নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পর্শ করতে চাই তাকে, কিন্তু পারিনা তবুও চেয়ে তার পথ ছুয়ার আসায় ।

স্পর্শ

স্পর্স করতে চাই তাকে কিন্তু কিছুতেই পারিনা,তবুও আসায় আছি তার পথ চেয়ে।

স্পর্শ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব ইজতিমা ও তাবলীগ জমাআত সম্পর্কে আমার কিছু কথা এবং তারা কি ভ্রান্ত দল ? (পর্ব ১)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

বিশ্ব ইজতিমা ও তাবলীগ জমাআত সম্পর্কে আমার কিছু কথা এবং তারা কি ভ্রান্ত দল ? (পর্ব ১)


( বি: দ্র: ঘাড় তেড়া আর বিচার মানি তাল গাছ আমার,এই লেখাটি এজাতীয় লোকদের জন্য নয় তারা না পড়লেই ভাল হয় )






লেখাটির উদ্দেশ্যঃ ব্লগিং আর ফেসবুক,ইন্টারনেট এর সামান্য অভিজ্ঞতায় যা জানতে পেরেছি তা হলো, সত্য-মিথ্যাকে গুলিয়ে ফেলে কিংবা মিথ্যার আঘাতে সত্যকে নিষ্পেষিত করে ধোঁকাবাজি করাই অনেকের নিকট ব্লগিং-এর স্বার্থকতা। এমনই কিছু ‘ব্লগার-কলঙ্ক’(সোহান চৌধুরী সহ আর অনেকেই) বিশ্বজনীন “দাওয়াত ওয়া তাবলীগ জামাত”এর অবিতর্কিত মেহনতের সমালোচনায় পেশাদারী মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন, এবং মিমাংসিত কিছূ অবান্তর প্রশ্নের অবতারণা করে সরলমনা দাঈ ও মুবাল্লিগদের সাথে প্রতারণার পাঁয়তারা করছেন। এমতাবস্থায় আমার উপর ওয়াজিব হয়ে পড়েছে, আমার সাধ্যানুযায়ী এসব মিথ্যাচারের কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক জবাব দিয়ে সর্বসাধারণের আকীদা সংশয়মুক্ত রাখা। তাই সিরিজ আকারে সেই সব বানোয়াটি আপত্তির যথাযথ জবাবের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবং কয়েকটি পর্বে উপস্থাপন করব ইনশা আল্লাহ ! আল্লাহ তা’আলা আমাদের সব নেক আমলকে কবুল করুন। আমীন।





