নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসাদুজ্জামান জুয়েল

আসাদুজ্জামান জুয়েল

রওশনারা বেগম ও আবদুর রশীদ খানের কনিষ্ঠ পুত্র আমি আসাদুজ্জামান জুয়েল। ১৯৭৮ সালের ০৫ জুন শরীয়তপুর জেলার পালং থানা পালং গ্রামের এক সাধারণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করি। শিক্ষা জীবন শুরু মায়ের হাতে। তুলাসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এস.এস.সি; শরীয়তপুর সরকারী মহাবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচ.এস.সি; জাজিরা ডিগ্রী কলেজে থেকে বাণিজ্য বিভাগ হতে বি.কম পাস করার পর প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন অনুষদ হতে এলএল.বি ও এলএল.এম সম্পন্ন করি। প্রতিটি ক্যাম্পাসেই কেটেছে মধুর দিনগুলো। ২০০৯ সালের ০৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভূক্ত হয়ে ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ঢাকা বার এসোসিয়েশনে সদস্যভূক্ত হই। পরবর্তীতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০ শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যভূক্ত হয়ে আইন পেশার সাথে যুক্ত আছি। ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি, শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ও শরীয়তপুর জেলা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশনের সদস্য হিসাবে আইন পেশায় নিয়োজিত আছি। সাংবাদিকতা ও লেখালিখি করি মনের টানে। একই সাথে আইন পেশা ও সাংবাদিকতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরন্তন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কর্ম জীবন শুরু লেখালিখির মাধ্যমে। দৈনিক ভোরের কাগজ দিয়ে সাংবাদিকতার শুরু। এর পর দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক কালের কন্ঠ, দৈনিক গণমুক্তি সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কাজ করেছি। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬টি। প্রবাসীদের সুখ-দুঃখ নিয়ে লেখা আমার প্রথম উপন্যাস ‘যেমন আছি লন্ডনে’ প্রকাশিত হয় ২০১২ সালের একুশে বই মেলায়। দীর্ঘ বিরতির পরে ২০১৯ এর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় ভ্রমণ কাহিনী ‘কলকাতা ভ্রমণঃ জীবনে প্রথম কিছু’; প্রবন্ধ সংকলন ‘সমকালীন ভাবনা’ ও প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘হৃদয়ের শব্দক্ষরণ’। ২০২০ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় প্রবন্ধ সংকল ‘সমকালীন ভাবনা-২’ ও দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ ‘তুই থাকিস পরাণের গহীনে’। এছাড়াও বেশ কিছু বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছি। লেখালিখি করি বিভিন্ন ব্লগে। আমার ওয়েবসাইটঃ www.asadjewel.com, নিজস্ব ব্লগঃ www.asadjewel.blogspot.com এছাড়া www.somewhereinblog.net এ নিয়মিত লেখালিখি করি। শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে তিনবার ও লাইব্রেরী সম্পাদক হিসাবে দু্ইবার দায়িত্ব পালন করেছি। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, শরীয়তপুর জেলা ইউনিটের জীবন সদস্য। প্রগতি লেখক সংঘ, শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি হিসাবে দ্বায়িত্বে আছি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড শরীয়তপুর, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শরীয়তপুর এর আইন উপদেষ্টা হিসাবেও কর্মরত আছি। গরীব-দুঃখীদের মামলা পরিচালনার জন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা শরীয়তপুর জেলা শাখার প্যানেল আইনজীবী হিসাবে দুস্থ্যদের আইনগত সহায়তা প্রদান কাজে নিষ্ঠার সাথে জড়িত আছি। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), শরীয়তপুর জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষানিকেতন কর্ম কেন্দ্রীক পাঠাগার, শরীয়তপুরের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি দীর্ঘদিন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও অস্ট্রেলিয়ান বার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ইনটেনসিভ ট্রায়েল এডভোকেসী ওয়ার্কশপ, ২০১০ সালে এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার এর উদ্যোগে হিউম্যান রাইটস এন্ড রুল অফ ‘ল’, ২০০২ ও ২০১০ সালে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে শিশু ও নারী বিষয়ক রিপোর্টিং কর্মশালা, ১৯৯৯ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত কম্পিউটার ট্রেড প্রশিক্ষণ, ২০১০ সালে ইউএসএইড-প্রগতি-কালেরকন্ঠ আয়োজিত দুর্নীতি বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরী ও তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণসহ পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। লেখালিখি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে সমাজ সংস্কারে একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার অর্ধপ্রাণ কন্যা রওশন আসাদ প্রিয়ন্তী। সহধর্মীনি মুনমুন সুলতানা লুনা পেশায় শিক্ষিকা। দুই বোন রেহানা আক্তার রেখা এবং কহিনুর আক্তার শিখা এবং একমাত্র ভাই মোহাম্মদ রুহুল আমীন খান আজাদ একজন প্রবাসী। যোগাযোগের জন্য আমাকে মেইল করতে পারেনঃ [email protected]

