![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আজ তার বার্ধক্যে এসে পড়েছে, শৈশব পেড়িয়ে যৌবন ও সে হারিয়েছে, তাই বৃথা আনন্দ করো না, ক্ষণিকের সময় হাতে, নশ্বর এ পৃথিবী যেন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। সে মৃত্যু আসার আগে আজ তীর্থে ভ্রমণ করো, পবিত্র জলে হে পৃথিবী তুমি অবগাহন করো। ধুয়ে ফেলো তোমার গায়ের শত কালিমা, সাজিয়ে নাও বিদায়ের আগে আবার আঙিনা।
শিক্ষা :
শিক্ষা হল জ্ঞানলাভের একটি পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া এবং ব্যক্তির সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের অব্যাহত অনুশীলন। ইউনেস্কোর একটি গবেষণা অনুসারে, "একজন ব্যক্তির শারীরিক, বৌদ্ধিক, মানসিক এবং নৈতিকভাবে একজন সম্পূর্ণ পুরুষ/নারীর সাথে একীভূত করাই শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য।" সক্রেটিসের ভাষায় “শিক্ষা হল মিথ্যার অপনোদন ও সত্যের বিকাশ।”
এরিস্টটল বলেন “সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হলো শিক্ষা।
অর্থাৎ শিক্ষা এমন একটা ব্যবস্থা যার ফলে মানুষ স্রষ্টা প্রদত্ত মেধার বিকাশ সাধন করতে পারে, অজানাকে জানতে পারে, সত্য - মিথ্যা, ন্যায় অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য করতে পারে যার ফলে মানুষের মাঝে আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয়, নিজের মতামত সকলের সামনে তুলে ধরতে পারে, সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে। সভ্যতার প্রধান উপাদান হলো শিক্ষা। শিক্ষার আলোয় মানুষ অন্ধকারকে জয় করে। অজ্ঞতার অভিশাপ থেকে পরিত্রাণ পায়। শিক্ষাই মানুষের ভিতরে লুক্কায়িত পশুত্বকে অবদমিত করে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটায়। মানুষ ও পশুর মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে, বিবেকবোধ জাগ্রত করে।
ইসলামের দৃষ্টিতে শিক্ষা:
মহান আল্লাহ মানবজাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর এ যোগ্যতা নেই। নারী পুরুষ নির্বিশেষে উভয়ের শিক্ষা অর্জনের অধিকার আছে কারণ মহান আল্লাহ উভয়কেই সেই যোগ্যতা দান করেছেন। পবিত্র কোরআনে সর্বপ্রথম যে আয়াতগুলো নাযিল হয় সেখানে শুরুতেই আছে,
ٱقْرَأْ بِٱسْمِ رَبِّكَ ٱلَّذِى خَلَقَ ١ خَلَقَ ٱلْإِنسَـٰنَ مِنْ عَلَقٍ ٢ ٱقْرَأْ وَرَبُّكَ ٱلْأَكْرَمُ ٣ ٱلَّذِى عَلَّمَ بِٱلْقَلَمِ ٤ عَلَّمَ ٱلْإِنسَـٰنَ مَا لَمْ يَعْلَمْ ٥
" পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট-বাঁধা রক্তপিন্ড হতে। পড়, আর তোমার রব মহামহিম। যিনি শিক্ষা দিয়েছেন কলম দিয়ে। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।" (সুরা আলাক:১-৫)
এ আয়াতগুলোতে স্পষ্টতঃ নারী পুরুষ উভয়ের শিক্ষা অর্জনের প্রতিভা প্রমাণিত হয়। নারী শিক্ষার গুরুত্ব চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে এক হাদিসে। একবার এক নারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনার হাদিস তো শুধু পুরুষরা শুনতে পায়। সুতরাং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটি দিন নির্দিষ্ট করে দিন, যেদিন আমরা আপনার কাছে আসব, আল্লাহ আপনাকে যা কিছু শিখিয়েছেন তা থেকে আপনি আমাদের শেখাবেন।’ তিনি বলেন, ‘তোমরা অমুক অমুক দিন অমুক অমুক জায়গায় একত্র হবে।’ সে মোতাবেক তারা একত্র হয়। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কাছে এলেন এবং আল্লাহ তাঁকে যা কিছু শিখিয়েছেন তা থেকে তাদের শিক্ষা দেন। (বুখারি, হাদিস : ৭৩১০)
জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা :
পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যানকর জ্ঞান অর্জন ইসলামেও কাম্য। বিধানগতভাবে জাগতিক জ্ঞান দুই প্রকার। এক, যা চর্চা করা অপরিহার্য। যেমন: চিকিৎসা, গণিত, রাষ্ট্রনীতি, কৃষি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদি। গোটা জনপদে যদি কেউ এ জ্ঞান রপ্ত না করে তাহলে সকলে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। দুই, নিষিদ্ধ জ্ঞান চর্চা, যা মানুষকে অকল্যানের দিকে ধাবিত করে। (ইহইয়াউ উলুমুদ্ দ্বীন: ১/২৯-৩০)
দ্বীনি খেদমতের উদ্দেশ্যে জাগতিক জ্ঞান অর্জন করাও ইসলামের খেদমত হিসেবে গণ্য হবে। কোরআনে কারিমে আছে,
وَاَعِدُّوۡا لَہُمۡ مَّا اسۡتَطَعۡتُمۡ مِّنۡ قُوَّۃٍ وَّمِنۡ رِّبَاطِ الۡخَیۡلِ تُرۡہِبُوۡنَ بِہٖ عَدُوَّ اللّٰہِ وَعَدُوَّکُمۡ وَاٰخَرِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِہِمۡ ۚ لَا تَعۡلَمُوۡنَہُمۡ ۚ اَللّٰہُ یَعۡلَمُہُمۡ ؕ وَمَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ یُوَفَّ اِلَیۡکُمۡ وَاَنۡتُمۡ لَا تُظۡلَمُوۡنَ
(হে মুসলিমগণ!) তোমরা তাদের (মুকাবিলার) জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-ছাউনি প্রস্তুত কর, যা দ্বারা তোমরা আল্লাহর শত্রু ও নিজেদের শত্রুদেরকে সন্ত্রস্ত করে রাখবে এবং তাদের ছাড়া সেই সব লোককেও, যাদেরকে তোমরা এখনও জান না; (কিন্তু) আল্লাহ তাদেরকে জানেন। তোমরা আল্লাহর পথে যা-কিছু ব্যয় করবে, তা তোমাদেরকে পরিপূর্ণরূপে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না। (আল আনফাল - ৬০)
বর্তমান যুগ বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের যুগ তাই প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য প্রতিপক্ষের মোকাবিলায় জ্ঞান বিজ্ঞান ও নানা প্রযুক্তিতে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করা।
দ্বীনি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
একজন মুসলিমের জীবনে দ্বীনি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম, হোক সে পুরুষ কিংবা নারী। নিজের রব্বকে চেনা, শরীয়তের সঠিক আহকাম জানা, সুন্নাত ও বিদআতের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারা, হারাম হালাল সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য দ্বীন শিক্ষা অর্জন নরনারী সকলের অবশ্য কর্তব্য। দ্বীনি পরিবেশের অভাবে যদি নারীরা বাইরে জ্ঞান অর্জনের জন্য যেতে না পারে তাহলে পরিবারের পুরুষের দায়িত্ব তাদের দ্বীনি জ্ঞান শিক্ষা দেয়া। আল্লাহ তায়ালা নাযিল করেছেন,
ۗ قُلْ هَلْ يَسْتَوِى ٱلَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَٱلَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ ۗ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَـٰبِ ٩
বলুন, 'যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান? প্রকৃতপক্ষে জ্ঞানীরাই উপদেশ গ্রহণ করে। ( সুরা যুমার:৯)
রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে নিজে কোরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দান করে। (বুখারী :৫০২৭)
আরেক হাদিসে এসেছে, আল্লাহ যাকে প্রভূত কল্যাণ দিতে চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন। (বুখারী :৭১)
নারী শিক্ষার গুরুত্ব ও ইতিহাস
ইবনুল কায়্যিম রা বলেন, উম্মতের অর্ধেক হচ্ছে নারী, আর বাকি অর্ধেককে জন্মও দিয়েছে নারী। তাই বলা যায়, পুরো উম্মতই হলো নারী। ( তুহফাতুল মাওলুদ ফি আহকামিল মাওলুদ)
এ কথাটির মর্ম বুঝতে পারলে নারীশিক্ষার গুরুত্ব কত বেশি তা বুঝার বাকি থাকে না।