তাবলীগ জমাআত সম্পর্কে কিছু অবান্তর প্রশ্ন ও তার জবাব ।


বলে নিতে চাইঃ “দাওয়াত ওয়া তাবলীগ জামাত”এর ভাইদের কথা অত্যন্ত সাবলীল, বিনয়ী, নম্র ও মিষ্টি হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে আমি আমার উত্তরপর্বে অনেক ক্ষেত্রেই চরম ভাষা ব্যবহার করেছি। কারণ,
১) আমি তাদের মত এখনো অত ভালো হতে পারি নাই। শুধু সত্যের পক্ষাবলম্বনে আমাকে তাদের পক্ষে কলম ধরতে হলো।
২) বাতিলের মুকাবেলা করার জন্য একটু কঠিন হাতিয়ার ব্যবহার না করলে সামান্য সুযোগে আঁধমরা সাঁপের ফুঁসে ওঠার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সর্বশান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিনয়ী ও নম্রতার গুণকে আপাতত বিশ্রাম দেওয়া হলো।
বলাবাহুল্য, আমার এই পোস্টটি সূরা নাহলের ১২৫ নং আয়াত অনুযায়ী হিকমতপূর্ণ দাওয়াত নয়, বরং একই আয়াত অনুযায়ী নিরুত্তরকারী জবাব। তাই ভিন্নতার জন্য আমি দায়মুক্ত।
একটি স্বীকারোক্তিঃ এ লেখাটির একটি বিরাট অংশ আমার একাধিক শ্রদ্ধাভাজন উস্তাদের প্রবন্ধ থেকে গৃহিত। ঈষৎ পরিমার্জন ও ব্লগে প্রকাশের উপযোগী করে প্রকাশ করা হলো।
“দাওয়াত” একটি আরবী শব্দ, যার অর্থ ডাকা, আহবান করা। ইসলামের দাওয়াতের সারকথা হচ্ছে, মানুষকে দুনিয়ার শান্তি ও আখিরাতের মুক্তির দিকে আহবান করা।
তদ্রুপ “তাবলীগ”ও একটি আরবী শব্দ। যার অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বাণীসমূহ অবিকলভাবে আল্লাহর বান্দা ও রাসূলের উম্মতগণের নিকট পৌছে দেওয়া।
আর এ মহত দু’টি কাজ আঞ্জাম দেওয়ার জন্যই বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহত মুসলিম জামাতকে “দাওয়াত ওয়া তাবলীগ জামাত” বলা হয়।
প্রসঙ্গতঃ বলা প্রয়োজন যে, “দাওয়াত ওয়া তাবলীগ জামাত” এটি কোন স্বতন্ত্র দল, গ্রুপ বা গতানুগতিক সংগঠন নয়, বরং এটি হচ্ছে একটি নীরব বাতিলঘাতী আন্দোলন ও অত্যাসম্ভী বিপ্লব। এমনকি এই দায়ী ও মুবাল্লিগ জামাতের গতানুগতিক কোন প্রতিষ্ঠাতা, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইত্যাদী কোন ব্যক্তিও নেই। বরং যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই মুবারক নবুওয়তী জিম্মাদারীকে পূণঃবিন্যস্ত করেছেন, তিনি সকল আত্মকেন্দ্রিকতার সীমা পেরিয়ে এবং নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেকের গণ্ডি ছাড়িয়ে সরাসরি সীরাতে রাসূল, হায়াতে সাহাবা এবং পরবর্তী দাঈ-ইলাল্লাহদের যুগের দাওয়াতের ইতিহাসের প্রতি গভীর মনোনিবেশ করেছেন। পাশাপাশি সমাকালীন যুগশ্রেষ্ঠ ও সর্বজনশ্রদ্ধেয় উলামায়ে কেরাম ও মুরুব্বীদের সঙ্গে মাশওয়ারা ও মতবিনিময় করেছেন। এরপর এসবের আলোকেই বর্তমান কর্মপদ্ধতিটি প্রস্তুত করেছেন।
বর্তমানেও এই জামাতে কোন পদনির্ভর আসন নেই। একজন মুখলিস আমীরের পূর্ণ আনুগত্যে ইখলাসের সাথে সকল দাঈ ও মুবাল্লিগগণ বিশ্বব্যপী আপন জিম্মাদারী পালনার্থে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এমন ইখলাস ও অনাড়ম্বরতার নযিরবিহীন নমুনা দেখাতে গোটা দুনিয়া বারবার ব্যর্থ হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে দুনিয়াভিত্তিক ও দুনিয়াকেন্দ্রিক দলগুলো। পার্থিব সার্থবাদীরা এমন নূরানী পরিবেশ ও নূরানী শাহীদারী জনমেও দেখেনি। তাই অনেকটা হিংসা পরায়ণ হয়েই ক্ষেপে ওঠে আল্লাহর নিরীহ এই মুখলিস বান্দাদের উপর।
অন্যান্য জোট বা সংঘের চেয়ে এই জামাতটি এজন্যই অনন্য বৈশিষ্ট ও স্বতন্ত্র আবেদনের অধিকারী। কারণ, বর্তমান পৃথিবীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করার জন্য সংঘ, সংগঠন এবং সভা-সম্মেলনের কোনো অভাব নেই। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এত বেশি সভা-সমাবেশ নিয়মিত বা তাৎক্ষণিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়, যার হিসাব রাখাও অসম্ভব। এসব সম্মেলনের উদ্দেশ্য যদি হত অন্তত মানুষের পার্থিব কল্যাণ সাধন, তবুও একটা কথা ছিল। কিন্তু তা নয়। এসবের আসল উদ্দেশ্যই হল শক্তিধরের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও শক্তিহীনের ক্ষতি সাধন। যেখানে সম্মেলন ও সংঘবদ্ধতার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত দুর্বল ও অসহায়ের সাহায্য এবং কল্যাণের কাজে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান সেখানে এসবের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে সম্পূর্ণ বিপরীত। অর্থাৎ শক্তিশালী জালেমকে সমর্থন দেওয়া আর দুর্বল নিপীড়িতদের