর পাহাড় গুলো নর্থ টু সাউথ। আর পৃথিবীর ঘুর্ণায়নের ফলে সমস্ত মেঘ বিষুব রেখায় এসে ঘুরতে থাকে পুর্ব থেকে পশ্চিমে। এই পাহাড়ের কারণে সেটা আর পারেনা, পাহাড় মেঘ গুলোকে দুনিয়াতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়। যেমন হিমালয়ের কারণে আমাদের দক্ষিন এশিয়া এবং চিন সহ দেশ গুলোতে বৃষ্টি হয়।
এবার আসুন জোড়ায় জোড়ায় কি? মেল ফিমেল হতেই পারেনা, আল্লাহ যখন যেটা বলে সেটা ১০০ ভাগ সত্য। তার কোন হের ফের হবেনা। আমরা জানি সব প্রানী জোড়ায় জোড়ায় নাই, যেমন এক কোষী প্রানীর কোন মেল ফিমেল হয়না। এই জোড়া হলো ডিএন এ ডাবল হেলিক্স। আল্লাহ সব সৃষ্টি ডিএনএ থেকে।
এখন দেখেন আল্লাহ কথার ধারাবাহিকতা মিলছে কিনা, প্রথমে জমিন ভাগ, তারপর এই জমির প্রাণের সৃষ্টি করতে পানি লাগবে, পানি আসবে মেঘ থেকে কিন্তু দুষ্ট মেঘ রেল গাড়িরি মত বিষুব রেখায় দৌড়ায়, আল্লাহ দিলেন ব্যেরিকেড পাহাড় বসায়, এবার মেঘ তুই যাবি কই, বৃষ্টি হলো পানি হলো এবার উনি গাছপালা ,প্রাণের সৃষ্টি করলেন ডিএনএ থেকে।

এবার আপনি আমাকে বলুন আরবিকে ব্লেনডার দিয়ে দই বানিয়ে খেয়ে ফেল্লে কি আপনি এসব সাইন্স পাবেন? যদি আপনার সাইন্স না পড়া হয় ?
এভাবে আরো হাজার হাজার সাইন্স ম্যাথ ইতিহাস কোরাণে আছে। সময় পেলে আরো কিছু বলার চেষ্টা করবো।

আল্লাহ বলেছেন তারা বলে আমি কোরাণ কে হিব্রু ভাষায় কেন অবতির্ন করিনি, তাদের বলেন নবি হলো আরবি ভাষার, আমি কোরাণ কিভাবে হিব্রু ভাষায় পাঠাবো। যাকে দিয়ে কোরাণ প্রচার করবো সেই যদি না বুঝে তাহলে এটার ব্যখ্যা কে করবে।

কোন ভাষার শব্দের যত বেশি প্রতি শব্দ থাকবে বুঝতে হবে সেই ভাষা দুর্বল। আরবি ভাষায় যেমন হিব্রু ভাষার শব্দ আছে তেমনি আরবি ভাষার পরের ভাষা গুলোর মধ্যে আরবি শব্দ থাকবে এটাই নিয়ম।

আর আরবি ভাষার কোন ব্যাকরণ ছিলোনা, কোরাণ থেকেই আরবির ব্যকরণ সৃষ্টি। তার মানে ১৪০০ বছর আগের ঘটনা। আপনি জানেন কিনা জানিনা, এই ভাষা এতটাই দুর্বল যে এই ভাষায় কথা বলে বোঝাতে গেলে ব্যক্তির অঙ্গের ব্যবহার করতে হয় অন্য অনেক ভাষা থেকে বেশি। যেমন - আনা ইজি। এর মানে আমি আসবো বা এসেছিলাম বা এই আসলাম। এই তিনটা কাল কে বোঝাতে আরবরা তাদের হাতের ব্যবহার করেন। যেমন যদি কোন আরব বলতে চায় আমি আগামি কাল আসবো তখন তাকে তার হাত সামনের দিকে ছুড়ে দিয়ে বলতে হয় আনা ইজি। আর যদি বলে আমি এসেছিলাম তাহলে তার হাত পিছনে দিকে দিয়ে বলতে হয়- আনা ইজি মানে আমি এসেছিলাম, এমন অনক দুর্বলতা এই ভাষায় আছে।