কিন্তু পশ্চিমারা জীবনের সব ক্ষেত্রে,- বিজ্ঞান, শ্রম ও শিল্প-সাহিত্যের সর্বক্ষেত্রে নারীর ওপর জুলুম করেছে এবং তাদের অধিকার পদদলিত করেছে। ইউরোপীয় সংস্কৃতির দৃষ্টিতে, মধ্যযুগ থেকে এবং পরবর্তীতে বিশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত, নারী ছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ। ব্রিটেনে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত শিক্ষিত নারীদের সার্টিফিকেট বা সনদ দেয়া হত না। সে সময় বলা হত মেয়েদেরকে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দেয়া উচিত নয়। (ParsToday)
অথচ ইসলামে নারী শিক্ষার ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। নবীজির আমলে নারী শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হয়, যার প্রমাণ আমরা নারী সাহাবীদের জীবনীতে দেখতে পাই। যেমন আয়েশা (রা) হাদিসশাস্ত্র, ইসলামী আইন, ফিকহ, ইতিহাস 'বংশলতিকা, কবিতা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে পারদর্শী ছিলেন। আসমা বিনতে আবি বকর, উম্মে আব্দিল্লাহ বিন জুবায়ের (রা) হাদিস বর্ণনায় পারদর্শী ছিলেন। আয়শা বিনতে তলহা সাহিত্য, জ্যোতিষশাস্ত্র ও নভোমণ্ডল বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন। সাকিনা বিনতে হোসাইন ও খানসা সাহিত্যে পারদর্শী ছিলেন। মায়মুনা বিনতে সাদ হাদিসে পারদর্শী ছিলেন। আলী (রা) ও তার কাছ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। কারিমা মারজিয়া (রহ) হাদিসের পণ্ডিত ছিলেন, ইমাম বুখারী (রহ) তার কাছ থেকে হাদিস সংগ্রহ করেছেন। ফাতিমা বিনতে আব্বাস প্রখ্যাত ইসলামী আইনবিদ ছিলেন, তিনি মিশর দামেশকে প্রভাবশালী নেত্রী। উখত মজনি (রহ) ছিলেন ইমাম শাফি রহমাতুল্লাহ আলাইহি এর শিক্ষক, আল্লামা মারদিয়ী (রহ) তার কাছ থেকে যাকাত বিষয়ক মাসয়ালা বর্ণনা করেছেন। হুজাইমা বিনতে হায়ই প্রখ্যাত তাবেয়ী ও হাদিসবিদ ছিলেন, ইমাম তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ (রহ) তার কাছ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। আয়েশা বিনতে আহমদ বিন কাদিম স্পেনের অধিবাসী ছিলেন। তিনি ক্যালিগ্রাফিতে দক্ষ ছিলেন। লুবনি (রহ) ভাষাবিদ ও আরবি ব্যাকরণ শাস্ত্রের পারদর্শী ছিলেন। ফাতেমা বিনতে আলী বিন হোসাইন বিন হামজা ছিলেন হাম্বলি মাজহাবের পন্ডিত। সমসাময়িক আলেমরা তার কাছ থেকে হাদিস শিখেছেন এবং প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থ দারেমী শরীফের সনদের অনুমতি নিয়েছেন। রাবিয়া কাসিসাহ সুপ্রসিদ্ধ বক্তা ছিলেন। ইমাম হাসান বসরী (রহ) ও তার কাছ থেকে বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়েছেন। ফাতিমা বিনতে কায়েস শিক্ষাবিদ ও আইনবিদ ছিলেন, উম্মে ফজল, উম্মে সিনান হাদিস বর্ণনাকারী ছিলেন। আশ্ শিফা বিনতে আবদিল্লাহ প্রখ্যাত আইনজ্ঞ ছিলেন। ওমর (রা) তাকে ইসলামী আদালতের 'কাজাউল হাসাবাহ' (Accountability court) ও 'কাজাউল সুক' (Market administration) ইত্যাদির দায়িত্বভার অর্পণ করেন। (তাপকাতে ইবনে সাদ :৮/৪৫-৪৮; দালায়িলুন নবুয়্যাহ : ৫/৪১৬; ইবনে আসির : ৫/৪৫০; আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া : ৫/৭৮)
ইবনে কায়েসের বর্ণনায় দেখা যায়, প্রায় ২২ জন নারী সাহাবী ও ইসলামী আইন শাস্ত্রে খ্যাতি অর্জন করেছেন, তাদের মধ্যে সাতজন উম্মাহাতুল মুমিনীন ছিলেন। ১১ শতাব্দীতে মামলুক শাসনামলে তৎকালীন মুসলিম নারীরা দামেশকে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১২ টি জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পূর্ণরূপে মুসলিম নারীদের দ্বারা পরিচালিত হতো। ( কালের কণ্ঠ)
