নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পর্শ করতে চাই তাকে, কিন্তু পারিনা তবুও চেয়ে তার পথ ছুয়ার আসায় ।

স্পর্শ

স্পর্স করতে চাই তাকে কিন্তু কিছুতেই পারিনা,তবুও আসায় আছি তার পথ চেয়ে।

স্পর্শ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্ত দিয়ে কিনেছিলাম এমন স্বাধীনতা?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

রক্ত দিয়ে কিনেছিলাম এমন স্বাধীনতা ???




পুলিশ যাকে পিটুনি দিতে বাগে পেয়ে যায় সে হতভাগা আহ্ করলেও পেটায়, উহ্ করলেও পেটায়, পড়ে গেলেও পিটায়, জ্ঞান হারালেও পিটায়।তা দেখে প্রতিবাদ যে করে তাকেও সমান পেটায়। পুলিশের পেশা এখন পাবলিক পিটানো। পাবলিককে পুলিশের যত ভয়।
গণতন্ত্রের ধারণাটা সেকেলে হয়ে গেছে। তাই এই মরার দেশে গণতন্ত্র নির্বাসনে; এখন চলছে শাসকতন্ত্র; এখানে জনগণ নয়, শাসকদলই সকল ক্ষমতার উৎস । এদেশে জনগণ সরকার বদলায় না বরং সরকারই জনগণ বদলায় । সেলুকাস এই দেশ। জনগনের টাকায় কেনা অস্ত্র, জনগণের গোলাম; সেই জনগণের উপরই চলে নির্যাতনের স্টীম রোলার! ধন্য এই দেশ। ধন্য এই দেশে জনম নেয়া ।




দেশে যা-ই ঘটুক, প্রতিবাদ করা যাবে না। কৃতদাসের মত দাঁতে দাঁত চেপে হলেও ধৈর্য ধরে সহ্য করতে হবে। অথচ এদেশের জন্ম হয়েছিল প্রতিবাদের মাধ্যমে। এদেশের ভালো যা কিছু তা এসেছে প্রতিবাদের মাধ্যমে। তাহলে এখন প্রতিবাদ নয় কেন? জাতীয় কোন ইস্যুতে প্রতিবাদ করতে গেলেও কেন সরকার নিরস্ত্র জনতার প্রতি মারমুখো হয়ে উঠে? কীসের এত ভয়?
যখন প্রতিবাদকারীদের পিটিয়ে প্রতিবাদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিল তখন চুপ থেকেছেন, এমন কি তা সর্মথনও দিয়েছেন, এখন আর প্রতিবাদ করার কেউ নেই, তাই কথ বললেই পিটুনি খেতেই হবে, এটাই স্বাভাবিক।



শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ যখন পুলিশ দ্বারা আক্রান্ত হয় তখনই সরকার পতন ঘনিয়ে আসে। সামনের দরজা - নির্বাচন অথবা পিছনের দরজা দিয়েও তা হয়। কিন্তু যে কোন উপায়ে পরিবর্তন হলেও পুলিশের কোন ক্ষতি নেই। যারা ক্ষমতায় ক্ষতিটি তাদের। তাই ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য ভাল পথটি ক্ষমতায় থাকতেই বিবেচনা করে দেখা দরকার।
রাজনৈতিক দল, সরকার ও রাষ্ট্র এই তিনটা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতাসীনরা সঠিকভাবে উপলদব্ধি করে পরিচালনা করতে না পারলে ব্যর্থতা আসে। নীতি, আদর্শ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, কর্মসুচী, প্রোগ্রাম; বিশেষ করে ক্ষমতায় গেলে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কি করবেন ইত্যাদি বক্তব্য প্রচার করে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করে এবং নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে সরকার গঠন করে। কিন্তু অঙ্গীকারকৃত সকল প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করতে হয় রাষ্ট্র ব্যবস্থার মাধ্যমে। রাষ্ট্র ব্যবস্থা মোটামুটিভাবে স্থায়ী একটা সামাজিক প্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ও অঙ্গীকার নিয়ে সরকার আসে এবং সরকার রাষ্ট্র ব্যবস্থার তুলনায় ক্ষণস্থায়ী ও পরিবর্তনশীল। রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ও অঙ্গীকার বাস্তবায়নে রাষ্ট্র ব্যবস্থার কাঠামো অনুকূল না হলে সরকার ব্যর্থ হয়।