অসহায়ত্বকে দীর্ঘায়িত করা। আর তা এমনই সূক্ষ্ম কৌশলে যে, মজলুমের ‘আহ’ করার বা তার প্রতি কৃত-অন্যায়কে অন্যায় হিসেবে অনুভব করারও সুযোগ থাকে না। এটাই বর্তমান সময়ের সংঘ ও সংগঠনগুলোর নীতি। সৌভাগ্যবশতঃ দু’একটি সংগঠন যদি এমন পাওয়া যায়, যারা সেবামূলক মানসিকতা নিয়ে কাজ করে, তবে তাদেরও উদ্দেশ্য হয়ে থাকে শুধু মানুষের পার্থিব উন্নতি, যার সম্পর্ক শুধু মানুষের দেহের সাথে। প্রশ্ন এই যে, রক্ত-মাংসের সঙ্গে যুক্ত এ দেহটিই কি প্রকৃত মানুষ? তাহলে অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে মানুষের পার্থক্য কী থাকল? মনুষ্যত্বই তো মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য।
আজ বস্তুবাদী চিন্তা এবং অর্থ ও পদের লালসা এতই প্রবল হয়ে উঠেছে যে, প্রায় সকলেই বিশেষত ক্ষমতার মসনদে আসীন ব্যক্তিরা মনুষ্যত্বের বিকাশ ও পরিচর্যা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে একেবারেই ভুলে গেছে। তাদের সম্পূর্ণ চিন্তাশক্তি ও কর্মশক্তি এই আসল সমস্যার বাইরেই খরচ হয়ে যায়, অথচ মনুষ্যত্বের অভাবই হল সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এর যথার্থ সমাধান ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো সমস্যার সমাধান তো দূরের কথা, সামাজিক, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত সমস্যার ও কোনো সমাধান সম্ভব নয়। অথচ কিছু সাহসী ও সৎ চিন্তাশীল মানুষ যখন এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন তখন তাদের আহ্বানকে নিতান্ত অপরিচিত মনে করা হয় এবং তাদের উদ্যোগ-ইজতিমাকে অর্থহীন ও অপ্রয়োজনীয় ভাবা হয়। এ যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সেই বাণীরই বাস্তব চিত্রঃ
بدأ الإسلام غريبا و سيعود كما بدأ، فطوبي للغرباء
ইসলামের সূচনা হয়েছিলো অপরিচিত অবস্থায়, এবং তা অচিরেই সেই অপরিচিত অবস্থায় ফিরে আসবে। সুতরাং সেই অপরিচিত সময়ে যারা অপরিচিত থেকেও ইসলামকে আঁকড়ে পড়ে থাকবে, তাদের জন্য মহা-সুসংবাদ। আলহাদীস।
প্রকৃত মানবতা বা ইনসানিয়াতের কয়েকটি মৌলিক বৈশিষ্ট হলোঃ
১) খালিকের মা’রিফাত অর্জন (সূরা যারিয়াত, আয়াতঃ ৫৬)। কেননা, এ তো সহজ কথা যে, ইনসানকে সবার আগে পেতে হবে সৃষ্টিকর্তার পরিচয় এবং তাঁকে হতে হবে সকল সৃষ্টির প্রতি দায়িত্বশীল।
২) হৃদয়-জগতের পবিত্রতা (সূরা আ’লা, আয়াতঃ ২৪, সূরা শামস, আয়াতঃ ৯)।
৩) চিন্তার বিশুদ্ধতা ও বুদ্ধির পরিশুদ্ধতা (সূরা বাকারাহ, আয়াতঃ ২৬৯)। যেন সবাই ক্ষণস্থায়ীর জন্য চিরস্থায়ীকে বিসর্জন দেওয়ার নির্বুদ্ধিতা থেকে রক্ষা পেয়ে যায, এবং সৃষ্টি জগতের বিভিন্ন রহস্য উদঘাটনের গর্বে আত্মহারা হয়ে কিংবা চরম গাফলত ও উদাসীনতায় আত্মবিস্মৃত হওয়ার লজ্জায় নিমজ্জিত থেকে কেউ যেন পরকালীন প্রস্তুতি গ্রহণে অবহেলা না করে বসে।
৪) আভিজাত্য, উন্নত চরিত্র ও উত্তম আখলাকের অধিকারী হওয়া (সূরা আলু ইমরান, আয়াতঃ ১৫৯)।
৫) আমানতদারী (সূরা মু’মিনূন, আয়াতঃ ৮)। খালেক ও মাখলুক প্রত্যেকের আমানত আদায় করার মানসিকতা সৃষ্টি করা।
সকল পেরেশানী, যাকে প্রকৃত পক্ষেই পেরেশানী বলা যায়-তার সমাধান ইনসানকে ইনসানিয়াত শেখানোর মধ্যেই নিহিত রয়েছে। অথচ এই সহজ সরল সাদামাঠা কথাটি বোঝতেও ঐসব ডবল শিক্ষিতদের পক্ষে সম্ভব নয়, যারা আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম-এর শিক্ষার সাথে জানাশোনাও রাখে নি এমনকি জানার আগ্রহও যাদের নেই। আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম-এর মধ্যে সর্বশেষ যিনি প্রেরিত হয়েছেন, তিনি হলেন মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি ব্যাপকভাবে সকল মানুষের প্রতিই প্রেরিত হয়েছেন। স্থান-কাল-পাত্র-গোত্র-বর্ণ ইত্যাদি সকল সীমাবদ্ধতার উর্ধ্বে তিনি সবার জন্যই রাসূল। তাঁর আনীত শিক্ষা ও নির্দেশনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া ছাড়া এই সত্য উপলব্ধি করা আদৌ সম্ভব নয়। শুধু ঈমানের সম্পদে সম্পদশালীরাই এই মহাসত্য উপলব্ধি করতে পারেন এবং ঈমানের মিষ্টতা যিনি যে পরিমাণ অর্জন করেছেন তিনি ততটা গভীরভাবে তা উপলব্ধি করে থাকেন। বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যাবে, আজ যারা উন্নতি-অগ্রগতির সবচেয়ে বড় দাবিদার এবং মানবতার শিরোপা যাদের অধিকারে, তারাই সবচেয়ে বেশি মানবতার দুশমন। তো যে নিজেই রিক্তহস্ত সে অন্যকে কী দিতে পারে? সারকথা এই যে, মনুষ্যত্বের অভাবই বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা আর এই বাস্তব সমস্যার একমাত্র সমাধানের ব্যাপারে যদি কিছু চিন্তা-ভাবনা এবং সাধ্যমতো কিছু কাজ হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই ঈমানওয়ালারাই করে যাচ্ছে।