প্রিয় দ্বীনি বোন, যে পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আপনি গর্ববোধ করছেন, সেই সমাজে শত বছর পূর্বেও নারীকে মানুষ হিসেবে গণ্য করা হত না। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে নারীকে পশুর পালের সাথে তুলনা করা হত, নানা কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাসে নারীসমাজ জর্জরিত ছিলো, যার ফলে পুরুষরা ইচ্ছে মত তাদের শোষণ করতে পারতো। অথচ যে ইসলামি ব্যবস্থাকে আপনি সেকেলে বর্বর বলে হীনমন্যতায় ভুগছেন, সে-ই ইসলাম হাজার বছর পূর্বে আপনার শিক্ষার অধিকার কেবল নিশ্চিতই করেনি বরং তা যথাযথ মূল্যায়নও করেছে।
প্রিয় দ্বীনি ভাই আপনার পরিবারের নারীদের নিরাপদ পরিবেশে সুশিক্ষা নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব। ইসলাম কখনই ওই শিক্ষা ব্যবস্থা অনুমোদন করে না, যেখানে নারীকে তার নারীত্ব ও সম্ভ্রম বিসর্জন দিতে হয়। যে শিক্ষা ব্যবস্থা নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে গড়ে তোলে তা কস্মিনকালেও জায়েজ হতে পারে না। আমাদের অবশ্যই মনে রাখা উচিত," গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন। "
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২
আরোগ্য বলেছেন: ধন্যবাদ নকিব ভাই শুরু থেকে পাশে থাকার জন্য। আপনাদের দোয়া আমার একান্ত কাম্য। আল্লাহ আপনারও কল্যান করুক।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: যারা প্রাশ্চাত্যের মত চলাফেরা করেন। সে নীতিতে বিশ্বাসী। দুনিয়ার আনন্দ ভোগে পিছ পা হন না, তাদের জন্য এসব পোস্ট বিষের মত। এবং উনাদের মুখেই শুনতে পাওয়া যায় ধর্ম যার যার উৎসব সবার। উনারা এসব পোস্ট পড়বেন না কখনো।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি নির্বাচিত পাতায় গেলে কত খুশি লাগতো। আল্লাহ আমাদের দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০৩
আরোগ্য বলেছেন: فَاَعۡرِضۡ عَنۡ مَّنۡ تَوَلّٰی ۬ۙ عَنۡ ذِکۡرِنَا وَلَمۡ یُرِدۡ اِلَّا الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا
ذٰلِکَ مَبۡلَغُہُمۡ مِّنَ الۡعِلۡمِ ؕ اِنَّ رَبَّکَ ہُوَ اَعۡلَمُ بِمَنۡ ضَلَّ عَنۡ سَبِیۡلِہٖ ۙ وَہُوَ اَعۡلَمُ بِمَنِ اہۡتَدٰی
সুতরাং যে ব্যক্তি আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং পার্থিব জীবন ছাড়া অন্য কিছু কামনাই করে না, তুমি তাকে অগ্রাহ্য কর। তাদের জ্ঞানের দৌড় এ পর্যন্তই। তোমার প্রতিপালকই ভালো জানেন কে তার পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনিই ভালো জানেন কে তার পথ পেয়ে গেছে।
(আন-নাজ্ম - ২৯, ৩০)
আপা এ ধরনের পোস্ট কি নির্বাচিত পাতায় যায়? এই ধরনের কোন দোয়া দুরুদ পড়লে কত সওয়াব এগুলো প্রচার করলে সমস্যা নেই কিন্তু যখন ইসলামকে আপনি দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগের আলোচনা উত্থাপন করবেন তখন কিন্তু মরিচ পোড়া লাগবে।
যে সময়টুকু আপনারা এই পোস্টগুলো পড়ে ব্যয় করছেন, আল্লাহ তার বিনিময়ে আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুক। ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম নারীদের সবচেয়ে বেশি অপমান করেছে।
সেদিন এক অনুষ্ঠানে দেখলাম, এক মহিলা কত কষ্ট করে খাবার খাচ্ছে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত কালো কাপড়ে ঢাকা। মুখের উপর এক টুকরো কাপড় দিয়ে ঢাকা। কাপড় সরিয়ে তাকে অনেক কষ্ট করে খাবার খেতে হচ্ছে। অথচ নানান রকম মজাদার খাবার সাজানো। লোকজনের আড়াল করে মহিলা আরাম করে খেতে পারছে না।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০৯