আসাদুজ্জামান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা আক্রান্ত বা মৃত্যুতে সরকারী টাকা নয়-ছয়ের সম্ভাবনা তৈরী

০৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৬


এবার করোনা বুঝিয়ে দিয়েছে, চাকুরি করলে সরকারি আর ব্যবসা করলে ঔষধ কিংবা তরকারি। কথাটা কতটা বাস্তব এবং সত্যি তা লেখাটা পড়লেই হাড়ে হাড়ে টের পাবেন। করোনায় সাধারণ মানুষ মরে শেষ! কিন্তু যদি সরকারি চাকুরিজীবী হন তবে সোনায় সোহাগা! আক্রান্ত হলেও লাভ, মৃত্যু হলেও লাভ। মৃত্যু হলে শুধু নিজে খেতে পারবে না এটাই যা দুঃখের। সরকারি টাকা তসরুপ করতে আমরা বেশ সিদ্ধহস্ত। অধিগ্রহণের সময় দোচালা ঘর যেখানে দোতালা দেখিয়ে লাখ টাকাকে কোটি টাকায় রুপান্তর করা যায়, পাটকাঠি সাইজের গাছের দাম যেখানে চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকা দেখানো যায়, যে দেশে কলার দাম হাজার টাকা, রুটির দাম হাজার টাকা, আপ্যায়নে বিশ কোটি খরচ করা কোন অপরাধ নয় সেখানে এই সুযোগ নিয়ে আক্রান্ত সনদ কিনে সরকারি কোষাগার খালি করা কোন ব্যাপারই না। সরকারের উচিৎ যথাযথ প্রক্রিয়া, পরীক্ষানীরিক্ষা করে, যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সাধারণ মানুষের টাকাগুলো খরচ করা।

করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর দেশে লকডাউন জারির ঘোষণা দেয় প্রশাসন। এ এক অলিখিত কারফিউ জারি। শুধু কারফিউ বলা মনে হয় ঠিক হবে না। কারফিউ মানেতো সান্ধ্য আইন যা এমন এক ধরনের আইন যেখানে কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিশেষ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নিষিদ্ধ করা হয়। "সান্ধ্য আইন"-এর আক্ষরিক অর্থ সন্ধার সময় বা সন্ধ্যার পরে লোক চলাচলের নিয়ম কানুন। এটির ইংরেজী শব্দ curfew (কারফিউ) যা এসেছে ফরাসি ভাষার শব্দ couvre-feu (কূভর-ফ্যু) হতে, যার অর্থ অগ্নি-নির্বাপণ। মধ্যযুগে ইংরেজি শব্দ ভাণ্ডারে curfeu (কারফ্যু) হিসেবে আত্তীকরণ হয় এবং আধুনিক যুগে সেটির বানান হয় curfew (কারফিউ). উইলিয়াম দি কনকরারের মতে এই শব্দটির প্রকৃত অর্থ হল "কাঠের বাড়ি ঘরে জ্বালানো অগ্নিশিখা এবং আগুনের প্রদীপ থেকে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের জন্য রাত আটটার ঘণ্টা বাজার মধ্যেই সকল অগ্নিশিখা ও আগুনের প্রদীপ নিভিয়ে ফেলার নিয়ম”। কিন্তু করোনা কালে অলিখিত অবরোধ এমন পর্যায়ে পৌছায় যে দিনে কী রাতে কোন সময়ই বাইরে বের হওয়া যাবে না। এই প্রকৃয়াকে লকডাউন নামে অবিহিত করা হয়েছে। লকডাউনের আবিধানিক অর্থ দেখা যায়, তালাবদ্ধ; জরুরি অবস্থায় নেওয়া একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা যখন কোনো স্থান বা ভবনে প্রবেশ করতে বা ছেড়ে যেতে বাধা দেওয়া; কাউকে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে আটকিয়ে রাখা বা ঢুকতে না দেওয়া। এর সহজ অর্থ হল, প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি বাদ দিয়ে সবকিছু বন্ধ রাখা। এইসয়ম যখন কোনও প্রয়োজন বা জরুরি অবস্থা থাকে তখন কেবল আপনাকে বাড়ি ছাড়তে দেওয়া হবে।

