![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্পর্স করতে চাই তাকে কিন্তু কিছুতেই পারিনা,তবুও আসায় আছি তার পথ চেয়ে।
বিশ্ব প্রেক্ষাপট: মুসলিম ও সন্ত্রাসবাদ!!!
ইসলাম শব্দটি এসেছে আরবী 'সালাম' শব্দ থেকে যার অর্থ শান্তি।আর এই শব্দটি এসেছে 'সিল্ম ' থেকে যার অর্থ আল্লাহ্র কাছে নিজের ইচ্ছেকে সমর্পণ করা। এক কথায় ইসলাম শব্দটির অর্থ,আল্লাহ্র কাছে নিজের ইচ্ছেকে সমর্পণ করে শান্তি অর্জন করা। ইসলাম ধর্ম শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উদাত্ত আহবান জানিয়ে আসছে তার ঊষালগ্ন থেকেই। কতিপয় অজ্ঞ মুসলমান ইসলামের এই মূলবাণী উপেক্ষা করে সন্ত্রাসী পন্থায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে,তাতে তারা ইসলামের গায়ে কালিমা লেপন ছাড়া বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ছাড়া, সমাজের জন্য কল্যানকর কিছু করতে পারেনি। এই অসাধু, মূর্খরা ইসলাম কে বিশ্বের বুকে অশান্তি তথা সন্ত্রাসীর ধর্ম হিশেবে পরিচিত করে ইসলামের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। আর এ সমস্ত গুটিকয়েক মূর্খ মুসলমানের কীর্তিকলাপ কে পুঁজি করে,বিরাটাকারে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে দিয়েছে ইসলাম-বিদ্বেষিরা। আর বিশ্ব-শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুসলমানদের কে প্রতিপক্ষ করে তোলা হয়েছে। শান্তির সমাজ বিনির্মাণে মুসলমানকে অন্তরায় ভাবা হচ্ছে। আর মুসলমানদেরকে নির্দ্বিধায়, দেদারসে সন্ত্রাসী ধর্ম হিশেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। ইসলামকে যে যেভাবেই ভাবুক বা দেখুক ইসলাম প্রকৃত মুসলমানদের কে সঙ্গে নিয়ে তার আলো অনন্তকাল ছড়াবেই। তাতে যার বা যাদেরই গা যতই জ্বালা পোড়া করুক। এবার আমরা আসি ইসলাম শান্তি প্রতিষ্ঠায়,সন্ত্রাস নির্মূলে কী বলেছে সে সম্পর্কে এবং নিরীহ মানব হত্যা বন্ধে ইসলামের বিধি নিষেদ বিষয়ে। ( যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে, সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে।-- সূরা মায়িদাহ্ আয়াত ৩২) এই আয়াতে স্পষ্ট হয়েছে ইসলাম কতটা শান্তির ধর্ম,সন্ত্রাস ইসলামে কতটা ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় বিষয়। প্রকৃতপক্ষে,বেশীর ভাগ ধর্মই নিরীহ মানুষ হত্যা করাকে নিন্দা করে। অধিকাংশ ধর্মেই নিরীহ মানুষ হত্যা ঘৃণাভরে পাপ কাজ বলে বিবেচ্য, অননুমোদিত। সন্ত্রাস অধিকাংশ ধর্মেরই অপ্রার্থিত বিষয়। ইসলাম সব ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নিন্দা করে। তথাচ, আমরা দেশী, বিদেশী বিশ্ব মিডিয়ায় দেখি মুসলমানদের সন্ত্রাসী,মৌলবাদী, চরমপন্থি বলা হচ্ছে। লাগামহীন অপপ্রচারের মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলমানদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। যদিও পূর্বোক্ত আলোচনায় আমরা বলেছি সন্ত্রাস অধিকাংশ ধর্মেরই প্রার্থিত বিষয় নয়। তারপরও আমরা ইতিহাস জানার মানসে বিশ্ব সন্ত্রাসী কার্যক্রমের একটু জরিপ দেখে আসি।
আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পারি যে,স্পেন আর ফ্রান্সে সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম E.T.A (EUSKADI TA ASKATASUNA) তারা এ পর্যন্ত দেড়শোর বেশী সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়েছে। আর আফ্রিকায় অনেকগুলি সন্ত্রাসী সংগঠন রয়েছে। তন্মধ্যে,একটি প্রধান দল সবচেয়ে কুখ্যাত দলগুলোর একটা সেটা হল The lords selvation army এটা একটা খ্রিস্টানদের সন্ত্রাসী সংগঠন দল। তারা বাচ্চাদের সন্ত্রাসী আক্রমণের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। আর শ্রীলংকায় আপনারা L.T.T.E (Liberation Tigers of Tamil Eelam)-র কথা শুনেছেন তামিল টাইগার্স, তারা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে কুখ্যাত, সবচেয়ে হিংস্র সন্ত্রাসী দলগুলোর মধ্যে একটি। তাদের সদস্যরা আত্মঘাতী হামলার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী দক্ষ (Expert) এমনকি তারা বাচ্চাদেরও একাজে লাগায় এবং প্রশিক্ষণ দেয়,তারা বাচ্চাদের দিয়েও আত্মঘাতী হামলা ঘটায়। সাধারণভাবে আমরা প্যালেস্টাইনে আত্মঘাতী হামলাকারী বা ইরাকে আত্মঘাতী হামলাকারীর নাম শুনি। তবে ইতিহাস আমাদের বলে যারা এ আত্মঘাতী হামলাকে জনপ্রিয় করেছে, তারা হলো LTTE তামিল টাইগার্স, এরা কারা? এরা হিন্দু। কিন্তু ইন্ডিয়ান রিপোর্টার, সাংবাদিকরা তাদেরকে হিন্দু সন্ত্রাসী বলেনা, বলে LTTE তামিল টাইগার্স। যা আড়ালে তাদের পরিচয় গোপন থাকে,নিজেদের সাধু রাখে অসাধু ভাবে।
এবার আমরা ইন্ডিয়ায় আসি, প্রায়ই দেখা যায় বেশীরভাগ সন্ত্রাসী আক্রমণের ক্ষেত্রে বলা হয় কাশ্মীরি বিদ্রোহীদের কথা।বেশীরভাগ সময়ই বলা হয় মুসলমান সন্ত্রাসীদের কথা,কেন? ইন্ডিয়াতে প্রায় সবগুলো ধর্মের মানুষের মধ্যেই সন্ত্রাসী সংগঠন আছে,প্রায় সবই। আমরা পাঞ্জাবে শিখ সন্ত্রাসী বিন্দ্রানেওয়ালা গ্রুপ(Bhindranwale group) এর কথা জানি। আমরা জানি যে, ইন্ডিয়ান সরকার ১৯৮৪ সালের ৫ই জুন শিখদের স্বর্ণ-মন্দির দখল করে, সেখানে ১০০জন মানুষ মারা যায়, প্রতিশোধ হিসেবে কয়েক মাস পরে ১৯৮৪ সালের ৩১শে অক্টোবর সে সময়ের ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করে, তারই একজন সিকিউরিটি গার্ড যিনি ছিলেন শিখ। যদি আপনি সাউথ এশিয়ান টেরোরিজমের ওয়েবসাইটে যান (এটা মুসলমানরা বানায়নি, বানিয়েছে অমুসলিমরাই) সেখানে সন্ত্রাসী আক্রমণের তালিকা টা দেখবেন। সব সন্ত্রাসী আক্রমণে মুসলমানদের যোগ্যতা খুবই কম,তবে মিডিয়ায় একথা গুলো কখনো বলা হয়না। আপনি উত্তর-পূর্ব ইন্ডিয়ার প্রদেশ ত্রিপুরা যান, সেখানে খ্রিষ্টান সন্ত্রাসী সংগঠন আছে, যেমন ATTF (all tripura taiger force) NLFT (national liberation front of tripura) এরা কারা? এরা খ্রিস্টান! এরা অনেক হিন্দুকে মেরেছে ইন্টারনেটে যান দেখবেন তিনজন হিন্দু খুন, চারজন হিন্দু খুন, পাঁচজন হিন্দু খুন, ২০০৪ সালের ২রা অক্টোবর চুয়াল্লিশজন হিন্দু মারা যায় আরোও অনেকে আহত হয় তাদের আক্রমণে। আসামে আছে ULFA ( United Liberation Front of Assam) উলফা একাই গত ১৬ বছর সময়ের মধ্যে ১৯৯০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তারা ইন্ডিয়ার মাটিতে চালিয়েছে ৭৪৯ টি আক্রমণ। তারা কাশ্মীরি বিদ্রোহীদেরও লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। ৭৪৯ টি নিশ্চিত সন্ত্রাসী আক্রমণ। তবে,খবরের কাগজে আমরা শুধু কাশ্মীরি সন্ত্রাসীদের আক্রমণের খবরই শুধু জানতে পারি। উলফাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় শুধু মুসলমানদের হত্যা করার জন্য, এরা কারা? এরা হিন্দু। আর একটি হচ্ছে নকশালপন্থীরা।মাওবাদীদের কথাও আমরা জানি মাওবাদীরা হল কমিউনিস্ট। আর ইন্ডিয়াতে কমিউনিস্টদের যতগুলো আক্রমণ হয়েছে বেশীরভাগই করেছে মাওবাদীরা। শুধুমাত্র নেপালেই গত সাত বছরে তারা ৯৯টা সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার নিউজ অনুসারে ৮৭৫ টি রকেট, গোলা বারুদের একটা ভান্ডার সেগুলো মাওবাদীদের কাছে পৌছানোর কথা ছিল।পুলিশ সেগুলো আটক করে সেইসাথে বাজেয়াপ্তও করে।তিরিশ টি রকেট লাঞ্চারও ছিলো। এটা ইন্ডিয়ার ইতিহাসে কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের সবচেয়ে বড় অস্ত্রের চালান,যেটা সরকার ধরেছে। ৮৭৫ টি রকেট তারা ইন্ডিয়ার আর্মিদের সাথেও যুদ্ধ করতে পারে। সেসময় অন্ধ্র প্রদেশের ডিজিপি হতবাক হয়েছিলেন,তিনি বলেছিলেন যে এই রকেট লাঞ্চার দিয়ে তারা যেকোনো পুলিশ স্টেশনে হামলা করতে পারে! কোন ট্যাংককে ধ্বংস করতে পারে ৬০০ মিটার অর্থাৎ অর্ধ কিলোমিটারেরও বেশী দূর থেকে। আমাদের কিছুই করার থাকবেনা। কিন্তু তারপরও মানুষ ভয় পায় দাড়ি টুপি দেখে। তাহলে দাড়ি টুপি কি রকেট লাঞ্চারের চেয়েও বেশী বিপজ্জনক? কেনো এভাবে টার্গেট করা হচ্ছে,বিশেষ করে মুসলমানদের। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে পলিটিশিয়ানরা, যদি আমরা ভাল করে দেখি তাহলে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় কোন দ্বিধা ছাড়াই, সন্ত্রাস শুধু মুসলমানদের সম্পত্তি নয়। শুধু সেটাই নয় এই সন্ত্রাসের ব্যাপারে মুসলমানদের তেমন কোন কৃতিত্বই নেই। ইসলামেও এটার অনুমোদন দেয়া হয়নি। ইসলামেও এটা নিষেদ করা আছে। আমরা এটা বলতে পারবনা যে সব ধর্মই বলে আপনি নিরীহ মানুষকে হত্যা করবেননা। তবে এটা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি যে, বেশীর ভাগ ধর্মই নিরীহ মানুষ হত্যা অনুমোদন করে না। ধর্ম গ্রন্থগুলো পড়লে জানতে পারবেন যে,নিরীহ কোন মানুষকে হত্যা করা উচিৎ না।