আরোগ্য বলেছেন: আপনার শিশুসুলভ আচরণে আমার হাসি পেল।
আগে দেখতাম নারী পুরুষের ভোজনের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা হত, এখন তো পুরুষ মানুষ পারলে মহিলাদের কোলে যেয়ে বসে। তার উপর হেলপি সেলফি তো আছেই। ইসলামকে দোষারোপ না করে সমাজ ব্যবস্থা ঠিক করুন।
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১০
জটিল ভাই ২.০ বলেছেন:
নতুন নকিব ভাইয়ের সঙ্গে একমত ♥
গুরুত্বপূর্ণ সিরিজটি অব্যাহত রাখায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার সার্বিক কল্যান কামনা করছি।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১১
আরোগ্য বলেছেন: আপনাদের অনুপ্রেরণা আমার লিখার স্পৃহা দ্বিগুণ করে দেয়।
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যে আসার জন্য।
৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০২
কামাল১৮ বলেছেন: পুরুষের জন্য চার বিয়ে নারীর জন্য একটা।কি সুন্দর স্বাধীনতা !দুই জন নারী সমান একজন পুরুষ।এমন আরো হাজারটা প্রশ্ন আছে নারী পুরুষের বৈষম্যের।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৩০
আরোগ্য বলেছেন: এই পোস্ট তো শিক্ষা নিয়া, বিবাহ নিয়া না। আর মিরাস নিয়া ও না। মন্তব্যটা পরবর্তী সংশ্লিষ্ট কোন পোস্টের জন্য জমা রাখেন।
৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:০৮
নতুন বলেছেন: কিন্তু পশ্চিমারা জীবনের সব ক্ষেত্রে,- বিজ্ঞান, শ্রম ও শিল্প-সাহিত্যের সর্বক্ষেত্রে নারীর ওপর জুলুম করেছে এবং তাদের অধিকার পদদলিত করেছে। ইউরোপীয় সংস্কৃতির দৃষ্টিতে, মধ্যযুগ থেকে এবং পরবর্তীতে বিশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত, নারী ছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ। ব্রিটেনে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত শিক্ষিত নারীদের সার্টিফিকেট বা সনদ দেয়া হত না। সে সময় বলা হত মেয়েদেরকে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দেয়া উচিত নয়। (ParsToday)
অথচ ইসলামে নারী শিক্ষার ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। নবীজির আমলে নারী শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হয়, যার প্রমাণ আমরা নারী সাহাবীদের জীবনীতে দেখতে পাই।
পশ্চিমা দেশে বর্তমানের নারী শিক্ষার সুযোগের সাথে বর্তমানের ইসলাম সংখ্যাগরিস্ট দেশের নারীদের শিক্ষার এমন পার্থক্য হইলৌ কেন?
যদি রাসুল সা: সময় থেকেই নারীদের শিক্ষার প্রতি এতোই উতসাহ দেওয়া হতো তবে আফগান, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশের মোল্যা গোস্টিরা নারী শিক্ষার বিপক্ষে কেন?
অনেক বিক্ষাত হুজুর আছে যারা প্রচার করেছে যে নারীরা ঘরে ধর্ম শিক্ষা করলেই তো চলে, স্কুল, কলেজে যাবার পক্ষে তারা না।
এই অবস্থা কবে থেকে শুরু হইলো?
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৫৯
আরোগ্য বলেছেন: পশ্চিমারা কেন নারীদের জন্য শিক্ষার বিশাল সুযোগ নিশ্চিত করেছে সে বিষয়ে আর যাচ্ছি না, মোদ্দা কথা মুসলিমরা কেন পিছিয়ে, দারুণ সুন্দর প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। এই পোস্টে আপনার মন্তব্যটি আমার সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে।
যদি রাসুল সা: সময় থেকেই নারীদের শিক্ষার প্রতি এতোই উতসাহ দেওয়া হতো তবে আফগান, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশের মোল্যা গোস্টিরা নারী শিক্ষার বিপক্ষে কেন?
