![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্পর্স করতে চাই তাকে কিন্তু কিছুতেই পারিনা,তবুও আসায় আছি তার পথ চেয়ে।
জঙ্গি : গুলশান থেকে শুলাকিয়া! ! বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের জন্য দায়ী কে? ?
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থ্যানের জন্য রাজনৈতিক দল, তাঁদের লেজুর সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও মিডিয়াগুলো দায়ী। এরা কখনই সমস্যার বা জঙ্গিবাদের উৎসের দিকে মনোনিবেশ করে, তা ধ্বংসের বা নির্মূলের চেষ্টা করেনি, যতটা চেষ্টা করেছে, তাঁদের ক্ষমতাকে দিরঘায়ীত করতে ও আঁখের গুছাতে। ঐ স্বল্প সংখ্যক মানুষের লোভের জন্য, পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ আজ একটি সন্ত্রসী ও জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করার পথে এগিয়ে চলেছে।
!নারীকুলেরর অবমাননা ইসলামের কাজ নয়। কিন্তু তাদেরকে যৌনদাসি করা,খুন করার সাথে ইসলামের সম্পর্ক নাই।। ভ্রান্ত মতবাদে ইসলামের আদর্শকে ভুলন্ঠিত করার হীন চেষ্টা কখনো অনুসরনীয় হতে পারে না। কতিপয় বিপথগামী তথাকথিত আইএসের ধারকবাহক হয়ে মুসলিম জাহানকে উৎকন্ঠায় ফেলে দিয়ে ইসলামকে রক্ষা করবে তা হতে দেওয়া যায় না।। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় হবে প্রকৃত জিহাদ।।।।
যুলুম, বেইনসাফী ও মিথ্যাচার পৃথিবীকে এক ভয়াবহ দূর্ঘটনার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর বড় বড় মোড়লগণ এ ব্যাপারে চোখ বুজে অন্ধ সেজেছেন। তারা শুধু একে অন্যকে দোষারোপেই ব্যস্ত। গভীর খাদে পতনোন্মূখ হাতীর লেজ ধরে আমরা সবাই অবিবেচকের মত সেই খাদেই পতিত হচ্ছি।
১০ দিন পরে হোক আর ১০০ দিন পরে হোক মনে পড়তই যে বিএনপি দায়ী ! অভ্যাস কি কখনও বদলায় ! এতো দিন বলে নি কারণ সরকার একটু চিপার মধ্যে ছিল তাদের নেতারই ছেলের নাম যখন জনগন জানতে পারলো
আমাদের মনের ভিতর কিছু প্রশ্ন জাগে
সেই জঙ্গি এখন কোথায় যাকে গুলশান থান্ডার্বোল্ট অভিযানে গ্রেফতার করা হয়রছিল জাতি জানতে চায় ??
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর হৃদয়বিদারক হত্যাযজ্ঞের ঘটনার পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার লেন উদ্বোধনের পর ঘোষণা দিয়েছিলেন, একজন ‘ধরা’ পড়েছে। একই দিনে আইএসপিআরের মুখপাত্র নির্দিষ্টভাবে বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। এরপর আইজিপি বলেছেন, গোয়েন্দা হেফাজতে দুজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি আছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ‘ঘটনাস্থল থেকে আটক’ ব্যক্তি সম্পর্কে পরে আর কোনো ঘোষণা আসেনি। তিনি কোথায়?
প্রধানমন্ত্রী নিজে ঘোষণাটাই দিলেন তারপর উনি নিজেই নিরব, নতুন কোন নাটক বা জজমিয়া বানানোর অপেক্ষায় আছেন. উনার মহামান্য পুলিশ বাহিনীর এই নাটক তৈরীর কাজ শেষ হলেই উনি (প্রধানমন্ত্রী) নাটকের বয়ান নিয়া হাজির হবেন !একটু ধৈর্য্য ধরে থকব পরে বি এন পি , জামাতের চৌদ্দগোষটী উদ্ধার এর বয়ান নিয়া উনি অবশ্যই আসবেন!!