মন্তব্য অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, পরে আসবো ।

শুভ কামনা আপনার জন্য

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৫

আরোগ্য বলেছেন: পুনরায় মন্তব্যে আসার জন্য এবং সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই। এ মন্তব্য উত্তর কিছু বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই।

আমি যখন ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করতাম, তখন বুকলিস্টে উল্লেখিত সকল বই কিনে নিতাম। কোন সেশনে ৩০/৪০ টা পর্যন্ত বই ছিল। অন্য সহপাঠীদের দেখতাম তারা ছয়টা সাবজেক্ট এর জন্য ছয়টা গাইড বই কিনে নিত। কেউ কেউ গল্পের অনুবাদ কিনে নিতো। আমি ডিকশনারি খুঁজে খুঁজে শব্দার্থ নোট করে রাখতাম। বলা বাহুল্য যে ব্যবহারিক ভাষা ও সাহিত্যের ভাষায় বিস্তর তফাত বিদ্যমান। একবার অনুবাদ পড়ে দেখি, মূল বইয়ের কথা আর অনুবাদ কেমন জানি খাপছাড়া। অনুবাদ পড়ে কখনো সাহিত্যের রস আস্বাদন করা যায় না। তখনই আরবি শিখার আগ্রহ জাগে।

আমাদের পুরান ঢাকায় অনেক সময় দেখা যায় এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে গালি দিয়ে ডাক দেয় এতে কিন্তু কেউ রাগ করেনা। আবার একই গালি রাগের বশে শত্রুকেও দেয়। এখন কোন বহিরাগত যদি গালি শোনা অভিযুক্ত ব্যক্তির মা বাবার পেশা সম্পর্কে ধারণা করে বসে তাহলে এখানে কেবলই বুঝার ভুল হবে। এখানে একই শব্দের বিপরীতার্থক ব্যবহার ঘটে । পরিবেশ ভাষার প্রয়োগের উপর প্রভাব বিস্তার করে।

আবার দেখেন রাগ, ক্ষোভ, ক্রোধ, রোষানল একটি আরেকটির প্রতিশব্দ কিন্তু শব্দের ব্যবহার ও গাম্ভীর্যের বেশ পার্থক্য রয়েছে। যার শব্দ ভাণ্ডার যত সমৃদ্ধ সে তত বেশি শব্দের গভীরে প্রবেশ করতে পারবে। প্রতিশব্দের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বক্তা তার ভাবগাম্ভীর্য আরো নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে।

বই পড়ে কি সাঁতার শিখা যায়? অবশ্যই সাঁতার শিখার জন্য একজন সাঁতারুর নিকট যেতে হবে। যেমনটি আপনি বলেছেন কোরআনে রয়েছে সাইন্স ম্যাথ হিস্ট্রি। এবার এসব বিষয়গুলো জানার জন্য অবশ্যই যারা এই বিষয়গুলোতে বিজ্ঞ তাদের নিকটই যেতে হবে। সাইন্সের বিষয় বুঝতে যদি আমরা হিস্ট্রি টিচারের কাছে যাই তাহলে এটা আমাদের অজ্ঞতা।


আমি যতদূর মনে পড়ছে সম্ভবত ৫% কিংবা ১৫% ফুসহা কোরআনে ব্যবহৃত হয়েছে, যা অধ্যায়ন করা তেমন কঠিন কিছু না একজন অনারবের জন্য। আর আল্লাহ স্বয়ং বলেছেন তিনি কোরআনকে সহজ করেছেন। কঠিন করেছেন তারাই যাদের হাতে আমরা শরীয়তের হুকুম আহকাম বুঝার ও কোরআন হাদিসের জ্ঞান চর্চার দায়িত্ব অর্পণ করেছি।