একমাত্র ঈমানওয়ালারাই দাওয়াত- তালীম, তাবলীগ, তারবিয়্যাত-তাযকিয়া, ওয়াজ-নসীহত, দ্বীনী মোযাকারা, সাধ্য অনুযায়ী সীমিত আকারে ‘আমর বিল-মারূফ নাহি আনিল মুনকার’ এবং প্রয়োজনের মুহূর্তে সাধ্যমতো ‘জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ’র মাধ্যমে পৃথিবীতে ইনসানিয়াতের সবক প্রচারে যথাসাধ্য মশগুল রয়েছেন। এটা ভিন্ন কথা যে, ঈমানওয়ালাদের ঈমানী দুর্বলতা তাঁদের খেদমতগুলোকে মানে ও পরিমাণে যথেষ্ট সমৃদ্ধ করতে পারছে না। কিন্তু এ কথা তো অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বিশ্বের মুক্তি ও উন্নতি ঈমানদারদের ঈমানী তরক্কীর মধ্যেই নিহিত আছে এবং পৃথিবীর ক্ষতি ও অকল্যাণও হয়েছে ঈমানদারদের ঈমানী অবনতির কারণে। এই অবক্ষয়ের যুগেও ব্যাপক দাওয়াতের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য খেদমত আল্লাহ তা’আলা যে মহাপুরুষের মাধ্যমে আঞ্জামের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি হলেন, হযরত মাওলানা ইলিয়াস রাহ. (১৩০৩-১৩৬৩ হি.), এবং তার মেহনত ও মাকবুলিয়াতের ফসলই হলোঃ “দাওয়াত ওয়া তাবলীগ জামাত”। যদিও সবাই এই জামাতকে “দাওয়াত ওয়া তাবলীগের জামাত” বলে সম্বোধন করে থাকে, কিন্তু হযরত মাওলানা ইলিয়াস রাহ. বলতেন, “যদিও অনেকে এই জামাতকে “দাওয়াত ওয়া তাবলীগ জামাত” নামে সম্বোধন করে থাকে, কিন্তু আমি এই জামাতের এখনো কোন নামকরণ করি নাই। যদি আমি কোন নামকরণের মনস্থ করতাম তাহলে এই মেহনতের নাম দিতাম “তাহরীকে ঈমান” বা ঈমানী আন্দোলন।
হযরত মাওলানা ইলিয়াস রাহ. কুরআন ও হাদীসের অনেক বড় মুহাক্কিক আলেম ছিলেন। তিনি ছিলেন হিন্দুস্থানের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ দুই দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলূম দেওবন্দ ও মাজাহিরুল উলূম সাহারানপুর মাদরাসার সন্তান। তিনি কিতাব ও সুন্নাহ গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছেন। সীরাতুন্নবী ও সাহাবা-জীবনী বিস্তৃতভাবে অধ্যয়নের পাশাপাশি তাঁদের জীবনের দাওয়াত অংশটি মনোযোগের সাথে পর্যবেক্ষণ করেছেন। পরবর্তী দাঈ-ইলাল্লাহদের যুগের দাওয়াতের ইতিহাসও পাঠ করেছেন। বড়দের সঙ্গে মশওয়ারা ও মতবিনিময় করেছেন। এরপর বর্তমান প্রচলিত কর্মপদ্ধতিটি প্রস্তুত করেছেন। কাজ আরম্ভ করে যতই অগ্রসর হয়েছেন ততই তাঁর অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কাজের মধ্যে মজবুতি এসেছে। তাঁর ব্যথিত হৃদয়ের আহাজারি ও আল্লাহর বান্দাদের প্রতি তাঁর দরদ আল্লাহ তা’আলা কবুল করে নিয়েছেন। ফলে তাঁর কাজ পুষ্পিত ও পল্লবিত হয়েছে এবং আজ পর্যন্ত লক্ষ-কোটি মানুষ এই মেহনতের মাধ্যমে সিরাতে মুস্তাকীমের সন্ধান পেয়ে চলেছে। এরপর যে ব্যক্তি যে পরিমাণ উসূলের পাবন্দী করেছেন এবং হক্কানী উলামা-মাশায়েখের সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত রেখেছেন তিনি তত বেশি উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছেন।
তাঁর এই মুবারক মেহনতের অন্যতম একটি মূল উদ্দেশ্য এই যে, বর্তমানে কালেমা পাঠকারী মুসলিমগণও দুনিয়ার মোহ ও বস্তুবাদিতার যে ব্যধিতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়ে আছে, সে বিষয়ে তাদের মধ্যে অনুভূতি সৃষ্টি করা এবং তা থেকে মুক্তিলাভের প্রেরণা জাগ্রত করা। এটাই এ কাজের রূহ বা প্রাণ। আর এর কর্মপদ্ধতি এমন সুনিপুনভাবে বিন্যস্ত যে, আত্মসংশোধনের সাথে সাথে অনুভূতিহীন মানুষের মধ্যেও দ্বীনের প্রয়োজনীয়তার অনুভূতি জাগ্রত করার এক সুপ্ত মেহনত তার মননশীলতায় চলতে থাকে।
বর্তমানে বিশ্বব্যপী মুসলিম উম্মাহ সবচে’ বেশী যে বিষয়টির প্রয়োজন উপলব্ধি করছে, তা হলো সমগ্র মুসলিমশক্তির ঐক্য ও একতা। এ বিষয়ে হযরত মাওলানা ইলিয়াস রাহ. তার মালফূযাতের ১৬৫নং-এ উল্লেখ করেন, আমাদের এই আন্দোলনের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য হলো, মুসলমানের যাবতীয় জযবার উপর দ্বীনের জযবাকে জয়যুক্ত করা এবং এই পথে একই উদ্দেশ্য পয়দা করার পাশাপাশি ইকরামে মুসলিমের উসূলকে যিন্দা করে পুরো মুসলমি উম্মাহকে এই হাদীসের পরিপূর্ণ অর্থে পরিণত করা।
المسلمون كجسد واحد সমস্ত মুসলিম জাতি এক দেহের মত।
********************************************************