এখানে দুটি বিষয় রয়েছে; এক, নির্দিষ্ট কতিপয় দেশের দুরাবস্থা; দুই, মোল্লা গোষ্ঠী। প্রথমত এসব অঞ্চলের নারীরা শিক্ষা ব্যবস্থায় পিছিয়ে থাকার জন্য আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে তাদের পূর্বপুরুষের ধর্ম পালন, ইসলামকে তারা কেবল নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত আর বোরকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে। দ্বিতীয়ত, মোল্লা গোষ্ঠী নারীশিক্ষার বিপক্ষে থাকার বহু কারন থাকতে পারে, নানান মুনির নানান মত। তবে অধিকাংশ পুরুষ মানুষই বুদ্ধিমতি ও অধিকার সচেতন নারী পছন্দ করে না, গোবেচারা টাইপের নারীদের বশ করা সহজ বৈকি।
অনেক বিক্ষাত হুজুর আছে যারা প্রচার করেছে যে নারীরা ঘরে ধর্ম শিক্ষা করলেই তো চলে, স্কুল, কলেজে যাবার পক্ষে তারা না।
ইংরেজি ভাষা শিক্ষা হারাম ঘোষণা করা মোল্লারা যদি কোরআনের ভাষা ফরজ করার জন্য আন্দোলন করতো তবে হিসাব বহু আগেই চুকে যেত। আফসোসের বিষয় দ্বীনি শিক্ষাকে মসজিদ মাদ্রাসার ভিতর কুক্ষিগত রাখার জন্য সর্বসাধারণের জন্য তা সহজলভ্য হয়নি, সেদিকে নারীদের নিরাপদ শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করাতো বহুদূরের কথা। নারীদের জন্য নিরাপদ ও যুগোপযোগী উপকারী শিক্ষার ব্যবস্থা করা হলে, এবং শিক্ষা অর্জনে উৎসাহ প্রদান করলে তারা গীবত, ফেবু আর টিকটক নিয়ে পড়ে থাকতো না। খালি মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। মাহফিলে নারীদের এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে কিন্তু এর স্থলাভিষিক্ত কি করা যায় তা কি শোনা যায়?
এই অবস্থা কবে থেকে শুরু হইলো? এই অবস্থাই তো ছিলো। ইসলাম স্রোতের প্রতিকূলে বৈঠা টানতে শিখিয়েছিল কিন্তু তা ধরে রাখা সহজ না।
৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:১৭
নতুন বলেছেন: এখানে দুটি বিষয় রয়েছে; এক, নির্দিষ্ট কতিপয় দেশের দুরাবস্থা; দুই, মোল্লা গোষ্ঠী। প্রথমত এসব অঞ্চলের নারীরা শিক্ষা ব্যবস্থায় পিছিয়ে থাকার জন্য আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে তাদের পূর্বপুরুষের ধর্ম পালন, ইসলামকে তারা কেবল নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত আর বোরকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে। দ্বিতীয়ত, মোল্লা গোষ্ঠী নারীশিক্ষার বিপক্ষে থাকার বহু কারন থাকতে পারে, নানান মুনির নানান মত। তবে অধিকাংশ পুরুষ মানুষই বুদ্ধিমতি ও অধিকার সচেতন নারী পছন্দ করে না, গোবেচারা টাইপের নারীদের বশ করা সহজ বৈকি।
১০০০% সহী অবসারভেসন।
আমাদের দেশের পুরুষেরা বোকা নারীদের বসে রাখা সহজ তাই বেশি পড়াশুনার দরকার নাই এই মতে বিশ্বাসী।
আমি দেশের বাইরে থাকি। শারমিন দেশে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করেছে। আমার আত্নীয়রাই মা কে বলেছে বউকে এইভাবে কলেজে পাঠালে সমস্যা হইতে পারে। মেয়ে মানুষের এতো পড়ালেখা কইরা কি হবে?
নারীদের ঘরে রাখতে মোল্যারা নারীদের উপরে পর্দা প্রথাকে কঠর ভাবে প্রয়োগ করেছে। পর্দা প্রথার জন্য স্কুল, কলেজে পড়াশুনার পরিবেশ নাই তাই বাবা মা কে নিরুতসাহিত করেছে।
আমি অনেক মানুষকে দেখি তারা মেয়েকে পড়াবেনা। কিন্তু স্ত্রী, কন্যার জন্য নারী ডাক্তার খোজেন তারা।
পর্দ প্রথার জন্য কোরানে ৩ টা আয়াত আছে। কিন্তু হুজুরেরা বিভিন্ন কিতাবে ৩ কোটি লাইন দেখাতে পারবে। বর্তমানের মোল্যদের ওয়াজের বিরাট অংশই থাকে নারীদের পোষাক, চলাফেরা, বির্ধমীদের নানান সমস্যার কথা।
যেদিন থেকে মুসলিমরা বিজ্ঞান চর্চা ছেড়ে দিয়েছে। সেদিন থেকেই বিশ্বের সমাজে পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৩৭
আরোগ্য বলেছেন: আসলে এভাবে বলা কতটা সমীচীন তা জানিনা কিন্তু সত্যি বলতে আমি কার্পণ্য করতে চাই না।
অবশ্যই সবার আগে নারীর ইজ্জত আব্রুর নিরাপত্তা, তারপরে অন্য কথা। সমাজে যারা ইসলামের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত তারা তো কত কিছুর জন্যই আন্দোলন করে কিন্তু নারীদের নিরাপদ শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য কোন আন্দোলনের কথা আমার স্মৃতিতে আসছে না। সে নারী প্রাইভেট ভার্সিটির কোন বোনই হোক না, একজন মুসলিম হিসেবে তারও অধিকার আছে নিরাপদ পরিবেশে স্রষ্টা প্রদত্ত মেধার বিকাশ সাধন করা। দেশের নাগরিক হিসাবে আমরা সবাই জানি নারীরা কতটা অরক্ষিত পরিবেশে চলাফেরা করে তার দায়ভার কে নেবে? কোন সমাজ তাদের নিরাপত্তার কথা ভাবে?
