নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পর্শ করতে চাই তাকে, কিন্তু পারিনা তবুও চেয়ে তার পথ ছুয়ার আসায় ।

স্পর্শ

স্পর্স করতে চাই তাকে কিন্তু কিছুতেই পারিনা,তবুও আসায় আছি তার পথ চেয়ে।

স্পর্শ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষকের অভয়ারণ্য বাংলাদেশ ::::

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪০




জোরপূর্বক বলপ্রয়োগে প্রকাশ্য দিবালোকে, রাতের আড়ালে আবডালে নারীর সাথে নারকীয় তান্ডবে নারীকে ধর্ষণের মাধ্যমে রক্তস্নান করায় ধর্ষক। নিরুপায় বলহীনা ধর্ষিতা আর্তনাদ করে জানান দেয় তার ধর্ষনের কাহিনী। স্বৈরাচার পুরুষতন্ত্রের পুরুষগুলো নির্বিকার থাকে ধর্ষিতার আর্তনাদে।পুরুষোচিত আচরণ ছেড়ে লেজগুটিয়ে পালিয়ে বদ্ধ হয় বিবেকের বন্দীশিবিরে। এগিয়ে আসে শুধু ধর্ষকের লালনকারী ধর্ষণের আরেক কিংবদন্তী! প্রবাদপুরুষ! প্রতাপশালী ধর্ষক। তিনি রাষ্ট্রীয় সমস্ত শক্তির আড়ালে এই ধর্ষককে জামাইআদরে ঘুম পাড়িয়ে রাখেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে।কারণ, নিরাপদ ধর্ষণপ্রবণ এলাকার নাম বাংলাদেশ।

আপনার যৌন অভিজ্ঞতা কি?কতজন ছিল?কখন হয়েছে?কিভাবে হয়েছে?ইনি না উনি?আগে কে পরে কে?ধর্ষনের মুহূর্তে আপনার যৌনানুভূতি কি? সুখানুভূতি না দুঃখানুভূতি?শরীরের স্পর্শকাতর প্রত্যঙ্গে দাগ আছে কি?থাকলে গভীরতা প্রশস্তি কতটুকু?ভগাঙ্কুরে শিশ্নের প্রবেশ এলাকা কতটুকু? ইত্যাদি। আইনজীবীর (যদিও,বাংলাদেশে আইনজীবীর পেশাদারিত্বে শৈথিল্য লক্ষণীয় )এমনতর বিরামহীন অকথ্য প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে আবারও রূপকার্থে ধর্ষিতা বিচারালয়ে ধর্ষিত হয় উপস্থিত জনতার সামনে।যদিও সভ্য সমাজে এগুলো কাম্য নয় তবুও প্রতিনিয়ত দেদারসে তাই হচ্ছে।কারণ, বিচারালয়ে ধর্ষকের সাফাই ও বন্দনামূলক কাব্যপাঠের তীর্থস্থান বাংলাদেশ।

ধর্ষণ শুধুমাত্র নারীর সতীত্ব হরণ করেনা।ধর্ষণ প্রতিটি নারীর মেধা,বল,আশা,স্বপ্ন, লক্ষ্য, সতীত্ব, সম্ভ্রম, আভ্রুকে বলপূর্বক হরণ করে। কোনো নারীর যদি পূর্ব যৌন সঙ্গম অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে বলাৎকার হবার মুহূর্তে নির্মম যন্ত্রণায় কুঁকড়ে উঠে পাগলপ্রায় হয়ে যায় ধর্ষিতা।সতী বা অসতী কোনো নারীর-ই ধর্ষণ প্রার্থিত লক্ষ্য নয়,ইচ্ছেও নয়। কিন্তু,ধর্ষক ধর্ষণের জন্য লালায়িত,ধর্ষণ ধর্ষকের কাছে আকাঙ্ক্ষিত। ধর্ষণ কখনো অপরিকল্পিত নয়,বরং তা সবসময় পূর্ব পরিকল্পিত। ধর্ষিতা স্নেহ,শ্রদ্ধা,ভালবাসার যোগ্য, ধর্ষক অযোগ্য।আমাদের সমাজে ধর্ষক নন্দিত, ধর্ষিতা নিন্দিত, ধর্ষক অভিনন্দিত, ধর্ষিতা অনভিনন্দিত। আমরা ধর্ষিতাকে উপহাস করি,ভর্ৎসনা দেই।কারণ,সামাজিক অবহেলায় তিল তিল করে মরে যাওয়া ধর্ষিতার অভিশাপগ্রস্ত দেশটির নাম বাংলাদেশ।