সূত্র

পরের টুকু আগামি পর্বে

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:
ছবি দেখে বুঝে নিন কি বলতে চাই।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

স্পর্শ বলেছেন: জি জনাব মোবারাকবাদ

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: অনেক কষ্ট্ করেছেন এবং কিবোর্ডে ঝড়ও তুলেছেন।
আপনার উপর যেহেতু ওয়াজিব হয়েছে তাই ওয়াজিব পালন করুন।

চালিয়ে যান।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

স্পর্শ বলেছেন: ওয়াজিব কিআমার উপরই আর কথাটা কেমন জানি বেমানান হল না জনাব !!ধন্যবাদ জনাব ।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

চোরাবালি- বলেছেন: আয যারিয়াত ৫৬.) জিন ও মানুষকে আমি শুধু এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার দাসত্ব করবে।
সূরা আ’লা, আয়াতঃ ২৪- যার আয়াত সংখ্যায় ১৯টি সেখানে ২৪নং আয়ত আসল কোত্থেখ্যে????
সূরা শামস, আয়াতঃ ৯- সে সফলকাম হবে, যে তাকে পরিশুদ্ধ করবে।
সূরা বাকারাহ, আয়াতঃ ২৬৯- তিনি যাকে ইচ্ছা বিশেষ জ্ঞান দান করেন এবং যাকে বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়, সে প্রভুত কল্যাণকর বস্তু প্রাপ্ত হয়। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে, যারা জ্ঞানবান।
সূরা আলু ইমরান নয় সুরা আল-ইমরানআয়াতঃ ১৫৯- আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন পক্ষান্তরে আপনি যদি রাগ ও কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন এবং কাজে কর্মে তাদের পরামর্শ করুন। অতঃপর যখন কোন কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন, তখন আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা করুন আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন।

এগুলি আপনার রেফারেন্সের অর্থ-

সারকথা- সর্বদা আল্লাহ আল্লাহ করতে আল্লাহ মিস্ত্রি পাঠিয়ে বেড়া দিয়ে শত্রু মোকাবেলা করেন না, মোকাবেলা নিজেকে করতে হয় আল্লাহ সহায় থাকেন। সর্বদা মসজিদ আর মসজিদ আর কিছু নাই, আল্লাহকে ডাকেন তিনিই সব দিবেন, হযরত মুঃ সঃ কাজ করেছেন যুদ্ধ করেছেন, বিবিদের সময় দিয়েছেন সাথে আল্লাহকেও ডেকেছেন।
ইসলামী দ্বিন প্রতিষ্ঠায় যেমন আল্লাহকে ডাকতে হবে তেমনি কৌশল অবলম্বন করতে হবে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজনে যুদ্ধে।

তাবলিগ শুধু ভালো কাজের আদেশ করে খারাপ কাজের নিষেধ করেন না, বস্তুত অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে শক্তিদিয়ে, তা না হলে মুখ দিয়ে সর্বশেষ মনে মনে আর সেটি হল ঈমানের সর্বনিম্নস্তর।

হযরত আলী রাঃ বলেছেন কখনও বোকার সাথে তর্কে না জড়াতে।
আল্লাহ আপনার সহায় হউন

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

স্পর্শ বলেছেন: আপনাকে মোবারাক বাদ জানাই এবং আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন আমিন ।এবং আমার সবগুলি পোস্ট দেখুন কিছু জবাব পেয়েও যেতে পারেন ।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় স্পর্শ, আপনার স্পর্শে আলোকিত হোক আঁধারের অবরুদ্ধ সবগুলো অলিগলি।

সত্যের পক্ষে আপনার অবস্থানকে স্বাগত। অনেক শ্রমলব্দ লেখাটির জন্য অভিনন্দন। লেখাটির বিন্যাস সাধনে আরেকটু যত্নশীল হলে সৌন্দর্য যেমন ফুটিয়ে তোলা যেত একই সাথে পাঠকের ধৈর্য্যচূতিরও বোধ করি অবসান হত।

প্রথমাংশ পড়েই বুঝতে পেরেছি, আপনি ভাল লিখেছেন। সময় করে আপনার পুরো পোস্ট পড়ে বিস্তারিত কথা হবে।