আমি অনেক মানুষকে দেখি তারা মেয়েকে পড়াবেনা। কিন্তু স্ত্রী, কন্যার জন্য নারী ডাক্তার খোজেন তারা।
এটা পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে প্রহসন।
পর্দ প্রথার জন্য কোরানে ৩ টা আয়াত আছে। কিন্তু হুজুরেরা বিভিন্ন কিতাবে ৩ কোটি লাইন দেখাতে পারবে। বর্তমানের মোল্যদের ওয়াজের বিরাট অংশই থাকে নারীদের পোষাক, চলাফেরা, বির্ধমীদের নানান সমস্যার কথা। ওই যে বললাম তো সাধারণ মানুষ যদি কোরআনের ভাষা বুঝতো তবে হিসাব বহু আগেই চুকে যেত। তবে এটা সত্যি পর্দা নিশ্চিত করা ফরজ, সবার আগে নারীদের সম্ভ্রম।
যেদিন থেকে মুসলিমরা বিজ্ঞান চর্চা ছেড়ে দিয়েছে। সেদিন থেকেই বিশ্বের সমাজে পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছে। পোস্টে কিন্তু এটার উত্তর দিয়েছি। নিজেদের বল বৃদ্ধি করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য। বর্তমান যুগ বিজ্ঞান প্রযুক্তির যুগ তাই সেদিকে অবহেলা করলে হবে না।
গঠনমূলক আলোচনা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:২২
নতুন বলেছেন: আমার এক শালাবাবু। দুই বছর আগের কথা।
স্ত্রীকে গভবতী হবার পরে নিয়মিত ডাক্তার দেখতে চাইতো না । ডাক্তারা নাকি ওষুধ দিবে যাতে বাচ্চা বড় হয়ে যাবে এবং সিজার করতে হবে। এটাই ইহুদী নাসারাদের চক্রান্ত, তার মুরুব্বিরা তাকে এমনই শিক্ষা দিয়েছে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৪২
আরোগ্য বলেছেন: তার জন্য তার উচিত নিজেদের পরিবারে অবশ্যই কাউকে ডাক্তার বানানো। ধরে নিলাম এটাই সত্যি কিন্তু তা প্রতিহত করার জন্য আমরা কি নিজেরা বিকল্প রাস্তা তৈরী করি? নাহ্ সেটা কেউ করতে চায় না, তাহলে পরিস্থিতি পরিবর্তন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। ঘুরে ফিরে তাই ইহুদি নাসারাদের দারস্থ হতে হয়।
৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৪৪
নতুন বলেছেন: সে নারী প্রাইভেট ভার্সিটির কোন বোনই হোক না, একজন মুসলিম হিসেবে তারও অধিকার আছে নিরাপদ পরিবেশে স্রষ্টা প্রদত্ত মেধার বিকাশ সাধন করা। দেশের নাগরিক হিসাবে আমরা সবাই জানি নারীরা কতটা অরক্ষিত পরিবেশে চলাফেরা করে তার দায়ভার কে নেবে? কোন সমাজ তাদের নিরাপত্তার কথা ভাবে?