ইসলাম সব ধরনের সন্ত্রাসী কাজকে নিন্দা করে,নিরীহ মানুষ হত্যা করাকে ইসলাম নিন্দা করে। যাই হউক না কেন,হউক সেটা নাইন ইলেভেন সেই টুইন টাওয়ার আক্রমণ অথবা সে ৭ই জুলাইয়ে ইংল্যান্ডে যে ৫০ জনের ও বেশী মানুষ মারা গেছে,নিউ ইয়র্ক টাওয়ারে তিন হাজারেরও বেশী মানুষ মারা গেছে। লন্ডনের বোম ব্লাস্টে পঞ্চাশ জনেরো বেশী মানুষ মারা গেছে। অথবা ৯৩ এর সিরিয়াল বোম ব্লাস্টে বোম্বেতে সেখানে ২৫০ জনেরও বেশী মানুষ মারা গেছে। এগুলো সবই নিন্দনীয়, সবই নিষিদ্ধ। নিরীহ মানুষকে হত্যা করার পেছনে কোন যুক্তি পাওয়া যাবেনা। কিন্তু যখন এসব সন্ত্রাসের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞাসা করা হয় কোন মুসলমান কে,তখন তারা থেমে যায়।
কিন্তু আমরা এখানে থামবনা। আমরা অবশ্যই বলতে থাকব,আমি অবশ্যই নিন্দা করব আফগানিস্তানে যে হাজার হাজার আফগানী মারা গেল,ইরাকে যে হাজার হাজার মানুষ মারা গেল,গুজরাটে যে হাজার হাজার মানুষ মারা গেল,লেবাননে যে হাজার হাজার মানুষ মারা গেল। ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, সিরিয়া,মায়ানমারে যে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। এখানে আমরা থামতে পারি না, আপনি কাকে ভয় পাচ্ছেন? সব ধরনের সন্ত্রাস, যেখানে নিরীহ মানুষ মারা যায় সেগুলোর নিন্দা করা উচিৎ। সেটা মুসলমান করুক অথবা অমুসলিম করুক। আমাদের কাছে প্রমান নেই যে নাইন ইলেভেন অথবা ৭ই জুলাই অথবা বোম্বের ট্রেনের সিরিয়াল বোম ব্লাস্ট এগুলো মুসলমানরাই করেছে, এটা শুধুমাত্র একটা অনুমান। তবে যাই হউক,সত্য সেখানে যাই হউক সেটা মুসলমান করুক বা অমুসলমানরাই করুক,এর নিন্দা করা উচিৎ এর সবই নিষিদ্ধ। আমরা জানি যে বেশীর ভাগ ধর্মই একথা বলেনা যে আপনি নিরীহ মানুষকে হত্যা করেন।
সন্ত্রাস কোন ধর্মেরই একচেটিয়া সম্পত্তি না,কখনই না। তবে যদি ভাল করে দেখি,অনেক সন্ত্রাসী আছে তারা দাবি করে তারা কোন ধর্মের অনুসারী।
যদি ভাল করে দেখি সব ধর্মেই এমন সন্ত্রাসী আছে,মুসলমান, খ্রিস্টান,বৌদ্ধ,ইহুদি,শিখ,হিন্দু,ক্যাথলিক সন্ত্রাসী আছে। সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী,যদি আমরা জরিপ করে দেখি,কোন লোকগুলি সবচেয়ে বেশী নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে তারা কোন ধর্মের অনুসারী।
১ নাম্বার যে লোকটা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে তার নাম কি, লোকটা কে,হিটলার,সে গ্যাস চেম্বারে ৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করেছে। আর পরোক্ষ ভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লোক মারা গেছে ৬কোটি। এই বিশ্ব যুদ্ধের নেতৃত্বে যারা ছিল তারা কি মুসলমান ছিল? জোসেফ স্টালিন( আংকেল জু) ধারণা করা হয় সে ২কোটি মানুষ কে মেরে ছিল। তার নির্দেশে ১কোটি ৪৫ লক্ষ লোক না খেয়ে মারা গেছে। এবার চীনের দিকে দেখি মাও সে তুং, চীনে দেড় থেকে ২কোটি মানুষ হত্যা করেছে মাও সে তুং সেও ছিল অমুসলিম। ইতিহাস আমাদের বলে মুসোলিনি শুধুমাত্র ইটালিতেই মেরে ছিল ৪ লক্ষ মানুষ কে। নিরীহ সব মানুষ কে। যে লোকটার নামে ফরাসি বিপ্লবের নামকরণ করা হয়েছে মেক্সমিলিয়ান রবসপিয়ার তার নির্দেশে দু লক্ষেরও বেশী মানুষ অনাহারে আর অত্যাচারে মারা গেছে। হত্যা করা হয়েছে ৪০হাজারেরও বেশী মানুষ কে। অশোক শুধুমাত্র কলিঙ্গের যুদ্ধেই ১ লক্ষেরও বেশী মানুষ কে হত্যা করেছে। আমাদের