প্রতিবাদ করছেন তো মরছেন । সুতরাং কোন প্রকার প্রতিবাদ করা চলবে না, শুধু মুখ বুজে, দাঁত খিঁচে সহ্য করে যেতে হবে । মুখে গণতন্ত্র বলতে বলতে শাসকগোষ্ঠী অজ্ঞান। প্রকৃত গণতন্ত্র সম্ভবত এমনই-শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীর বুকে পুলিশের বুটের লাথি!
শালার রক্ত দিয়ে কিনেছিলাম এমন স্বাধীনতা?
বাঙালি তুমি জন্মেছ কেবল মার খেতে, স্বাধীনতার পূর্বে নিরস্র জনতা কে কারণে অকারনে পাকিস্থানিরা মারত। আজ স্বাধীন দেশে নিজ দেশের র‍্যাব পুলিশ ও মারে। শাসক বদলেছে মারের ধরন বদলায়নি।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: 'শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ যখন পুলিশ দ্বারা আক্রান্ত হয় তখনই সরকার পতন ঘনিয়ে আসে'
এটা আপনি কোন হাদিসে পেয়েছেন? মিশরের মুরসি সরকার তো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে কোন বাধা দেয়নি - তার পতন কেন হল তবে? সিসি সরকার তো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে ট্যাংক উঠিয়ে দিয়ে ফ্রি স্টাইলে গুলিবর্ষণ করে হাজার খানিক মানুষ মেরে ফেলল - তার পতন কেন ঘনিয়ে আসছে না?

আপনি কি এই সরকারকে ভয় দেখানোর জন্য কোন স্টান্টবাজি করছেন? তাহলে জেনে রাখুন - ভয় পাওয়ার মত সরকার এরা নয়।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

স্পর্শ বলেছেন: আচ্ছা জনাব এককাজ করুন সরকারের কোন কাজের প্রতিবাদ স্বরুপ একখানা প্রতিবাদ সভা ডেকে দেখুন পুলিশের প্যাদানি খান কি না !!

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

কলাবাগান১ বলেছেন: এনারা ট্রেন থেকে কেউ পড়ে গেল সাথে সাথে দেশের স্বাধীনতা আজ ভুলন্ঠিত বলে পোস্ট দিতে ভালবাসেন...এনারাই ৩০ বছর ধরে স্বাধীনতা কে খুজেন কেননা এনারা দেশের স্বাধিন হওয়াকে পছন্দ করেন না