ওই জঙ্গি কোন বড় নেতার সুপুত্র নয়তো? অসম্ভব নয়। তাদের অনেকের সন্তানই এখন তাদের রাজনীতিতে অনাস্থা দিয়ে জঙ্গিবাদে যে যোগ দিচ্ছে, সে প্রমাণ তো আমারা পেয়েই গেছি।
আমাদের সংবিধানে তো বহু বহু আইনই আছে, তাতে কী? ও চাপ্টার তো আমরা বহু আগেই খেয়ে হজম করে ফেলেছি এবং জঙ্গিবাদকে ডেকে এনেছি। এখন আর ওটার দিকে নজর দিয়ে কী হবে।
মার্কিন দেশের মানুষ শতভাগ আইন সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন। সেখানের আইন আদালত সচল। আমাদের তার কোন প্রয়োজন নাই, রাজনীতি সে ব্যবস্থা অনেক আগেই সেরে রেখেছে। এখন পুলিশ তা থেকে আলাদা হবে কী করে? পুলিশের আইন রাজনীতির ইচ্ছার বাইরে গিয়ে সচল হওয়ার কোন সামর্থ রাখেনা।আর রাখেনা বলেই আজ আমাদেরকে জঙ্গিবাদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এই আসল জায়গাটিতো আমরা খুঁজতে রাজি নই।
সরকারের এসব আচরণ নাগরিক হিসেবে আমাদের বিস্মিত এবং আতঙ্কিত করছে। আমরা ঠিক বুুঝতে পারছিনা সরকার কি চাচ্ছে? জঙ্গীবাদ নির্মূল না-কি এটাকে জিইয়ে রেখে ফায়দা তোলার চেষ্টা।
আমাদের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার প্রশ্নে যে কোন অজুহাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এখানে ডাকা যেমন নিরাপদ মনে করিনা ঠিক তেমনি ভারতকেও না।
জঙ্গীবাদ নির্মূলের সর্বোচ্চ উপায় হচ্ছে দেশের সকল শ্রেণি, পেশা, মত, পথ, ধর্মের মানুষকে যত বেশি সম্ভব নিঃশর্তে এক করে এর বিরুদ্ধে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য সে ব্যাপারে সরকারের আগ্রহ এবং উদ্যোগ দেখছিনা। সরকারের এহেন উদাসীনতা এবং খামখেয়ালীপনায় আমরা নাগরিক হিসেবে নিজেদের বিপন্নও বোধ করছি।
এই সরকারের আমলে যেভাবে সংবিধান লংঘনের ঘটনা ঘটেছে ও ঘটছে তাতে সংবিধানের দোহাই পাড়াটা একেবারেই খামখা। সংবিধান লংঘনের দায়ে গুরুতর শাস্তির বিধান রাখা হলেও এই সরকার তার নিজেদের বেলায় ঐ 'বামুনের ছেলে মাকড় মারলে ধোকড় হয়' -এই নীতিতে অটল আছে। তাই এই সরকারের কাছে সংবিধানের দোহাই দেওয়াটা অরন্যে রোদন মাত্র।
পরিশেষে বলতে চায় এদেশে জঙ্গি সমস্যার সমাধান আদৌও হবে না কারন আমার লাল সবুজের দেশে যে আইনের রক্ষকরাই অবৈধ ব্যাবহার করে টাকার পাহাড় বানাচ্ছে! !এখন তো একজন ভাল ছেলেকে গ্রেফতার করে জঙ্গি বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাচ্ছে আবার জঙ্গিকে দেশপ্রেমিক বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা! " তাহলে আমাদের লাল সবুজের দেশে কবে সেই আইন যা দেখে অপরাধিরা ছেড়ে দিবে সব অপরাধ? ? এটা মনে হয় স্বপ্ন থেকে যাবে স্বাধিন দেশে! "
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: 'বামুনের ছেলে মাকড় মারলে ধোকড় হয়' -এই নীতিতে অটল আছে।
দু:খজনক।