![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবেগপ্রবন, ভয়ডরহীন, লড়ে যেতে প্রস্তুত শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে।
এশিয়া কাপ ফাইনাল'১৬ তে আমি বাংলাদেশ-ভারতের জয়ের সম্ভাব্যতাকে দেবো ৪৫-৫৫।
দলগত শক্তিমত্তা এবং সাম্প্রতিক পার্ফরমেন্স বিচারে আমি ভারতকে এগিয়ে রাখবো।
যদিও T-20'তে দুটি দলের মধ্যে ব্যবধান ক্ষনেই পরিবর্তন হতে পারে এবং বাংলাদেশের যে অনুপ্রানিত উত্থান তাতে ম্যাচে মানুষিকভাবে বাংলাদেশই চাঙ্গা থাকবে বিপরিতে ভারত থাকবে চাপে। প্রথম থেকেই এ চাপটা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ জিতবে।
আমার দেশের প্রতি টান আবেগিয়ভাবে এ কামনাই করছে।
এ এশিয়া কাপে ক'দিন আগেই ক্রিকেটিয় জায়ান্ট শ্রী লংকা এবং পাকিস্তানকে হারানোর টাটকা সুখস্মৃতি বাংলাদেশের রয়েছে। যদিও সে সুখস্মৃতি অর্জনের টনিক ভারতের সাথে কাজ করবে কিনা সন্দেহ!
মনে করে দেখুন- শ্রী লংকার সাথে লড়াইকে ধরা হয়েছে জাতীয় পশু বাঘে সিংহে লড়াই হিসাবে। যেখানে বাংলার বাঘেরা উৎজ্জীবিত হয়েছে, সিংহকে পরাজিত করে শিরোনাম করেছে- 'বাঘের থাবায় সিংহ বধ'
অপরদিকে পাকিস্তানের সাথে খেলায় বাঘ-ছাগলের লড়াই হতে পারে না! তাই বাংলাদেশী টাইগারেরা উৎজ্জীবিত হয়েছে ইতিহাস থেকে! ২ মার্চ ছিলো ১৯৭১এ পতাকা উত্তোলনের দিন, সে ২ মার্চেই পাকিস্তানকে হারিয়ে এ ফাইনালে উড়িয়েছে বাংলাদেশের পতাকা।
এখন প্রশ্ন হলো- ভারতের সাথে এ মনস্তাত্বিক লড়াইটা কি হবে? সেটা কি জাতীয় পশুতে নাকি ইতিহাসে?
দুঃখজনক ভাবে ভারতের জাতীয় পশুও 'রয়েল বেঙ্গল টাইগার' তাই বাঘে বাঘে এ লড়াই হতে পারে সমতার! অন্যদিকে বাংলাদেশে বাঘ আছে ১০৬ টি বিপরিতে ভারতে সুন্দরবন অংশে ৬৪ টি সহ মোট ২২২৬ টি(বিশ্বের ৭০ শতাংশ বাঘই ভারতে)।
তাই লড়াইটা বাঘে বাঘে হলে ভারতের একতরফা ভাবে জিতে যাওয়ার কথা!
অপরদিকে লড়াইটা ইতিহাসের হলে, আজ ৬ মার্চ, এদিনের কোন প্রাসংগিক ইতিহাস পাওয়া যাচ্ছে না! তবে আগামীকাল ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষনের দিন। যেদিনে এমাটির এক শ্রেষ্ঠবক্তা বলেছিলেন- "৭ কোটি বাঙ্গালিরে দারায়ে রাখতে পারবা না"
আপনারা স্বরণ করতে পারেন, গত বছর বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে দাবায়ে রাখা দাদাগিরি!
তাই আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের অনুপ্রেরনা হতে পারে বঙ্গবন্ধুর ভাষন। "আইসিসির ওপর যতই খবরদারি করো, ১৬ কোটি বাংলাদেশীকে, ক্রিকেটে বাংলাদেশকে দাবায়ে রাখতে পারবা না"
এখন কথা হলো- বঙ্গবন্ধুর এ ভাষনে বাংলাদেশিরা হয়তো অনুপ্রানিত হতে পারে কিন্ত ইন্ডিয়ান খেলোয়ারদের আত্মবিশ্বাস ছিঁড়েফুঁড়ে দেয়া টনিক কি হতে পারে?
উত্তর- পাদুয়ার বিজয়।
২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল বড়াইবাড়ি সীমান্ত দিয়ে বেআইনীভাবে বাংলাদেশে ঢুকে হামলা করেছিলো প্রায় ৪০০ ভারতীয় সেনা।
পৃথিবীর ইতিহাসে এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা যে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ মাত্র ১০ জন বিডিআর জওয়ান প্রায় ৪০ গুন শত্রুর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়েছিল। এবং সে লড়াইয়ে বিপর্যস্থ বিএসএফ তাদের ১৬ জনের লাশ ফেলেই পালিয়ে গিয়েছিলো।(বিপরীতে শহীদ হন ৩ বিডিআর জওয়ান, ল্যান্স নায়ক ওয়াহিদ মিয়া, সিপাহী মাহফুজ এবং সিপাহী আব্দুল কাদের)।
বড়াইবাড়ির এ অনুপ্রেরনাই বাংলাদেশের জয়ের টনিক হতে পারে, যাকিনা ইন্ডিয়ার মনোবল ভেঙ্গে দিতে পারে।
১০ বিডিআরের সামনে অসহায় ৪০০ বিএসএফের মতো ১০৬টি বাঘের বাংলাদেশের কাছে দূর্বল হতে পারে ২২২৬ বাঘের ইন্ডিয়া!
তবে স্বরণ করিয়ে দেই- বড়াইবাড়ির এ ঘটনায় ৩ শহীদকে জাতীয় মর্যাদায় দাফন ও পুরস্কৃত করা হয়নি! এমনকি ভারতের চাপে তৎকালীন বিডিআর ডিজি সহ বড়াইবাড়ির বীর জওয়ানদের বদলী করা হয়েছিলো(শাস্তি মূলক)।
এ কথাটি যদি বাংলাদেশের খেলোয়ারদের মাথায় থাকে তবে কিন্তু বিজয়ের টনিক উল্টা কাজ করতে পারে....
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৬
বিজন রয় বলেছেন: অমন আরো অনেক কিছুই আছে অনুপ্রেরণা হতে পারে।
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২০
মোঃ আবু হেনা সাজ্জাদ বলেছেন: এগিয়ে যাও বাংলাদেশ..
৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪
মহা সমন্বয় বলেছেন: স্বপ্নপূরণের ফাইনাল আজ
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৬
বিজন রয় বলেছেন: "আইসিসির ওপর যতই খবরদারি করো, ১৬ কোটি বাংলাদেশীকে, ক্রিকেটে বাংলাদেশকে দাবায়ে রাখতে পারবা না"
++++