লকডাউন বলি আর কারফিউ বলি এই পরিস্থিতিতে মানুষের রুটি রুজির অন্যতম আধার সেই ব্যবসা-বাণিজ্য, কাজ-কর্ম সব সিঁকেয় তুলে রেখে হাত-পা গুটিয়ে বাড়িতে বসে থাকা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। যারা এতদিন ঔষধ, মুদি দোকান ও তরিতরকারি ছাড়া অন্য ব্যবসা করতেন তাদের সকলের মাথায় হাত পরেছে! সকল ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলেও ঔষধ, তরিতরকারি বা মুদি মালের ব্যবসা বুক ফুলিয়ে করতে পেরেছেন এই সময়ে। এর পর লকডাউন কিছুটা সিথিল করলেও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান খুলতে পেরেছে। কিন্তু ঔষধ, মুদি ও তরিতরকারি ব্যবসায়ীরা পূর্ণ সুবিধা ভোগ করেছে। তাই এখন সকলের মুখে মুখে একটি কথাই শোনা যায় ‘চাকুরি করলে সরকারি আর ব্যবসা করলে ঔষধ কিংবা তরকারি।’

এবার আসা যাক চাকুরির বিষয়ে। চাকুরি দুই ধরনের। সরকারি আর বেসরকারি। যারা বেসরকারি চাকুরি করেন তাদেরও এই করোনা পরিস্থিতিতে ছুটি দেয়া হয়েছে। বেসরকারি চাকুরিজীবীরা ছুটি পেলেও অনেকে বেতন পান না, পেলেও কাটছাট করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি চাকুরি করলে সোনায় সোহাগা। পূর্ণ ছুটি ভোগ করাকালীন বেতন ভাতা সবই পাচ্ছেন। কোন কাটছাট নেই। তাইতো সবাই বলেন ‘চাকুরি করলে সরকারি আর ব্যবসা করলে ঔষধ কিংবা তরকারি।’ শুধু কী তাই? এর বাইরেও আছে নানান প্রনোদনা, উপহার, উপঢৌকন। কোন সরকারি চাকুরিজীবী করোনা কালে ডিউটি করলে টাকা, করোনায় আক্রান্ত হলে টাকা, করোনায় মারা গেলে টাকাই টাকা! দেশের জনগনের টাকা থেকে তাদের দাবীদাওয়া মিটানো হবে। যাদের টাকায় তাদের দাবীদাওয়া মিটানো হবে তারা মারা গেলে কোন কিছু যায় আসে না। জনগন আসলে মানুষের কাতারে পরে কীনা তা গবেষণার দাবী রাখে! জনগন ট্যাক্স দিচ্ছে, ভ্যাট দিচ্ছে। সেই টাকায় দেশের অর্থনীতির চাকা সাই সাই করে ঘুরছে, সরকার নানাবিধ খরচ খরচা করছে। সেই জনগন আক্রান্ত হলে বা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত রাস্তায়, নয় এ্যাম্বুলেন্সে, নয় বাড়িতেই মারা যাচ্ছে বিনা চিকিৎসা, বিনা পরীক্ষায়। কোন কোন ক্ষেত্রে মৃত্যুর পর পরীক্ষার ব্যবস্থাও হচ্ছে। দাফন-কাফনের দশদিন পর জানাযাচ্ছে করোনা পজেটিভ। পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়ে প্রমান করলো চিকিৎসাটা ওর দরকার ছিলো, চিকিৎসকের পরামর্শ চলাটা জরুরী ছিলো!