এটাও বলা সমীচীন যে সবার সব বিষয়ে আগ্রহ হবে না। যতটুকু জানা অপরিহার্য তা হয়তো অনুবাদ পড়ে জানা সম্ভব কিন্তু আরো বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই আরবি শিখতে হবে এবং এটাই সত্যি যে কোরআন সহজে বুঝার জন্য আরবি ব্যাকরণের সৃষ্টি হয়েছে তেমনি বালাগাতেরও। আমাদের মা খালা ফুপুরা যেভাবে সব সময় পড়ে আসছে তারা সেভাবেই পড়বে যতই তাদের বুঝাতে চেষ্টা করি না কেন। কিন্তু চাইলে আমরা এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কোরআনকে উপলব্ধি করার জন্য আরবি শিখাতে উদ্ভুদ্ধ করতে পারি।

অনেক ধন্যবাদ আবারও।

২২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

মহান আল্লাহ সোবাহানাতায়ালা কুরআনকে আরবী ভাষায় নাজিল করেছেন যাতে নাদান মানুষ ইহা সহজেই বুঝতে পারে।
আরবী অনেক সহজ ও সুন্দর একটি ভাষা।
জান্নাতের ভাষাও হবে আরবী।
সবারই আরবী ভাষা শিক্ষা করা দরকার।
ইহার কোন প্রকার বিকল্প নাই।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৭

আরোগ্য বলেছেন: সত্য বচন।

অনেক ধন্যবাদ আগমন ও মন্তব্যের জন্য।

২৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




প্রিয় আরোগ্য,

আমার কোন কমেন্ট কিন্তু এই পোস্ট সম্পর্কিত নয়, কারণ এই পোষ্ট বোঝা এবং সে সম্পর্কে বলার যোগ্যতা আসলেই আমার নেই, আমি এগুলো বুঝি কম। আমার কমেন্ট শার্দুলের প্রথম কমেন্টকে সহমত করে, যে বিষয়গুলো আমিও একইভাবে বিলিভ করি, আমার মনে হয় আরোগ্যও তাই করে।

আর সব ভাষার মতো আরবি একটা ভাষা। ভাষা সঠিকভাবে শেখা এবং প্রয়োগ অবশ্যই ইম্পরট্যান্ট। ধর্মগ্রন্হ কেন এই ভাষায় তাই নানারকম অমূলক ভয় বা নিয়ম করে এমন অবস্থা হয়েছে যে অনেকে এই কারণে শেখা বা জানা থেকে দূরে থাকে, যেটার উদাহরণ শার্দুলের কমেন্টে দেখেছি এবং একমত হয়েছি।

কোরআনকে তো আল্লাহ বুঝার জন্য অবতীর্ণ করেছেন, সাজিয়ে রাখার জন্য না। রোগী যদি প্রতিদিন তিন বেলা ওষুধের বোতল খুলে ঘ্রাণ নিয়ে আবার তা তুলে রাখে, সেবন না করে তবে অসুখ সারবে কিরূপে?

I believe we all agreed about it.
অল্প পড়া হোক কিন্তু সেটা অর্থ বুঝে জেনে পড়া হোক, শুধু মুখস্থ করার জন্য না।
পড়তে হবে জানার জন্য, বোঝার জন্য।

পুলিশ যখন চোরকে মাতৃভাষায় নাম জিজ্ঞেস করে তখন চোর নামও ভুলে যায়। আবার অজ্ঞাত কোন পথিক যখন ভীনদেশী ভাষায় ঠিকানা জিজ্ঞেস করে তখনও লোকালয়ের মূর্খ লোকটি ইশারায় তা বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়। পটর পটর আরবি জানলেই কিন্তু হবে না, যদি জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি অপরাধী হয় তাহলে কিন্তু তার হালত চোরের অনুরূপ

এটাও কিন্তু আমরা সবাই একই কথা বলছি। আমার কমেন্টে ফান করে যা বলা হয়েছে সেটার অর্থ কিন্তু এই, কে কোন ভাষায় কথা বললো সেটা ম্যাটার না, কি বললো সেটা ম্যাটার। সৃষ্টিকর্তার কাছে সকল ভাষাই গ্রহণযোগ্য। ইভেন যার মুখে কোন ভাষা নেই, বোবা, তার সাথেও কোন কমিউনিকেইট করতে সমস্যা হবার কথা না।

আবারো আগের কথা বলেই চিঠি শেষ করি, একজন বিলিভারের জন্য ধর্ম কর্ম খুব সহজভাবেই করা যায়, কিছু মানুষ অকারণেই এগুলো জটিল করে।
To me, religion it's all about a belief. Respect & gratitude between me & my creator.