দেশে ছেলেরা অন্যায় করলে পরিবার তার ক্ষমতা দিয়ে ছেলেকে বাচিয়ে নেয়। তাই দরিদ্র বাবা তার মেয়েকে বোরকা পরিয়ে রাখে।
দুবাই, মালোয়েশিয়াতে দেখেছি পথে রাস্তায় কোন ছেলে নারীদের বিরক্ত করেনা। কারন নারীরা অভিযোগ করলে ঐ ছেলের বিচার হবে। সেখানে স্কুল কলেজে শিক্ষক ছাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে সাহস পায় না। কারন অভিযোগ করলে স্কুল সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কে নীল বা লাল দল করে সেটা দেখবে না।
সমাজে ন্যায় বিচার থাকলে আমাদের দেশের নারীরাও সেলোয়ার কামিজ, শাড়ী পরে যাতায়াত করতে সমস্যা বোধ করবেনা।
আমাদের দেশের মোল্যারা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৫৪
আরোগ্য বলেছেন: দেশে ন্যায় বিচার নেই তা ঠিক। তবে বর্তমানে যে স্টাইলে নারীরা শাড়ি সালোয়ার কামিজ পরে তা শালীনতার কাতারে পড়ে না। এটা আপনাকে মানতে হবে।
আমাদের দেশের মোল্যারা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে সরাসরি পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বললে ভুল হবে, বরং অগ্রগতিতে যথেষ্ট ভুমিকা রাখতে পারছে না তা বলা যায়। তবে যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে আলেম সমাজের ভুমিকা অনস্বীকার্য।
১০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার বোনের স্বামী চার বিয়ে করলে আপনার ভালো লাগবে?
আপনার বোন কালো বোরকা দিয়ে নিজেকে বন্ধী করে ফেললে আপনার ভালো লাগবে?
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯
আরোগ্য বলেছেন: চার জায়গায় যেনা না করে চারটা বিয়ে করার সাহস থাকা তো অনেক বড় ব্যাপার।
আমার বোন তো কালো বোরকা পড়ে।
১১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পশ্চিমের দেশগুলিতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশী ইসলামের ছায়াতলে আসছে। ইসলাম নারীদের প্রতি অন্যায় করলে কেন সারা বিশ্বে এতো নারী নিজের ইচ্ছাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে। ইসলামের দিকে আসার হার অন্য যে কোন ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার হারের চেয়ে বেশী। এখন থেকে ৬০ বছর পড়ে মুসলমানেরা সংখ্যায় বেশী থাকবে। ইসলাম নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করেছে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫
আরোগ্য বলেছেন: বাঙ্গু সেকুলার মেয়েরা যদি অন্তত এ বিষয়টা নিয়ে একটু গবেষণা করতো যে, কেন এতো অমুসলিম নারীরা মুসলিম হচ্ছে তাহলে কিছুটা হলেও ইসলামের মাহাত্ম্য উপলব্ধি করতে পারতো। আফসোস শপিং, মেকআপ আর টিকটিক করে জীবনের অমূল্য সম্পদ সময় নষ্ট করছে। এখন আরো ভালো করে বুঝা যায়, কেন দাজ্জালের ফেতনার শিকার নারীরা বেশি হবে।
১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ইসলাম নারীকে মানুষই মনে করে না।
মনে করে ভোগের উপকরণ।
মালে গণিমত।
আরো মনে করে শস্যক্ষেত্র।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
আরোগ্য বলেছেন: আপনি কোনটা মনে করেন???
১৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩
করুণাধারা বলেছেন: পোস্ট ভালো হয়েছে...
আরো ভালো হতো, যদি এর সাথে উল্লেখ থাকতো যে ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকেই মুসলিম নারীরা শিক্ষিত হয়েছেন এবং শিক্ষা বিস্তারের জন্য কাজ করেছেন। বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন একজন মুসলিম নারী, ফাতিমা আল ফিহরি। আমাদের দেশেও, নওয়াব ফয়জুন্নেসা শিক্ষা বিস্তারে অনেক কাজ করে গেছেন।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
আরোগ্য বলেছেন: আপা আমি তো পোস্ট ইসলামের প্রাথমিক যুগের মুসলিম শিক্ষিত নারীদের নাম উল্লেখ করেছি, সেই সাথে কে কোন ফিল্ডে দক্ষ ছিলেন তাও লিখেছি। হয়তো আপনি লক্ষ্য করেন নি ।
বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন একজন মুসলিম নারী, ফাতিমা আল ফিহরি। এটা আমার জানা ছিলো না, ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে।
১৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১৭
নতুন বলেছেন: সাচু ভাই, মুসলমানদের জন্মহার বেশি। সেই কারনে সংখ্যায় খৃস্টানদের ছাড়িয়ে যাবে।
তবে বাংলাদেশে 'শস্যের চেয়ে টুপি বেশী, ধর্মের আগাছা বেশী।'
১৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:৪৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপনি কোনটা মনে করেন???
আমি তো নবী মুহাম্মদ নই।
আমার মনে করায় তো অসংখ্য মানুষের ক্ষতির কোন কারণ নেই।
১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:৫৫
আহরণ বলেছেন: ইসলামে নারীর মর্যাদা দাসী..................
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ সিরিজটি অব্যাহত রাখায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার সার্বিক কল্যান কামনা করছি।