করেনা ভাইরাস মোকাবেলায় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসনসহ যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন তাদের কেউ আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ দেবে সরকার। আর এসব অর্থ দেয়া হবে গ্রেডভেদে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা। সরকারি কোনো কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে এর পাঁচগুণ আর্থিক সহায়তা পাবেন। এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পরিপত্রে বলা হয়েছে, নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানে সরাসরি কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ এ সংক্রান্ত সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মচারী দায়িত্ব পালনকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরাসরি আর্থিক সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ২০১৫ এর বেতনস্কেল অনুযায়ী ১৫-৩০তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে তিনি ক্ষতিপূরণ পাবেন পাঁচ লাখ টাকা, আর মারা গেলে পাবেন ২৫ লাখ টাকা। ১০-১৪তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন সাড়ে সাত লাখ টাকা এবং আর মারা গেলে পাবেন সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা। এছাড়া প্রথম-নবম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন ১০ লাখ টাকা এবং মারা গেলে পাবেন ৫০ লাখ টাকা।’ পরিপত্রে আরও বলা হয়, ক্ষতিপূরণের আওতায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানে সরাসরি কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে লকডাউন ও সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিয়োজিত মাঠপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে যে পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবেঃ করোনা ভাইরাস পজিটিভের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবাকর্মীসহ মাঠপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী করোনা ভাইরাস পজিটিভের প্রমাণক বা মেডিকেল রিপোর্টসহ স্ব-স্ব নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নিকট নির্দিষ্ট ফরমে ক্ষতিপূরণের দাবিনামা পেশ করবেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফরমে মৃত্যুবরণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্ত্রী/স্বামী/সন্তান এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে বাবা/মা ক্ষতিপূরণের দাবি-সংবলিত আবেদন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করবেন। আবেদনকারীর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্রসমূহ যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মাধ্যমে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীগণ কেবলমাত্র এ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য হবেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সৃজনকৃত খাতে করোনা (কোভিচ-১৯) সংক্রান্ত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় ক্ষতিপূরণ বরাদ্দকৃত অর্থ হতে নির্বাহ করা হবে। অর্থ বিভাগ ক্ষতিপূরণের আবেদনপ্রাপ্তির পর ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের সরকারি আদেশ জারি করবে। এ ক্ষতিপূরণ বর্তমান প্রচলিত অন্য যেকোনো প্রজ্ঞাপন/আদেশে বর্ণিত কর্মকালীন মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা বা অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হবে। চলতি বছরের ১ এপ্রিল হতে এ পরিপত্রের নির্দেশনা কার্যকর হবে।

সম্প্রতি প্রণোদনার জন্য করোনা রোগী সেজে রেল কর্মচারী ধরাও খেয়েছেন। করোনা ভাইরাসে পজিটিভ প্রমাণ করতে পারলেই সরকারি প্রণোদনার টাকা পাওয়া যাবে এমন লোভে পড়ে করোনা রোগীর সনদ নিয়েছিলেন রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের কর্মচারী কুতুবে রাব্বানী। মেডিসিন ক্যারিয়ার পদের এই কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান তার অফিসকে। সেই মোতাবেক কাগজপত্রও দাখিল করে ছুটি কাটান। কিন্তু একটি গোয়েন্দা সংস্থা গোপনে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে কুতুবে রাব্বানী করোনা আক্রান্ত হননি। গোয়েন্দা সংস্থা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, প্রণোদনার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে রাব্বানী করোনা পজিটিভের নকল সনদ তৈরি করেন। এতে নিজেই মুগদা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. মৌসুমী সরকারের জাল স্বাক্ষর বসান।