থ্যাংকস আরোগ্য। ভালো থাকবে।


১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৩

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় মিরোরডডল,

আমি তো এটাই বিশ্বাস করতাম যে, মিরোরডডল এ ধরনের পোস্ট পড়ে না। আমি তো মিরোরডডলের মন্তব্য পেয়ে বেশ অবাক হয়েছিলাম। শার্দূল ২২ এর মন্তব্য আমি পুরোপুরি নাকচ করিনি। আমি যতটা সম্ভব সহজে সংক্ষিপ্তভাবে উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি।

এবার আরেকটা উদাহরণ দেই। আমাদের সবচেয়ে প্রিয়জন যদি ভিনদেশী ভাষায় আমাদের কোন চিঠি লিখে, সেই চিঠি বুঝি আর না বুঝি সযত্নে কিন্তু আগলে রাখবো। বারবার খুলে চোখ বুলাবো। আর যদি রিডিং পড়তে সমর্থ হই তাহলে কিন্তু বারবার পড়বো। আর যদি কোন মতে সে ভাষা রপ্ত করতে পারি তবে সে চিঠির মাহাত্ম্য কতগুণ বেড়ে যাবে তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে। পরে যতই অনুবাদ পড়ে শোনাক, যার যে প্রিয় সে ই তার কথার প্রগাঢ় মানে উপলব্ধি করতে পারবে।


আচ্ছা সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলাম একটু ব্যস্ত আর নেট কানেকশনেও সমস্যা।

২৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮

নতুন বলেছেন: আরবী ভাষায় ধর্মীয় কিতাব নাজিল হয়েছে বলেই আবনার কাছে এই ভাষাকে এতো ভালো লেগেছে।

আনেকে লবনকে নুন বলে তাতে ১০ নেকি বাওয়ায় বলে।

আরবী ভাষায় প, চ বর্ণ নাই। তাই বোঝেন বেবসি, গোলাব, বেন, বাইব, বাখী, বদ্মা নদী, ব্রেমিক ব্রেমিকা, এমন ভাবে যেই ভাষায় অন্য ভাষার শব্দ উচ্চারন করতে হয়। তখন সেই ভাষাকে অতি উচ্চ মানের ভাষা বলতে ব্রবলেম হইতেই বারে।

বিশ্বাসীদের কাছে কোন যুক্তি খাটেনা, তাই নো ব্রোবলেম, আবনার আরবী ভাষাই সেরা... ;)

নম্বার ওয়াহেদ ভাষা...

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

আরোগ্য বলেছেন: সেরা অসেরা কথা না। কোরআন আরবিতে তাই আমি মনে করি যারা কোরআন নিয়ে গভীর চিন্তা করতে চায় তাদের আরবি শিখা জরুরি।

শোকরান মন্তব্যের জন্য।

২৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫

নতুন বলেছেন: প্রজ্জ্বল প্রভাতে পাখী, প্রসারিত পাখা
- সুদীপ তন্তুবায় (নীল)
১৪-০১-২০২৪
প্রজ্জ্বল প্রভাতে পাখী, প্রসারিত পাখা,
প্রিয়তমা প্রস্থানিছে-পর প্রতিবেশী !
প্রস্ফুটিত পরিমল, পল্লব প্রশাখা,
পরাজিত প্রাণখানি পাতাল প্রবাসী ।
পানি পরে পাটাতন প্রতীপে পাতিয়া,
পদ্যময় পরিনাম-পূর্ণ পরাজয় !
পরিখা প্রবহমান, প্রতিবিম্ব প্রিয়া,
প্রতিকূলে পূর্ণ প্রাণ পুরো প্রশ্নময় ।