ভাল থাকবেন ভাই।

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৫

বক বলেছেন: তাবলীগ নিয়ে দুধরনের সমালোচক দেখা যায়।

১। যারা একে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়
২। যারা এর ভুল ত্রুটি ধরে

আর যারা তাবলীগের জজবাসম্পন্ন লোক তারা কম বেশি এক প্রকার। তারা মনে করে
১। উপরোক্ত দুধরনের সমালোচকই বাতিলের খাতায়

আর সীমা লংঘনের ভয়টা এখান থেকেই আসে

তাবলীগ হক জামাত কোন সন্দেহ নেই। মওলানা ইলিয়াস রহ: যে ভাবে কাজটা বুঝেছেন এবং চেয়েছেন , আমার মত কম বুদ্ধির লোকও তার ভাবনার সৌন্দয্য অনুভব করে।

কিন্তু

কস্ট হয় যখন দেখি একাজের সাথে সম্পৃক্ত কোটি কোটি লোকের অধিকাংশ সেটি পাশ কাটিয়ে যায়।

বর্তমান তাবলীগ খুব সুক্ষভাবে মওলানা ইলিয়াস রহ: তাবলীগের (উনি যেটা করতে চেয়েছেন) নুর থেকে সরে যাচ্ছে। (আল্লাহ আমাকে মাফ করুন, যদিও ছোট মূখে অনেক বড় কথা বলছি)

এই বিচ্যুতি যখন তাবলীগের অনুসারী কম ছিল তখন যতটা না চিন্তার ছিল, এখন অনুসারী অনেক অনেক বেশী হওয়ায় সেটি সাধারন চিন্তা থেকে দুশ্চিন্তায় পরিনত হতে যাচ্ছে।

শয়তান যখন কোন নেক কাজ থেকে কাউকে ফেরাতে না পারে, তখন সে উঠে পরে লাগে সেই নেক কাজটার ফায়দা যাতে সে নিতে না পারে।

ঠিক তেমনি

শয়তান যেহেতু তাবলীগ কে থামাতে পারছে না। কোটি কোটি লোক পানির স্রোতের মত একাজে যুক্ত হচ্ছেই। তাই এখন শয়তানের মনোভাব হচ্ছে অনেকটা এরকম-

"তোকে যখন তাবলীগ থেকে দূরে রাখতেই পারলাম না-এখন তোকে এমন ভাবে তাবলীগ করাবো যাতে তুই বুঝতেই না পারিস তুই কি করছিস"

উদাহরণত "কারো কারো জজবা এতো বেশি হয়, সে আমলের প্রয়োরিটি উল্টা পাল্টা করে , একটার হক আর একটা দিয়ে নস্ট করে"

এটা হয়ত আমার-ই বিভ্রান্তিও হতে পারে। কিন্ত এবিষয়ে 'ভাল জানা' ভাই দরকার যে কিনা আমার এই বিভ্রান্তি কাটিয়ে দিবে।

সে আশায় আপনার এই পোস্টে মন্তব্য করলাম।

৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই @বক, আপনার বাস্তবতার আলোকে সুন্দর মন্তব্যে মোবারকবাদ। এত বড় মেহনতের কাজ আঞ্জাম দিতে গিয়ে, করতে গিয়ে, করাতে গিয়ে এ ধরনের টুকটাক ভুলভ্রান্তি থাকাটা একেবারে অস্বাভাবিক নয়। বিশ্বজোড়া এই যে আমাদের দাপিয়ে বেড়ানো এটাতো এক দিনে আমরা পারিনি। দিনে দিনে শত হাজারো লাখো মুখলিস আল্লাহর বান্দার নিরন্তর ছুটে চলা, নিরব কান্না-কাটি আর আল্লাহ জাল্লা শানুহুর দরবারে আজীমে রোনাজারির ফল ও ফসল আজকের এই দাওয়াত ও তাবলীগ। তো এই অসংখ্য রকমের অসংখ্য ধরনের অসংখ্য মনের অধিকারী, অসংখ্য মেজাজের সাদা-কালো-বাদামী মানুষ যখন এই কাজে যুক্ত হয়েছে তখন এর ভিতর টুকটাক ভুলভ্রান্তি, সমন্বয়ের যথাযথ প্রক্রিয়াগত বিচ্যুতি ইত্যাদির অনুপ্রবেশও অস্বাভাবিক নয়।

টুকটাক, ছোটখাট একটু আধটু ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে হলেও তো আমরা মহান মালিকের নাম নিয়ে পাখির মত উড়ে বেড়াচ্ছি। হায়! হায়!