ধর্মেও বেশ কিছু কুলাঙ্গার আছে, ইতিহাস বলে সাদ্দাম হোসেনের কথা, কয়েক লক্ষ মানুষ কে হত্যা করেছে, ইন্দোনেশিয়ায় মোহাম্মদ সোহার্ত, এই লোকটাও প্রায় ৫লক্ষ মানুষ কে হত্যা করেছে। তবে হিটলার, আংকেল জু,মাও সে তুং এর তুলনায় এটা কিছুই না। এদের কাছে মুসলমানদের সবগুলো হত্যাকাণ্ডই একটা শিশু। আমি একথা বলছিনা যে এ লোকগুলি তাদের ধর্ম ঠিকভাবে মেনে চলত। তারা কেউ ধার্মিক ছিলনা। তাহলে তারা কখনই এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারত না।
কিন্তু তারপরও আমরা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় দেখি যে, মুসলমানদের টার্গেট করা হচ্ছে। মুসলমানদের মৌলবাদী, চরমপন্থি, সন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িক এবং আরোও বহু নেতিবাচক উপধায় ভূষিত করা হচ্ছে ক্রমাগত ভাবে। কিন্তু, মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র কোনদিনও সফল হতে পারবেনা। কেননা এর রক্ষক স্বয়ং বারী তায়ালা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন। পরিশেষে একটি কথা দৃঢ় ভাবে বলতে চাই কোন ধার্মিক সন্ত্রাসী নয়,কোন সন্ত্রাসী কোন ধর্মেরই নয়।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া।
আল-আমীন ইবনে শফিক
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০৯
স্পর্শ বলেছেন: জনাব একে বলে একরোখা নীতি! ! তাহলে যাদের নাম নিয়েছেন তাদের আপনি কি সন্ত্রাসী বলবেন না শুধুই কি যাদের নামে মুসলিম যুক্ত তাদের বলবেন সন্ত্রাসী? ?
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: যথাবিহিত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, কাশ্মীরী, উলফা, এলটিটিই এরা কেউই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন নয়। প্রয়োজনে তারা অনেক অনায্য কাজ করে ঠিক, কিন্তু কাশ্মীরিদের কে স্বাধীনতাকামী প্রমাণ করতে গিয়ে উলফাদের সন্ত্রাসী বললেন কেন? আপনিও তো একরোখা নীতিতে চালিত। তার চেয়ে বলুন পৃথিবীতে যেখানেই যালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের সংগ্রাম আছে তার সাথেই আমরা একাত্মতা পোষণ করি।
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় স্পর্শ,
তথ্যবহুল গবেষনালব্দ পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ।
প্রশ্নবোধক (?) -এর প্রশ্নটার ভেতরে যুক্তি রয়েছে। পৃথিবীর স্বাধীনতাকামী, মুক্তিকামী নির্যাতিত মানুষ, তা যেখানেরই হোন, যে ধর্ম বর্নেরই হোন তাদের দাবির প্রতি তাদের আন্দোলন সংগ্রামের প্রতি তাদের স্ব স্ব অবস্থান এবং পরিচয়ের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা প্রদর্শন কাম্য।
প্রয়োজনে তথ্য বিভ্রাট এড়াতে তথ্যের পুনর্বিন্যাস করা যেতে পারে।
ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আপনি কাশ্মীরিদের প্রতি দেওয়া সন্ত্রাসবাদী তকমা মুক্ত করতে আর সকল স্বাধীনতাবাদীদেরও সন্ত্রাসীর কাতারে ফেললেন (?) উলফা , এলটিটিই এরাও সরকারবিরোধী স্বাধীনতাকামী।