পশ্চাদে পিছিয়ে প্রিয়া পথে পদার্পণ,
প্রাসাদ পাতাল পরে পার্থিব প্রতীপ !
পশ্চিমেতে পারাপার-পর প্রিয়জন,
প্রজ্জ্বলিবে পরজন্মে প্রিয়ার প্রদীপ ।
প্রিয়াহীন প্রাণখানি প্রায় পরিমিত
প্রভাতে পহেলা প্রেম, প্রিয়া পরিচিত ।
রচনা : ০৮/০৭/২০১৩
(https://banglarkobita.com/poem/view/1012)

উপরের সনেটি প শব্দ দিয়ে লেখা। আরবী ভাষায় এই সনেট লেখা সম্ভবনা।

এই সনেটটা যদি প এর বদলে ব দিয়ে পড়েন তবে বুঝতে পারবনে আরবী ভাষার কত কিছু ঘারতি আছে...

আমাদের বাংলা ভাষা অন্য যে কোন ভাষার চেয়ে বেশি সমৃদ্ধ বলেই আমার মনে হয়।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০০

আরোগ্য বলেছেন:

|-)


|-)

২৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই লয়া দুই দুইটা পোস্ট আমার প্রিয়তে লয়া ফালায়া রাখসেন। ফালায়া রাখলাম কই, প্রিয়তে রাখছি। চোখের সামনে আছে। এই পোষ্ট দুইটা খালি একবার পড়লেই হইবো না, বুঝনের লেইগা বারে বারে পড়ন লাগবো। প্রিয়তে না থাকলে তো ভুইলাই যামু গিয়া যে, এমন দুইখান পোষ্ট আছে। :)

কত খাটনি খাটলাম এই ছোট্ট একটা পোস্টের লেইগা। কুনদিকে একটু তারিফ কইরা মন্তব্য রাখবেন তা না কইরা ভেটকি ইমো লাগাইলেন। :(( ভেটকি তো তারিফ থিকাই আহে..........নাকি মিছা কইলাম!! এতো মোহব্বতের লগে ভেটকি দিলাম, হেইটাও না-পছন্দ হইলো!! দিলে চোট পাইছি!!! B:-)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১১

আরোগ্য বলেছেন: একমাস পর যে আমার এই পোস্টে এতো ভারী ভারী মন্তব্য আইবো কল্পনাতে ভাবি নাই। এই গুলির উত্তর দিতে দিতে আমার ক্যালরি ডাউন হয়া গেসে। তার উপর দুই দিন ধইরা ওয়াই ফাইও ডিসটার্ব। :(

আচ্ছা টাইম কইরা পইড়েন কইলাম, প্রিয়তে হুদাই ঝুলায়া রাইখেন না। :P


এত ভেটকি হুইনা আমার ছোটকালের কথা মনে পইড়া গেসেগা :(( ছোটকালে আমার নাম আছিলো ভেটকি মাছ। ছোটকালে কইলাম, এহন না। আল্লাহ বাচাইসে আবেগের ঠেলায় আমার নিক ভেটকি মাছ যে দেই নাই। :P এইটা আবার আপনে কেওরে কয়া দিয়েন না।

দিলে চোট রাইখেন না, আমরা আমরাই তো। :)

২৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরোগ্য। আমি একটা কোর্স অনেক দূর করেছি, সেটা শেষ না করে অন্য কোর্স শুরু করতে চাচ্ছি না।

রমাদান আগমনী পোস্ট দেখেছি। পরে মন্তব্য করবো ইনশাআল্লাহ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৪

আরোগ্য বলেছেন: আপা আপনার কথাই ঠিক। আমি যখন কোর্স শুরু করি তখন উস্তাদ বলে দেয় যাতে আমরা আপাতত অন্য কোন কোর্সে হাত না দেই। আসলেই এতে মনোযোগ বিঘ্নিত হয়। অবশ্যই যেটা শুরু করেছেন সেটা শেষ করবেন।

অনেক শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.