আজ আমরা ছুটছি- এই মেহনত নিয়ে- কালিমার সমুধুর বানী- বিশ্বের প্রতিটি বনী আদমের কানে কানে পৌঁছে দেয়ার জন্য- বাংলাদেশ ভারত শুধু নয়- আমরা ছুটে যাচ্ছি চীন জাপান- আমরা ছুটে চলেছি এশিয়ার গন্ডি পেরিয়ে ইউরোপ আফ্রিকায়- আমরা উড়ে যাচ্ছি দূর আটলান্টিকের প্রশান্ত উর্মীমালা পেরিয়ে আমেরিকার প্রান্তে প্রান্তে- কালিমার অনাবিল সুখ-সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আমাদের পদপ্রান্তে লুটিয়ে পড়ছে সাগরপাড়ের অপরূপা অস্ট্রেলিয়ার মরুর লূ- হাওয়া। কানাডা থেকে ব্রাজিল- সুইডেন থেকে দক্ষিন আফ্রিকা- জাকার্তা থেকে মস্কো - এ ক্ষুদ্র বিশ্বের কোথায় নেই আমরা! আবার আমাদের করতলে পৃথিবীকে আল্লাহ পাক তুলে দিবেন প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পবিত্র ভাষ্যানুযায়ী। আলহামদু লিল্লাহ! আলহামদু লিল্লাহিল আলীমিল কাবীর!

ভাই, আবেগের বশে কিছু কথা বলে ফেলেছি। মাফ করবেন! আসল কথায় ফিরে আসি। এত বড় কাজ করতে গিয়ে একটু আধটু ত্রুটি বিচ্যুতি হয়তোবা হয়ে যায়। এটা আমরাও পছন্দ করি না। চেষ্টা বিভিন্ন আঙ্গিকে চলছে যাতে এগুলো থেকেও আমরা বেরিয়ে আসতে পারি।

তবে একটা জিনিষ আমাদের সকলকেই বুঝতে হবে- সারা জীবন যে লোক নামাজ কালামের ধার ধারে নি। আকাম কুকাম করে জীবন কাটিয়ে দিয়ে পরিশেষে ৫০/৬০ বছর বয়সে তাবলীগের দাওয়াত পেয়ে চিল্লা লাগিয়ে লম্বা পান্জাবী আর পায়জামা ধরে চেহারায় হঠাত পরিবর্তন আনলেও তার আচার আচরন এবং চরিত্র দিয়ে তাবলীগকে পরিমাপ করা যাবে না। কারন এই লোকের আচরন তাবলীগের মাপকাঠি যেমন নয় তেমনি তার মত লোকদের আত্ম সংশোধনের জন্য যথেষ্ট পরিমান সময়েরও প্রয়োজন। অথচ এই শ্রেনির লোকদের দেখিয়েই অধিকাংশ সময় তাবলীগের বদনাম রটানোর চেষ্টা প্রত্যক্ষ করি।

আর ভাই, আল্লাহ পাকতো ঘোষনা দিয়েই দিয়েছেন- الَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَائِرَ الْإِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ إِلَّا اللَّمَمَ إِنَّ رَبَّكَ وَاسِعُ الْمَغْفِرَةِ هُوَ أَعْلَمُ بِكُمْ إِذْ أَنشَأَكُم مِّنَ الْأَرْضِ وَإِذْ أَنتُمْ أَجِنَّةٌ فِي بُطُونِ أُمَّهَاتِكُمْ فَلَا تُزَكُّوا أَنفُسَكُمْ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ اتَّقَى

অর্থ- যারা বড় বড় গোনাহ ও অশ্লীলকার্য থেকে বেঁচে থাকে ছোটখাট অপরাধ করলেও নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার ক্ষমা সুদূর বিস্তৃত। তিনি তোমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন, যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা থেকে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে কচি শিশু ছিলে। অতএব তোমরা আত্নপ্রশংসা করো না। তিনি ভাল জানেন কে সংযমী।

সুতরাং আমাদের এইসব ছোটখাট অপরাধ মহা মহীয়ান তাঁর সীমাহীন দয়ায় নিশ্চয়ই মিটিয়ে দিবেন।

আল্লাহ পাক আমাকে আপনাকে সকলকে কবূল করুন। এই আলোচনার মধ্যে যদি কোন ভুল কথা বলে থাকি আল্লাহ পাক মাফ করে দিন। তার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।

ভাল থাকুন।

কথা হবে আবারও ইনশা- আল্লাহ।

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১১

আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: জামায়াতের কিছু নিয়ম বা নীতির বিপক্ষে কথা যেমন আছে তেমন তাবলীগের পক্ষে বিপক্ষে কথাও আছে। তাবলীগের বিপক্ষে যেটা বেশি বলা হয়, সেটা হল এরা সহীহ হাদীসের পরিবর্তে নিজেদের তৈরি বিভিন্ন ফতোয়া এবং ফাজায়েলের বইগুলো অনুসরণ করে, একারনেই অনেকে এদের বিরোধীতা করেন।