পিতা ধর্ষণ করে কন্যাকে,জামাই ধর্ষণ করে শাশুড়িকে,শশুর ধর্ষণ করে পুত্রবধূকে,দুলাভাই ধর্ষণ করে শ্যালিকাকে,সহপাঠী ধর্ষণ করে সহপাঠিনীকে,আমলা ধর্ষণ করে মেথরানীকে,ইমাম ধর্ষণ করে কিশোরীকে,গৃহশিক্ষক ধর্ষন করে ছাত্রীকে,দেবর ধর্ষণ করে ভাবীকে,উচ্ছৃঙ্খল তরুণ ধর্ষণ করে বর্ষবরণ উদযাপনকারী তরুণীকে,মাতালের দল পালাক্রমে ধর্ষণ করে পথচারীকে,বাহিনী দলগত হয়ে ধর্ষণ করে বাহিনীর গাড়িতে,মাস্তানের দল দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে মাতা-পিতার সামনে তার মেয়েকে,উপরোক্ত সাধুগণ! ধর্ষণেই ক্ষান্ত নয় ঠান্ডা মাথায় ধর্ষিতাকে খুন করে পরিতৃপ্ত হয়। কারণ,বিচারহীনতায় অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ,ধর্ষণের বন্যায় প্লাবিত সোনার দেশটির নাম বাংলাদেশ।

ধর্ষিতা মায়ের সন্তানের বেদনা,ধর্ষিতা বোনের ভাইয়ের কষ্ট,ধর্ষিতা কন্যার পিতার শোক, নারীর সর্বস্ব সতীত্ব হারানোর অপরিমেয় মরম-জ্বালা শাসকগোষ্ঠীর পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে উপলব্ধি করতে হবে। বর্বর ধর্ষককে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলাতে হবে।ধর্ষকের বিচারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে,আগামীর সম্ভাব্য ধর্ষককে কঠোর হুশিয়ারি বার্তা দিতে হবে।পাশাপাশি বিচার বিভাগের নিজ দায়িত্বে বহুলভাবে প্রচার করতে হবে, ধর্ষিতা কোনো কলঙ্কিত, অশুচি বস্তু নয়,ছোঁয়াচে রোগীও নয়। ধর্ষিতা ধর্ষণের পূর্বে যেমন পবিত্রা,তেমনি ধর্ষণের পরেও পূর্ণরূপে পবিত্রা। ধর্ষিতার লাশ নিয়ে আর কোনো অপরিচ্ছন্ন লৈঙ্গিক রাজনীতি আমরা দেখতে চাইনা। আমরা মানুষ হিশেবে সম্পূর্ণরূপে পরিচ্ছন্ন হয়ে দেশাত্মবোধক গান"এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি"সম্মিলিতভাবে গাইতে চাই।


আল-আমীন ইবনে শফিক

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

ডক্টর ওসমান বলেছেন: :'(

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সবাই একটা বিষয় পেয়েছেন, লেখেন; তারপর নিজে পরেন।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: উত্থিত পুরুষাঙ্গের কাছে নতজানু স্বদেশ!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

স্পর্শ বলেছেন: খারাপ বলেন নি জনাব! !

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাংলাদেশ ধর্ষণের অভয়ারণ্য নয়। যদিও অনেক ঘটনা ঘটে গেছে তারপরও এটা বলা যায় না। এত বেশি খারাপ অবস্থা হয়ে যায়নি। আপনি যেটা বলছেন।
এখনো মেয়েরা একা শহরে বাজার করা থেকে শুরু করে ক্লাস করা, ফ্যাশন শো, র‌্যাম্প, মডেলিং, স্পোর্টিং, পার্কে অবসর সময় যাপন সবই করছে। ধর্ষণের অভয়ারণ্য হলে তো প্রতিদিন শ-শ ধর্ষণ হওয়ার কথা খোদ ঢাকা শহরেই। :| :|

অতএব যা ঘটেছে সেটা প্রতিকার-প্রতিরোধ করতে হবে। শুধু শুধু বাড়িয়ে বলে কি লাভ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.