এমন কুতুব আমাদের দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। মিডিয়া কখনো তুলে আনে ভূমির কুতুব, কখনো গাছের কুতুব, কখনো রেলের কুতুব, কখনো স্বাস্থ্যের কুতুব। আমাদের দেশে সরকারি টাকা তসরুপ করা একটা উৎসব। যখন যে বিষয়ে কোন বিশেষ ঘোষণা আসে তখনই একটি চক্র ঝাপিয়ে পড়ে দেশের মুদ্রাভান্ডারের উপর। দেশে যখন ভূমি অধিগ্রহণ করা হয় তখন দেখা গেছে কোথাও দোচালা ছনের বা টিনের ঘরকে দোতলা দেখিয়ে লাখ টাকাকে কোটি টাকায় রুপান্তর করেছে এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুবিধাবাদী মানুষ। সরকার কোথাও কোন প্রকল্প করতে চাইলে সেখানকার ভূমির সাথে বৃক্ষাদীরও উপযুক্ত দাম দিয়ে থাকে। প্রকল্পের খবর আগেই ফাঁস করে দেয় এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী। রাতের আধারে ধুধু বালুচর বা ফসলী জমিতে গাছ লাগানোর হিরিক পরে যায়। পাট কাঠির মত সাইজের বনজ ও ফলদ বৃক্ষ রোপন করে অসাধু চক্র। এর পর সেই গাছ গণনায় যায় অসাধু অফিসার। পাট কাঠি সাইজের একটা মেহগনি গাছের চারার দাম ধরা হয় অর্ধ লক্ষ টাকা। হোক সেটা মরা বা জীবিত! তাতে তাদের কিছুই যায় আসে না। কমিশনের ভাগবাটোয়ারা হয়ে যায় জরিপের সময়ই। ঠিকমত ভাগ দিলে পাটকাঠি সাইজ বৃক্ষ হয়ে যায় মহীরুহ। এভাবেই চলে আমাদের ভান্ডার লোপাট। এই চক্রের সাথে সরকারি কর্মী, দালাল ও সুবিধাভোগী ব্যক্তি জড়িত থাকে। সবাই লাভবান হয়, ফলে এ নিয়ে টুশব্দও করে না। শুধু ক্ষতিগ্রস্থ হয় আম জনতা। মিডিয়া যদি বিষয়টা তুলে ধরে তবে সর্বোচ্চ তদন্ত কমিটি হয়। সেই তদন্ত কমিটিকেও চুপ করার রাস্তা আছে এবং সেটা বেশ প্রসস্ত। করোনা সার্টিফিকেট প্রতারণার খবর আসছে বেশ জোড়ালো ভাবেই। জেকেজি কেলেঙ্কারির পর রিজেন্ট হাসপাতালের ভূয়া করোনা সনদের খবর যখন চাউর হয়েছে তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না দেশে এই সনদ দিয়ে কত টাকা তুলে নেবে প্রতারক চক্র। তাই সরকারের উচিত হবে যথাযথ পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে, সেটা গোপনে ও প্রকাশ্য তদন্তের মাধ্যমে সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্থদের যদি প্রনোদনা দেয়া হয় তবে দেশের ভান্ডার চুরির সম্ভাবনা কমবে। আমি একজন নিয়মিত করদাতা। আমার করের টাকাইতো দেয়া হবে। সেই টাকা যেন জলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখার কথা আমি বলতেই পারি। একই সাথে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নীতিহীনতা যখন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন তৃণমূলে নীতি আশা করা ভুলই নয় অন্যায়!

বিষবৃক্ষে মধুফল ফলে না।
অনির্বাচিত, মধ্যরাতের ভোটে ক্ষমতা দখল করে রাখা স্বৈরাচারি সরকার
তার অস্তিত্বের প্রয়োজনেই যে অন্যায়, ক্ষমতার অপব্যবহারকে প্রশয় দিয়েছে, তারই ক্রমধারাবাহিকতা
সকল অন্যায়, সকল দূর্ণীতি, সকল মন্দত্ব।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশটা দরিদ্র। বেশির ভাগ জনগন অতি গরীব। এর মধ্যে রাজনীতিবিদরা হলো নীতিহীন এবং দূর্নীতিবাজ- এর জন্য আমাদের দেশের আজকে এই অবস্থা। অথচ তারা এতদিন বলেছে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.