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৬

স্পর্শ বলেছেন: দারুণ বলেছেন সেটা আপনার মন্তব্যে বুঝেছি তবে ভুলে যাবেন না জনাব ইতিহাস ??মাথামুন্ডহীন কথার কোন বৃত্তি নেই !!একদিক থেকে দেখলে বাংলাদেশের ইতিহাস হলো রাজনৈতিক সহিংসতার ইতিহাস। এখানে ক্ষমতার বদলের সঙ্গে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই যুক্ত ছিল সহিংসতা। একটা রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু ঘটে। আরেকটি রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের ফলাফল হিসেবে ক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান। এরশাদের 'রক্তপাতহীন' অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পেছনে ছিল রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে জিয়া, মঞ্জুরসহ বহুসংখ্যক সামরিক অফিসারের মৃত্যু। এরশাদের স্বৈরাচারী ক্ষমতার অবসানের জন্য প্রয়োজন হয়েছিল একটি গণ-অভ্যুত্থান। এই গণ-অভ্যুত্থানের ফলে বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের নেতৃত্বে আপৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দরকার পড়ে একটি সহিংস আন্দোলন এবং তার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সাংবিধানিক রূপ পায়। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০১ সালে অপেক্ষাকৃত অহিংস পদ্ধতিতেই ক্ষমতার হাতবদল ঘটে। যদিও এর পেছনে গণতান্ত্রিক রীতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বা এ রকম কিছুর চেয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে অনভিজ্ঞতাই প্রধানত কাজ করেছে। তৎকালীন সরকার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পছন্দের লোককে বসিয়ে নির্বাচনকে নিজেদের অনুকূলে রাখতে যে চেষ্টা করেছিল, তা মাঠে মারা যায় তৎকালীন বিচারপতি লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশাসনিক রদবদলের ফলে। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী সময়ে খালেদা জিয়ার সরকার শুধু প্রশাসনের দলীয়করণ নয়, নির্বাচন কমিশন, এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান পর্যন্ত যেন দলীয়করণ হয় তার ব্যবস্থা করেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় লগি-বৈঠার আন্দোলন তথা সহিংসতার উত্থান ঘটে এবং পরবর্তীকালে সেনাবাহিনী সমর্থিত সিভিল সরকার ক্ষমতায় আসে। এই সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকারের অধীনেই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে শেখ হাসিনার মহাজোট সরকার। বর্তমানে আবারও ক্ষমতার হাতবদলকে কেন্দ্র করে আমরা দেখতে পাচ্ছি সহিংসতার উত্থান। এই সহিংসতার উত্থানের পেছনে আছে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গোটা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা। যার মাধ্যমে ক্ষমতা বদলের প্রশ্নটি চলে গেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার-পূর্ববর্তী অবস্থায়। আর দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে এক সহিংস পরিস্থিতি।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩

জগতারন বলেছেন:
এ দেশে লোক সমাগম করতে কোন কালেও কোন সমাসযা হয়নি।
হাঁ কিচ্ছু ভোন্দা ও আহম্মকদের পিটাইয়াই সোজা রাখতে হয় বইকি!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

স্পর্শ বলেছেন: জি জনাব বন্ধুকের নল সরিয়ে দেখান তাহলেই বুঝা যাবে সমস্যা কোথায়? ? আর জনাব ধোন্ধা কারা তারপর টের পাওয়া যাবেনে! !

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

ANIKAT KAMAL বলেছেন:
চা‌লি‌য়ে যান সা‌থে অাছি ভা‌লো লেখুন ভা‌লো থাকুন

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

স্পর্শ বলেছেন: আপনি ও ভাল থাকুন এবং সাথে থাকুন! !

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দুঃখজনক।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

স্পর্শ বলেছেন: লজ্যাজনকও

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০০

রাজীব নুর বলেছেন: পুলিশ খুব খারাপ জিনিশ ভাই।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

স্পর্শ বলেছেন: শুধুমাত্র কি খারাপ??

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এই ভাবেই অত্যাচারিত হতে হবে যদি না আমরা সবাই এক না হব..!
লেখা ভালো লাগলো, লেখুন সাথে জবাবও দিন

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০০

স্পর্শ বলেছেন: জি জনাব সাথে থাকবেন

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন গড়ে সবাই রক্ত দিয়েছিল বলে, কিন্তু ১৯৭১ সালে রক্ত দেয়ার মানুষের সংখ্যা খুব একটা বেশী ছিলো না।

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমরা এক সময় মহা রাণী ভিক্টোরিয়া রাজত্বে ছিলাম তখন তাদের কর দিয়ে বসবাস করেছি এখন তাদের রাজত্বে আছি তাদেরও কর দিয়ে বসবাস করতে হবে। এতে এত হামারি তামারি করার কি আছে।

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২২

ঢাকাবাসী বলেছেন: যতদুর মনে আছে ঐ আমলে ওরা এতটা অত্যাচার করতনা!

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৫

কলাবাগান১ বলেছেন: @ঢাকাবাসী

এতটা অত্যচার করত নি জাস্ট ধরে ধরে ত্রিশ লাখ লোক কে গুলি করে হত্যা করেছিল..

ও তাহলে আবার পাকি আমলে ই ফেরত যাই যা আপনাদের মত ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.