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

মাকার মাহিতা বলেছেন: "বক"
আপনার মন্তব্যের সূত্র ধরে একটা কথা মনে পড়ল।
২০০৭ কিংবা ২০০৮ সালের কথা। আমি কোন এক কারনে বাড্ডা গিয়েছিলাম। মাগরিব নামাজের সময় হল। ওখানের একটি মসিজদে নামাজ পড়তে যাই, জামাত পাইনাই। একটু দেরি হয়েছিল।
আমরা তিন জন ওযু করছিলাম। আমার পাশে ছিলেন তাবলীগ জামাতের একজন। তিনিও ওযু করছিলেন। পাশে তার পাশে অন্য একজন অযু করছিলেন। সেঅবস্থায়, ওই পাশের লোকের অযুর ছিটা পানি তাবলীগ জামাতের লোকের গায়ে লাগে। বেচারা বেজায় ক্ষেপে গেলেন। বললে,জানেন হাদীসে আছে অযুর ছিটা পানি নাপাক।সেটা অন্যের গায়ে লাগলে নামাজ হবে না। সেময় আমি বুঝি নাই। আমি কিছু জানিও না। তাই কিছু বলেতেও পারি নাই। কিন্তু মনের মাঝে ভাবান্তর আসল। কারণ পাশাপাশি ওযু করতে গেলে একটু ছিটাফোটা লাগবেই। তাই বলে এত সাংঘাতিক।
এই ঘটনাটা আমার এক আলেম বন্ধূর নিকট বললাম বিস্তারিত ভাবে।
বন্ধূ সব শুনে হাসলেন।
বললেন, শুন... সে তাবলীগ ব্যাক্তি হাদিস টি শুনেছেন ঠিকই, কিন্তু বুঝেন নাই।
পারে বন্ধূ হাদীস টি বলল..
যদি কোন চৌবাচ্চায় চার থেকে ৫ লিটারের কম পানি থাকে তবে সেটা দিয়ে একজন ব্যাক্তি ওযু করতে পারবে। অন্যকেউ তা দিয়ে ওযু করলে তার ওযু হবে না। যদি প্রবাহিত পানি থাকে তবে সেটাতে ওযু হবে। তার মানে সেই ব্যবহারিত পানি নাপাক।
কিন্তু তাবলীগ ভাই টি শুনেছেন কিন্তু মর্ম বুঝেন নাই।
এই হচ্ছে তাদের সঠিক জ্ঞানের নমুনা।
এরকম আরও অনেক ভ্রান্ত ভ্রমে তারা ডুবে থাকে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

স্পর্শ বলেছেন: আপনি আমি তো শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষেই দাওয়াতী কার্যক্রম চালিয়ে যেতে শিখেছি। উম্মতের এই করুণ ও নির্মম অবস্থায় যারা নিজের সময়, শ্রম, তথা টাকা-পয়সা খরচ করে পথ ভোলা মানুষদের সঠিক পথের সন্ধান দিচ্ছে, মসজিদ ভোলা মুসলমানদের মসজিদ পানে নিয়ে আসছে, কলিমা ও নামাজের সাথে শতভাগ অপরিচিত, বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বৃদ্ধ, যাদের কোন শিক্ষালয়েই এডমিশন হবে না, তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে যারা দ্বীনের প্রাথমিক কথাগুলি শিক্ষা দিচ্ছে, সমাজের অবহেলিত ঐ মুসলমানদের হাতে-পায়ে ধরে যারা আল্লাহর ঘর মসজিদে প্রবেশ করাচ্ছে, সেই তাবলীগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য ও নেতীবাচক পোস্ট দেখে অবাক হওয়া ছাড়া আমার কোন উপায় ছিল না?
যারা তাবলীগ জামাতের সমালোচনায় পঞ্চমুখ, তাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা! আজ পর্যন্ত কতজন আল্লাহ ভূলা মুসলমানকে মসজিদে নিয়ে আসতে পেরেছেন? এমন কতজন মুসলমানকে কলিমা শিখিয়েছেন, যারা কলিমা না জেনেই বয়সের ভারে পিঠ বাঁকা হয়ে গিয়েছে? এমন কতজন মুসলমানকে সূরা ফাতেহা শিখিয়েছেন, যাদের দাড়ী সাদা হয়ে গিয়েছে? এমন কতজন মুসলমানকে পবিত্রতা অর্জনের শিক্ষা দিয়েছেন, যারা পবিত্রতা আর অপবিত্রতার ফারাকই বোঝে না? এমন কতজনকে হালাল-হারামের শিক্ষা দিয়েছেন? বান্দার হক্ব আর আল্লাহর হক্বের পরিচয় শিখিয়েছেন?
অবশেষে বলতে চাই, প্রথমে কমপক্ষে নিঃস্বার্থ ভাবে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে নিজের সময়, শ্রম ও অর্থকড়ি খরচ করে দ্বীনের দাওয়াতী কাজ করে দেখান! অবহেলিত-উপেক্ষিত, কুশিক্ষা আর অশিক্ষায় জর্জরিত মুসলমানদের দ্বারে দ্বারে-ঘুরে ঘুরে, হাতে-পায়ে ধরে মসজিদে নামাজের কাতারে এনে দাড় করান। আলহামদু সূরাটি শিখান! এবং ঘোষণা করুন! ইন আজরিয়া ইল্লা আলাল্লাহ- কারো নিকট কোন প্রত্যাশা নয় বরং একমাত্র আল্লাহর কাছেই সকল প্রত্যাশা। অতঃপর তাবলীগ জামাতকে বলুন! আপনাদের মধ্যে অনেক ভূল রয়েছে, শুধরিয়ে নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.